পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিয়াদের ব্যাপারে উলামায়ে ইসলাম এর রায়

ছবি
শিয়া-রাফেযী সম্পর্কে অজ্ঞ ও মডারেট মুনাফিকদের মুখে আজকাল শিয়াদের শিখানো বুলি শুনা যায় ❝শিয়া-বিদ্বেষ আসলে সৌদির চাল,ওহাবী❞ ইত্যাদি! কিন্তু ইসলাম এর প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে তাবেয়ী,হাদিসের হাফিয-বিশ্লেষণকারী, ফকীহ, মুফাসসির  ও উলামা- যারা ১৭০০-১৮০০ সালের আগে দ্বীনের খিদমত করেছেন, শিয়াদের ব্যাপারে তাঁদের ফয়সালা/রায় শুনে নিলে সব পরিষ্কার হয়ে যায়! যে, কিভাবে ইমামত,সাবাঈ-মতবাদ,দ্বীনের ক্ষেত্রে মিথ্যাচার-জালিয়াতি,আল্লাহ্‌র সাথে শিরক ইত্যাদি কারণে তাঁরা শিয়াদের কাফের সাব্যস্ত করে উম্মাহকে সতর্ক করেছেন!  বর্তমান শিয়াদের ৯০% ইমামি, অর্থাৎ আকিদা-আমল এর ক্ষেত্রে  রাফেযী, এরা জাতিগত কাফের।এরপরেও একশ্রেণীর অন্ধ,নিফাকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চোখ-কান বন্ধ করে চিৎকার করে যায় ❝সব শিয়া রাফেযী না, কাফের না❞ ইত্যাদি প্রলাপ। বস্তুত, রাফেযী বাছতে গেলে শিয়া উজার।এমনকি গর্বের সাথে ‘রাফেযী/রাফিদ’ নাম রাখা ও নিজেদের জন্য ব্যবহারের অহরহ প্রচলন দেখা যায়! হাদিস এর গবেষক ইমামগণ তাফযিলি/রাজনৈতিক শিয়াদের ক্ষেত্রেই ❝শিয়াগ্রস্থ❞ বলে তাদের বর্ণনা নজরদারীতে রেখেছেন এবং যারা বর্তমান শিয়াদের মত আকিদাধারী তাদের ক্

উলামায়ে ইসলাম এর ব্যাপারে শিয়া ধর্মের রায়

ছবি
২৩ হিজরিতে পারস্যের অগ্নিপূজক আবু লুলু’র ছুরিকাঘাত এবং ৩৪ হিজরিতে ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা’র বিদ্রোহের পটভূমিতে জন্ম নেয় ইমামি শিয়া ধর্ম। সাবাঈ আকিদার বিপরীতে থাকা বেশিরভাগ সাহাবায়ে কেরামকে গালি,তাকফির ইত্যাদির জন্য;  এবং ছদ্মবেশ ধারণ করতে অল্প ক’জন সাহাবী,আহলে বাইতের ভালবাসার অভিনয়ের জন্য শিয়া ধর্ম পরিচিত।  শুধুমাত্র সাহাবাগণ(রা)ই না, তাকিয়া’র মুখোশের আড়ালে প্রকৃত মুসলিম তথা আহলে সুন্নাহ ওয়ালা জামাআতের সমগ্র উম্মত,ফকিহ ইমাম,মুহাদ্দিস,মুফাসসির এবং উলামাদের ব্যাপারে শিয়া-রাফেজী ধর্মের রায় হল- তারা নাসিবী অর্থাৎ আহলে বাইত-বিদ্বেষী,জাহান্নামী,কাফের, হত্যা ও জানমাল লুট করা বৈধ!  ইসলামের উসুল হল- কেউ আহলে বাইতের প্রতি শত্রুতা রাখলে যেমন- হুসাইন(রা)এর হত্যাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করলে,আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ রাখলে সে নাসিবী।  কিন্তু সাবাঈ শিয়া ধর্মে আহলে বাইতকে ভালবাসা’র কোন মূল্য নেই। ইহুদিদের থেকে আমদানি করা ইমাম-থিউরি না মানলে, আলী(রা)কে আল্লাহ্‌র ন্যায় মান্য না করলে ও আহলে বাইতকে আল্লাহ্‌র গুণে গুণান্বিত না করলে সে নাসিবী। যিন্দীক-মুশরিক-পেশাদার মিথ্যাজীবিদের দ্বারা আহলে বাইতের

হাদিসে কিরতাস বা কাগজের ঘটনা প্রসঙ্গে শিয়া কাফেরদের অপবাদের জবাব

ছবি
সহি বুখারী ও মুসলিম এর একাধিক হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রা) থেকে বর্ণিত রাসূল(ﷺ)এর ওফাতের পূর্বের ঘটনা নিয়ে শিয়া-ধর্মাবলম্বীরা প্রশ্ন তুলে থাকে ও উমর(রা)এর উপরে অপবাদ দিয়ে থাকে। যেটিকে বৃহস্পতিবারের ঘটনা বা কাগজের ঘটনা/হাদিসে কিরতাস বলা হয়। হাদিসে বর্ণিত ঘটনা নিম্নরূপ-  “রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর অফাতের সময় যখন নিকটবর্তী হল এবং ঘরে ছিল লোকের সমাবেশ,তখন নবী(ﷺ)বললেন,তোমরা আস,আমি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দেই,যেন তোমরা পরবর্তীতে পথভ্রষ্ট না হও।তখন ঘরে থাকা লোকেদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল।এরপরে কিছু লোক বললেন,নবী(ﷺ) এর অবস্থা কি? তিনি কি বিচ্ছিন্ন হলেন,জিজ্ঞেস করে নাও তাঁকে।উমর(রা) বললেন,রাসূল(ﷺ)এর রোগ যন্ত্রণা প্রবল হয়েছে।আমাদের কাছে কিতাবুল্লাহ(কুরআন) আছে,তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর কাছে যখন তাদের কথা কাটাকাটী বৃদ্ধি পায় তখন তিনি(ﷺ) বললেন,তোমরা উঠে যাও,আমার সামনে বাকবিতণ্ডা করো না।বর্ণনাকারী উবায়দুল্লাহ(র) বলেন,এরপর থেকে ইবন আব্বাস(রা)আক্ষেপ করে বলতেন,বিপদ কত বড় বিপদ!রাসূলুল্লাহ(ﷺ) ও তাদের জন্য সেই কিতাব লিখে দেয়ার মাঝখানে তাদের মতবিরোধ ও ঝগড়া যে অন্তরায় হয়ে পড়ল।” [সহি বুখারী ১১৫,কিতাব

সাবাঈ শিয়া-রাফেযী ধর্মের বিবর্তন ও শাখাপ্রশাখাসমূহ

ছবি
ইসলামের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়ার সাহস না থাকায়,ইসলামের ভিতরে ছদ্মবেশ নিয়ে অবস্থান করে ভাঙন,দল-উপদল সৃষ্টি ও ইসলামের মৌলিক বিষয়কে বিকৃত করে বিনষ্ট করার অভিযান শুরু হয় উসমান(রা)এর শাসনামলে সাবাঈ ছুপা ইহুদিদের নেতৃত্বে বিদ্রোহের মাধ্যমে। তাঁকে হত্যার পরে বিদ্রোহীদের এক বড় অংশ আলী(রা)এর হাতে বাইয়্যাত দিয়ে নিজেদেরকে আলী-প্রেমী দাবি করতে থাকে, কিন্তু তখনো “আহলে বাইতের শিয়া” ইত্যাদি নামে দল খোলা হয়নি সেরকমভাবে, অথবা আহলে বাইতের নামে মিথ্যা হাদিস রচনার জালিয়াতি অতটা গতি পায়নি।  আলী(রা)এর খিলাফতকালে মুয়াবিয়া(রা)এর সাথে বিরোধের সময়ে, সাহাবাদের কেউ আলী(রা)এর পক্ষে আবার অনেকে মুয়াবিয়া(রা)এর পক্ষে অবস্থান নেন। এই পরিস্থিতিকে সাবাঈরা বিভেদ সৃষ্টির মোক্ষম সময় বিবেচনা করে। তারা মুয়াবিয়া(রা)কে নয়, সেই পিছনে ফিরে আবু বকর(রা),উমর(রা) এর খিলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, আলী(রা) এর ইমামত,অসিয়্যাত-ইত্যাদি নানাবিধ মিথ্যা দাবি তুলে এবং তাদের অনেকে আলী(রা)কে রব দাবি করে। সাবাঈরা এই সময়ে বিশেষভাবে নিজেদের ‘আলীর শিয়া’ পরিচয় দিতে শুরু করে এবং আলী(রা)কে সকলের শ্রেষ্ঠ দাবি করে। যে ক’জন সাহাবা জীবিত ছিলেন তারা অনেকে ইজতিহাদ ক

ইমামত আকিদায় শিরক-কুফর এর সম্ভার

ছবি
সুপ্ত ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা এর উদ্ভাবিত ইমামত তত্বের উপরে ভিত্তি করে আস্ত শিয়া মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে যা পারতপক্ষে প্রকৃত ইসলাম এর উসুল বিপরীত। কেউ ১২ ইমাম,কেউ এখনো ইমাম বানিয়ে যাচ্ছে! “আহলে বাইত এর ইমাম,ওয়ালি,ওয়াসি-ফরয” দাবির নামে শিয়া-রাফেযীরা যে আস্ত ধর্ম বানিয়ে নিয়েছে, তাতে জঘন্য শিরকি ইমামি-আকিদার অবদানঃ- ∞ ☢  সর্বাগ্রে, এই ইমামত এর আকিদা আল্লাহ্‌র নামে মিথ্যাচার। আর আল্লাহ্‌র রাসূল(সা) এর বাণিকে টেনেহিচড়ে কাল্পনিক,অযৌক্তিক ব্যাখ্যা করা। উসমান(রা)কে হত্যার পরে, ইসলামে অস্তিত্বহীন জিনিসের উপরে ভিত্তি করে ইহুদিজাত সাবাঈরা এমন আকিদা আবিষ্কার করে যা দিয়ে সাহাবায়ে কিরামকে তাকফির করা যায়, মুসলিম জাতিকে খণ্ডিত করার জঘন্য কাজ আঞ্জাম দেয়া যায়।  এবং এরি সিলসিলায় রাসূল(সা) এর সুন্নাহকে বর্জন করে ১২/১৪ ইমাম এর মতবাদ টিকিয়ে রাখতে শত শত বছরে আহলে বাইত এর নামে মিথ্যা বক্তব্য, সাহাবা কর্তৃক আহলে বাইতের উপরে নির্যাতন-কিচ্ছা ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো হয়েছে। যেহেতু আলী(রা) আবু বকর(রা), উমর(রা) ও উসমান(রা) এর খিলাফত নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছেন , সেহেতু শিয়া-কাফেরদের এই মিথ্যা বেলায়েত-দাবির মাধ্যম

মুখতার আস-ছাকাফীঃ- শিয়া ধর্মের ভণ্ড নবীর বৃত্তান্ত

ছবি
{ইসলামের ইতিহাস গ্রন্থ ও শিয়া ধর্মগ্রন্থ হতে} মুখতার ইবনে আবু উবায়দ আস-ছাকাফী। তায়েফের ছাকীফ গোত্রে জন্মগ্রহণকারী শিয়া ধর্মের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি, যাকে পরম শ্রদ্ধার সাথে ধর্মীয় বীর ও মহান নেতা গণ্য করা সাবাঈ শিয়া ধর্মে। ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা’র দ্বারা ইমামত আকিদার উৎপত্তির পরে প্রায় ২০০-৩০০ বছরের বেশি সময় লাগে বর্তমান ১২-ইমামী রাফেজী কাঠামো নিতে। এর মাঝে বহু রকম ইমাম দাবিদার, মাহদি দাবিদার গ্রুপের উত্থান-পতন ঘটতে থাকে। সেই যুগের গুরুত্বপূর্ণ এক খেলোয়াড় ছিল এই ভন্ডনবী মুখতার। ধূর্ত, কপটচারী, পল্টিবাজ এবং মিথ্যাচারী চাপাবাজ হিসাবে মুখতার ছাকাফী নিজেকে শিয়া ধর্মাবলম্বীদের যোগ্য ব্যক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সে আলী(রা)এর পুত্র মুহাম্মদ ইবনে হানাফিয়া(র)এর নামে চাপাবাজি করে কায়সানিয়া নামক শিয়া গ্রুপের ব্যানারে কাজকর্ম চালাত। শিয়া-রাফেজীদের সাহিত্যে এবং শিয়া যাজকদের বক্তব্যে তার ব্যাপক স্তুতি বন্দনা করা হয়। চলুন, আমরা দেখে নেই ইসলামের ইতিহাস কিতাবে তার সম্পর্কে কি বর্ণনা আছেঃ- ♞ ♟ হাসান(রা)এর সাথে শিয়াদের কৃত বেঈমানীতে অংশ নেয়াঃ- ♛ ৪০ হিজরি সালে আলী(রা)এর শাহাদাতের পরেই স

প্রকৃত মুসলিম-আহলে সুন্নাহ'র ব্যাপারে শিয়া ধর্মের মতামত

ছবি
২৩ হিজরিতে পারস্যের অগ্নিপূজক আবু লুলু’র ছুরিকাঘাত এবং ৩৪ হিজরিতে ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা’র বিদ্রোহের পটভূমিতে জন্ম নেয় ইমামি শিয়া ধর্ম। সাবাঈ আকিদার বিপরীতে থাকা বেশিরভাগ সাহাবায়ে কেরামকে গালি,তাকফির ইত্যাদির জন্য;   এবং ছদ্মবেশ ধারণ করতে অল্প ক’জন সাহাবী,আহলে বাইতের ভালবাসার অভিনয়ের জন্য শিয়া ধর্ম পরিচিত।   শুধুমাত্র সাহাবাগণ(রা)ই না, তাকিয়া’র মুখোশের আড়ালে প্রকৃত মুসলিম তথা আহলে সুন্নাহ ওয়ালা জামাআতের সমগ্র উম্মত,ফকিহ ইমাম,মুহাদ্দিস,মুফাসসির এবং উলামাদের ব্যাপারে শিয়া-রাফেজী ধর্মের রায় হল- তারা নাসিবী অর্থাৎ আহলে বাইত-বিদ্বেষী, জাহান্নামী,কাফের, হত্যা ও জানমাল লুট করা বৈধ!  ইসলামের উসুল হল- কেউ আহলে বাইতের প্রতি শত্রুতা রাখলে যেমন- হুসাইন(রা)এর হত্যাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করলে,আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ রাখলে সে নাসিবী।  কিন্তু সাবাঈ শিয়া ধর্মে আহলে বাইতকে ভালবাসা’র কোন মূল্য নেই। ইহুদিদের থেকে আমদানি করা ইমাম-থিউরি না মানলে, আলী(রা)কে আল্লাহ্‌র ন্যায় মান্য না করলে ও আহলে বাইতকে আল্লাহ্‌র গুণে গুণান্বিত না করলে সে নাসিবী। যিন্দীক-মুশরিক-পেশাদার মিথ্যাজীবিদের দ্বারা আহলে বাইত

তারাবীহ সালাত নিয়ে শিয়া কাফেরদের বিভ্রান্তির জবাব

ছবি
রমজান মাসে আমরা মুসলিমরা রাত্রিতে নামাজে দাঁড়িয়ে কুরআন শুনে থাকি যাকে তারাবীহ বলা হয়। ইহুদি ঔরসজাত সাবাঈ শিয়া ধর্মাবলম্বীরা একে বিদাআত বলে দাবি করে এবং তারাবীহ’র নামাজ জামাআতে আদায় করাকে উমর(রা)’র আবিষ্কৃত বলে দাবি করে। ✤ বিদাআত কি? বিদাআত হল, নতুন উদ্ভাবিত এমন ইবাদত বা তার পন্থা- যেটার রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর জীবনে,কাজে বা কথায় কোন অস্তিত্ব নেই। তারাবীহ বিদাআত হবার জন্য ২টি জিনিস লাগবে- ১)রাসূল(ﷺ) কখনো তারাবীহ পরেননি, ২)পড়লেও, পরবর্তীতে একে ইসলামে নিষিদ্ধ করে দিয়ে গিয়েছেন। এই ২ শর্ত না পাওয়া গেলে এটিকে কাফেররা বিদাআত দাবি করতে পারে না। এখন,আমরা হাদিসে লক্ষ্য করি, রাসূল(ﷺ) এর তারাবীহ আদায়ের দৃষ্টান্তঃ- ❀ যায়দ ইব্‌ন সাবিত(রা) থেকে বর্ণিতঃ নবী(ﷺ) চাটাই দিয়ে মসজিদে একটি হুজরা বানিয়ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্‌(ﷺ) তার ভিতর কয়েক রাত সালাত পড়লেন। এতে লোকেরা তার সঙ্গে একত্রিত হত। তারপর এক রাতে তারা তাঁর আওয়ায শুনতে পেল না এবং তারা ভাবল, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। তাদের কেউ কেউ গলা খাকার দিতে লাগল, যাতে তিনি তাদের নিকট বেরিয়ে আসেন। তখন তিনি [নবী (ﷺ)] বললেনঃ তোমাদের এ ক’ দিনের কর্মকান্ড আমি দেখেছি, এতে আম