পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তাকফীর বিষয়ে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

- শাইখ মুফতি Ijharul Islam Al - kawsary আমি বিভিন্ন সময়ে আকিদার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখে থাকি। অালোচনায় অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্ট বলে থাকি যে, এটি তাউহীদ, এটি শিরক। এটি ইমান এবং এ বিষয়টি কুফুরী। যেমন গতকালের পোস্টে দু'টি আকিদা সম্পর্কে লিখেছিলাম, এ দু'টি বিশ্বাস জঘন্য শিরকী আকিদা। ১. আল্লাহ তায়ালা আরশে বসে আছেন। ২. আল্লাহ তায়ালা রাসূল স.কে আরশে তার সাথে বসাবেন। আমি এখনও বলছি, বিষয় দু'টো অত্যন্ত গর্হিত শিরকী আকিদা। এখন প্রশ্ন হলো, পূর্ববর্তী কিছু আলেমের কিতাবে এই ধরণের আকিদা বিশ্বাস রয়েছে। যেমন ইবনে তাইমিয়া রহ. ও ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর কিতাবে। তাদেরও আগে আরও কিছু আলেমের কিতাবে এগুলো আছে। খাল্লালের আস-সুন্নাহ কিতাবে, আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদের নামে প্রসিদ্ধ আস-সুন্নাহ কিতাবে এগুলো রয়েছে। বরং কারও কারও কিতাবে এর চেয়েও জঘন্য আকিদা রয়েছে। যেমন ইবনে খোজাইমা রহ. এর কিতাবুত তাউহীদে খুবই জঘন্য কিছু আকিদা আছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদের আস-সুন্নাহ কিতাবের কথা তো বলার প্রয়োজন নেই। অনেক আকিদা মুখে আনাও সম্ভব নয়। ইবনে তাইমিয়া রহ ও তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর কিতাবেও এর চেয়ে জঘন্য আকিদ

পাঠপ্রতিক্রিয়া- আল-ইনসাফ ফি বায়ানি আসবাবিল ইখতিলাফ (+ pdf link)

ছবি
পাঠপ্রতিক্রিয়া-২ বইঃ আল-ইনসাফ ফি বায়ানি আসবাবিল ইখতিলাফ লেখকঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি রাহ, --------------------------------------------- 'আল ইনসাফ' হচ্ছে ভারতরত্ন শাহ ওয়ালিল্লাহ দেহলবি রাহ, এর অনবদ্য গ্রন্থ। বিভিন্ন মাসআলায় ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য কেন হয়- সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। বইয়ের নাম থেকেই বিষয়টি বুঝে আসে। আরবি ভাষায় লেখা বইটার পৃষ্ঠা সংখ্যা একশর কাছাকাছি। বৈরুতের 'দারুন নাফাইস' এটি প্রকাশ করেছে। ঝকঝকে প্রচ্ছদের এই বইটির আরবি ভাষাটা খুব কঠিন না। আবার খুব সহজও না। বলা যায়, সহজ-কঠিনের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে লেখক এটি রচনা করেছেন। শুরুতেই তিনি সাহাবা ও তাদের ছাত্রবৃন্দ তথা তাবেয়িদের মধ্যে শাখাগত মাসআলাতে মতানৈক্য হওয়ার কিছু কারণ সংক্ষিপ্ত ভাষায় তুলে ধরেছেন। এবং তাদের মতানৈক্যের ধরণগুলো কি কি সেটাও তিনি সুবিন্যস্ত আকারে সাজিয়েছেন। প্রতিটি বিষয়ের সাথে উদাহরণ টেনে বক্তব্যটাকে আরো সুস্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। পরবর্তী অধ্যায়ে বিভিন্ন মাযহাবের ইমামদের মধ্যে যেসব মতানৈক্য হয়েছে তার পেছনে কি কি কারণ লুকিয়ে আছে তা তিনি আলোচনা করেছেন। তবে এই অধ্যা

পাঠপ্রতিক্রিয়া- দাউলার (আইএস-এর) আসল রূপ

ছবি
পাঠপ্রতিক্রিয়া-৩ বইঃ দাউলার আসল রূপ লেখকঃ আহমদ নাবীল --------------------------------------- আইএস নামে আমরা যে গোষ্ঠীকে চিনি আরবদেশে তারা দাওলাতুল ইসলাম বা দায়েশ নামে পরিচিত। এই গোষ্ঠী অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এদের বিষয়ে সংক্ষেপে বলতে গেলে এরা শুরুতে ইরাকে আলকায়েদার একটা শাখা ছিল। পরে আলকায়েদা থেকে বের হয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দেয়। তারা ইরাকভিত্তিক সংগঠন হলেও পরে সিরিয়াতেও নিজেদের কার্যক্রম বিস্তৃত করে। ওদিকে সিরিয়াতে আগে থেকেই আলকায়েদার শাখা হিসেবে জাবহাতুন নুসরা কাজ করছিল। স্বাভাবিকভাবেই ওদের সাথে এদের বিরোধ দেখা দেয়। তখনই আইএস বা দাউলার হিংস্র রূপ প্রকাশ হয় বিশ্ববাসীর সামনে। তারা মুসলিম মুজাহিদদের নির্বিচারে হত্যা করতে থাকে। নিজেদের মতের বাইরে যারাই গিয়েছে তাদের ওরা কাফের ঘোষণা দিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। আইএসের ভদ্রতার মুখোশ খুলে দেওয়ার কোশেশ করা হয়েছে "দাউলার আসল রূপ" বইটিতে। মোট তিনটা অধ্যায়ে বইটিকে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে 'দাউলার অপরাধ সমূহ' শিরোনামে মোট ৬টি অপরাধ নিয়ে প্রামাণ্য আলোচনা করা হয়েছে

আমাদের সংশোধনযোগ্য একটি মানসিকতা

খেতে খেতে কথা হচ্ছিল ইবনে লাহিয়াকে নিয়ে। তিনি অনেক বড় মাপের মুহাদ্দিস ছিলেন। তবে হাদিসবিশারদদের দৃষ্টিতে ছিলেন যঈফ। দুর্বল রাবি। সেজন্যই আমরা তার নাম বলার সময় খুব গুরুত্বহীনতার সাথে উল্লেখ করছিলাম। হঠাৎ আমার মাথায় একটা খেয়ালের উদয় হল। ইনি কিন্তু মিথ্যা বলার কারণে যইফ নন। বরং ঘরে আগুন লাগার কারণে তাঁর বইপত্র পুড়ে গিয়েছিল। সেজন্য তিনি হাদিস বর্ণনা করার সময় উলটপালট করে ফেলতেন। তাই তাকে মুহাদ্দিসরা যইফ বলেছেন। কিন্তু যেহেতু যইফ শব্দটাকে আমরা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি তাই কোন বর্ণনাকারীকে যইফ বলা হলে তার নাম উচ্চারণের সময় তেমন শ্রদ্ধা-ভক্তি আমাদের ভেতর কাজ করে না। যেরকম মিথ্যা বা স্মৃতিশক্তিতে দুর্বল রাবির নাম উচ্চারণে আমাদের তেমন শ্রদ্ধা জাগ্রত হয় না। অথচ যাহাবি রাহ. তাকে 'আল ইমাম' আল-আল্লামা' উপাধী দিয়ে পরিচয় প্রদান শুরু করেছেন সিয়ারু আলামিন নুবালাতে। আবু হুরাইরা রা. এর ছাত্রদের থেকে ইলম শিখেছেন। প্রায় সত্তরজন তাবেয়ির দেখা পেয়েছেন। তিনি নিজেও তাবেয়ী ছিলেন। ইবনে উমার ও উক্ববা রা.কে দেখেছেন। মিশরের বিখ্যাত ইমাম লাইস ইবনে সাদ রাহ. এর সমকক্ষ মনে করা হতো তাকে। সুতরাং যইফ হলেই কে

ডাউনলোড করুন (ইফা) তাফসীরে ইবনে কাসীর ঝকঝকে নতুন পিডিএফ! (১-১১ খণ্ড)

ছবি
আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অসীম রহমতে প্রকাশিত হল তাফসীরে ইবনে কাসীর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদের ঝকঝকে, তকতকে, ক্লিয়ার পিডিএফ! পিডিএফগুলোতে ইন্টারেক্টিভ লিংক যোগ করার জন্য ওয়ে টু জান্নাহ টিমের ভাইদেরকে ধন্যবাদ। শীঘ্রই তাফসীরে ইবনে কাসীরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদের ডাটাবেস, অ্যাপ তৈরির কাজও শুরু করা হবে ইন শা আল্লাহ। তাই অনুরোধ করবো, অন্য কোনো ভাই যেন এর ডাটাবেস তৈরির উদ্যোগ না নেন। কারণ, একই কাজ দুইবার করে তো লাভ নেই। পিডিএফগুলো ডাউনলোড করুন ও শেয়ার করুন। তবে যেসব ভাই নিজেদের সাইটে পিডিএফগুলো শেয়ার করবেন, তাদের কাছে অনুরোধ করব, পিডিএফগুলোতে যেন কোনো সাইটের ট্যাগ না লাগানো হয়। এখন পিডিএফগুলোতে কোনো ট্যাগ নেই, এটাই ভালো। লক্ষণীয়ঃ এখন আর্কাইভ.অর্গ বাংলাদেশে ব্লক করা, এজন্য ডাউনলোড করতে চাইলে ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে। Download & Share Tafseer Ibn Kaseer bangla (islamic foundation): ১ম খণ্ড: 31.8 MB https://archive.org/download/TafsirIbnKathirIFB/Tafsir%20Ibn%20Kathir%20IFB%201st%20Part.pdf ২য় খণ্ড: 31.3 MB https://archive.org/download/TafsirIbnKathirIFB/Tafsir%20Ibn%20Ka

সালাতুত তাসবিহ : যয়িফ নয়, বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত

ছবি
কিছু দিন পূর্বে আমার এক মুসুল্লি-- যিনি দীনদার সাধারণ মানুষ-- আমাকে ফোন করলেন, হুজুর আপনার সাথে জরুরি কথা আছে। আমি ভাবলাম, বিরাট কোনো সমস্যা হবে হয় তো। সাক্ষাতে সে জানাল, হুজুর! আমি অনেক দিন যাবৎ ‘সালাতুত তাসবিহ’ পড়ে আসছি। আমার এক আহলে হাদিস বন্ধু আমাকে বলল, তুমি এটা কী নামায পড়? সালাতুত তাসবিহ বলতে কোনো নামায নেই। এগুলো দুর্বল হাদিস। আমি তাকে বললাম, কোনো সমস্যা নেই; দুর্বল নয় শক্তিশালী হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এরপর বিভিন্ন হাদিসের কিতাবের লম্বা উদ্ধৃতি তার হাতে ধরিয়ে দেওয়ার পর সে খুশি হয়। কিন্তু এর কিছু দিন পর আবার জরুরি সাক্ষাৎ করার পর সে বলল, হুজুর! তিরমিযি শরিফে নাকি ওই হাদিসকে ‘গরিব’ বলা হয়েছে। আর ‘গরিব’ হাদিসের ওপর আমল করা যাবে না বলল আমার বন্ধুটি। চিন্তা করুন, একজন সাধারণ শিক্ষিত মানুষকে তথাকথিত আহলে হাদিসরা কত ধোঁকা ও প্রতারণায় ফেলছে। সে ‘গরিব’ কিংবা ‘জঈফ’ বা ‘মুরসাল’ হাদিসের সংজ্ঞা ও হুকুম সম্পর্কে কী জানে? আজকে বিখ্যাত এক দীনি ভাইকে দেখলাম সালাতুত তাসবীহ সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছেন যে, জঈফ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল সা. সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন কেউ এ নামায পড়েননি। তাঁর পোস্টে

ইহুদি ও শিয়া ধর্মের ভয়ংকর সাদৃশ্যঃ ইমাম মাহদি এবং পাক পাঞ্জাতন

ছবি
শিয়াদের ইমাম মাহদি আসলে কে?  ইসনে আশারিয়া বা বারো ইমাম পন্থীরা বারো জনের তালিকা দিয়ে রেখেছে। খোমেনী নিজেও ইসনে আশারীয়াপন্থী ছিল। তারা বিশ্বাস করে যে, ইমাম মাহদী তাদের শেষ ইমাম। কিন্তু শী’আরা ইমাম মাহাদীকে কি সত্যিই বিশ্বাস করে, নাকি এই ইমাম অন্য কেউ? শী’আদের কিতাবে যেভাবে ইমাম মাহদীর বর্ণনা এসেছে, তাতে করে ঐ চরিত্রটিকে ইমাম মাহদী হিসেবে মনে হয় না, (বরং ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দাজ্জাল মনে হয়)। খুব সংক্ষেপে আজ তিন-চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করব। (১) শী’আদের কিতাব বলে, ইমাম মাহাদীর ভাষা হবে হিব্রু অথচ আমরা খুব ভাল করেই জানি যে, হিব্রু ভাষা কেবলমাত্র ইহুদীরাই ব্যবহার করে। শী’আদের কিতাবে কী আছে, দেখুনঃ Al-Mufadhal ibn Umar is reported to have said that Abu Abdullah [a.s.] (Shia’s 6th Imams) said: “When the Imam (Mahdi) makes a call (for prayer), he will supplicate to God using God's Hebrew name...” [Shiite Source: Al-Numani, Al-Ghayba , p.326] (২) শী’আরা বিশ্বাস করে যে, ২৭ জন মুসা (আ.)-এর অনুসারী (ইহুদী) তাঁর সাথে থাকবে এবং আসহাবে কাহাফ বা গুহায় লুকানো সেই ৭জন ব্যক্তি এবং নবী ইউশা ব

মুহাদ্দিসদের সিদ্ধান্ত মানাও তাকলিদের অন্তর্ভুক্ত

তথ্যটা অনেকের কাছে নতুন মনে হতে পারে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। এটা অতোটা আলোচনায় আনতে পারি নি আমরা। ব্যর্থতাটা আমাদেরই। আসল কথায় যাবার আগে ভূমিকা স্বরূপ একটা কথা বলে নেই। তা হল, তাকলিদ বলা হয় অন্যের কথাকে দলিল ছাড়া মেনে নেওয়া। স্মর্তব্য যে, এর মানে এই নয় যে সে বিষয়ে কোন দলিলই নেই। বরং দলিল তো থাকে, কিন্তু সেটা উল্লেখ করা হয় না। 'স্মর্তব্য' এর কথাটা অনেকের স্মরণে নাই। কারণ তারা বিষয়টি জানেনই না। এবার মূল প্রসঙ্গে যাই। আমরা নানান সময়ে বিভিন্ন পইপত্রের মধ্যে এবং লেকচারারদের লেকচারে হাদিস উল্লেখ করার পর দেখি সেখানে হাদিসের তাহক্কিক বলা হয়ে থাকে- সহিহ, হাসান বা যইফ। তো কথা হল, এই যে হাদিসের বিষয়ে শুধু একটি সিদ্ধান্ত বলে দেওয়া হল কিন্তু এর স্বপক্ষে দলিল দেওয়া হল না যে, কোন কোন ত্রুটির কারণে এটাকে যইফ বলা হল এটাও কিন্তু এক ধরণের তাকলিদ। মানে দলিল ছাড়াই একটা বিষয়কে মেনে নেওয়া। সমস্যা হল, কিছু ভাই এটাকে তাকলিদ বলে মানতে চান না। তারা নানান রকম যুক্তি দাড় করিয়ে বলতে চান, হাদিস বিষয়ক এই ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া তাকলিদের আওতায় পড়ে না। কারণ হল, একদিকে তারা নিজেরা ফিকহি মাসআলাতে তাকলিদের প