ইমামত আকিদায় শিরক-কুফর এর সম্ভার

সুপ্ত ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা এর উদ্ভাবিত ইমামত তত্বের উপরে ভিত্তি করে আস্ত শিয়া মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে যা পারতপক্ষে প্রকৃত ইসলাম এর উসুল বিপরীত। কেউ ১২ ইমাম,কেউ এখনো ইমাম বানিয়ে যাচ্ছে! “আহলে বাইত এর ইমাম,ওয়ালি,ওয়াসি-ফরয” দাবির নামে শিয়া-রাফেযীরা যে আস্ত ধর্ম বানিয়ে নিয়েছে, তাতে জঘন্য শিরকি ইমামি-আকিদার অবদানঃ-
∞ ☢  সর্বাগ্রে, এই ইমামত এর আকিদা আল্লাহ্‌র নামে মিথ্যাচার। আর আল্লাহ্‌র রাসূল(সা) এর বাণিকে টেনেহিচড়ে কাল্পনিক,অযৌক্তিক ব্যাখ্যা করা। উসমান(রা)কে হত্যার পরে, ইসলামে অস্তিত্বহীন জিনিসের উপরে ভিত্তি করে ইহুদিজাত সাবাঈরা এমন আকিদা আবিষ্কার করে যা দিয়ে সাহাবায়ে কিরামকে তাকফির করা যায়, মুসলিম জাতিকে খণ্ডিত করার জঘন্য কাজ আঞ্জাম দেয়া যায়। 
এবং এরি সিলসিলায় রাসূল(সা) এর সুন্নাহকে বর্জন করে ১২/১৪ ইমাম এর মতবাদ টিকিয়ে রাখতে শত শত বছরে আহলে বাইত এর নামে মিথ্যা বক্তব্য, সাহাবা কর্তৃক আহলে বাইতের উপরে নির্যাতন-কিচ্ছা ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো হয়েছে। যেহেতু আলী(রা) আবু বকর(রা), উমর(রা) ও উসমান(রা) এর খিলাফত নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছেন , সেহেতু শিয়া-কাফেরদের এই মিথ্যা বেলায়েত-দাবির মাধ্যমে আলী(রা) কে মিথ্যা আচরণকারী, দায়িত্বে বিচ্যুতিকারী, আল্লাহ্‌র নির্দেশের বিরোধিতাকারী সাব্যস্ত করা হয়। 

∞ ☢   অতিভক্তি দেখাতে গিয়ে আহলে বাইতের উপাসনায় লিপ্ত শিয়া জাতি আলী(রা)কেই দ্বীনের মানদণ্ড, ইলাহ ইত্যাদি বানিয়ে নিয়েছে! যেমন- ‘যে ব্যক্তি ইমামতে কাউকে শরীক করল,সে মুশরিক’ 
[আল কাফি, ২৩২/১; কিতাবুল হুজ্জাত,বাব ১৪২]। 

সূরা নাহলঃ আয়াত৫১ তে “তোমরা দুই ইলাহ গ্রহণ করোনা, ইলাহ তো একজনই” এর ব্যাখ্যায় শিয়া ধর্মগ্রন্থ বলে- ‘অর্থাৎ, তোমরা দ্বিতীয় ইমাম গ্রহণ করোনা, ইমাম তো একজনই’ 
[বিহারুল আনওয়ার ৩৫৭/২৩, তাফসিরে আইয়্যাশি ২৬১/২] 
আরও বানিয়েছে- ‘আলী(আ) বলেনঃ আমি রুবুবিয়্যাত(তাওহীদ) এর অন্যতম ফুরু(শর্ত)’ [শরহে যিয়ারাতুল কামিল, ৭০/১] 

∞ ☢   ইহুদিজাত শিয়া ধর্মে আল্লাহ্‌র সাথে শিরক করা না-করা কোন ধর্তব্য বিষয় হয়, শিরক বলতে তারা বুঝে আলী(রা) এর ইমামত এ কাউকে শরীক করা। বরং আলী(রা) ও আহলে বাইতকে তারা আল্লাহ্‌র একত্ববাদের সাথে সাথে একীভূত করে, কুরআন এর আয়াতের কুৎসিত অপব্যবহার করতেও পিছপা হয়না। নাঊযুবিল্লাহ।
তাদের ধর্মের কিতাবে-
✧ সূরা কাহফঃআয়াত ১৮ এর ব্যাখ্যা- আবু আবদুল্লাহ(আ) বলেন-  { هُنَالِكَ الْوَلَايَةُ لِلَّهِ الْحَق}/ ‘এরূপ ক্ষেত্রে সব অধিকার সত্য আল্লাহর’ অর্থাৎ আমিরুল মু’মিনীন আঃ(আলী) এর কর্তৃত্ব/বেলায়েত।
{আল কাফি,কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১৬৫, হা ৩৪,৫২]। 
✧ আবুল হাসান(আঃ), ‘মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না।’ {সূরা জিনঃ ১৮} আয়াত এর প্রসঙ্গে বলেনঃ অর্থাৎ রাসূল(সা)এর ওয়াসিগণ। [আল কাফি, ১/২৬৩, কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১৬৫ , হা ৬৫]। 
শিয়া কাফেররা নির্দ্বিধায় আল্লাহ্‌র সাথে দাবিকৃত ওয়াসি,আহলে বাইতকে মিলিয়ে ফেলে! নাঊযুবিল্লাহ! 

✧ আবু আবদুল্লাহ (আঃ) ‘আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।’ {সূরা নামলঃ ৬১ } এর প্রসঙ্গে বলেনঃ ‘অর্থাৎ কোন জাতির জন্য একজন হিদায়াতকারী ইমামের সাথে আরেকজন ভ্রান্ত ইমাম থাকতে পারে কি?’ {বিহারুল আনওয়ার ৩৬১/৩} 
✧ শিয়াদের তাফসিরে ফুরাত আল কুফী,এর ৩৭০ পৃষ্ঠা(২য় খণ্ড) তে সূরা যুমার এর ৬৫ নাম্বার আয়াতের তাফসিরে, শিয়াদের দাবিকৃত “ওয়ালিয়্যাত” কে তাওহীদের সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে-[ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ] “যদি কিছু শরীক করলে, তাহলে তোমাদের আমল বাতিল” এর মানে আলীর বেলায়েতের সাথে কিছু শরীক করলে আমল বাতিল। 
 
আসুন, সূরা যুমার এর ৬৬ নাম্বার আয়াত দেখি- আল্লাহ্‌ বলেন- “বরং আল্লাহরই ইবাদত করুন এবং কৃতজ্ঞদের  অন্তর্ভুক্ত থাকুন।“   অর্থাৎ যেখানে আল্লাহ্‌র সাথে কিছু শরীক করতে নিষেধ করা হয়েছে সেটাকে ইহুদি-জাত শিয়ারা আলী(রা) এর ওয়ালিয়্যাত এর সাথে এক করে ফেলেছে! খ্রিস্টানরা যেরকম ত্রিত্ববাদের আকিদা আবিষ্কার করে আবার সেটাকে “মুক্তির একমাত্র উপায়” মনে করে , শিয়া-ধর্মের লোকেরাও বেলায়্যাত কে তাওহীদের সাথে তুলনা করায় জঘন্য মুশরিক!

∞ ☢   আল্লাহ্‌ তায়ালার পবিত্র সত্ত্বার সাথে আলী(রা) ও আহলে বাইতের দাবিকৃত ইমামদের মিশিয়ে ফেলার জঘন্য শিরকি আকিদা ইমামি শিয়া ধর্মকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে!
✧ আলী(রা) কে রব ঘোষণা করা শিয়া ধর্মের শীর্ষ মুহাদ্দিস বাকের মাজলিসির ‘জিলা আল উয়ূন’ কিতাবের উর্দু সংস্করণের ভূমিকায় অনুবাদক লিখেছে- “জনাব খাতামুন্নবী(সা) ইরশাদ ফরমানঃ সাকিয়ে_হাউযে-কাউসার হল মওলা আলী(আ),অর্থাৎ কুরআনে যাকে রব বলা হয়েছে সেই সাকিয়ে_কাঊসার আলী(আ),নবীগণ তাওহীদ ও আল্লাহ্‌র ইবাদতের দাওয়াত দিয়েছেন,আর যখন বিপদে পড়েছেন তখন রব আলী(আ) কে ডেকেছেন..”  [জিলা’আল আয়ুন,পৃষ্ঠা ৬৬,খণ্ড ২,(উর্দু অনুবাদঃআল্লামা সাইয়্যেদ আবদুল হুসাইন)] ।
পাকিস্তানের আরেক শিয়া ধর্মগুরু লিখেছে- “ইমামদের সত্ত্বা সৃষ্টিকর্তার মতই অতুলনীয় ও আদিঅন্তহীন” {১৪ সিতারে, পৃ ২}  

✧ কুরআনে যে অবিনশ্বর আল্লাহ্‌র চেহারা/সত্ত্বার কথা বলা হয়েছে(সূরা ক্কাসাসঃ৮৮, আর রাহমানঃ২৭ ইত্যাদি ) তাকে শিয়া ধর্মাবলম্বীরা আলী(রা),১২ ইমাম ইত্যাদি বিশ্বাস রাখে!তাদের কিতাবে উল্লেখ- আলী(আ) আল্লাহ্‌র চেহারা/দিক
 [সহিফাতুল আবরার, পৃ ১৪০/২]। 
আবু জাফর(আ) বলেন- “আমরাই পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র দিক” [বাসাইর আদ-দারাজাত ৯৮/২] 
✧ আমিরুল মু’মিনীন আলী(আ) বলেন- ‘আমিই আল্লাহ্‌র চোখ, আমিই আল্লাহ্‌র হাত, আমিই আল্লাহ্‌র পাশ, আমিই আল্লাহ্‌র দরজা’
[আল কাফি, ৮৪/১, কিতাবুত তাওহীদ, বাব ৪৫] । 
✧ রাসূল(সা)এর উপরে জঘন্য শিরক এর অপবাদ দিয়ে শিয়া-ধর্মের আকিদা গুরু শায়খ মুফিদ উদ্ধৃতি করে- “অতপর জিবরাঈল(আ)সেসময় প্রেরিত হয়ে বললেন-হে মুহাম্মদ,নিশ্চয়ই আপনার রব আপনার জন্য সালাম জানিয়েছেন ও আপনাকে পাঠ করতে বলেছেন :{ইনশাআ আল্লাহ্‌ অয়া আলী বিন আবু তালিব} [যদি আল্লাহ্‌ ও আলী বিন আবু তালিব চান]। 
তারপর রাসূলুল্লাহ(সা) বললেনঃ [যদি আল্লাহ্‌ ও আলী বিন আবু তালিব চান],তোমার প্রতিও অনুরূপ ” 
[আমালি আল মুফিদ,পৃষ্ঠা ১১৩ ]

✧ ইমাম আবু জাফর(আঃ) বলেন- ‘আমরাই আল্লাহ্‌র দলিল, আমরাই আল্লাহ্‌র দরজা, আমরাই আল্লাহ্‌র জিহ্বা, আমরাই আল্লাহ্‌র চেহারা, আমরাই আল্লাহ্‌র চোখ তাঁর বান্দাদে উপর’ [আল কাফি, ৮৪/১,বাব ৪৫, হা ৭] 
✧ সূরা ফুরকানঃ আয়াত ৫৫ তে (কাফের তো তার পালনকর্তার প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শনকারী) এর ব্যাখ্যায় বলেছে, {কাফের} অর্থ দ্বিতীয় অর্থাৎ উমর(রা) ছিল {রব/পালনকর্তা} আমিরুল মু’মিনীন আলী(আ) এর প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শনকারী। 
[তাফসিরে কুম্মী, ১১৫পৃ/খণ্ড২]
✧ ‘আল্লাহ্‌ তায়ালা মিরাজের দিন রাসূল(সা) এর সাথে আলি(আ) এর কণ্ঠে কথা বলেছেন’ 
[বিহারুল আনওয়ার ২৩৯পৃ/১১০] 

∞ ☢   আল্লাহ্‌ তায়ালার সৃষ্টিজগত ও ইলমে গায়েব এর উপরে নিজেদের দাবিকৃত ইমামদের অধিকার দিয়ে শরীক করেছে শিয়া ধর্মের মিথ্যা রিওয়ায়াতঃ- 

✧ উসুলে কাফি কিতাবের (باب أن الأرض كلها للإمام)/সমস্ত দুনিয়া মালিক ইমাম- অধ্যায়েঃ  দুনিয়া ও এর সবকিছু পবিত্র ও মহান আল্লাহ্‌, তাঁর রাসূল ও আমাদের(ইমাম) মালিকাধীন।[আল কাফি,২৫৬/১, হা২ ]
দুনিয়া ও আখিরাত ইমামদের মালিকানায়, যেখানে ইচ্ছা তিনি তা রাখেন,ও আল্লাহ্‌র কাছ থেকে পুরস্কারস্বরূপ যার কাছে ইচ্ছা হস্তান্তর করেন।
[আল কাফি,২৫৬/১, হা ৪] 

✧ ‘ইমামগণ আল্লাহ্‌র হুকুমের ও জ্ঞানভাণ্ডারের প্রশাসক’ [আল কাফি, কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ৬৭] 
উসুলে কাফি গ্রন্থের একটি বা’ব এই বিষয়ে- “ইমামরা যখন যা জানার ইচ্ছা করেন তা জেনে নেন” [আল কাফি, ১৫৩/১, বা’ব ১০৩] এবং পরবর্তী অধ্যায় ইমামগণ তাদের মৃত্যুর সময়ও জানেন এবং তাদের মৃত্যু তাদের ইচ্ছাধীন থাকে।
[আল কাফি, ১৫৩/১, বা’ব ১০৪]
✧ ইমামগণ মায়ের গর্ভ থেকে বের হবার পরেই, তাদেরর কাছে বান্দা সব আমল পেশ করা হয়। [বিহারুল আনওয়ার ৪০/২৫] 
অর্থাৎ হায়াত-মউত, ইলম/জ্ঞান সবকিছু ইমামদের নিজস্ব ইচ্ছা,মালিকানায় দিয়ে দিয়েছে মালাঊন শিয়া জাতি! নাঊযুবিল্লাহ!
∞ ☢   ইমামদেরকেই ইবাদত সাব্যস্ত করা হয়েছে শিয়া ধর্মে, যাতে করে মিথ্যা মতবাদ ও জালিয়াতি দিয়ে প্রকৃত ইসলামকে বর্জন করা যায়।
✧ শিয়া ধর্মের অন্যতম প্রধান কিতাবে বলা হয়েছে- ‘ইমামগন যা ইচ্ছা হালাল অথবা হারাম করতে পারেন।’ [আল কাফি, ১৬০/১,কিতাবুল হুজ্জাত বাব ১১০, হা ২] 

✧ “আবু আবদুল্লাহ(আঃ) বলেন- হে দাঊদ, আমরাই আল্লাহ্‌র কিতাবে উল্লিখিত সালাত, আমরা যাকাত আমরাই সাওম আমরাই হজ্জ, আমরাই পবিত্র মাস, আমরাই পবিত্র ভূমি, আমরাই আল্লাহ্‌র কাবা, আমরাই আল্লাহ্‌র কিবলা, আমরাই আল্লাহ্‌র দিক।” 
[বিহারুল আনওয়ার, ৩০৩/২৪, তাফসির কানযুল দাকায়েক ২২১/১, তাফসিরুল কুরআন লি খোমেনী ৪৬৯/২] 

∞ ☢   আল্লাহ্‌ তায়ালার পবিত্র সত্ত্বাকে ইমাম-বিশ্বাস এর উপরে নির্ভরশীল করা ও আল্লাহ্‌ তায়ালার ব্যাপারে নিকৃষ্ট ফাইযলামি করা হয় এই ইমামত আকিদার মাধ্যমে- 
✧ আয়াতুল্লাহ তাবতাবাঈ তার আকিদা-গ্রন্থে লিখে-  
“বেলায়েত দ্বারা তাউহিদ পরিপূর্ণ হয়।তা ছেড়ে দিলে মূল ভিত্তি ধ্বংস হয়,বেশিরভাগ সূত্রে তাই প্রকাশিত। যে এর বিরোধিতা করল সে মুশরিক।বেলায়েতের উপরে যে ইলাহ সন্তুষ্ট না,সে আল্লাহ্‌ তায়ালা না!” 
[আল-আ’লাম আল-লাম’আত,পৃষ্ঠা ১৬০] (অনুরূপঃ বিহারুল আনওয়ার, ৯৯-১৩৮) 
  
✧বিখ্যাত শিয়া-ধর্মগুরু নিয়ামাতুল্লাহ আল জাযায়েরী লিখে- 
“সকল বিবরণী হতে নিশ্চিতঃ আমরা(রাফেযীরা) নবী,ইমামের ব্যাপারে তাদের(আহলে সুন্নাহ)এর সাথে একমত হতে পারিনা!তারা(আহলে সুন্নাহ্‌) বলে তাদের রব-যিনি মুহাম্মদ(সা)কে নবী বানিয়েছেন,এরপরে খলিফা আবু বকর।আমরা(রাফেযীরা)এমন রব ও নবীর কথা বলিনা!বরং আমরা বলি-যেই রব নবীর পড়ে আবু বকরকে খলিফা বানায় সেই রব আমাদের রব না,সেই নবী আমাদের নবী না!” 
[আনওয়ার আন নুমানিয়া,পৃষ্ঠা ১৯১(খণ্ড ২)]   

নাঊযুবিল্লাহ!শিয়া-কাফেররা তাদের উদ্ভাবিত বেলায়েত-মতবাদকে শুধু দ্বীনের শর্ত বানিয়ে ক্ষান্ত হয়নি,তা আল্লাহ্‌ পাকের উপরেও আরোপিত করেছে!!

✧ সূরা ফাতহঃ আয়াত ২ এর ব্যাখ্যা- “আল্লাহ্‌ শিয়াদের পাপ বহন করেন ও তা ক্ষমা করেন” [মাজমু’আ বায়ান ফি তাফসিরুল কুরআন, ১৪১/৯]
✧ ‘হাসান ও হুসাইন আল্লাহ্‌র আরশের সৌন্দর্য বহন করবেন, যেভাবে কানের দুল মহিলাদের সৌন্দর্য বর্ধন করে’ [আমালি আস-সাদুক, পৃ ৯০]
✧ “... হুসাইন(আ) এর জন্য সর্বপ্রথম মর্সিয়া(মাতম-সঙ্গীত) গেয়েছিল, এর শোকে ফেরেশ্তা,আরশ-কুরসিকে কাঁদিয়েছিল যে সে হল আল্লাহ্‌ তায়ালা” [ইকসির আল ইবাদাত,২৪২/১]

∞ ☢   দাবিকৃত ইমামদের কবর-পূজাকে কেন্দ্র করে যাতে ব্যবসা জমানো যায়,সেজন্য কবর-পূজা,তাওয়াফ,সিজদার পক্ষে রিওয়ায়াত রচনা করা হয়েছেঃ- 
✧  প্রখ্যাত শিয়া-ধর্মযাজক নূরী তাবরিসি এর কিতাবে লেখা- 
(হা-১২০৩৯): যে ব্যক্তি আশুরা,আরাফা এর দিনে হুসাইন বিন আলী(আ) এর কবর যিয়ারত করল, সে যেন আরশে আল্লাহ্‌কে যিয়ারত করল।
[মুসতাদরাক আল ওয়াসায়েল, পৃষ্ঠা ২৯২(খণ্ড ১০)] 
✧ কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করে কবরে সিজদা করতে আদেশ দেয় শিয়া-ধর্মের কিতাব 
শিয়াদের “সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস” বাকের মাজলিসি কিতাবে লিখেছে-
“..অতপর,কবরের ব্যাপারে স্পষ্ট করলেনঃকবরটি কিবলার দিকে না হলেও কবরকে (কিবলা হিসেবে) নেয়া আবশ্যক।এই ব্যাপারে তিনি আল্লাহ তায়ালার কালাম দিয়ে দলীল পেশ করলেন যে, (তিনি বলেন)-‘তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহর দিক(বিরাজমান )’[সূরা বাকারাঃ১১৫] “ 
[বিহারুল আনওয়ার,পৃষ্ঠা ৩৬৯(খণ্ড ১০১)]  

✧ “এক ব্যক্তি আবু আবদুল্লাহ(আ) এর কাছে এসে বলল-আপনার কাছে এসেছি কিন্তু আমিরূল মু’মিনীন[আলী](আ)’কে যিয়ারত করিনি।তিনি বললেন,খুব খারাপ কাজ করেছে,তুমি আমাদের দল(শিয়া) না হলে তোমার দিকে চেয়ে দেখতাম না!আল্লাহ্‌ ফেরেশ্তাদের নিয়ে যার যিয়ারত করেন এবং যার যিয়ারত করেন নবী ও মু’মিনগণ,তুমি কি তার যিয়ারত করতে পারলেনা?!” 
[ফুরু আল কাফি,পৃষ্ঠা ৫৭৭(২য় খণ্ড)]    

∞ ☢   নানাবিধ শিরকি দুয়া ও আহলে বাইতের নামে সালাত- ইত্যাদির মাধ্যমে গাইরুল্লাহ্ এর কাছে চাওয়ার রীতি আছে ইমামি শিয়া ধর্মে।যেমন- 
✧ “ইয়া মুহাম্মদ, ইয়া আলী, ইয়া আলী, ইয়া মুহাম্মদ, আমাকে সাহায্য করুন। কারণ আপনারাই পরিত্রাণকারী। এবং সাহায্য করুন, কারণ আপনারা উভয়ই সাহায্য ও রক্ষা করেন। হে জীবন্ত ইমাম, মুক্তি দিন, মুক্তি দিন, মুক্তি দিন.. ” 
[মুসতাদরাক আল ওয়াসায়েল ৩১০/৬, আল মাযার আল-কাবির ৫৯১ পৃ, ফারজাল মাহমুম, ৭১পৃ] 
এখানে শিয়া ধর্মের প্রধান প্রধান কিতাব থেকে চুম্বক অংশ তুলে দেয়া হল। ইমামি-মতবাদের ভিত্তিতে রচিত ইহুদিজাত শিয়া ধর্ম আল্লাহ্‌র সাথে শিরক, হুলুল(আল্লাহ্‌র সাথে মিশিয়ে ফেলা),তাশাব্বুহ, আল্লাহ্‌ ব্যতীত দাবিকৃত ইমামদের কাছে চাওয়া- ইত্যাদি কুৎসিত আকিদার আস্তাকুড়। যার সৃষ্টি ও বিকাশ সাহাবা,প্রকৃত মুসলিমদের জাহান্নামী সাব্যস্ত করা এবং আহলে বাইতের নাম ভাঙ্গিয়ে  ইহুদি,মাজুস,মুশরিক,যিন্দীকদের রচিত আকিদা প্রচার করা।  

~ The Rafidologist

মন্তব্যসমূহ

এই সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

ডাউনলোড করুন মাকতাবায়ে শামেলা লেটেস্ট ভার্শন (মোবাইল এবং পিসির জন্য)

রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)

ইসতিখারার সুন্নত তরিকা + pdf