পোস্টগুলি

মে, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কারামত; প্রসঙ্গ মৃত্যুর পর কথোপকথন!!

ছবি
ঘটনা-১: ইমাম বাইহাকী রহ. হযরত সাইদ ইবনুল মুসাইয়্যাব থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হযরত উসমান রা. এর সময় যায়েদ ইবনে খারিজা আল-আনসারী রা. ইন্তেকাল করেন। তাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি কথা বলে উঠেন। এবং বলেন, রাসূল স. এর কথা পূর্ববতী আসমানী কিতাবে রয়েছে। আবু বকর সত্য বলেছেন। উমর সত্য বলেছেন। উসমান সত্য বলেছেন। . ঘটনার সনদ বা সূত্র বিশুদ্ধ। দেখুন, ১. আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে কাসীর রহ. খ.৬, পৃ.২৯৩ ২.দালাইলুন নুবুওয়াহ, ইমাম বাইহাকী রহ.। হাদীস নং ২৩০৫ ৩.আল-ইস্তেয়াব, ইবনে আব্দুল বার রহ. বর্ণনা নং ৮৪৪ । ৪. ত্ববরানী ফিল কাবীর, বর্ণনা নং ৫১৪৪ ৬.তাহজীবুল কামাল। ৭. আস-সিকাত, ইবনে হিব্বান রহ.। ৮. ইমাম আবু হাতিম, মাশাহিরু উলামায়িল আমসার। এছাড়াও বহুগ্রন্থে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনার সনদ সহীহ। কারামত অস্বীকারকারীদের মতে এটি অসম্ভব। কারামত অস্বীকারকারীরা ফাজায়েলে আমলের এজাতীয় দু'একটি ঘটনা উল্লেখ করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। এধরনের ঘটনার কারণে তারা সমাজে জঘন্য অপপ্রচার চালিয়েছে, ফাজায়েলে আমলে কুফুরী-শিরকী বিষয় রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। নিজেদের বস্তুবাদী

আরব আলেমদের দৃষ্টিতে শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী

কৃতজ্ঞতাঃ মুফতী রফীকুল ইসলাম মাদানী . আরব বিশ্বে ও বর্তমান দুনিয়ায় কথিত আহলে হাদীস মতবাদ বিস্তারের রূপকার শায়খ নাছীরুদ্দীন আলবানী (মৃত ১৯৯৯ ইং)। রাসূল (সা.) এর হাদীসকে বিকৃত করে মুসলমানদেরকে বিভক্ত করার মূল নায়ক তিনি। তিনিই সহীহ হাদীসকে যয়ীফ, আর যয়ীফ হাদীসকে সহীহ বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার মূলমন্ত্র শিখিয়েছেন কথিত আহলে হাদীসদেরকে। চির মীমাংসিত বিষয়ে উস্কানীমূলক বক্তব্যের তিনিই সূচনা করেছেন। শিক্ষা দিয়েছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আকাবিরগণের প্রতি বেআদবীমূলক আচরণ। হানাফী মাযহাবের দলীল হিসেবে কোনো হাদীস পাওয়া মাত্রই মনগড়া যুক্তি তর্কের মাধ্যমে দুর্বল হাদীসের তালিকায় ফেলে দেয়াই তার প্রধান পেশা। তার জীবনী শীর্ষক কয়েক খ-ে বই প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু কার নিকট তিনি পড়ালেখা করেছেন এর কোন বিবরণ কোথাও উল্লেখ নেই। মদীনা ইউনিভার্সিটির উস্তাদ ড.আনিস তাহের ইন্দোনেশী আমাদের ক্লাসে আলবানীর জীবনী শীর্ষক দু’সপ্তাহ ব্যাপী আলোচনা পেশ করেছেন , এতেও তিনি শায়খ আলবানীর শিক্ষা ডিগ্রি বিষয়ক কিছুই বলতে পারেন নি। আমরা তার জীবনী গ্রন্থে যা পেয়েছি, তারই লিখিত বই “সিফাতুসসালাত” এবং “সালাতুত তারাব

জিহাদ সম্পর্কে সালাফী শায়েখদের দৃষ্টিভঙ্গি - ১

♦ ♦ ♦ জিহাদ নিয়ে সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি (পর্ব - ১) ♦ ♦ ♦ (পড়ুন এবং শেয়ার করুন) রাসূল (সঃ) এর জীবনের অন্যতম একটি মিশন ছিল, জিহাদ তথা কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ (আল্লাহর পথে সশস্ত্র যুদ্ধ)। ইহুদী-খ্রিষ্টানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে এক্ষেত্রেও সালাফীরা তাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনার অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে এবং এমন কিছু মূলনীতি তৈরি করেছে যার মাধ্যমে তারা উম্মতকে এই ফরয আমল থেকে বিরত রাখতে পারে। তাদের এসমস্ত ভ্রান্ত নীতিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন শায়েখ ড.আব্দুর রাজ্জাক বিন খলিফা শায়যী তাঁর আল-খুতুতুল আরিযা লি-আদইয়াইস সালাফিয়্যা নামক গ্রন্থে। এছাড়াও শায়েখ আব্দুল আযিয বিন মানসুর তাঁর আর-রদ্দু আলা আদইয়াইস সালাফিয়্যা নামক কিতাবে জিহাদ সম্পর্কে সালাফীদের ভ্রান্তি আলোচনা করেছেন। (আমি সালাফিদের কিতাব থেকে ওনাদের কথাগুলো তুলে ধরছি। যাতে করে জিহাদ সম্পকে সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি আপনারাই বিচার করতে পারেন) 1. ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে শায়খ বিন বাজ এর বক্তব্য . . . ﻗﺎﻝ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺑﻦ ﺑﺎﺯ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - ﻓﻲ ‏( ﺟﺮﻳﺪﺓ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻮﻥ - 9 1417 /5/ ‏) : )) ﺃﻥ ﺃﺳﺎﻣﺔ ﺑﻦ ﻻﺩﻥ : ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻔﺴﺪﻳﻦ ﻓﻲ ﺍﻷﺭﺽ، ﻭﻳﺘﺤﺮﻯ ﻃﺮﻕ ﺍﻟﺸﺮ ﺍﻟﻔ