পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুপারিশের প্রতীক্ষা

বাজার থেকে ফিরছিলাম। সাথে আমার ফুফাতো ভাইসহ আরো কয়েকজন লোক ছিলেন। তারা কথায় কথায় বললেন, মাসউদ থাকতে অতো চিন্তা কী! সে যখন জান্নাতে যাবে তখন কি আর আমাদের না নিয়ে যাবে? শুনেছি একজন হাফেজ নাকি অনেকজনকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে সুপারিশ করার মাধ্যমে। একজনের এমন কথায় অন্যরাও দেখলাম সায় দিল। মাথা দুলিয়ে নিজেদের সহমতের কথা জানান দিল। আমি শুনছিলাম আর মুচকি মুচকি হাসছিলাম। উনার কথা শেষ হবার পরে বললাম, আপনার কথার ভেতর ছোট একটা বাক্য ছুটে গেছে। সবাই এবার একযোগে আমার দিকে তাকালো। কী সেটা? বললাম, সেটা হল, যদি হাফেজ নিজে জান্নাতে যেতে পারে তাহলে। মানে সে নিজে যদি আগে জান্নাতে যেতে পারে তখন হয়তো আল্লাহ তাআলা তাকে সুযোগ দিবেন কিছু মানুষের ব্যাপারে সুপারিশ করতে। কিন্তু আগে তো হাফেজের নিজেকে জান্নাতে যেতে হবে। এখন আমি যে জান্নাতে যাবো তার নিশ্চয়তা কী? আমার পাল্টা জবাব শুনে এবার তারা কিছুটা থতমত খেয়ে গেল। বললো, এভাবে তো কেউ বলে না। সবাই বলে, একজন কুরআনে হাফেজ এতোজনকে জান্নাতে নিয়ে যাবেন। আসলেও আমাদের সমাজে সুপারিশ নিয়ে এক ধরণের ভ্রান্তি আছে মানুষের ভেতর। অনেক মা-বাবা আগেভাগে নিয়ত করে রাখে ছেলেকে মাদর

হারাম সম্পদ ও তার কুফল

আল্লাহ তা'আলা বলেছেন- يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا ۖ إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ হে রাসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার করুন ও সৎকাজ করুনন। নিশ্চয় আমি আপনাদের কর্মতৎপরতা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। (সূরা মু'মিমুন-৫১) এই আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা নেক আমল এর আদেশ করছেন। হালাল রিজকও একটি আমল। তবুও সেটাকে আলাদা করে, এবং নেক আমল এর পূর্বে উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কুরআনের বাক্য বিন্যাসের তাৎপর্য আছে। নেক আমলের পূর্বেই হালাল খাদ্যের কথা বলা হয়েছে এর গুরুত্ব বোঝাতে। কারণ আমল এর কবুলিয়াত ও রুহানিয়াত হাসেল হওয়ার জন্যে রুটিরুজি হালাল হওয়া জরুরী। শরীরে যদি হারাম খাবার প্রবেশ করে, তাহলে দিল মরে যায়। নেক আমলের স্বাদ পাওয়া যায় না। হারাম মালের একটা অন্যতম কুফল হচ্ছে, হেদায়েত অন্তরে প্রবেশ করে না। আমালে সালেহা বিস্বাদ লাগে। সদুপদেশ তিক্ত লাগে। আল্লাহ তায়ালা এক আয়াতে এদিকে ইংগিত করেছেন। كَلَّاۖ بَلْۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ কখনও না, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের হৃদয়ে মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে। (আল-মুতাফ্‌ফিফীন ৮৩:১৪) হারাম অর্থের এই কুফল

জুমুআর দিন দুইটি আযান নিয়ে কথিত আহলে হাদীসদের বিভ্রান্তি হতে সাবধান

- সামীউর রহমান শামীম শুরু করছি, শায়েখ ইবনে উসাইমিন (রহ.)’র একটি বক্তব্য দিয়ে। শায়েখ বলেন, ﻓﺎﺳﺘﻤﺮﻭﺍ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﺃﻧﺘﻢ ﻋﻠﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻷﺫﺍﻧﻴﻦ ، ﻭﻻ ﺗﺨﺘﻠﻔﻮﺍ ﻓﺘﺨﺘﻠﻒ ﻗﻠﻮﺑﻜﻢ অর্থাৎ ‘‘অতএব দুইটি আযান দেয়া চালু রাখুন। আর নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’’ . আমরা জানি যে, জুমুআর দিন মোট দুইটি আযান দেয়া হয়। যথা— ১। প্রথম আযান এবং ২। ইমাম যখন মিম্বরে খুতবার জন্য বসেন তখন আযান দেয়া হয়, যেটি দ্বিতীয় আযান। তৃতীয় আরেকটি আযান দেয়া হয়, যেটি ইকামত। অর্থাৎ আযান দুইটি আর একটি ইকামত। . কিন্তু জুমুআর প্রথম আযানকে বিদআত বলার দুঃসাহস দেখায় কথিত আহলে হাদীস, লা-মাযহাবীরা। লা-মাযহাবী আলেম মুযাফফর বিন মুহসিন সাহেব তার বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত ‘জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত’ নামক পুস্তিকায় (পৃ. ৩৪৫) জুমুআর সালাতের জন্য দুই আযান দেয়াকে ভুল আখ্যা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, . ‘‘জুম‘আর ছালাতের জন্য দুই আযান দেওয়ার যে প্রথা সমাজে প্রচলিত আছে তা সুন্নাত সম্মত নয়। জুম‘আর আযান হবে একটি ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য যখন মিম্বরে বসবেন, তখন মুয়াযযিন আযান দিবে।……’’ [জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত, দ্বাদ