পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারীদের চাকুরী করার ব্যপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

প্রশ্নঃ আসসালামুআলাইকুম। আমি একজন সরকারি চাকরীজীবী। অল্প কিছুদিন হইছে আমার বিয়ে হইছে। আমার স্বামী আমাকে চাকরী করাবেন না। আমি ও ব্যক্তিগতভাবে মেয়েদের চাকরির পক্ষে না। তাই স্বামীর কথা মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নাই। বরং আমি আল্লাহর কাছে এমনই চাইতাম। কিন্তু আমার মা বাবা আমার চাকুরী ছাড়াতে চান না। এ ব্যাপারে তারা আমার উপর অসন্তুষ্ট। সবসময় কষ্ট পান। তাদের কোনো ছেলে সন্তান নাই। আমার পড়াশুনা, চাকরির জন্যে অনেক কষ্ট করছেন। এজন্যে এটা তারা মানতে পারছেন না৷ আমার বাবা আলিয়া মাদরাসার একজন সহকারী শিক্ষক। আমার প্রশ্ন হল, এমতাবস্থায় যদি আমি চাকরি ছেড়ে দেই আর তারা কষ্ট পেয়ে নিশ্বাস নেন আমাকে অভিশাপ দেন তাহলে সেটা আল্লাহর কাছে কতটুক গ্রহনযোগ্যতা পাবে? আমার কি করা উচিত? চাকরি ছাড়লে কি পিতামাতার হক নষ্ট করা হবে? মেয়েদের বিয়ের পড়ে পিতামাতার প্রতি কি কি হক আছে জানালে উপকৃত হতাম।

শিয়াদের ব্যাপারে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর বক্তব্য

বর্তমান শিয়াদের কুফরের  বিষয়টি একেবারে সুস্পষ্ট। প্রথম যুগের শিয়ারা তাদের আকীদা-বিশ্বাস গোপন করে রাখতো। তাদের কিতাবাদি আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের অনেক বড় বড় আলেম সরাসরি প্রত্যক্ষ করেননি। যার কারণে তারা ব্যাপকভাবে শিয়াদের কাফির বলতেন না।কিন্তু বর্তমানে তাদের কিতাবাদিগুলো প্রকাশ পেয়েছে এবং তাদের আকিদা  বিশ্বাসের বিষয়গুলোও মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এ যুগের আলিমগণ বর্তমান শিয়াদেরকে স্বাভাবিকভাবে কাফের বলেন।(দেখুন, ইমদাদুল ফাতাওয়াঃ৪/৫৮৬-৫৮৭)। তবে তাদের মধ্যে বিশেষভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দল যদি সরাসরি সুস্পষ্টভাবে এ সকল কুফরী আকিদার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যাসাপেক্ষে কিছুটা ভিন্ন বিধান রয়েছে। কিন্তু স্বাধারণভাবে তাদের ক্ষেত্রে আসল হুকুম হলো, তাদেরকে কাফির সাব্যস্ত করা(থানভী রহঃ-এর বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ)। আমাদের আকাবিরগণ তাদের বিভিন্ন লেখালেখিতে এ বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিশেষ করে ইউসুফ লুধিয়ানবীসহ (রহঃ) পাকিস্তানের অনেক আলিম শিয়াদের কুফরী বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরেছ...

ইসলামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিধান: একটি শরঈ বিশ্লেষণ

ইসলাম মানবকল্যাণে নিবেদিত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা জীবন রক্ষার্থে বৈধ পন্থায় সকল প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। তবে এ ক্ষেত্রে শরীয়তের সীমারেখা অতিক্রম করা যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সম্পর্কিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের তিনটি পদ্ধতি ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুইটি পদ্ধতি জায়েজ (বৈধ) এবং একটি নাজায়েজ (অবৈধ) হিসেবে বিবেচিত।   জায়েজ পদ্ধতিসমূহ:  ১. কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহার: মানবদেহের কোনো অঙ্গ যদি বিকল বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে চিকিৎসাশাস্ত্রে স্বীকৃত জড় পদার্থ (যেমন: ধাতু, প্লাস্টিক বা সিনথেটিক মেটেরিয়াল) দ্বারা তৈরি অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইসলামে অনুমোদিত।   ২. প্রাণীজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহার: মানবেতর প্রাণী (যেমন: গরু, ছাগল বা অন্যান্য হালাল প্রাণী) এর হাড়, চামড়া বা অন্য কোনো টিস্যু মানুষের দেহে স্থানান্তর করা জায়েজ, যতক্ষণ তা চিকিৎসাগতভাবে নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় হয়।   নাজায়েজ পদ্ধতি: ৩. মানবদেহ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন: এক ব্যক্তির দেহ থেকে অপর ব্যক্তির দেহে অঙ্গ স্থানান্তর করা ইসলামী শরীয়তে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যদিও ...