পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সহিহ কিচ্ছা সমগ্র (অধ্যায়ঃ ইবনে তাইমিয়া রহ.)

ছবি
[১] আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কতৃক স্বপ্নে স্বপ্নে জটিল মাস'আলা এর সমাধান প্রদান --------------------- যারা আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কে মানতো না, তারা আমাকে বলেছে- "আমরা তাঁকে (ইবনে তাইমিয়া) স্বপ্নে দেখেছি এবং ফারায়েয (সম্পত্তি ভাগ বন্টন) সংক্রান্ত মাসায়েল নিয়ে কিছু জটিল জটিল প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি।। তিনি সেগুলোর সঠিক সমাধান আমাদের বলে দিয়েছেন।।" ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) আরো বলেন- মোট কথা এই বিষয়টি (স্বপ্নে বুযুর্গদের দ্বারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া) কেবল ঐ ব্যক্তি-ই অস্বীকার করতে পারে যে রূহ এর প্রকৃত অবস্থা এবং রূহের আহকাম সম্পর্কে অজ্ঞ।। সূত্রঃ কিতাবুর রূহ- ৫০ পৃষ্ঠা।। লেখকঃ আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)।। __________________ ফুটনোটঃ  মাকতাবা এ শামেলা এর বিন্যাস খুলে দেখা যেতে পারে, এই "কিতাবুর রূহ" একটি "আক্বীদার" কিতাব।। কোন ফিক্বহ বা ফাযায়েলের কিতাব নয়।। [২] দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা... ------------ আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) লেখেন- ইব্রাহিম তায়িমি (রহঃ) ১-২ মাস পর্যন্ত কিছুই খেতেন না। - মাজমুয়া ফাতাওয়া- ১১ খণ্ড ২৮২

পাঠ পর্যালোচনা: মাওলানা মওদুদীর সাথে আমার সাহচর্যের ইতিবৃত্ত + pdf

ছবি
পাঠ_পর্যালোচনা_৩০ বই: মাওলানা মওদুদীর সাথে আমার সাহচর্যের ইতিবৃত্ত এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ মূল লেখক: মনযুর নোমানী অনুবাদক: নুরূল কবির আনছারী প্রকাশনী: আশরাফি বুক ডিপো ১১,বাংলাবাজার ইসলামী টাওয়ার, ঢাকা। =================== শুধু বাংলাদেশই নয় বরং উপমহাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জামায়েতে ইসলামী নামক রাজনৈতিক দলটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদির একান্ত সহচর এবং সবচে' নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ও পরামর্শদাতা ছিলেন। তিনি দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রথম রুকন ও আহবায়কও ছিলেন। জামাতে ইসলামির প্রতিষ্ঠা, প্রাথমিক কর্মকাণ্ড সবই তার চোখের সামনে ও হাতের উপর দিয়ে হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জামায়েতে ইসলামী ত্যাগ করেন। এর কারণ ও ধর্মীয় কিছু দৃষ্টিভঙ্গিতে দলটির ত্রুটি-বিচ্যুতি বিশ্লেষণ করে তিনি রচনা করেন আলোচ্চ গ্রন্থটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বইটি আলোচিত-সমালোচিত এই দলের আদর্শ ও চিন্তাধারা এবং ভ্রান্তি ও বিচ্যুতি বুঝার ক্ষেত্রে অন্য যে কোন বইয়ের তুলনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। লেখককে আলাদা করে পরিচয় করি

পাঠ পর্যালোচনা: আররফউ ওয়াত তাকমীল ফিল জারহি ওয়াত তা'দীল + pdf

ছবি
পাঠ_পর্যালোচনা_৩৫ বইয়ের নাম: আররফউ ওয়াত তাকমীল ফিল জারহি ওয়াত তা'দীল লেখক: আবদুল হাই লাখনৌবি টীকাকার: আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ প্রকাশক: দারুল বাশাইর আল-ইসলামিইয়া, বৈরুত, লেবানন। বাঙলাদেশী ছাপা: হরফ প্রকাশন, ইসলামী টাওয়ার, বাঙলাবাজার, ঢাকা-১১০০ -------------------------- -------- জরাহ মানে হল কারো দোষত্রুটির কারণে তাকে অভিযুক্ত করা। আর তাদিল হল ভালোগুণের কারণে কারো প্রশংসা করা। হাদিস গ্রহণ-বর্জনের বিষয়টি পুরোটাই এই শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল। এই শাস্ত্র নিয়ে প্রাচীনকাল থেকেই উলামায়ে কেরাম কাজ করে আসছেন। তবে সেটা ছিল বিচ্ছিন্নভাবে। এই শাস্ত্রের নিয়মকানুনগুলো একমলাটের ভেতর নিয়ে এসে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনার কাজটা প্রথম করা হয়েছে আমাদের আলোচিত গ্রন্থটিতে। লেখক আবদুল হাই লাখনৌবি একজন অনারব তথা ভারতীয় আলেম। তার জন্ম হয়েছিল ১২৬৪ হিজরীতে। আর মৃত্যু ১৩০৪ হিজরীতে। মাত্র চল্লিশ বছরের জীবদ্দশায় তিনি যে পরিমান রচনা লিখে যান তা সত্যিই বিস্ময়কর আমাদের জন্য। তার রচনাবলির প্রায় সবই শাস্ত্রগত নানান বিষয়ে। ভারতীয় আলেম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার নাম ও রচনাবলির সাথে আরবদের তেমন

পাঠ-পর্যালোচনা: মোকছুদুল মোমেনীন

ছবি
লেখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই পড়া শেষে শেয়ার করুন পাঠ-পর্যালোচনা-৩৩ বই: মোকছুদুল মোমেনীন লেখক: মাওলানা আবদুর রহমান প্রকাশনায়: তানিয়া বুক ডিপো ১৩, বাংলাবাজার (২য় তলা) ঢাকা-১১০০ ********************** বাঙলাভাষায় একটা সময়ে ধর্মীয় বইয়ের প্রচণ্ড সংকট ছিল। নানারকম সামাজিক সীমাবদ্ধতা আর সমস্যাকে ঘিরে এই সংকটটা জিইয়ে ছিল বহুদিন। কিন্তু মানুষের প্রয়োজন তো আর থেমে থাকে নি। দৈনন্দিন জীবনে ধর্মচর্চা করতে গিয়ে এবং নিজেদের ধর্মীয় জ্ঞানকে পুষ্ট করতে স্বাভাবিকভাবেই তারা খুঁজতে থাকে ধর্মীয় বই। হাতের কাছে যা পেতো তাই কিনে নিয়ে আসতো। প্রতিদিন সেই বইয়ের চর্চা হতো। এসব বই আবার হাত ঘুরে এর ওর কাছে গিয়ে আরো বেশি পঠিত হতো। এমনই সংকটকালে রচিত হয়েছিল 'মোকছুদুল মোমিনীন' নামক বহুল প্রচলিত ও পঠিত গ্রন্থটি। বাজারে এই নামে বইটির অনেক সংস্করণ পাওয়া গেলেও আমাদের বাড়িতে যে কপিটা ছিল তার সংকলক হিসেবে মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহমানের নাম লেখা। এবং সম্পাদনায় মাওলানা আবদুল কাদির খন্দকার। বইটা বহুকাল ধরে আমাদের ঘরে পঠিত হয়ে আসছে। বইয়ের ভগ্নদেহ সেই সাক্ষ্য-ই প্রদান করে। আমি আগে থেকেই জানত

সাদাকাতুল ফিতর বিষয়ক শরঈ বিধিবিধান

ছবি
ফিতরার হুকুম (বিধান): ------------------- ফিতরা দেয়ার সামর্থ্য রাখে এরকম প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের ও পরিবারের ঐ সমস্ত সদস্যদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ফরয যাদের লালন-পালনের দায়িত্ব শরীয়ত কর্তৃক তার উপরে অর্পিত হয়েছে।মুসলিম দাস ও স্বাধীন, পুরুষ ও নারী এবং ছোট ও বড়র প্রতি সকলের উপর এটি ওয়াজিব হয়, এবংঈদের ছলাতের আগেই এই ফিতরা প্রদান করা উচিত। - [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: যাকাত হাদীস নং ১৫০৩;সহীহ মুসলিম নং ২২৭৫;বাদায়েউস সানায়ে: ২/৭০ ]  - সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হবে? সদকাতুল ফিতরের নেসাব যাকাতের নেসাবের সমপরিমাণ, অর্থাৎ ঋণ বাদ দিয়ে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বয়ান্ন ভরি রূপা বা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ বা ব্যবহারের অতিরিক্ত জিনিষ-পত্র অথবা খোরপোশের প্রয়োজনাতিরিক্ত জমি ঈদুল ফিতরের দিন তার নিকট থাকলে তার উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হবে।মৌলিক নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রত্যেকে নেসাব পরিমাণ অর্থ বা সম্পদের মালিক হওয়া সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার পূর্বশর্ত।  তবে এতে যাকাতের ন্যায় বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। - ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১০/৪৯৪, ফাতহুল কাদির: ২/২৮১, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১৯১,

আহলে হাদীস ও হানাফীদের মাঝে একটি মৌলিক পার্থক্য

প্রশ্ন: কুরআন-হাদীসের উপর আমলের ক্ষেত্রে আহলে হাদীস ও হানাফীদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কী? উত্তর: আহলে হাদিসরাও গবেষণা করে মাসআলা বের করে। হানাফীরাও গবেষণা করে মাসআলা বের করে। কোন মাসআলা যদি ইমাম আবু হানিফা রহ. কুরআন ও হাদীস থেকে বের করেন, তাহলে হানাফীরা বলে, এটা আবু হানীফা রহ. এর মাজহাব। ইমাম আবু ইউসুফ বের করলে বলে, এটা ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এর মাজহাব। সুফিয়ান সাউরী রহ. বের করলে তারা বলে, এটা সুফিয়ান সাউরীর মত। কিন্তু আহলে হাদিসরা নিজেদের সমস্ত গবেষণাকে কুরআন-হাদীস বলে চালিয়ে দেয়। গবেষণা করে আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। আর নিজের গবেষণাকে সরাসরি কুরআন-হাদীস বলে চালিয়ে দেয়। মাসআলা বের করে মুজাফফর বিন মুহসিন। এরপর নিজের গবেষণাকে ওহীর মর্যাদা দিয়ে বলে, এটাই কুরআন-হাদীসের মত। হাদীসের সহীহ-জয়ীফ নির্ধারণ করেন আলবানী সাহেব, অথচ নিজের সহীহ-জয়ীফকে সরাসরি ওহীর মর্যাদা দেয়। উভয় দলই কুরআন হাদীস ব্যাখ্যা করে। হানাফীরা ব্যাখ্যার সাথে ব্যাখ্যাকারীর নাম বলে দেয়। কিন্তু আহলে হাদিসরা ব্যাখ্যাকারীর নাম বলা তো দূরে থাক, ব্যাখ্যাটাকেই সরাসরি কুরআন-হাদীস বানিয়ে দেয়। আপনি যদি মুজাফফর বিন মুহসিনের কোন গবেষণা না ম

বেহেশতী জেওর কি আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর কিতাব?

ছবি
প্রশ্ন বেহেশতী জেওর আমাদের উপমহাদেশ্ একটি বহুল পরিচিত কিতাব। ঘরে ঘরে এ কিতাব বিদ্যমান। এ কিতাবের শেষে কিছু তাবিজ ও বিভিন্ন চিকিৎসার কথা লিখা আছে। এসব বিষয়ে কিছুটা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি কি হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ নিজেই লিখেছেন? দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হবো। উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم অনেকে হাকীমুল উম্মত বলতে বুঝে থাকেন যে, উম্মতের হেকিমী ডাক্তার। আসলে বিষয়টি তা নয়। আশরাফ আলী থানবী রহঃ এ উপমহাদেশের আল্লাহ ভোলা মানুষদের জন্য অন্তরের চিকিৎসক ছিলেন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের পাবন্দ এক সাচ্চা আল্লাহর ওলী ছিলেন। তিনি কুরআন ও হাদীসের নূর দিয়ে গোনাহে জর্জরিত অন্তরকে আল্লাহ অভিমুখী করার চিকিৎসক ছিলেন। হেকিমী চিকিৎসক নন। বেহেশতী জেওরের শেষাংশে যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করা আছে, এর অধিকাংশের নজীর সালাফের কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে। দেখুনঃ ১. আত্তিব্বুন নববী, ইবনুল কাইয়্যিমকৃত। ২. আত্তিব্বুন নববী, আবু নাঈম আলইস্ফাহানীকৃত। ৩. আলআমরাজ। ইমাম যিয়া আলমাকদিসীকৃত। ইত্যাদি। এছাড়া লা-মাযহাবী আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খানের সংকলিত