পোস্টগুলি

নারীদের চাকুরী করার ব্যপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

প্রশ্নঃ আসসালামুআলাইকুম। আমি একজন সরকারি চাকরীজীবী। অল্প কিছুদিন হইছে আমার বিয়ে হইছে। আমার স্বামী আমাকে চাকরী করাবেন না। আমি ও ব্যক্তিগতভাবে মেয়েদের চাকরির পক্ষে না। তাই স্বামীর কথা মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নাই। বরং আমি আল্লাহর কাছে এমনই চাইতাম। কিন্তু আমার মা বাবা আমার চাকুরী ছাড়াতে চান না। এ ব্যাপারে তারা আমার উপর অসন্তুষ্ট। সবসময় কষ্ট পান। তাদের কোনো ছেলে সন্তান নাই। আমার পড়াশুনা, চাকরির জন্যে অনেক কষ্ট করছেন। এজন্যে এটা তারা মানতে পারছেন না৷ আমার বাবা আলিয়া মাদরাসার একজন সহকারী শিক্ষক। আমার প্রশ্ন হল, এমতাবস্থায় যদি আমি চাকরি ছেড়ে দেই আর তারা কষ্ট পেয়ে নিশ্বাস নেন আমাকে অভিশাপ দেন তাহলে সেটা আল্লাহর কাছে কতটুক গ্রহনযোগ্যতা পাবে? আমার কি করা উচিত? চাকরি ছাড়লে কি পিতামাতার হক নষ্ট করা হবে? মেয়েদের বিয়ের পড়ে পিতামাতার প্রতি কি কি হক আছে জানালে উপকৃত হতাম।

শিয়াদের ব্যাপারে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর বক্তব্য

বর্তমান শিয়াদের কুফরের  বিষয়টি একেবারে সুস্পষ্ট। প্রথম যুগের শিয়ারা তাদের আকীদা-বিশ্বাস গোপন করে রাখতো। তাদের কিতাবাদি আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের অনেক বড় বড় আলেম সরাসরি প্রত্যক্ষ করেননি। যার কারণে তারা ব্যাপকভাবে শিয়াদের কাফির বলতেন না।কিন্তু বর্তমানে তাদের কিতাবাদিগুলো প্রকাশ পেয়েছে এবং তাদের আকিদা  বিশ্বাসের বিষয়গুলোও মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এ যুগের আলিমগণ বর্তমান শিয়াদেরকে স্বাভাবিকভাবে কাফের বলেন।(দেখুন, ইমদাদুল ফাতাওয়াঃ৪/৫৮৬-৫৮৭)। তবে তাদের মধ্যে বিশেষভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দল যদি সরাসরি সুস্পষ্টভাবে এ সকল কুফরী আকিদার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যাসাপেক্ষে কিছুটা ভিন্ন বিধান রয়েছে। কিন্তু স্বাধারণভাবে তাদের ক্ষেত্রে আসল হুকুম হলো, তাদেরকে কাফির সাব্যস্ত করা(থানভী রহঃ-এর বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ)। আমাদের আকাবিরগণ তাদের বিভিন্ন লেখালেখিতে এ বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিশেষ করে ইউসুফ লুধিয়ানবীসহ (রহঃ) পাকিস্তানের অনেক আলিম শিয়াদের কুফরী বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরেছ...

ইসলামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিধান: একটি শরঈ বিশ্লেষণ

ইসলাম মানবকল্যাণে নিবেদিত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা জীবন রক্ষার্থে বৈধ পন্থায় সকল প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। তবে এ ক্ষেত্রে শরীয়তের সীমারেখা অতিক্রম করা যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সম্পর্কিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের তিনটি পদ্ধতি ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুইটি পদ্ধতি জায়েজ (বৈধ) এবং একটি নাজায়েজ (অবৈধ) হিসেবে বিবেচিত।   জায়েজ পদ্ধতিসমূহ:  ১. কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহার: মানবদেহের কোনো অঙ্গ যদি বিকল বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে চিকিৎসাশাস্ত্রে স্বীকৃত জড় পদার্থ (যেমন: ধাতু, প্লাস্টিক বা সিনথেটিক মেটেরিয়াল) দ্বারা তৈরি অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইসলামে অনুমোদিত।   ২. প্রাণীজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহার: মানবেতর প্রাণী (যেমন: গরু, ছাগল বা অন্যান্য হালাল প্রাণী) এর হাড়, চামড়া বা অন্য কোনো টিস্যু মানুষের দেহে স্থানান্তর করা জায়েজ, যতক্ষণ তা চিকিৎসাগতভাবে নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় হয়।   নাজায়েজ পদ্ধতি: ৩. মানবদেহ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন: এক ব্যক্তির দেহ থেকে অপর ব্যক্তির দেহে অঙ্গ স্থানান্তর করা ইসলামী শরীয়তে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যদিও ...

হজ, ওমরাহ এবং জিয়ারত বিষয়ক ফ্রি ইবুক এবং বইয়ের সংকলন

ছবি
এই প্রবন্ধের শুরুতে কিছু সচিত্র পিডিএফ গাইডের লিংক দেয়া হচ্ছে, যা সৌদি আরবের 'হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়' থেকে প্রকাশিত। এসব মূলত উনাদের ওয়েবসাইটের আরবি গাইডগুলোরই অনুবাদ। স্বাভাবিকভাবে বাংলা গাইডগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না, এই কারণে আমরা খুঁজে খুঁজে একত্রে সংকলন করলাম। আশা করি এটা আপনাদের জন্য উপকারী হবে। এবং প্রবন্ধের শেষদিকে প্রাসঙ্গিক কিছু বইয়ের লিংক দেয়া থাকবে, এসব আপনার নিকটস্থ ইসলামী বইয়ের দোকান অথবা রকমারি.কম থেকেও ক্রয় করতে পারবেন, কুরিয়ার/ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে ওরা আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে। হজ্জ ও ওমরাহ বিষয়ে ফ্রি পিডিএফ ই-বুক ডাউনলোড  লক্ষণীয়ঃ   নিচে উল্লেখিত সরকারি গাইডগুলোর কোনো বিষয়ে যদি অস্পষ্টতা থাকে বা খটকা লাগে, তাহলে অভিজ্ঞ আলেম বা মুফতি সাহেবদের সহায়তা নিলে ভালো হবে। অথবা দ্বিতীয় সেকশনের বইগুলোও দেখতে পারেন। ১. সংক্ষিপ্ত ওমরাহ গাইড - ডাউনলোড ২. ইহরাম নির্দেশিকা - ডাউনলোড ৩. মসজিদুল হারাম গাইড - ডাউনলোড ৪. মসজিদে নববী গাইড - ডাউনলোড ৫. মসজিদে নববীর সেবাগুলো - ডাউনলোড ৬. মক্কার নিকটের দর্শনীয় স্থান - ডাউনলোড ৭. মদিনার নিকটের দর্শনীয় স্থান - ডাউনল...

বাহাওয়ালপুর মোকদ্দমা : পিতা ও কন্যার ত্যাগের গল্প

ছবি
(পর্ব-১) ------- মধ্যরাত। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ। বাহাওয়ালপুরের এক নির্জন পথে হেঁটে যাচ্ছেন মৌলবী এলাহি বখশ ও তার কিশোরী মেয়ে। আকাশে উঠেছে মস্ত চাঁদ। চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট-পথ। রাস্তার দুপাশে থাকা গাছের সারি পথের মাঝে ছোপ ছোপ অন্ধকার জন্ম দিয়েছে। এলাহি বখশ পথ চলছেন দ্রুত, এক হাতে শক্ত করে ধরেছেন প্রিয় মেয়ের হাত। অন্য হাতে আছে কাপড়ের থলে। একটু পর পর আতংকিত চেহারা নিয়ে তিনি পেছনে তাকাচ্ছেন। বুঝার চেষ্টা করছেন ধাওয়াকারিরা পেছন চলে এলো কিনা। খুব দ্রুত পালাতে হয়েছে তাদের। এমনকি বের হওয়ার সময় পিতা-কন্যা দুজনের কেউই জুতা নিয়ে আসতে পারেননি। পথ চলছেন খালি পায়ে। মাঝে মাঝে কংকরে পা পড়লে ব্যাথায় বিকৃত হয়ে যাচ্ছে চেহারা। পিতা-কন্যা দুজন কোনো কথা বলছেন না। গত এক বছর ধরে তারা এই পালানোর সাথে অভ্যস্ত। পালাতে পালাতে তারা ক্লান্ত হয়ে গেছেন। কত গ্রাম ঘুরলেন, কত জনপদ দেখলেন এলাহি বখশ । যেখানেই কোনো আত্মীয় বা বন্ধুর সন্ধান পেয়েছেন, ছুটে গেছেন তার বাড়িতে। চেয়েছেন আশ্রয়। ফিরিয়ে দেননি কেউ। থাকার ব্যবস্থা করেছে সবাই। কিন্তু দ্রুত সংবাদ জেনে যায় ধাওয়াকারীরা। তারা ছুটে আসে হিংস্রতা নিয়ে। বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিয়ে...

আহমদ রেজা খান বেরেলভি একজন তাকফিরি আলেম

ছবি
এক.  এই প্রবন্ধটি কেন ? ওলামায়ে দেওবন্দ তার শুরু লগ্ন থেকে কুফরি ফিতনার বিপরীত যে ফিতনার পিছনে সময় ব্যয় করতে বাধ্য হয়েছেন তার মধ্যে প্রথম সারিতে হলো বেরলবি ফিতনা ও এই ফিতনা যার দিকে সম্বন্ধ আহমদ রেজা খান বেরলবি রহ.-এর মিথ্যাচারের জবাব দিয়ে। এমনকি ইংরেজদের শত জুলুম অত্যাচার আর তাদের চাপিয়ে দেওয়া কুফরের বিরুদ্ধে যখন হিন্দুস্থানের ওলামায়ে কেরাম কাজ করে যাচ্ছিলেন তখন আহমদ রেজা খান ও তার অনুসারীরা কিছু বেদয়াতি মাসআলা নিয়ে ওলামায়ে আহলে হককে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন। উম্মাহের ঐক্যের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু হিন্দুস্থানের ওলামায়ে কেরাম বিশেষত ওলামায়ে দেওবন্দ মানুষের ইমান ও আমল রক্ষার স্বার্থে বেরলবিদের সকল অপপ্রচারের উত্তর দিয়েছেন। তাদের বেদয়াতি মাসআলাগুলো নিয়ে খণ্ডনের পর খণ্ডন করে এই মাসআলাগুলোকে প্রায় দাফন করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি কিছু ভাই সে বিভিন্নভাবে ওলামায়ে দেওবন্দের কবর দেওয়া সে মাসআলাগুলোকে আবার পূনরায় লোক সম্মুখে আনার পায়তারা করছে। এর মাঝে কেউ কেউ প্রকাশ্যে এগুলো করার চেষ্টা করছে, কেউ নিজের আদর্শ গোপন করে নিজেকে দেওবন্দি পরিচয় দিয়ে বেরলবিয়াত প্রচার করছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়...

ইবনে আবীল ইয হানাফী ও তার ‘শারহুল আকীদাতিত তাহাবিয়্যা’-এর প্রকৃত অবস্থা ও মূল্যায়ন

ইবনে আবীল ইয হানাফী ও তার ‘শারহুল আকীদাতিত তাহাবিয়্যা’-এর প্রকৃত অবস্থা ও মূল্যায়ন আহলে ইলমের কাছে একথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, ইবনে আবীল ইযের উক্ত শরাহটি সহজবোধ্য ও আকীদার সাথে হাদীস-আসার উল্লেখ করা এবং কিছু বিষয়ে ভালো আলোচনা থাকার পাশাপাশি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর বিপরীত অনেক আকীদা ও কথা রয়েছে। আমার জানামতে ছোটখাটো বিষয়গুলো বাদ দিলেও মৌলিকভাবে ১৫টির চেয়ে বেশি ভ্রান্ত আকীদা, অপব্যাখ্যা ও ভুল তথ্য রয়েছে। শাইখ সাঈদ ফুদার الشرح الكبير ও মুফতী রেজাউল হক সাহেবের العصيدة السماوية দেখলে সহজে পেয়ে যাবেন। আর উক্ত ব্যাখ্যা গ্রন্থে ভ্রান্তির মূল কারণ হচ্ছে, তিনি শাইখ ইবনে তাইমিয়া রহ, ও ইবনুল কায়্যিমের কিতাব সমূহ থেকে তাদের নাম নেওয়া ছাড়া অসংখ্য কথা ও বক্তব্য ব্যাখ্যা হিসেবে এনেছেন। এটা নিছক দাবি নয়, বরং সালাফি আলেম ড. আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মাদ তিনি এ বিষয়ে স্বতন্ত্র কিতাব রচনা করেছেন। যার নাম হচ্ছে, مصادر ابن أبي العز في شرح العقيدة الطحاوية এতে তিনি এমন ১৮৭ টি জায়গা চিহ্নিত করেছেন। মোল্লা আলী কারী রাহ. (মৃ. ১০১৪ হি.) বলেন,  والحاصل أن الشارح يقول بعلو المكان مع نفي التشبي...