আহলে হাদীস আলেমদের কারামত, যা তারা সর্বদাই গোপন করে ; পর্ব ১-৫

আহলে হাদীস আলেমদের গোপন সব কেরামতি- ১
---

গাইরে মুকাল্লিদরা উলামায়ে হকের কিতাবাদী থেকে আউলিয়ায়ে কেরামগণের কারামত এবং কাশফের ঘটনা দেখিয়ে এটাকে উলামায়ে দেওবন্দের আকীদাহ হিসেবে প্রচার করে এবং আউলিয়ায়ে কেরামগণের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ করে। গাইরে মুকাল্লিদদের আলেমরা এ বিষয়ে বেশ কিছু পুস্তকও রচনা করেছে, বিশেষ করে ‘‘ফাযায়েলে আমল’’ এর বিরোধিতা করে। আমাদের কিতাবাদী থেকে কাশফের ঘটনা উল্লেখ করে, তা আমাদের আকীদাহ হিসেবে প্রচার করে এবং মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে বলে যে, আহলুস সুন্নাহ (দেওবন্দী) এবং কথিত আহলুস সুন্নাহ (বেরেলভী) দের আকীদাহ একই। অথচ যদি তাদের তো উচিত আমাদের আকাইদের কিতাবাদী থেকে দেখানো যে, আমাদের আকাইদের কিতাবাদীতে বলা হয়েছে যে, আউলিয়ায়ে কেরামরা ইলমে গাইবের অধিকারী কিংবা পীর-বুযুর্গরা মদদ (সাহায্য) করতে পারে; গায়েব জানে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এসব বাতিল আকাইদ আমাদের কিতাবাদীতে যেহেতু নেই, সেহেতু আউলিয়ায়ে কেরামগণের কারামত বা কাশফের ঘটনা বিষয়ক কিতাবাদী থেকে হাওয়ালা উল্লেখ করে আমাদের উপর অভিযোগ দায়ের করে এবং অপবাদ দেয় যে, আমাদের আকীদাহ বেরেলভীদের মতোই। এখন আমরা এই ভাইদের ঘরের খবর নেই একটু, এনাদের আলেমরা তাদের কিতাবাদীতে কি সব লিখেছে…
.
বেশির ভাগ গাইরে মুকাল্লিদীনদের ভিডিও, অডিও এবং বই-পুস্তকে দেখবেন এনারা অন্যদের কিতাবাদী থেকে অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে অথচ নিজেদের ঘরের খবর নেয় না। আজ পর্যন্ত কখনই আমরা খান্নাস মাতিউর মাদানি কিংবা আসাদুল্লাহিল গালিবের ভিডিওতে দেখিনি যে, তারা আহলে হাদীসদের কিতাবাদী থেকে কারামত এবং কাশফের ঘটনা উল্লেখ করেছে এবং তার রদ করেছে। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাদের নিয়ম হলো— ""নিজের 'নাকের ঘি'ও সুস্বাদু!""
.
এই ধারাবাহিক আলোচনায় আমরা গাইরে মুকাল্লিদদের কিতাব হতে আপনাদেরকে এমন কিছু দেখাবো, যা তারা সর্বদাই লুকিয়ে রাখে।
.
‘‘কারামতে আহলে হাদীস’’ নামক একটি কিতাব, যার লেখক মাওলানা আব্দুল মাজীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব। ‘‘ফাতাওয়ায়ে উলামায়ে আহলে হাদীস’’ কিতাবে উল্লেখ আছে যে, আব্দুল মাজিদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব আহলে হাদীসদের জামাতের একজন গ্রহণযোগ্য, কাবিলে কাদের ব্যক্তিত্ব। বিশিষ্ট আলেম ও খুবই ভালো একজন (হারবাল :D ) চিকিৎসক এবং সফল লেখক ছিলেন। সারাটা জীবন আহলে হাদীসের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। বেশ কিছু পত্রিকা প্রকাশ করতেন এবং নিজেই সম্পাদকের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন। অনেক কিতাবের রচয়িতা।’’— [ফাতাওয়ায়ে উলামায়ে আহলে হাদীস, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৭৯]
.
-স্ক্রিনশট
https://tahaffuzeahlesunnatpune.files.wordpress.com/2015/10/wpid-12105764_759834317462265_7066248180698983084_n2.jpg
.
আগামী পর্ব থেকে আমরা এই মহান আহলে হাদীস মনিষীর কিতাব হতে আপনাদের সামনে আহলে হাদীস শায়েখদের কিছু হৃস্পর্ষী ঘটনা উপস্থাপন করব ইনশাআল্লাহ.... 
সাথেই থাকুন....
#কারামাতে_আহলে_হাদীস
.
.

আহলে হাদীস আলেমদের গোপন সব কেরামতি- ২
---


কারামত নাম্বার ওয়ান- "এক নজরে!!"
.
একটি নজর গাঁজাখোর ফকিরকে বিরাট আলেম আর সুফি বানিয়ে দিল!!!
-
একদা আহলে হাদিসদের মুরব্বি মাও. আব্দুর রহিম সাহেবের নিকট এক গাঁজা-তাড়িখোর ফকির এলো। তার মাথায় জট ছিল, ইয়া বড় মোচ, হাতে বালা, গলায় মালা দিয়ে ভর্তি। সুন্নতের কোনো নাম নিশানা তার মাঝে ছিল না।
এসে বলল- মৌলবি সাব, কিছু ভিক্ষা দেন।
  আব্দুর রহিম সাহেব এক ছাত্রকে বললেন- ওকে ১ পয়সা দাও তো, ফকির তখন বললো- সাব ১ পয়সায় কী পাব? ভাং-ও পাবো না, গাঁজাও পাবো না। আপনার পক্ষ থেকে কিছু দেন। একথা শুনে মৌলবি সাহেব তার দিকে তাকালেন আর বললেন- আমার থেকেও কিছু নিবে? এমতাবস্থায় যেই না ফকিরটির সাথে মৌলবি সাহেবের চোখাচোখি হলো আর ফকিরটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লো, আর পড়েই অজ্ঞান হয়ে গেল :/ ছাত্ররা ফকিরকে ধরতে যাবে কি না; সে এমনভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল মনে হচ্ছিল ধড়ে কোনো প্রাণ নাই।
প্রায় ৩ ঘন্টা পর যখন তার জ্ঞান ফিরলো মাওলানা সাহেব বললেন- ভাই কি চাও বলতো? কি ভিক্ষা দিব তোমাকে? :( ফকির বললো- যা নেয়ার তা তো নিয়ে ফেলেছি!!! :D আপনি এখন আমাকে মুসলমান বানিয়ে দিন!!!
মাওলানা সাব তাকে তওবা পড়ালেন, নাপিত ডেকে মোচ চুল ছেটে দিলেন, সে গাঁজা-তাড়ি থেকে তওবা করলো এবং মাওলানা সাহেবের কাছে পড়াশোনা আরম্ভ করে দিল। অল্পদিনেই সে অনেক বড় আলেম এবং "সুফি" বনে গেল।  (ফাইজলামির একটা লিমিট থাকে -_- )  আর এরপর ১৮ বছর যাবত এই লোক মাওলানা সাহেবের খেদমতে ছিল।
(সুত্রঃ কারামত-ই আহলে হাদীস, পৃষ্ঠা-৬১,৬২,৬৩)
এখন এই ঘটনা যদি দেওবন্দিদের কোনো কিতাবে থাকতো, আর এই আব্দুর রহিম সাহেব যদি দেওবন্দী আলেম হতেন তবে হয়তো মতিউর রহমান মাদানি এবং তার মুরিদরা এটা দেখিয়ে বলতো- ""দেখসেন!!! দেওবন্দিরা তাদের আকাবিরদের নবীর চেয়ে বড় মনে করে, নবী সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো আবু জাহেল-এর দিকে কত শতবার তাকাইসেন তাও ব্যাটা হেদায়াত পায়নি আর দেওবন্দি হুজুরের কারামতে নাকি এক গাঞ্জাখোর বড় আলেম আর সুফী হয়ে গেল। এগুলাই তো হচ্ছে এদের শিরকি আকিদা!!!"" -_- 
কিন্তু এই কাহিনী এখন যেহেতু গাইরে মুকাল্লিদদের বইয়ে পাওয়া গেসে অতএব "কবি গুরু; নিরব তনু" 
.
যাই হোক! এত কিছুর পর এই বইয়েও কিন্তু গাইরে মুকাল্লিদ কোং আমাদেরকে খোঁচাইতে ছাড়েনি। এই বইয়ের সম্পাদকীয়তে লেখেছে- কারামত নবীগণ ব্যতীত অন্যদের থেকে প্রকাশ পেয়ে থাকে। এটা কোরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, যা অস্বীকার করা বৈধ নয়! এর একটু পর আমাদেরকে খোটা দিয়ে হুদাই কিছু বাকওয়াস করে। (পৃষ্ঠা ২৮)
++ দেখুন স্ক্রিনশটে....
https://tahaffuzeahlesunnatpune.files.wordpress.com/2015/10/wpid-12027332_759834314128932_6714896586727258641_o.jpg
.
(চলবে... ইনশাআল্লাহ)
....
#কারামাতে_আহলে_হাদীস
.
.

আহলে হাদীস আলেমদের গোপন সব কেরামতি- ৩
---
"আহলে হাদীস আলেমের ইলমে গায়েব!!"
----

মাওলানা আব্দুর রহমান সাহেব হজ্ব করার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। বোম্বে পৌঁছে জাহাজের টিকেট কিনলেন। জাহাজ যাওয়ার জন্যে প্রস্তুত, তখন তিনি বললেন, ‘‘এই জাহাজে যাওয়া যাবে না।’’ টিকেট ফেরত দিলেন। এক সপ্তাহ পর, আরেক জাহাজের টিকেট কাটা হলো। জাহাজ যাওয়ার জন্যে প্রস্তুত, ঠিক তখনই তিনি আবার বললেন, ‘‘এই জাহাজে যাওয়া যাবে না।’’ তার সহযাত্রী হয়রান হয়ে গেলেন! হযরত খামুখা সফরে বিলম্ব করাচ্ছেন। এই টিকেটও ফেরত দেওয়া হলো। পরবর্তীতে তৃতীয় আরেক জাহাজযোগে তারা জেদ্দা পৌঁছালেন।
পৌঁছে জানতে পারলেন, উক্ত দুই জাহাজে মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। সঊদী হুকুমত চল্লিশ দিনের জন্য জাহাজ দু’টির যাত্রা বাতিল করেছে। যদি তারা ঐ দুই জাহাজের কোনো এক জাহাজে রওনা দিতেন, তাহলে আরো চল্লিশ দিন পর জেদ্দা পৌঁছাতেন। 
এক ব্যক্তি মাওলানা সাহেবকে জিজ্ঞেস করলেন যে, ‘‘এই জাহাজদ্বয়ের ব্যাপারে আপনি পূর্বে থেকেই জানলেন কিভাবে?’’ তিনি বললেন, ‘‘আমার নিকট ইলহাম হয়েছিল।’' অর্থাৎ আল্লাহ উক্ত কথা আমার অন্তরে ঢেলে দিয়েছিলেন।
.
[কারামাতে আহলে হাদীস, পৃ. ৬৮]
মূল কিতাব থেকে পড়ে নিন
++ স্ক্রিনশট++
https://tahaffuzeahlesunnatpune.files.wordpress.com/2015/10/wpid-14227_760381534074210_1224069733613654268_n1.jpg
.
আশ্চর্যের কথা হলো, যারা কাশফ-ইলহামের ঘটনাকে ইলমে গাইব বলেন, সেই সকল লা-মাযহাবীদের আজ পর্যন্ত তাদের আলেমের এই ইলমে গাইবের ঘটনা কেন নজরে আসলো না? তাই আমি শিরোনাম লিখেছি, আহলে হাদীস আলেমের ইলমে গাইব’’। এটাতো প্রথম ঘটনা! আমার সংগ্রহে এমন ৩-৪টা ঘটনা আছে। এই ঘটনার টীকায় মাওলানা ইদরীস ফারূকী সাহেব লিখেছেন,
‘‘ইলহাম বলা হয়, আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে বিশেষ ইঙ্গিত। যা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের অন্তরে দান করেন। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত অবস্থা সম্পর্কে মাওলানা আব্দুর রহমান সাহেবের তো কোনো ইলম ছিল না। তার এই ইলম আল্লাহ তা‘আলার জানানোর মাধ্যমে এসেছে। আর ইলমে গাইব হলো তা, যা কারো জানানো ব্যতীত নিজে নিজেই জেনে যাওয়া। মূল কথা হলো, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া ইলমে গাইব কেউই জানে না।"
এরপর কোরআন শরিফের কিছু আয়াত উদ্ধৃত করার পর তিনি বলেন "এসব উল্লেখ করা এজন্য জরুরী মনে করলাম কারণ, অনেকে এই বিশ্বাস করে যে নবী কিবা আউলিয়াদের মাঝে অনেকে গায়েব জানেন। অথচ তাদের এই বিশ্বাস কোরআন হাদিসের সম্পূর্ণ বিরোধী। আর সহীহ আক্বীদা তো সেটাই যা কোরআনে বলা হয়েছে, 'জমিন-আসমানের কেউ আসলে গায়েবের খবর রাখে না, আর যারা যেটাই বলেছে সবকিছু আল্লাহ বলার কারনেই বলছে, এই (আলিমুল গাইব এর) মর্যাদা আর কারো প্রাপ্য নয়' এটা কোরআনী আক্বীদা। এতে কোনো নবী বা ওলী সম্মান ক্ষুণ্ণ হয় না। যারা বলে নবী আউলিয়াদের ইলমে গায়েব অস্বীকার করলে তাদের শানে বেয়াদবি হয়, এটা স্পষ্ট মিথ্যা কথা বলে।"
++ স্ক্রিনশট দেখুন  ++
https://tahaffuzeahlesunnatpune.files.wordpress.com/2015/10/wpid-12046833_760437737401923_1766395887093527713_n1.jpg
.
আমরাও আহলে হাদীসদের গুরু মাওলানা ইদ্রিস ফারুকী সাহেবের সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি, কিন্তু এই সময়ে যারা মতিউর রহমান মাদানি, তাউসিফুর রহমান, শহিদুল্লাহ খান মাদানী, আব্দুর রাজ্জাক আর মুজাফফর বিন মুহসিনের অন্ধ অনুসারী; তারা তো আউলিয়াদের কাশফের ঘটনাকে ইলমে গায়েব নামে চালিয়ে দিচ্ছে, আর প্রকৃত আমাদের আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের নামে অপবাদ রটনা করছে। সহি আকিদার মানদণ্ডে তাবলিগী নেসাব বইয়ে আমরা এর উদাহরণ দেখেছি। এবার আমরাও তাদের আলেমের কাশফের ঘটনাকে ইলমে গায়েব টাইটেল দিয়েছি।।
এবার কেমন মজা লাগলো?
.
#কারামাতে_আহলে_হাদীস
.
.

আহলে হাদীস আলেমদের গোপন সব কেরামতি- ৪

--


গাইরে মুকাল্লিদ আলেমের রুহানি শক্তি!!
...
গাইরে মুকাল্লিদ মাওলানা গোলাম নবী রব্বানী সাহেব বয়ান করছিলেন এই ঘটনাটি-
.
একবার মাওলানা হোসাইন আহমেদ বাটালভী সাহেব তার ইশা'আতুস সুন্নাহ পত্রিকায় মির্জা কাদিয়ানীকে চ্যালেঞ্জ করলেন যে, মির্জা যেন আমাদের আলেমদের সাথে রুহানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যদি আমরা হেরে যাই তবে মির্জা কাদিয়ানীর অনুসারী হয়ে যাব, আর যদি উনি হেরে যান তবে উনাকে নিজ দাবী (মাহদী/ঈসা আ. দাবি করা) থেকে সরে আসতে হবে। আর এই মুকাবলা দুজন পৃথক পৃথক যায়গায় বসে ৭দিন যাবত চলতে থাকবে।
কিন্তু মির্জা এতে বসতে অস্বীকৃতি জানালো। তখন আমি(গোলাম নবি রাব্বানি সাহেব) গিয়ে হোসাইন আহমেদ বাটালবী সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম হুজুর কে ওই সুফী দরবেশ? যার রুহানি শক্তির ওপর আপনার এত ভরসা!
বাটালবী সাহেব বললেন - সেই বুজুর্গ হচ্ছেন আমাদের আব্দুর রহমান লাখ্নভী, উনার রুহানি শক্তির ওপর আমাদের এতটাই আস্থা ছিল যে মির্জা যদি এই মুনাজারায় রাজি হয়ে যেত তবে আমি তখনি এর আয়োজন শুরু করে দিতাম।
(কারামত ই আহলে হাদীস, পৃ ৬৭-৬৮)
.
++স্ক্রিনশট দেখুন++
.
এখন এই কাহিনী যদি কোনো দেওবন্দিদের কিতাবে থাকতো তবে উনারা দেখিয়ে বলতেন "এসব রুহানি শক্তি কোনো সাহাবী বা নবীর ও তো ছিলনা, দেওবন্দিরা নিজ আলেমদের তো নবির চেয়ে বড় ভাবে। এসব দেওবন্দিদের শিরকি আকিদা!!! (আসলে শিরকি বিশ্বাস কাকে বলে তারা সেটাই জানে কিনা  সন্দেহ)
কিন্তু কী করি বলেন? এই ঘটনা তো খোদ হোসাইল আহমেদ বাটালবী সাহেবের!! যিনি আহলে হাদীস নাম বরাদ্দের জন্য রানী ভিট্টরিয়ার দরবারে দরখাস্ত করেছিলেন। আর ব্রিটিশদের খুশি করতে জিহাদের বিরুদ্ধে ফতওয়া লিখেছিলেন আল-ইকতিসাদ ফি মাসায়িলিল জিহাদ কিতাবে।। এই বইটাও কালেকশনে আছে। লাগবে?
.
#কারামাতে_আহলে_হাদীস
.
.

আহলে হাদীস আলেমদের গোপন সব কেরামতি- ৫
---

.
একটি নজর প্রাণের দুষমনকে দোস্ত বানিয়ে দিল
---
একবার মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেব ছাত্রদের নিয়ে নদীতে গোসল করতে আসলেন। নদীর অনতিদূরে একটা রাস্তা ছিল। সে তখন একটু দূর দিয়ে এলাকার জমিদার যাচ্ছিল।
জমিদারের নাম মাহমুদ, সে অনেক প্রভাবশালী ও অত্যাচারী ছিল। উনি আহলে হাদীসদের সাথে বিশেষ শত্রুতা পোষণ করতেন। আর মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেবকে সহ্য করতেই পারতেন না, তিনি বলতেন- মাওলানা আব্দুর রহিমকে যদি আমার এলাকায় পাই তবে আমি তাকে মেরেই ফেলবো।। কারণ সে এই এলাকায় ওহাবী মতবাদ ছড়াচ্ছে।
তো জমিদার সাহেব ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন মাওলানা সাহেব এক ছাত্রকে দিয়ে ডাক দেয়ালেন, ছাত্রটি ডাকলো- জমিদার সাহেব না?
- হাঁ, তো?
- আপনি না আব্দুর রহিম সাহেবকে খুঁজছিলেন? উনি এখানেই আছে। আসুন আপনার মনোবাসনা পুরণ করুন।
জমিদার এস ঘোড়া থেকে নামলো, এবং নেমে যেই না  আব্দুর রহিম সাহেবের সাথে চোখাচোখি হলো; সাথেসাথে পেট খামচে ধরে বসে পড়লো। আর বললো- হুজুর আমাকে মাফ করে দিন, আমার ভুল ছিল। আমি অপরাধ করে ফেলেছি, আপনার নামে অনেক কিছু বলেছি। এখন আমার ভুল শুধরিয়ে নিচ্ছি আর আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। মাওলানা বললো- যাও! নিজের অন্তর পবিত্র রাখবে, তাহলে আল্লাহ তোমাকে খুশি রাখবেন। জমিদার বললো- এখনি কোথায় যাবো হুজুর? আপনি হাত বাড়িয়ে দিন আর আমাকে আপনার "মুরিদ" বানিয়ে নিন। B)
তারপর সে খুব নামাজী, ইবাদতগুজার আর সুন্নাত এর পাবন্দ হয়ে গেল। এবং পরে তিনিও অনেক বড় বড় মানুষকে হেদায়াতের পথে আনেন, আর নিয়মিত মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেবের দরবারে আসা যাওয়া করতেন।
(কারামাত-ই-আহলে হাদীস, পৃষ্ঠা ৬৩-৬৪)
.
++ স্ক্রিনশট ++
https://tahaffuzeahlesunnatpune.files.wordpress.com/2015/10/wpid-12065664_760381450740885_4329946015474834256_n1.jpg
এই কিতাবের অন্যত্র লিখা আছে- "যারা অজ্ঞতা ও মুর্খতার কারনে এটি প্রসিদ্ধ করে ফেলেছে যে আহলে হাদীসদের মাঝে না কোনো ওলী আছে আর না কোনো কারামত ওয়ালা তারা যেন আইভরি টাওয়ার থেকে নেমে এসে চোখ থেকে রঙিন চশমা খুলে দেখে আর এই বইটি পড়ে দেখে। আর এই বই মনযোগ দিয়ে পড়ার পর আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন উনাদের মন্তব্য ঠিক কি না!!
- কা. আ. হা. ৩৭
++স্ক্রিনশট ++
https://tahaffuzeahlesunnatpune.files.wordpress.com/2015/10/wpid-12141759_760381367407560_7037780158272334826_n1.jpg
.
---
চলবে ইনশাআল্লাহ...
#কারামাতে_আহলে_হাদীস

এই সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

ডাউনলোড করুন মাকতাবায়ে শামেলা লেটেস্ট ভার্শন (মোবাইল এবং পিসির জন্য)

রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)

ইসতিখারার সুন্নত তরিকা + pdf