পোস্টগুলি

আহমদ রেজা খান বেরেলভি একজন তাকফিরি আলেম

ছবি
এক.  এই প্রবন্ধটি কেন ? ওলামায়ে দেওবন্দ তার শুরু লগ্ন থেকে কুফরি ফিতনার বিপরীত যে ফিতনার পিছনে সময় ব্যয় করতে বাধ্য হয়েছেন তার মধ্যে প্রথম সারিতে হলো বেরলবি ফিতনা ও এই ফিতনা যার দিকে সম্বন্ধ আহমদ রেজা খান বেরলবি রহ.-এর মিথ্যাচারের জবাব দিয়ে। এমনকি ইংরেজদের শত জুলুম অত্যাচার আর তাদের চাপিয়ে দেওয়া কুফরের বিরুদ্ধে যখন হিন্দুস্থানের ওলামায়ে কেরাম কাজ করে যাচ্ছিলেন তখন আহমদ রেজা খান ও তার অনুসারীরা কিছু বেদয়াতি মাসআলা নিয়ে ওলামায়ে আহলে হককে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন। উম্মাহের ঐক্যের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু হিন্দুস্থানের ওলামায়ে কেরাম বিশেষত ওলামায়ে দেওবন্দ মানুষের ইমান ও আমল রক্ষার স্বার্থে বেরলবিদের সকল অপপ্রচারের উত্তর দিয়েছেন। তাদের বেদয়াতি মাসআলাগুলো নিয়ে খণ্ডনের পর খণ্ডন করে এই মাসআলাগুলোকে প্রায় দাফন করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি কিছু ভাই সে বিভিন্নভাবে ওলামায়ে দেওবন্দের কবর দেওয়া সে মাসআলাগুলোকে আবার পূনরায় লোক সম্মুখে আনার পায়তারা করছে। এর মাঝে কেউ কেউ প্রকাশ্যে এগুলো করার চেষ্টা করছে, কেউ নিজের আদর্শ গোপন করে নিজেকে দেওবন্দি পরিচয় দিয়ে বেরলবিয়াত প্রচার করছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো

ইবনে আবীল ইয হানাফী ও তার ‘শারহুল আকীদাতিত তাহাবিয়্যা’-এর প্রকৃত অবস্থা ও মূল্যায়ন

ইবনে আবীল ইয হানাফী ও তার ‘শারহুল আকীদাতিত তাহাবিয়্যা’-এর প্রকৃত অবস্থা ও মূল্যায়ন আহলে ইলমের কাছে একথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, ইবনে আবীল ইযের উক্ত শরাহটি সহজবোধ্য ও আকীদার সাথে হাদীস-আসার উল্লেখ করা এবং কিছু বিষয়ে ভালো আলোচনা থাকার পাশাপাশি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর বিপরীত অনেক আকীদা ও কথা রয়েছে। আমার জানামতে ছোটখাটো বিষয়গুলো বাদ দিলেও মৌলিকভাবে ১৫টির চেয়ে বেশি ভ্রান্ত আকীদা, অপব্যাখ্যা ও ভুল তথ্য রয়েছে। শাইখ সাঈদ ফুদার الشرح الكبير ও মুফতী রেজাউল হক সাহেবের العصيدة السماوية দেখলে সহজে পেয়ে যাবেন। আর উক্ত ব্যাখ্যা গ্রন্থে ভ্রান্তির মূল কারণ হচ্ছে, তিনি শাইখ ইবনে তাইমিয়া রহ, ও ইবনুল কায়্যিমের কিতাব সমূহ থেকে তাদের নাম নেওয়া ছাড়া অসংখ্য কথা ও বক্তব্য ব্যাখ্যা হিসেবে এনেছেন। এটা নিছক দাবি নয়, বরং সালাফি আলেম ড. আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মাদ তিনি এ বিষয়ে স্বতন্ত্র কিতাব রচনা করেছেন। যার নাম হচ্ছে, مصادر ابن أبي العز في شرح العقيدة الطحاوية এতে তিনি এমন ১৮৭ টি জায়গা চিহ্নিত করেছেন। মোল্লা আলী কারী রাহ. (মৃ. ১০১৪ হি.) বলেন,  والحاصل أن الشارح يقول بعلو المكان مع نفي التشبيه، و

যেকোনো গল্প লেখাই কি গুনাহ?

প্রশ্নঃ একটা মজার প্রশ্ন চোখে পড়লো। গল্পের ছলে বা কৌতুক করে যদি মিথ্যা না বলা যায় তাহলে কি মিথ্যা গল্প সাজিয়ে গল্প উপন্যাস কবিতা লেখা যাবে?!  (যেমন- আমরা অনেক সময় বলি, অমুক গ্রামে একজন অমুক ছিলো...। কাল্পনিক রূপ আরকি।) উত্তরঃ ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়ে আমার ভাবনাটা সংক্ষেপে বলছি- ১. মিথ্যা খারাপ হবার কারণ হলো, এটি শ্রোতার সামনে অসত্যকে সত্যভাবে তুলে ধরে, যেটার দ্বারা মানুষ প্রতারিত বা ধোঁকাগ্রস্ত হয়। গল্পে সেটা থাকে না। গল্পের ক্ষেত্রে কাহিনী যে সত্য না, সেটা শ্রোতাদের জানা থাকে। ফলে মিথ্যার নিন্দনীয় হবার মূল কারণ এতে বিদ্যমান নেই। ২. যেসব গল্পে কোন শিক্ষণীয় মেসেজ থাকে, সেটা অনেকটা দৃষ্টান্তের মতো। দৃষ্টান্ত দেবার জন্য কাল্পনিক চরিত্রকে উপস্থাপন করা সকলের মতেই জায়েয। ফুকাহাদের কিতাবে মাসআলা বর্ণনা করতে গিয়ে এমন বহু প্লট উপস্থাপন করা হয়, যেটা শুধুই মেসেজটা ক্লিয়ার করার জন্য করা হয়। এটা যে বাস্তব কিছু না, শুধুই বুঝানোর জন্য শ্রোতাদের/পাঠকের তা জানা থাকে। ফলে ১ম পয়েন্টে বলা মূল নিন্দনীয় বিষয় এতে অনুপস্থিত। ৩. আমরা নিত্য দিনের কথায় অনেক বাগধারা ব্যবহার করি। ধরেন, একজনকে বললাম, চুরি তো চুরি আমা

ছোট ছেলে “হ্যাঁ তুমি আমার বউ” বলে সম্মতি দিলেই কি বিবাহ হয়ে যাবে?

ছবি
প্রশ্নঃ দু জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে কোন মেয়ে যদি দুষ্টুমি করে কোন ছোট ছেলেকে বলে “তুমি আমার জামাই” অতঃপর ছেলে যদি গ্রহণ করে নেয় এবং উত্তর দেয় “হ্যাঁ তুমি আমার স্ত্রী” তাহলে কি বিবাহ হয়ে যাবে? উত্তরঃ বিবাহ, তালাক, রজআত; এই তিনটি বিষয় খুবই গুরতর এগুলো নিয়ে মজা করা বা ফান করা উচিত নয়। রাসুল সা. বলেন, ثلاث ‌جدهن ‌جد، وهزلهن جد: النكاح، والطلاق، والرجعة “তিনটি বিষয় সিরিয়াস হিসেবে হোক বা দুষ্টমির ছলে হোক বাস্তবায়ন হয়ে যায়। বিবাহ, তালাক এবং রজআত।” (ইবনু মাযাহ, হা. ২০৩৯) সুতরাং এগুলো নিয়ে মজা করা উচিত নয়। ★এবার আসি মূল কথায়। দু জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে যদি কোন মেয়ে বা ছেলে মজা করে ছোট কোন ছেলে বা মেয়েকে বলে “তুমি আমার স্বামী বা তুমি আমার স্ত্রী” অতঃপর সেই ছোট ছেলে বা মেয়ে প্রতি উত্তরে বলে “হ্যাঁ তুমি আমার স্ত্রী বা তুমি আমার স্বামী” তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে কি না? বিবাহ হওয়ার জন্য শুধুমাত্র দু জন সাক্ষীর উপস্থিতি এবং স্বামী স্ত্রী হিসেবে একে অপরকে গ্রহণ করাই যথেষ্ঠ নয়। বরং আরো শর্ত রয়েছে। উল্লিখিত প্রশ্নের ধাঁচে বোঝা যাচ্ছে প্রশ্নটি করা হয়েছে নাবালক ছেলে বা মেয়েকে কেন্দ্র করে। সুতরাং আমরা এখানে নাবালকের

মহিলাদের মসজিদে গমন : একটি পর্যালোচনা

জমহুর আলিমগণ একমত যে, মহিলাদের মসজিদে সালাত আদায় করা অপেক্ষা ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম। এ ব্যপারে বেশ কয়েকটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে সহিহ সনদে । এর বিপরীতে মহিলাদের মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করার ফজিলত সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। হজরত ইবনু উমর রা. রাসুলুল্লাহ সা. থেকে বর্ণনা করেন, তোমরা স্ত্রীদের মসজিদে যেতে বারণ করো না। তবে নিজের বাড়িতে সালাত আদায় করা তাদের জন্য সর্বোত্তম। (আবু দাউদ : ৫৬৭, মুসনাদে আহমাদ : ৫৪৬৮, সহিহ ইবনু খুজাইমা : ১৬৮৪) এ হাদিসটিকে ইমাম নববি (আল-মাজমু', ৪/১৯৭), ইবনু দাকিক (আল-ইকতিরাহ : পৃ.৯১), আহমাদ শাকের (তাহকিকুল মুসনাদ, ৭/২৩৪), নাসিরুদ্দীন আলবানী (সহিহ সুনানু আবি দাউদ, পৃ.৫৬৭) প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ সহিহ বলেছেন। হাদিসটি এব্যাপরে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন যে, নারীদের জন্য মসজিদে সালাত আদায়ের চেয়ে নিজের ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা. রাসুলু্ল্লাহ সা.-থেকে অন্য একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যা মহিলাদের মসজিদে সালাত আদায়ের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সা.-এর দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করে তুলে। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন : নারীদের ক্ষুদ্র কক্ষের নামায বড় কাম

নারীদের রোযা সংক্রান্ত বিশেষ মাসায়েল

ছবি
নারীদের ক্ষেত্রে রমযান ও রোযা সংক্রান্ত শরীয়তের বেশ কিছু বিশেষ বিধান রয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রয়োজনীয় কিছু মাসায়েল উল্লেখ করা হলো। এসবের বাইরে আরো কোনো মাসআলার দরকার হলে নির্ভরযোগ্য মুফতিয়ানে কেরাম থেকে জেনে নিতে হবে।  ঋতুস্রাব অবস্থায় রোযার বিধান : নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব অবস্থায় রোযা রাখা জায়েয নয়। এ সময়ে রোযা রাখলেও তা সহীহ হবে না। তাই তাদেরকে ঐসব রোযা পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহায় নারীদের লক্ষ্য করে বললেন- أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ؟! قُلْنَ بَلَى‏، قَالَ: فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا.‏ মহিলারা তো ঋতুস্রাবের সময় রোযা রাখতে পারে না এবং নামাযও পড়তে পারে না। এটা তাদের দ্বীনের অসম্পূর্ণতা। -সহীহ বুখারী ১/৪৪; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪৪০; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ১০০ রোযা অবস্থায় ঋতুস্রাব শুরু হলে : পবিত্র অবস্থায় রোযা রাখার পর যদি কোনো মহিলার ঋতুস্রাব শুরু হয় বা সন্তান প্রসব হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। সুতরা