পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সহিহ কিচ্ছা সমগ্র (অধ্যায়ঃ ইবনে তাইমিয়া রহ.)

ছবি
[১] আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কতৃক স্বপ্নে স্বপ্নে জটিল মাস'আলা এর সমাধান প্রদান --------------------- যারা আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কে মানতো না, তারা আমাকে বলেছে- "আমরা তাঁকে (ইবনে তাইমিয়া) স্বপ্নে দেখেছি এবং ফারায়েয (সম্পত্তি ভাগ বন্টন) সংক্রান্ত মাসায়েল নিয়ে কিছু জটিল জটিল প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি।। তিনি সেগুলোর সঠিক সমাধান আমাদের বলে দিয়েছেন।।" ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) আরো বলেন- মোট কথা এই বিষয়টি (স্বপ্নে বুযুর্গদের দ্বারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া) কেবল ঐ ব্যক্তি-ই অস্বীকার করতে পারে যে রূহ এর প্রকৃত অবস্থা এবং রূহের আহকাম সম্পর্কে অজ্ঞ।। সূত্রঃ কিতাবুর রূহ- ৫০ পৃষ্ঠা।। লেখকঃ আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)।। __________________ ফুটনোটঃ  মাকতাবা এ শামেলা এর বিন্যাস খুলে দেখা যেতে পারে, এই "কিতাবুর রূহ" একটি "আক্বীদার" কিতাব।। কোন ফিক্বহ বা ফাযায়েলের কিতাব নয়।। [২] দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা... ------------ আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) লেখেন- ইব্রাহিম তায়িমি (রহঃ) ১-২ মাস পর্যন্ত কিছুই খেতেন না। - মাজমুয়া ফাতাওয়া- ১১ খণ্ড ২৮২

পাঠ পর্যালোচনা: মাওলানা মওদুদীর সাথে আমার সাহচর্যের ইতিবৃত্ত + pdf

ছবি
পাঠ_পর্যালোচনা_৩০ বই: মাওলানা মওদুদীর সাথে আমার সাহচর্যের ইতিবৃত্ত এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ মূল লেখক: মনযুর নোমানী অনুবাদক: নুরূল কবির আনছারী প্রকাশনী: আশরাফি বুক ডিপো ১১,বাংলাবাজার ইসলামী টাওয়ার, ঢাকা। =================== শুধু বাংলাদেশই নয় বরং উপমহাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জামায়েতে ইসলামী নামক রাজনৈতিক দলটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদির একান্ত সহচর এবং সবচে' নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ও পরামর্শদাতা ছিলেন। তিনি দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রথম রুকন ও আহবায়কও ছিলেন। জামাতে ইসলামির প্রতিষ্ঠা, প্রাথমিক কর্মকাণ্ড সবই তার চোখের সামনে ও হাতের উপর দিয়ে হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জামায়েতে ইসলামী ত্যাগ করেন। এর কারণ ও ধর্মীয় কিছু দৃষ্টিভঙ্গিতে দলটির ত্রুটি-বিচ্যুতি বিশ্লেষণ করে তিনি রচনা করেন আলোচ্চ গ্রন্থটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বইটি আলোচিত-সমালোচিত এই দলের আদর্শ ও চিন্তাধারা এবং ভ্রান্তি ও বিচ্যুতি বুঝার ক্ষেত্রে অন্য যে কোন বইয়ের তুলনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। লেখককে আলাদা করে পরিচয় করি

পাঠ পর্যালোচনা: আররফউ ওয়াত তাকমীল ফিল জারহি ওয়াত তা'দীল + pdf

ছবি
পাঠ_পর্যালোচনা_৩৫ বইয়ের নাম: আররফউ ওয়াত তাকমীল ফিল জারহি ওয়াত তা'দীল লেখক: আবদুল হাই লাখনৌবি টীকাকার: আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ প্রকাশক: দারুল বাশাইর আল-ইসলামিইয়া, বৈরুত, লেবানন। বাঙলাদেশী ছাপা: হরফ প্রকাশন, ইসলামী টাওয়ার, বাঙলাবাজার, ঢাকা-১১০০ -------------------------- -------- জরাহ মানে হল কারো দোষত্রুটির কারণে তাকে অভিযুক্ত করা। আর তাদিল হল ভালোগুণের কারণে কারো প্রশংসা করা। হাদিস গ্রহণ-বর্জনের বিষয়টি পুরোটাই এই শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল। এই শাস্ত্র নিয়ে প্রাচীনকাল থেকেই উলামায়ে কেরাম কাজ করে আসছেন। তবে সেটা ছিল বিচ্ছিন্নভাবে। এই শাস্ত্রের নিয়মকানুনগুলো একমলাটের ভেতর নিয়ে এসে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনার কাজটা প্রথম করা হয়েছে আমাদের আলোচিত গ্রন্থটিতে। লেখক আবদুল হাই লাখনৌবি একজন অনারব তথা ভারতীয় আলেম। তার জন্ম হয়েছিল ১২৬৪ হিজরীতে। আর মৃত্যু ১৩০৪ হিজরীতে। মাত্র চল্লিশ বছরের জীবদ্দশায় তিনি যে পরিমান রচনা লিখে যান তা সত্যিই বিস্ময়কর আমাদের জন্য। তার রচনাবলির প্রায় সবই শাস্ত্রগত নানান বিষয়ে। ভারতীয় আলেম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার নাম ও রচনাবলির সাথে আরবদের তেমন

পাঠ-পর্যালোচনা: মোকছুদুল মোমেনীন

ছবি
লেখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই পড়া শেষে শেয়ার করুন পাঠ-পর্যালোচনা-৩৩ বই: মোকছুদুল মোমেনীন লেখক: মাওলানা আবদুর রহমান প্রকাশনায়: তানিয়া বুক ডিপো ১৩, বাংলাবাজার (২য় তলা) ঢাকা-১১০০ ********************** বাঙলাভাষায় একটা সময়ে ধর্মীয় বইয়ের প্রচণ্ড সংকট ছিল। নানারকম সামাজিক সীমাবদ্ধতা আর সমস্যাকে ঘিরে এই সংকটটা জিইয়ে ছিল বহুদিন। কিন্তু মানুষের প্রয়োজন তো আর থেমে থাকে নি। দৈনন্দিন জীবনে ধর্মচর্চা করতে গিয়ে এবং নিজেদের ধর্মীয় জ্ঞানকে পুষ্ট করতে স্বাভাবিকভাবেই তারা খুঁজতে থাকে ধর্মীয় বই। হাতের কাছে যা পেতো তাই কিনে নিয়ে আসতো। প্রতিদিন সেই বইয়ের চর্চা হতো। এসব বই আবার হাত ঘুরে এর ওর কাছে গিয়ে আরো বেশি পঠিত হতো। এমনই সংকটকালে রচিত হয়েছিল 'মোকছুদুল মোমিনীন' নামক বহুল প্রচলিত ও পঠিত গ্রন্থটি। বাজারে এই নামে বইটির অনেক সংস্করণ পাওয়া গেলেও আমাদের বাড়িতে যে কপিটা ছিল তার সংকলক হিসেবে মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহমানের নাম লেখা। এবং সম্পাদনায় মাওলানা আবদুল কাদির খন্দকার। বইটা বহুকাল ধরে আমাদের ঘরে পঠিত হয়ে আসছে। বইয়ের ভগ্নদেহ সেই সাক্ষ্য-ই প্রদান করে। আমি আগে থেকেই জানত

সাদাকাতুল ফিতর বিষয়ক শরঈ বিধিবিধান

ছবি
ফিতরার হুকুম (বিধান): ------------------- ফিতরা দেয়ার সামর্থ্য রাখে এরকম প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের ও পরিবারের ঐ সমস্ত সদস্যদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ফরয যাদের লালন-পালনের দায়িত্ব শরীয়ত কর্তৃক তার উপরে অর্পিত হয়েছে।মুসলিম দাস ও স্বাধীন, পুরুষ ও নারী এবং ছোট ও বড়র প্রতি সকলের উপর এটি ওয়াজিব হয়, এবংঈদের ছলাতের আগেই এই ফিতরা প্রদান করা উচিত। - [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: যাকাত হাদীস নং ১৫০৩;সহীহ মুসলিম নং ২২৭৫;বাদায়েউস সানায়ে: ২/৭০ ]  - সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হবে? সদকাতুল ফিতরের নেসাব যাকাতের নেসাবের সমপরিমাণ, অর্থাৎ ঋণ বাদ দিয়ে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বয়ান্ন ভরি রূপা বা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ বা ব্যবহারের অতিরিক্ত জিনিষ-পত্র অথবা খোরপোশের প্রয়োজনাতিরিক্ত জমি ঈদুল ফিতরের দিন তার নিকট থাকলে তার উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হবে।মৌলিক নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রত্যেকে নেসাব পরিমাণ অর্থ বা সম্পদের মালিক হওয়া সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার পূর্বশর্ত।  তবে এতে যাকাতের ন্যায় বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। - ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১০/৪৯৪, ফাতহুল কাদির: ২/২৮১, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১৯১,

আহলে হাদীস ও হানাফীদের মাঝে একটি মৌলিক পার্থক্য

প্রশ্ন: কুরআন-হাদীসের উপর আমলের ক্ষেত্রে আহলে হাদীস ও হানাফীদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কী? উত্তর: আহলে হাদিসরাও গবেষণা করে মাসআলা বের করে। হানাফীরাও গবেষণা করে মাসআলা বের করে। কোন মাসআলা যদি ইমাম আবু হানিফা রহ. কুরআন ও হাদীস থেকে বের করেন, তাহলে হানাফীরা বলে, এটা আবু হানীফা রহ. এর মাজহাব। ইমাম আবু ইউসুফ বের করলে বলে, এটা ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এর মাজহাব। সুফিয়ান সাউরী রহ. বের করলে তারা বলে, এটা সুফিয়ান সাউরীর মত। কিন্তু আহলে হাদিসরা নিজেদের সমস্ত গবেষণাকে কুরআন-হাদীস বলে চালিয়ে দেয়। গবেষণা করে আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। আর নিজের গবেষণাকে সরাসরি কুরআন-হাদীস বলে চালিয়ে দেয়। মাসআলা বের করে মুজাফফর বিন মুহসিন। এরপর নিজের গবেষণাকে ওহীর মর্যাদা দিয়ে বলে, এটাই কুরআন-হাদীসের মত। হাদীসের সহীহ-জয়ীফ নির্ধারণ করেন আলবানী সাহেব, অথচ নিজের সহীহ-জয়ীফকে সরাসরি ওহীর মর্যাদা দেয়। উভয় দলই কুরআন হাদীস ব্যাখ্যা করে। হানাফীরা ব্যাখ্যার সাথে ব্যাখ্যাকারীর নাম বলে দেয়। কিন্তু আহলে হাদিসরা ব্যাখ্যাকারীর নাম বলা তো দূরে থাক, ব্যাখ্যাটাকেই সরাসরি কুরআন-হাদীস বানিয়ে দেয়। আপনি যদি মুজাফফর বিন মুহসিনের কোন গবেষণা না ম

বেহেশতী জেওর কি আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর কিতাব?

ছবি
প্রশ্ন বেহেশতী জেওর আমাদের উপমহাদেশ্ একটি বহুল পরিচিত কিতাব। ঘরে ঘরে এ কিতাব বিদ্যমান। এ কিতাবের শেষে কিছু তাবিজ ও বিভিন্ন চিকিৎসার কথা লিখা আছে। এসব বিষয়ে কিছুটা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি কি হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ নিজেই লিখেছেন? দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হবো। উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم অনেকে হাকীমুল উম্মত বলতে বুঝে থাকেন যে, উম্মতের হেকিমী ডাক্তার। আসলে বিষয়টি তা নয়। আশরাফ আলী থানবী রহঃ এ উপমহাদেশের আল্লাহ ভোলা মানুষদের জন্য অন্তরের চিকিৎসক ছিলেন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের পাবন্দ এক সাচ্চা আল্লাহর ওলী ছিলেন। তিনি কুরআন ও হাদীসের নূর দিয়ে গোনাহে জর্জরিত অন্তরকে আল্লাহ অভিমুখী করার চিকিৎসক ছিলেন। হেকিমী চিকিৎসক নন। বেহেশতী জেওরের শেষাংশে যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করা আছে, এর অধিকাংশের নজীর সালাফের কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে। দেখুনঃ ১. আত্তিব্বুন নববী, ইবনুল কাইয়্যিমকৃত। ২. আত্তিব্বুন নববী, আবু নাঈম আলইস্ফাহানীকৃত। ৩. আলআমরাজ। ইমাম যিয়া আলমাকদিসীকৃত। ইত্যাদি। এছাড়া লা-মাযহাবী আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খানের সংকলিত

প্রিয় বই: সাত যুবকের গল্প (রিভিউ + পিডিএফ)

ছবি
..আমরা মনে করি শরীয়তের পরিভাষায় ইসলামের বিধান বলতে দুটি বিষয়ই আছে। ইমান ও কুফর, হালাল - হারাম, জায়েজ - নাজায়েজ। এর বাইরে অন্য কিছু আমাদের মাথায় আসেনা। অথচ এর বাইরেও অনেক বিষয় আছে যাকে কুফর কিংবা হারামও বলা যায়না- বলা যায়না হালাল কিংবা বৈধও। তবে এসব বিষয়কেও দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক. আল্লাহ তা'আলার পছন্দনীয় আর দুই. আল্লাহ তা'আলার অপছন্দনীয় বিষয়। এ কথা কোরআন কারিমের অধ্যয়ন, হাদীসে পাকের নির্দেশনা, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বভাব-চিন্তা এবং সাহাবায়ে কিরামের চিন্তাধারার আলোকে জানতে পারি। আমরা এসবের ঘনিষ্ঠ পাঠ ও নিবিড় অধ্যবসায় থেকে বুঝতে পারি, ইমান ও কুফর, হালাল ও হারাম, জায়েজ ও নাজায়েযের বাহিরেও কিছু বিষয় রয়েছে। আর তাহলো, জীবনযাপন এর পদ্ধতি, জীবনের ধরণ-স্টাইল, আকার-আকৃতি, চরিত্র-বৈশিষ্ট্য, পার্থিব জীবনের সাজসজ্জা ইত্যাদি। -------- - পৃষ্ঠা ৫২-৫৩, সাত যুবকের গল্প শর্ট রিভিউঃ সাত যুবকের গল্প সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.-এর রচিত সেরা গ্রন্থগুলোর একটি। যারা নতুনভাবে দীনের পথে আসছেন, এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠেননি। অথবা অন্য কোনো ধর্মের কেউ; যিনি ইসলাম সম্পর্কে

আকিদা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিতাবের তালিকা

বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আলেম আকিদা বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য কিছু কিতাবের নাম চেয়েছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ যেসকল কিতাবের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়েছে, সেগুলো লিখেছি। প্রায় সবগুলো কিতাবই ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে। আরবীতে লিখে সার্চ দিলেই হবে। আকিদা বিষয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী তালিবে ইলম বা আলেমদের জন্য এটি  উপকারে আসবে বলে আশা করি। ১. আত-তাজসীম ওয়াল মুজাসসিমা, আব্দুল ফাত্তাহ কিদ্দিশ আল-ইয়াফেয়ী। ২. আল-কাশিফুস সগীর আন আকাইদি ইবনে তাইমিয়া, সাইদ আব্দুল লতিফ ফুদা (জরুরি পাঠ্য) ৩. আশ-শরহুল কাবীর আলাল আকিদাতিত ত্বাহাবীয়া, সাইদ আব্দুল লতিফ ফুদা (জরুরি পাঠ্য) ৪. বারাআতুল আশআরিয়্যীন মিন আকাইদিল মুখালিফীন (জরুরি পাঠ্য) ৫. আল-আকিদা ও ইলমুল কালাম, আল্লামা যাহেদ আল-কাউসারী রহ. ৬. দাফউ শুবাহিত তাশবীহ বি আকুফ ফিত তানজীহ, ইবনুল জাওযী রহ. ৭. দাফউ শুবাহি মান শাব্বাহা ও তাম্মাররদা ৮. আর-রদ্দুল ইসলামী আল-মুমতাজ (জরুরি পাঠ্য) ৯. আহলুস সুন্নাতিল আশাইরা, শাহাদাতু উলামাইল উম্মাহ (জরুরি পাঠ্য) ১০. মানহাজুল আশাইরা বাইনাল হাকিকাতি ওয়াল আওহাম ১১.   সহীহু শরহি আকিদাতিত ত্বাহাবীয়া, শায়খ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ, (শায়খ সাক্কাফে

তাকফীর বিষয়ে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

- শাইখ মুফতি Ijharul Islam Al - kawsary আমি বিভিন্ন সময়ে আকিদার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখে থাকি। অালোচনায় অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্ট বলে থাকি যে, এটি তাউহীদ, এটি শিরক। এটি ইমান এবং এ বিষয়টি কুফুরী। যেমন গতকালের পোস্টে দু'টি আকিদা সম্পর্কে লিখেছিলাম, এ দু'টি বিশ্বাস জঘন্য শিরকী আকিদা। ১. আল্লাহ তায়ালা আরশে বসে আছেন। ২. আল্লাহ তায়ালা রাসূল স.কে আরশে তার সাথে বসাবেন। আমি এখনও বলছি, বিষয় দু'টো অত্যন্ত গর্হিত শিরকী আকিদা। এখন প্রশ্ন হলো, পূর্ববর্তী কিছু আলেমের কিতাবে এই ধরণের আকিদা বিশ্বাস রয়েছে। যেমন ইবনে তাইমিয়া রহ. ও ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর কিতাবে। তাদেরও আগে আরও কিছু আলেমের কিতাবে এগুলো আছে। খাল্লালের আস-সুন্নাহ কিতাবে, আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদের নামে প্রসিদ্ধ আস-সুন্নাহ কিতাবে এগুলো রয়েছে। বরং কারও কারও কিতাবে এর চেয়েও জঘন্য আকিদা রয়েছে। যেমন ইবনে খোজাইমা রহ. এর কিতাবুত তাউহীদে খুবই জঘন্য কিছু আকিদা আছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদের আস-সুন্নাহ কিতাবের কথা তো বলার প্রয়োজন নেই। অনেক আকিদা মুখে আনাও সম্ভব নয়। ইবনে তাইমিয়া রহ ও তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর কিতাবেও এর চেয়ে জঘন্য আকিদ

পাঠপ্রতিক্রিয়া- আল-ইনসাফ ফি বায়ানি আসবাবিল ইখতিলাফ (+ pdf link)

ছবি
পাঠপ্রতিক্রিয়া-২ বইঃ আল-ইনসাফ ফি বায়ানি আসবাবিল ইখতিলাফ লেখকঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি রাহ, --------------------------------------------- 'আল ইনসাফ' হচ্ছে ভারতরত্ন শাহ ওয়ালিল্লাহ দেহলবি রাহ, এর অনবদ্য গ্রন্থ। বিভিন্ন মাসআলায় ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য কেন হয়- সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। বইয়ের নাম থেকেই বিষয়টি বুঝে আসে। আরবি ভাষায় লেখা বইটার পৃষ্ঠা সংখ্যা একশর কাছাকাছি। বৈরুতের 'দারুন নাফাইস' এটি প্রকাশ করেছে। ঝকঝকে প্রচ্ছদের এই বইটির আরবি ভাষাটা খুব কঠিন না। আবার খুব সহজও না। বলা যায়, সহজ-কঠিনের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে লেখক এটি রচনা করেছেন। শুরুতেই তিনি সাহাবা ও তাদের ছাত্রবৃন্দ তথা তাবেয়িদের মধ্যে শাখাগত মাসআলাতে মতানৈক্য হওয়ার কিছু কারণ সংক্ষিপ্ত ভাষায় তুলে ধরেছেন। এবং তাদের মতানৈক্যের ধরণগুলো কি কি সেটাও তিনি সুবিন্যস্ত আকারে সাজিয়েছেন। প্রতিটি বিষয়ের সাথে উদাহরণ টেনে বক্তব্যটাকে আরো সুস্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। পরবর্তী অধ্যায়ে বিভিন্ন মাযহাবের ইমামদের মধ্যে যেসব মতানৈক্য হয়েছে তার পেছনে কি কি কারণ লুকিয়ে আছে তা তিনি আলোচনা করেছেন। তবে এই অধ্যা

পাঠপ্রতিক্রিয়া- দাউলার (আইএস-এর) আসল রূপ

ছবি
পাঠপ্রতিক্রিয়া-৩ বইঃ দাউলার আসল রূপ লেখকঃ আহমদ নাবীল --------------------------------------- আইএস নামে আমরা যে গোষ্ঠীকে চিনি আরবদেশে তারা দাওলাতুল ইসলাম বা দায়েশ নামে পরিচিত। এই গোষ্ঠী অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এদের বিষয়ে সংক্ষেপে বলতে গেলে এরা শুরুতে ইরাকে আলকায়েদার একটা শাখা ছিল। পরে আলকায়েদা থেকে বের হয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দেয়। তারা ইরাকভিত্তিক সংগঠন হলেও পরে সিরিয়াতেও নিজেদের কার্যক্রম বিস্তৃত করে। ওদিকে সিরিয়াতে আগে থেকেই আলকায়েদার শাখা হিসেবে জাবহাতুন নুসরা কাজ করছিল। স্বাভাবিকভাবেই ওদের সাথে এদের বিরোধ দেখা দেয়। তখনই আইএস বা দাউলার হিংস্র রূপ প্রকাশ হয় বিশ্ববাসীর সামনে। তারা মুসলিম মুজাহিদদের নির্বিচারে হত্যা করতে থাকে। নিজেদের মতের বাইরে যারাই গিয়েছে তাদের ওরা কাফের ঘোষণা দিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। আইএসের ভদ্রতার মুখোশ খুলে দেওয়ার কোশেশ করা হয়েছে "দাউলার আসল রূপ" বইটিতে। মোট তিনটা অধ্যায়ে বইটিকে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে 'দাউলার অপরাধ সমূহ' শিরোনামে মোট ৬টি অপরাধ নিয়ে প্রামাণ্য আলোচনা করা হয়েছে

আমাদের সংশোধনযোগ্য একটি মানসিকতা

খেতে খেতে কথা হচ্ছিল ইবনে লাহিয়াকে নিয়ে। তিনি অনেক বড় মাপের মুহাদ্দিস ছিলেন। তবে হাদিসবিশারদদের দৃষ্টিতে ছিলেন যঈফ। দুর্বল রাবি। সেজন্যই আমরা তার নাম বলার সময় খুব গুরুত্বহীনতার সাথে উল্লেখ করছিলাম। হঠাৎ আমার মাথায় একটা খেয়ালের উদয় হল। ইনি কিন্তু মিথ্যা বলার কারণে যইফ নন। বরং ঘরে আগুন লাগার কারণে তাঁর বইপত্র পুড়ে গিয়েছিল। সেজন্য তিনি হাদিস বর্ণনা করার সময় উলটপালট করে ফেলতেন। তাই তাকে মুহাদ্দিসরা যইফ বলেছেন। কিন্তু যেহেতু যইফ শব্দটাকে আমরা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি তাই কোন বর্ণনাকারীকে যইফ বলা হলে তার নাম উচ্চারণের সময় তেমন শ্রদ্ধা-ভক্তি আমাদের ভেতর কাজ করে না। যেরকম মিথ্যা বা স্মৃতিশক্তিতে দুর্বল রাবির নাম উচ্চারণে আমাদের তেমন শ্রদ্ধা জাগ্রত হয় না। অথচ যাহাবি রাহ. তাকে 'আল ইমাম' আল-আল্লামা' উপাধী দিয়ে পরিচয় প্রদান শুরু করেছেন সিয়ারু আলামিন নুবালাতে। আবু হুরাইরা রা. এর ছাত্রদের থেকে ইলম শিখেছেন। প্রায় সত্তরজন তাবেয়ির দেখা পেয়েছেন। তিনি নিজেও তাবেয়ী ছিলেন। ইবনে উমার ও উক্ববা রা.কে দেখেছেন। মিশরের বিখ্যাত ইমাম লাইস ইবনে সাদ রাহ. এর সমকক্ষ মনে করা হতো তাকে। সুতরাং যইফ হলেই কে

ডাউনলোড করুন (ইফা) তাফসীরে ইবনে কাসীর ঝকঝকে নতুন পিডিএফ! (১-১১ খণ্ড)

ছবি
আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অসীম রহমতে প্রকাশিত হল তাফসীরে ইবনে কাসীর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদের ঝকঝকে, তকতকে, ক্লিয়ার পিডিএফ! পিডিএফগুলোতে ইন্টারেক্টিভ লিংক যোগ করার জন্য ওয়ে টু জান্নাহ টিমের ভাইদেরকে ধন্যবাদ। শীঘ্রই তাফসীরে ইবনে কাসীরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদের ডাটাবেস, অ্যাপ তৈরির কাজও শুরু করা হবে ইন শা আল্লাহ। তাই অনুরোধ করবো, অন্য কোনো ভাই যেন এর ডাটাবেস তৈরির উদ্যোগ না নেন। কারণ, একই কাজ দুইবার করে তো লাভ নেই। পিডিএফগুলো ডাউনলোড করুন ও শেয়ার করুন। তবে যেসব ভাই নিজেদের সাইটে পিডিএফগুলো শেয়ার করবেন, তাদের কাছে অনুরোধ করব, পিডিএফগুলোতে যেন কোনো সাইটের ট্যাগ না লাগানো হয়। এখন পিডিএফগুলোতে কোনো ট্যাগ নেই, এটাই ভালো। লক্ষণীয়ঃ এখন আর্কাইভ.অর্গ বাংলাদেশে ব্লক করা, এজন্য ডাউনলোড করতে চাইলে ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে। Download & Share Tafseer Ibn Kaseer bangla (islamic foundation): ১ম খণ্ড: 31.8 MB https://archive.org/download/TafsirIbnKathirIFB/Tafsir%20Ibn%20Kathir%20IFB%201st%20Part.pdf ২য় খণ্ড: 31.3 MB https://archive.org/download/TafsirIbnKathirIFB/Tafsir%20Ibn%20Ka

সালাতুত তাসবিহ : যয়িফ নয়, বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত

ছবি
কিছু দিন পূর্বে আমার এক মুসুল্লি-- যিনি দীনদার সাধারণ মানুষ-- আমাকে ফোন করলেন, হুজুর আপনার সাথে জরুরি কথা আছে। আমি ভাবলাম, বিরাট কোনো সমস্যা হবে হয় তো। সাক্ষাতে সে জানাল, হুজুর! আমি অনেক দিন যাবৎ ‘সালাতুত তাসবিহ’ পড়ে আসছি। আমার এক আহলে হাদিস বন্ধু আমাকে বলল, তুমি এটা কী নামায পড়? সালাতুত তাসবিহ বলতে কোনো নামায নেই। এগুলো দুর্বল হাদিস। আমি তাকে বললাম, কোনো সমস্যা নেই; দুর্বল নয় শক্তিশালী হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এরপর বিভিন্ন হাদিসের কিতাবের লম্বা উদ্ধৃতি তার হাতে ধরিয়ে দেওয়ার পর সে খুশি হয়। কিন্তু এর কিছু দিন পর আবার জরুরি সাক্ষাৎ করার পর সে বলল, হুজুর! তিরমিযি শরিফে নাকি ওই হাদিসকে ‘গরিব’ বলা হয়েছে। আর ‘গরিব’ হাদিসের ওপর আমল করা যাবে না বলল আমার বন্ধুটি। চিন্তা করুন, একজন সাধারণ শিক্ষিত মানুষকে তথাকথিত আহলে হাদিসরা কত ধোঁকা ও প্রতারণায় ফেলছে। সে ‘গরিব’ কিংবা ‘জঈফ’ বা ‘মুরসাল’ হাদিসের সংজ্ঞা ও হুকুম সম্পর্কে কী জানে? আজকে বিখ্যাত এক দীনি ভাইকে দেখলাম সালাতুত তাসবীহ সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছেন যে, জঈফ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল সা. সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন কেউ এ নামায পড়েননি। তাঁর পোস্টে