আবু বকর ও উমর (রা) এর উপর আরোপিত হাদিস ধ্বং‌স - জ্বালানোর অপবাদের জবাব

আবু বকর(রা) ও উমর(রা) এর নামে শিয়া-কাফের ও আহলে কুরআন গোষ্ঠিরা রাসূল(ﷺ)এর হাদিস ধ্বংস/জ্বালানোর অপবাদ দিয়ে থাকে- যে তাঁরা ২ খলিফা হাদিস বর্ণনা নিষিদ্ধ করেছেন, জ্বালিয়ে দিয়েছেন হাদিসের কপি ইত্যাদি। এবং হাস্যকর ব্যাপার হল এর জন্য তারা আবার আমাদের  মুসলিমদের(আহলে সুন্নাহর) হাদিসেরই রেফারেন্স দিতে চায়! 
হাদিস ধ্বংসের কাহিনীগুলো মূলত ড.আলী মাহদী,আল-জালালী ও আয়াতুল্লাত আলী আল কোরানী নামক শিয়া ধর্মগুরু, যাজকদের বই লেখা থেকে প্রচারিত। 
দেখে নেই কাফের-মুশরিকদের আনিত অভিযোগসমূহ-   

♔ আবু বকর(রা) :- 

আবু বকর(রা)এর ব্যাপারে হাদিস জ্বালানো/সীমতি করার বিষয়ে যে হাদিস ২টা আনা হয়- 
➊ ১. আয়শা(রা) থেকে বর্ণিতঃ আমার পিতা রাসূল(ﷺ) এর ৫০০ হাদিস সংগ্রহ করেন।তিনি এত নির্ঘুম,বেচঈন রাত কাটাচ্ছিলেন যে আমি দুঃখিত হলাম ও জিজ্ঞাসা করলাম-আপনি কি কোন সমস্যা অথবা খারাপ খবর পৌছার কারণে পেরেশান? সকালে তিনি হাদিসের সংগ্রহ আনতে বললেন যা আমার কাছে ছিল, এরপরে তিনি তা জ্বালিয়ে দিলেন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম,কেন জ্বালালেন?তিনি বললেন-“ভয় পেলাম যে, এই হাদিসের সংগ্রহ রেখে মারা যাব; যেখানে এমন ব্যক্তিকে বিশ্বস্ত মনে করেছি হয়ত সে তার বিপরীত। ফলে আমিও সেই মিথ্যার বর্ণনাকারী হব!” {তাযকিরাতুল হুফফায ১/৫; কানযুল উম্মাল ২৯৪৬০}
➋ ২. রাসূল(ﷺ) এর ওফাতের পরে আবু বকর(রা) লোকেদের জড়ো করে বলেন-“তোমরা রাসূলুল্লাহ(ﷺ) থেকে অনবরত হাদিস বর্ণনা করছো,তোমাদের পরবর্তীরা আরো বৈচিত্র্যে বর্ণনায় লিপ্ত হবে। অতএব,রাসূলুল্লাহ(ﷺ)থেকে তোমরা কোন হাদিস বর্ণনা করো না। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলো- আমাদের জন্য আল্লাহ্‌র কিতাবই মধ্যস্থতাকারী, এতে সকল হালাল-হারামের উল্লেখ আছে”  {তাযকিরাতুল হুফফায ১/২} 
১ নাম্বারে, ইমাম যাহাবী(র.)এই বর্ণনা লেখার পরে নিজেই উল্লেখ করেছেন যে এটা সহি নয়! 
আর ২ নাম্বারে “আবু মুলায়কা থেকে মুরসাল” হিসেবে উল্লেখ করা আছে। আবু মুলায়কা কখনোই আবু বকর(রা) থেকে সরাসরি শুনেন নাই।তাই এই বর্ণনা বিচ্ছিন্ন! 
শিয়া-ধর্মের লেখকরা চালাকি করে আগে পরের শব্দ/লাইন বাদ দিয়ে প্রচার করে থাকে! অথচ ইমাম যাহাবী(র)এর তাযকিরাতুল হুফফায কিতাবে এই বর্ণনা উল্লেখ করার পরেই মুরসাল হবার কথা উল্লেখে করেছেন। 
অজ্ঞ কেউ যদি এগুলাকে গ্রহণযোগ্য হিসাবে বিশ্বাসও করে,তারপরেও দেখবে যে এখানে হাদিস নিষিদ্ধ করার নির্দেশ/অভিপ্রায় নেই, শুধু ভেজালমুক্ত রাখা উদ্দেশ্য- এরপরেও এই ২টা বর্ণনার সংকলক যাহাবী(র) জানিয়ে দিয়েছেন যে এগুলা বাতিল। 
➧ স্বয়ং আবু বকর(রা) কর্তৃক হাদিস লেখার বর্ণনা- 
✍ আবু বকর(রা) আনাস(রা)কে বাহরাইনে পাঠানোর সময়ে তাঁকে যাকাতের বিস্তারিত বিধান-যা রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর নির্ধারিত আল্লাহ্‌র হুকুমে।এতে যাকাতের পরিমাণ ও পশুর ক্ষেতেরে যাকাতের নিসাব উল্লিখিত।
[বুখারী ১৩৭০; আবু দাঊদ ১৫৬৭; নাসাঈ ২৪৪৯ {কিতাবুয যাকাত}]   
✍  আমর বিন আস(রা)এর কাছে রাসূল(ﷺ)এর লিখিত নির্দেশ লিখে পাঠান,যাতে আনসারী সাহাবীদের মর্যাদা বর্ণনা ছিল। {তাবারানী(কাবির) ৫/১}  

♔ উমর(রা):-   

উমর(রা) এর হাদিস ধ্বংসের প্রসঙ্গে যেসকল বর্ণনা আনা হয় তা হলঃ-  
➊ ১. উরওয়া বিন যুবায়র(র) থেকে বর্ণিত, উমর(রা) এর যখন সুন্নাহ সংরক্ষণ এর ইচ্ছা হল;তিনি সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করলেন তখন সাহাবীরা তা লিখতে পরামর্শ দিলেন। ১ মাসব্যাপী উমর(রা) আল্লাহ্‌র কাছে সঠিক দিকনির্দেশনা চাইলেন। একদিন সকালে আল্লাহ্‌ তাঁকে দিশা দিলে, তিনি বললেন-“আমি পবিত্র সুন্নাহ লিখতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আমার এমন কিছু জাতির কথা স্মরণে আসল, যারা নিজেদের লেখা জিনিসের প্রতি নিবিষ্ট হওয়ায় আল্লাহ্‌র কিতাবকে অগ্রাহ্য করেছিল।আল্লাহ্‌র শপথ!আমি আল্লাহ্‌র কিতাব এর সাথে কিছুর হস্তক্ষেপ হতে দিব না” [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ২০৪৮৪] 
➋ ২. ইয়াহইয়া ইবনে জা’দাহ বর্ণিত- উমর বিন খাত্তাব(রা) সুন্নাত লিখানোর উদ্যোগ নেয়ার পরে নিজের মত পরিবর্তন করেন এবং সকল অঞ্চলে এই নির্দেশ পাঠান যে- সুন্নাহ যা লেখা হয়েছিল তা যেন মুছে ফেলা হয়।[আবু খায়সামা,কিতাবুল ইলম পৃ ২৬]  
➌ ৩. কাসিম বিন মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর থেকে বর্ণিত- উমর(রা) এর কাছে যখন খবর পৌছাল যে,লোকেরা বই(লিখিত) রাখতে শুরু করেছে তিনি তা অপছন্দ করলেন ও বাতিল করলেন এই বলে-“হে লোকেরা!আমার কাছে খবর এসেছে যে তোমরা কিতাব রাখতে শুরু করেছ। আল্লাহ্‌র প্রিয় কিতাব(কুরআন) সরল ও সুন্দর।এখন আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি যে লেখা কিতাব আমার কাছে আন যাতে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি।” সকলে(সংশোধন করা হবে ভেবে) তাদের কিতাব তাঁর কাছে আনলে তিনি তাতে আগুন ধরিয়ে দিলেন ও বললেন “এগুলা আহলে কিতাব(ইহুদি-নাসারা)দের মিসনা এর ন্যায় ” [তাকয়্যিদুল ইলম পৃ ৫৪,তাবাকাত ১:১৪০] 
{মিসনা= ইহুদি-খ্রিস্টানদের যাজকরা নিজেরা আলাদা কিতাব লিখে দিত সেগুলাকে তারা মানত}
এখানে ১নং বর্জনীয় সনদ  কারণ তা বিচ্ছিন্ন। উরওয়া বিন যুবায়র(র) কখনোই উমর(রা) এর থেকে সরাসরি শুনেন নাই, তাঁর জন্ম ২৩ হিজরিতে। 
২নংও বিচ্ছিন্ন, কারণ ইয়াহইয়া ইবনে জা’দাহ এর থেকে সরাসরি হওয়া অসম্ভব, কারণ তিনি আবু দারদা(রা), আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ(রা) প্রমুখ সাহাবীদের থেকেও সরাসরি শুনেন নাই, সেখানে উমর(রা) তো তাঁদের থেকে আরো আগে মারা যান।{তাহযীবুল কামাল ২৫৪/৩১}
৩নং বাতিল,কারণ কাসিম বিন মুহাম্মদ ইবন আবু বকর- তার পক্ষেও উমর(রা)থেকে সরাসরি শুনা অসম্ভব(তাহযীবুল কামাল ৪২৭/২৩)।কাসিম বিন মুহাম্মদ জন্মগ্রহণ করেন উসমান(রা)এর সময়ের শেষ দিকে ।সুতরাং পরিষ্কার যে কারো পক্ষেই উমর(রা)এর থেকে সরাসরি শুনে বর্ণনা করা সম্ভব না। অতএব তাদের নামবিশিষ্ট এই সনদ/বর্ণনাগুলো বাতিল!
✑ উমর(রা)  কর্তৃক হাদিস লিখিত সংরক্ষণ এর দলিল- 
✍ উমর(রা) উতবা ইবনে ফারকাদকে লিখিত জানিয়েছিলেন যে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) রেশম পরিধান করতে নিষেধ করেছেন,২ আঙ্গুল পরিমাণ সীমা ব্যতীত। 
[বুখারী ৫৪১২; মুসলিম ৫২৩৯; নাসাঈ ৫৩১৪] 
✍ আব্দুর রহমান ইবনে আউফ(রা)এর থেকে রাসূল(ﷺ) এর নির্দেশ(হাদিস)শুনে উমর(রা) পারসিক অগ্নিপূজকদের থেকে জিযিয়া নেয়া শুরু করেন এবং তিনি লিখিত আকারে তা জা’য ইবন মুয়াবিয়া এর কাছে প্রেরণ করেন। 
[আবু দাঊদ ৩০৩৩,তিরমিযি ৩০৩৭] 
✍ উমর(রা)-এর কাছে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ(রা) চিঠি লিখে এক নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকার তার চাচার প্রাপ্তি বিষয়ে, তখন উমর(রা) জবাবে রাসূল(ﷺ)এর হাদিসের দ্বারা হুকুম দেন। [তিরমীযি ২১০৩- ফারায়েয অধ্যায়, ইবন মাজাহ ২৭৩৭]
উমর(রা) যার থেকে প্রায় ৫৩৭টি হাদিস বর্ণিত হয়েছে ,তাঁর বিরুদ্ধে হাদিস-বর্ণনা বিরোধিতার অপবাদও দিয়ে থাকে ইহুদিজাত শিয়া-কাফেররা।যেমন- 
✦ রাসূল(ﷺ)এর হাদিস অতিমাত্রায় বর্ণনা করার কারণে উমর(রা) তিনজন সাহাবীকে মদীনায় নিবদ্ধ করেন- আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ(রা),আবু দারদা(রা) ও আবু মাস’ঊদ আল-আনসারী(রা)। 
তাযকিরাতুল হুফফায ১:৭ পৃ- ছাড়াও মুস্তাদরাকে হাকিম, কানযুল উম্মাল ইত্যাদি একাধিক জায়গা থেকে বর্ণনা এনে থাকে শিয়া-যাজকরা। যদিও সনদ-সূত্র সেই একইঃ সা’দ বিন ইবরাহীম তার পিতা(ইবরাহীম বিন আব্দুর রহমান) হতে। 
সাহাবী আব্দুর রহমান ইবনে আউফ(রা)এর পুত্র ইবরাহীম বিন আব্দুর রহমান বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী। তবে তিনি উমর(রা) থেকে সরাসরি শুনেছেন কিনা তা নিশ্চিত না। ইকমাল তাহযিবুল কামাল(২৪৪/১)এ, আল হায়সামি সহ ঐতিহাসিকদের মত যে তিনি ২০,মতান্তরে ২১ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন।
সুতরাং উমর(রা)এর শাহাদাতের সময়ে তার বয়স সর্বোচ্চ ২/৩ হয়। এতে তার নামে প্রচলিত বর্ণনা নির্ভরযোগ্যতা হারায়! 
যাচাইবাছাই অগ্রাহ্য করেও যদি এগুলাকে গ্রহণযগ্য ধরা হয়, তাতেও দেখা যায় এতে হাদিস নিষিদ্ধ করা নয়,বরং অতিমাত্রায় হাদিস-বর্ণনায় মানুষের কাছে হাদিসের মান কমে যাওয়ার ভয়ে উক্ত সাহাবীত্রয়কে নিজের শহরে নজরদারিতে রাখা!  
আরো রিওয়ায়াত আছে, উমর(রা) কর্তৃক কারযা ইবনে কা’ব ও আবু হুরায়রা(রা)কে বেশি হাদিস বর্ণনা করতে মানা করা ও সতর্ক করা। 
সেগুলার কোনরকম যাচাইবাছাই ছাড়াই এটুকু পরিষ্কার যে- তা ছিল ভুলভ্রান্তি যেন না করে অধিক হারে বর্ণনা করতে গিয়ে।  
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক কিতাবের ২০৪৯৬ নাম্বার হাদিসও আনা হয়,অথচ তাতে উমর(রা) হাদিস বর্ণনা সীমিত করার উদ্দেশ্যে নয় বরং রাসূল(ﷺ) এর আমল/দৈনন্দিন কর্মের বর্ণনায় নিবন্ধ থাকতে বলেছেন।
উমর(রা) কে হীন করার উদ্দেশ্যেই শিয়া-মালাঊনরা আমাদের মুসলিমদের কিতাব থেকে একগুচ্ছ হাদিস রেফারেন্স দেয়,তার কিছু নিম্নরূপ-  
✦ মুয়ায ইবনে জাবাল(রা)এর পরামর্শে এক মহিলার শাস্তি রহিত রাখেন,পরে সে ব্যভিচারের দায় থেকে মুক্ত প্রমাণিত হয়।{বায়হাকী ১৫৫৮,সুনানে দারাকুতনী ৩৪০৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, কিতাবুল হুদুদ-১৫/৮৮} । 
কোন বর্ণনায় আলী(রা)এর পরামর্শে-যার থেকে “আলী না থাকলে উমর ধ্বংস হত” –উমর(রা)এর ঐ উক্তি আসে। 
✦ উবাই ইবনে কা’ব(রা) কাবার সম্পদ এর ক্ষেত্রে রাসূল(ﷺ)এর রেফারেন্স দ্বারা উমর(রা) এর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করান।
[কানযুল উম্মাল ৩৮০৫২;মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৯০৮৪]  
✦ আল দাহহাক ইবনে সুফিয়ান(রা) স্বামীর রক্তপণে বিধবার অংশ সম্পর্কে উমর(রা) এর সিদ্ধান্ত বদলান রাসূল(ﷺ)এর নির্দেশ এর রেফারেন্স দ্বারা।[ইবনে মাজাহ ২৬৪২;তিরমীযি ২১১০] 
✦ যায়েদ ইবনে সাবিত(রা)এর পরামর্শে অমুসলিম/জিম্মি হত্যার বদলের মুসলিম এর দণ্ড না দিয়ে মুক্তিপণ এর নির্দেশ দেন।[কানযুল উম্মাল ৪০২৪২; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ১৮৫০৯]
কোন রকম তাহকীক ছাড়া তুলে দেয়া হল,কিছু দুর্বল,বর্জনীয় বর্ণনাও থাকে এর মধ্যে বা সাহাবীর নামে পার্থক্য থাকলেও; সেগুলা প্রসঙ্গ আপাতত বাদ দিলাম।{আলী রা. এর ক্ষেত্রেও অনুরূপ কিছু হাদিস আছে।}
আশুরায় গরিলার মত মাথা চাপড়ানো শিয়া-কাফেররা বুদ্ধিভ্রষ্ট না হলে চিন্তা করত- উমর(রা) যদি রাসূল(ﷺ) এর বাণী/নির্দেশ তথা হাদিস এর বিরোধীই হতেন,তবে রাসূল(ﷺ) এর হাদিসের রেফারেন্স শুনে নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতেন না।
ভবিষ্যতে মুসলমানদের হাদিস কিতাব থেকে হাদিস রেফার করার আগে আবু বকর(রা) ও উমর(রা) এর মর্যাদা সম্পর্কিত রাসূল(ﷺ)এর হাদিসসমূহও পড়ে নেয়া উচিত শিয়া-মালাঊনদের!
সর্বোপরি, দুর্বল,বিরল রিওয়ায়েত এর উপরে ভিত্তি করে হাদিস ধ্বংসের কাহিনী রচনা করা শিয়া-ধর্মের গাঁজাখুরি থিউরির সাথে যায়,যেমতে-রাসূল(ﷺ)এর ওফাতের পরে একের পরে এক খিলাফত ছিনতাই হতে থাকে(সাহাবীরা নিশ্চুপ থাকেন) আর তারা এসে ইসলামকে ধ্বংস করে দিয়ে যায়!  
আল্লাহ্ আমাদেরকে সাবাঈ শিয়া-কাফেরদের ফেতনা থেকে রক্ষা করুন!


------------------ 
লিখেছেনঃ The Rafidologist

মন্তব্যসমূহ

এই সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

ডাউনলোড করুন মাকতাবায়ে শামেলা লেটেস্ট ভার্শন (মোবাইল এবং পিসির জন্য)

রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)

ইসতিখারার সুন্নত তরিকা + pdf