পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সহীহ ইসলামী আক্বীদার ভিত্তি কী?

শরীয়তের মৌলিক দলিল চারটি। ১.কুরআন। ২.সুন্নাহ। ৩.ইজমা। ৪.কিয়াস। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত এই চার মূলনীতি অনুসরণ করে। মুসলিম উম্মাহের ইজমা যে কোন যুগেই হতে পারে। সাহাবীদের ইজমা, তাবেয়ীগণের ইজমা কিংবা পরবর্তী যুগের আলেমদের ইজমাও শরীয়তের দলিল। এই চার মূলনীতির বাইরে শরীয়তের অন্য কোন দলিল নেই। সালাফদের ব্যক্তিগত মতামত শরীয়তের পৃথক কোন দলিল নয়। বিষয়টা এমন নয় যে, সালাফদের যে কেউ যাই বলুক, সেটাই শরীয়তের দলিল হয়ে যাবে। তবে কোন বিষয়ে সালাফদের মধ্যে যদি ইজমা হয়, তাহলে সেটা শরীয়তের দলিল হবে। নতুবা এটা সাধারণ বক্তব্য হিসেবে ধর্তব্য হবে। সালাফদের মধ্যে যারা ইজতিহাদের যোগ্য ছিলেন, তাদের কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইজতিহাদ শরীয়তের দলিল বলে গণ্য হবে। মুজতাহিদের ইজতিহাদ সব যুগেই শরীয়তের দলিল। এটা শুধু সালাফদের সাথেই নির্দিষ্ট নয়। সালাফদের যুগ অবশ্যই উত্তম যুগ ছিলো। এটা রাসূল স. এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। একইভাবে সালাফদের ইলম,তাকওয়া, যুহদ অবশ্যই অতুলনীয়। ইবনে রজব হাম্বলী রহ. তাদের ইলমের ফজীলতের বিষয়ে পৃথক কিতাব লিখেছেন। ফাজলু ইলমিস সালাফ আলাল খালাফ। কিন্তু তাদের প্রত্যেকের সকল বক্তব্য শরীয়তের দলিল হ

ইমাম তিরমিযী যখন জাহমিয়া (!)

ইমাম তিরমিজী রহ. এর তাবীল সম্পর্কে ইবনে তাইমিয়া রহ ও তার ছাত্রের মূল্যায়ন: ----- ইমাম তিরমিজী রহ. তিরমিজি শরীফের ৩২৯৮ নং হাদীসে একটি দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করেছেন। হাদীসটির মান নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। আমাদের আলোচনা সেটি নয়। হাদীস উল্লেখ করে ইমাম তিরমিজী রহ. হাদীসের একটি তাবীল বা ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছেন। সেই তাবীল সম্পর্কে ইবনে তাইমিয়া রহ. ও তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বিশেষ মন্তব্য করেছেন। আমরা এখানে তাদের মন্তব্য দু'টি আলোচনা করবো। প্রথমে হাদীসের শেষ অংশটি দেখা যাক। রাসূল স. বলেছেন, والذي نفس محمد بيده لو أنكم دليتم رجلا بحبل إلى الأرض السفلى لهبط على الله সেই মহান সত্ত্বার শপথ, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, তোমরা যদি কাউকে দড়ি দিয়ে ভূপৃষ্ঠের তলদেশে নামিয়ে দাও, তাহলে সে আল্লাহর কাছে গিয়ে উপনীত হবে। ইমাম তিরমিজী রহ. এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, فسر بعض أهل العلم هذا الحديث فقالوا‏:‏ إنما هبط على علم الله وقدرته وسلطانه‏.‏ আলেমগণ এই হাদীসের ব্যাখ্যা করেছেন। তারা বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আল্লাহর ইলম, কুদরত ও ক্ষমতার কাছে উপনীত হবে। অর্থাত হাদীসে রয়েছে জমিনের তলদেশে গেলেও সেখান

ঘুণে ধরা সহিহ আকিদা; ভিত্তি যখন যুক্তি!

'সহীহ আক্বীদায়' ঘুন পোঁকা প্রবেশ করলে সেটা 'তথাকথিত সহীহ আক্বীদা'য় পরিনত হয়। তখন দলিল বিহীন বিকৃত আক্বিদা আর ঠুনকো যুক্তিকেই সহীহ আক্বিদা হিসেবে চালানো হয়। একটি উদাহারণ দেই। আমি এক গায়রে মুকাল্লিদ ভাইকে প্রশ্ন করলাম -  "কবর থেকে হাত বের হওয়ার ঘটনার ব্যাপারে আপনাদের আপত্তি কোথায় ??? আক্বিদায় নাকি সনদে ??????" তিনি জবাবে বললেন - "আক্বীদায় , সনদে। কারণ যদি হাত বের হত তাহলে আবু বকর উমর উসমান আলি যে কোন সাহাবীদের (রা:) আজমাইনদের বেলায় অবশ্যই ঘটত। সুতরাং তাদের বেলায় রাসুল সা হাত বের করেন নি আর কারো বেলায় হবে তা মিথ্যা। আমরা অনুমান করে একটা বিষয় দিয়ে আরেকটা যুগ করতে চাই না। বিশেষ করে আক্বীদার ক্ষেত্রে।" ওয়াও, সেরাম আক্বিদার বিস্ফরণ!!!! মূলত কারামাত বা মুজেজার ব্যাপারে ইসলামি আক্বিদা কি এটাই আমাদের এ ভায়েরা জানেন না। কারামত একমাত্র আল্লাহর ক্ষমতা ও ইচ্ছায় সংঘঠিত হয়। এতে বান্দার ক্ষমতা ও ইচ্ছার কোন প্রভাব নেই। আল্লাহ কখন কার মাধ্যমে কোন কারামতের প্রকাশ ঘটাবেন তিনিই ভালো জানেন। এক্ষেত্রে বান্দা শুধুমাত্র উপলক্ষ। আল্লাহ তায়ালা চাইলে অধিক মর্যাদাপূর্ণ ব

তোমরা যারা চে গুয়েভারাকে আদর্শ মানো...

ছবি
আজকাল অনেক মুসলিম ভাইকে কমিউনিজমের পক্ষে কথা বলতে দেখা যায়। নিজেকে গর্বভরে কমিউনিজমের কর্মী হিসেবে পরিচয়ে দিয়ে থাকেন অনেকেই আবার নিজেকের বেশ শক্তভাবেই মুসলমান দাবি করে থাকে। পুরো ব্যাপারটিই আসলে সাংঘর্ষিক। কমিউনিজম আসলে সব ধর্মের বিরুদ্ধেই একটা যুদ্ধ। এর অগ্রভাবে রয়েছে ইসলাম ধর্ম। তবে ইহুদী ধর্মের ব্যাপার ভিন্ন ... ধর্মের ব্যাপারে কমিউনিজম ধারার আদর্শ বক্তব্যগুলো দেখা যেতে পারে ... কাল মার্কস বলেছেন, “ধর্ম জাতির জন্য আফিম। আল্লাহ মানব জাতিকে ‍সৃষ্টি করেননি, বরং মানুষই আল্লাহকে সৃষ্টি করেছেন” লেলিন বলেন, “ধর্ম হলো রূপকথা ও অজ্ঞতাবিলাস।” যুবকদের তৃতীয় সম্মেলনে লেনিন বলেছিলেন, “আমরা কোন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। আমরা ভালোভাবেই জানি যে গির্জার প্রভুরা, সামন্তবাদীরা এবং ‍বুর্জোয়া শ্রেণী কেবল সুবিধাভোগের উদ্দেশ্যেই আমাদের ঈশ্বর বলে সম্বোধন করে থাকে।” স্ট্যালিন 1937 সালে বলেছেন, “এটা বোধগম্য হওয়া উচিত যে, ধর্ম হলো কল্পকাহিনী, আল্লাহর চিন্তা কুসংস্কার এবং নাস্তিকতাই আমাদের ধর্ম।” রাশিয়ার রাজনৈতিক সংবাদপত্রে প্রাভদা ঘোষণা করেছে, “আমরা তিনটি বিষয় বিশ্বাস করি : কার্ল মার্কস, লেনিন