পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিয়া ধর্মের ভুয়া মাহদি বা ১২তম ইমাম প্রসঙ্গে...

ছবি
শিয়া ধর্মের মূল ভিত্তি হল ইমামত,১২-ইমামি শাখার শিয়ারা তাদের ইচ্ছামত আহলে বাইত এর বংশধরদের মধ্যে থেকে ১২ জনকে ইমামত(চিপা দিয়ে নবুয়্যাত পদ্ধতি) দিয়েছে, যার সর্বশেষ হল ইমাম মাহদী- যার অস্তিত্ব ভিত্তিহীন। এই ১২তম ইমাম শৈশবে গায়েব হয়ে সমগ্র সৃষ্টিজগতে কর্তৃত্ব করছে বলে শিয়া-ধর্মে বিশ্বাস,তার জন্য সামারা গুহার গর্তে খোঁজ চলে,ইরানের যামকারান কূপে চিঠি ফেলা হয়। ১২০০ বছর আগে গায়েব এই কল্পিত ইমাম এর বের হবার উপরেই শিয়া ধর্ম বহুলাংশে নির্ভরশীল!ইরানের সরকারকে “মেহদির অফিস” বলা হয়!আসুন সংক্ষেপে জানি তার সম্পর্কে,শিয়া ধর্মগ্রন্থ থেকে- ◊● জন্মঃ আহলে বাইতের নামে মিথ্যাচার করে ইহুদি-সাবাঈ তত্বে সৃষ্ট ইমামত-আকিদার প্রচার করে আসছিল শিয়ারা সেই আলী(রা) এর সময় থেকেই। তার সাথে রাসূল(সা) এর বর্ণিত ১২ জন খলিফার হাদিসকে চাপিয়ে দিয়ে আলী(রা)এর পরে আহলে বাইত এর বংশধরদের থেকে ইচ্ছামত ইমাম বানাতে থাকে। বিপত্তি বাধে ২৬০ হিজরি সনে দাবিকৃত #১১ ইমাম হাসান আসকারী(র) ২৮ বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। স্বভাবজাত পন্থায় শিয়ারা হাসান আসকারী(র) এর নামেও কিচ্ছা ফাঁদে যে,তার এক দাসী ছিল নারজিস/মুলাইকা/সাওসান/খাম

কুরআন মাজীদে সাহাবা রাযিয়াল্লাহু আনহুম

ছবি
কুরআন আল-হাকীম নাযিল হয়েছে আল্লাহ্‌র রাসূল হযরত মুহাম্মদ(ﷺ)এর প্রতি। আর এতে আম(সাধারণ), খাস(বিশেষ) ও মুতাশাবিহাত আয়াত ইত্যাদি রয়েছে। তবে কুরআনের আয়াত নাযিলের আসবাব/কারণ হিসাবে রাসুল(ﷺ)এর জীবনের সমসাময়িক ঘটনা, কাফের-মুশরিক অথবা নেককারঃ সবই রাসূল(ﷺ)কে জানাতে তাঁর পরিপার্শ্বের উদ্দেশ্যে নাযিলকৃত। এবং যেসব আয়াতে সরাসরি-পরোক্ষভাবে আদেশ-নির্দেশ প্রয়োগ/উদ্দেশ্য করা হয়েছে তাও সাহাবাদের প্রতিই। যদিও কুরআনের আয়াত থেকে নিঃসৃত হুকুম-আহকাম কিয়ামত পর্যন্ত উম্মাহর জন্য ধার্য। কুরআনুল কারীমের আয়াতসমূহে সাহাবাদের ফযীলাত - ¤ “এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রাসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। আপনি যে কেবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রাসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়।“ [সূরা বাকারাহঃ ১৪৩]

শিয়া ধর্মের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যঃ সাহাবা (রা) প্রসঙ্গ

ছবি
আমরা কেউই সরাসরি রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর কাছ থেকে ইসলাম এর বাণী শুনিনি বা শিখিনি,সরাসরি তাঁর নির্দেশ পালন ও বাস্তবায়ন করার দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করতে পারিনি; বরং তা করে গিয়েছেন রাসূল(ﷺ)এর মহান সাহাব(রা)গণ।তাঁদের ধারায় পরবর্তীতে ইসলাম বিকশিত হয়ে ডালপালা মেলেছে,ঈমানদারদের খুশির কারণ ও কাফেরদের জন্য যন্ত্রণা বয়ে এনেছেন। সাহাবারা কুরআন মুখস্থ করেছেন এবং তার উপরে আমল করেছেন, পরস্পর সংশোধন,উপদেশ,মতবিনিময়ের মাধ্যমে রাসূল(ﷺ)এর আমলকে শরিয়াত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাফের মুশরিক,ইহুদি-নাসারাগণ সামনাসামনি ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস না পেয়ে কিংবা ইসলামকে যুক্তি-দলিলে পরাভূত করতে ব্যর্থ হয়ে অন্য রাস্তা বেছে নেয়- তা হল, ইসলাম কায়েম ও উম্মতের কাছে পৌঁছাবার মাধ্যম সাহাবাদের অপবাদ দেয়া ও তাঁদের জামাআতকে বিতর্কিত করে দেয়া। এই ব্যাপারে ইমাম আবু যুরআ আল-রাযী(র) বলেন- “যখন তুমি কোনো ব্যক্তিকে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে কারও মর্যাদাহানি করতে দেখবে তখন তুমি জেনে রাখবে যে, সে হলো যিন্দীক। আর এটা এ জন্য যে, আমাদের নিকট রাসূল(ﷺ) সত্য এবং আল-কুরআন সত্য; আর এ কুরআন ও সুন্নাহ আমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল(ﷺ)এর

শিয়া - রাফেযিরা কাফের কেন?

শিয়া জাতির কাফির সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে অনেক বিশালাকারের কিতাব, আলোচনা ইত্যাদি রয়েছে।সেখানকার কোনটা অতিরিক্ত সংক্ষেপে রেফারেন্স লিস্ট দেয়া, আবার কোনটা রেফারেন্স এর সুবিশাল বিশ্লেষণ যা সাধারণ মুসলিমদের বুঝের অনেক উপরে। আসলে,রেফারেন্স যদি শুধু লিস্ট হয় অথবা সংক্ষেপ হয় তাতে সমস্যা। প্রতিটা বিষয়ে/কারণ এর বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন। কিতাবের রেফারেন্স,যুক্তি-আলোচনা,মিথ্যার খণ্ডন ইত্যাদির আগে সহজ ভাবে শিয়াদের কাফের হবার কারণসমূহ তুলে ধরা হলঃ- ❖❖ মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে,চক্রান্ত করে ছুপা ইহুদিদের উষ্কানিতে রক্তপাত ঘটিয়ে ইসলামে নতুন দলের সৃষ্টি করা। ❖❖ আল্লাহ্‌,রাসূল(সা) ও আহলে বাইত এর নামে অগণিত মিথ্যাচার করা। ❖❖ ইসলাম এর ভিত্তিগুলা তাদের নিজস্ব বিকৃত সাবাঈ ধর্ম দ্বারা Modify/পরিবর্তন করে।ইসলামের নামে এদের বিদাতের স্কেল এত বেশি যে এদের বিদাতি না বলে কাফেরই বলতে হয়। ইসলামে নিজস্ব বানোয়াট জিনিস প্রবেশ করিয়ে সেগুলাকে আবশ্যক দাবি করার জঘন্য কুফর। ❖❖ শিয়াদের কালিমা "ওয়ালিয়াত" দ্বারা বর্ধিত। অর্থাৎ আলী(রা) কে ওয়ালি,অয়াসি মানাকে তারা কলেমার অংশ ও ঈমানের অংশ মনে করে। অথচ পুরা ওয়ালিয়্যাত/বেলায়ে

শিয়া প্রসঙ্গঃ হক্ক-তাকফির এর মাসআলা

অনেকেই ধুপ করে প্রশ্ন করে বসেন যে “শিয়াদের বা অমুক অমুক দের কাফের কেন বলেন?” তারা নিজেরা কোন পর্যায়ে ইসলাম পালন করেন সে প্রসঙ্গে না যাই, তাদের ঐ কথার মূল উদ্দেশ্য থাকে- নিজেকে মুসলিম দাবি করা গোষ্ঠিকে কেন কাফের বলা!  রাসূল(সা) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলা ব্যক্তিকে মুসলিম মানার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু একই সাথে তো কুরআন-হাদিস থেকে এমন সব কারণও উল্লেখ পাওয়া যায় যেগুলা ঈমান থেকে বের হবার লক্ষণ,কারণ নির্দেশ করে। অতিরিক্ত উদারতা দেখাতে গিয়ে সেগুলাকে কেন ভুলে থাকা? কবিরা গুনাহের কারণে একদল তাকফির করে থাকে, নামায না পড়লে কাফের ইত্যাদি বলে থাকে- তারা খারেজী, হত্যাযোগ্য ফেরকা(তাদের আরো অনেক লক্ষণ আছে)। কিন্তু আরেকটী ফেরকা আছে- মুরজিয়া; যারা ঈমানের পরিবর্তনকে স্বীকার করেনা। তাদের মতে কেউ একবার ঈমান আনার দাবি করলে সে মৃত্যুর আগ পর্যন্তই মুসলিম থাকে, আমল যাই হোক! সেটাও যে খারেজীদের মতই জাহান্নামী আকিদা তাও জেনে রাখা উচিত, উদারতা দেখানোর আগে সেই ভয় করা উচিত। যেমন- নামায পড়ার পদ্ধতি আছে,ফযীলাত আছে। আবার কি কি করলে তা বরবাদ হয় তাও নির্ধারিত করা আছে,অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রেও তাই।যদি শুধু নিজেকে মুসলি