পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারীদের লিপস্টিক ব্যবহার সংক্রান্ত দুটি মাসায়েল

প্রশ্নঃ নারীদের ঠোঁটে লিপিস্টিক দেওয়ার বিধান কি? উত্তরঃ লিপিস্টিকের উপাদানে যদি হারাম বা নাজায়েয কোন উপাদান ও পদার্থের অস্তিত্ব না থাকে তাহলে নারীদের ঠোঁটে লিপিস্টিক লাগানোতে কোন সমস্যা নেই। উল্লেখ্য যে, লিপিস্টিক সাধারণত ওয়াটারপ্রুফ হওয়ায় ঠোঁটে এক প্রকার প্রলেপ ও আবরণ পরে, ফলে তা ওজু ও গোসলের সময় ঐ অংশে পানি পৌছার প্রতিবন্ধক হয়। সেক্ষেত্রে লিপিস্টিক না মুছে ওজু ও ফরজ গোসল করলে তা আদায় হবেনা।  তবে যেসকল হালাল উপাদানে তৈরিকৃত লিপিস্টিক ওয়াটারপ্রুফ ও পানি পৌছার প্রতিবন্ধক  হয়না তাতে ওজু ও গোসল সহিহ হবে। [রদ্দুল মুহতার ১/২৮৮-২৮৯; আল মুদাওয়ানাহ ১/১২৪; হাওয়াশী তুহফাতুল মিনহাজ ১/১৮৭; কাশশাফুল ক্বিনা ১/৯৯; ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ(অনলাইন)- ৫৭৫৫০; কিতাবুল ফাতাওয়া, খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানী ৬/৫৮-৫৯; ফতোয়ায়ে বিন্নূরটাউন (অনলাইন)- ১৪৪০০৪২০১১৬১] ২) লিপিস্টিকে এলকোহল বা এনিমেল ফ্যাট ব্যবহৃত হলে তার বিধান কি? উত্তরঃ ক) চর্বির ক্ষেত্রে যদি হালাল পশুর চর্বি এতে ব্যবহৃত হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু হারাম পশুর চর্বি এতে ব্যবহৃত হলে এবং সেই উপাদানের অংশ লিপিস্টিকের অস্তিত্বে বিদ্যমান থাকলে উক্ত লিপিস্

মাইকে মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করার বিধান কী?

প্রশ্ন: জনৈক আলেম তিরমিযী শরীফে বর্ণিত- إِيّاكُمْ وَالنّعْيَ، فَإِنّ النّعْيَ مِنْ عَمَلِ الجَاهِلِيّةِ. ‘মৃত্যু-সংবাদ উচ্চস্বরে প্রচার থেকে বিরত থাক’- হাদীসটিসহ অনেক সাহাবী তাদের মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করেছেন মর্মের হাদীসগুলো দিয়ে মৃত্যু সংবাদ উচ্চস্বরে বা মাইকে প্রচার করতে নিষেধ করেন। আর বুখারীতে বর্ণিত বাদশাহ নাজাশীর মৃত্যুর খবর নবীজী দিয়েছিলেন- হাদীসটি তিনি সাধারণভাবে ফোনে বা মৌখিকভাবে আত্মীয়-স্বজনকে জানানোর উপর প্রয়োগ করেন। সত্যি কি মৃত্যু-সংবাদ উচ্চস্বরে বলা বা মাইকিং করা নিষেধ? তিরমিযীতে বর্ণিত হাদীস এবং সাহাবীদের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত আছার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর: মাইয়্যেতের জানাযায় অধিক সংখ্যক মুসল্লীর উপস্থিতি শরীয়তে কাম্য। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- مَا مِنْ مَيِّتٍ تُصَلِّي عَلَيْهِ أُمّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ مِائَةً، كُلّهُمْ يَشْفَعُونَ لَهُ، إِلاّ شُفِّعُوا فِيهِ. কোনো মাইয়্যেতের জানাযার নামায একশ জন মুসলমান পড়ল, যারা সকলে তার মাগফিরাতের জন্য শাফাআত করে তবে তাদের এ শাফাআত অবশ্যই কবুল করা হবে। -সহী

ইসতিখারার সুন্নত তরিকা + pdf

ছবি
মূলঃ আল্লামা মুফতি তাকি উসমানি অনুবাদঃ আলী হাসান উসামা  হামদ এবং সালাতের পর… قال   عبد   الله   بن   عمر  :  إن   الرجل   ليستخير   الله   فيختار   له   ،   فيسخط   على   ربه   ،   فلا   يلبث   أن   ينظر   في   العاقبة   فإذا   هو   قد   خار   له হাদিসটির উদ্দেশ্য উপরিউক্ত বর্ণনাটি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. এর উক্তি। [1]  তিনি বলছেন, অনেক সময় মানুষ আল্লাহ তাআলার কাছে ইসতিখারা করে— আমার জন্য যে বিষয়টি কল্যাণকর, তা-ই যেনো হয়। তখন আল্লাহ তাআলা তার জন্য সে বিষয়ের ফায়সালা করেন, যা তার জন্য কল্যাণকর। বাহ্যদৃষ্টিতে অনেক সময় বান্দার কাছে ফায়সালাকৃত বিষয়টির কল্যাণ ও যথার্থতা বোধগম্য হয় না। তখন সেই বান্দা নিজ প্রতিপালকের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। সে তখন মন্তব্য করে বসে, আমি তো আল্লাহকে এ কথা বলেছিলাম যে, আমার জন্য কল্যাণকর বিষয় স্থির করে দিন। এখন নসিবে যা জুটলো, তা তো আমার কাছে ভালো মনে হচ্ছে না। উপরন্তু এতে তো আমার জন্য আরো কষ্ট এবং পেরেশানি। এরপর কিছুকাল পরে যখন পরিণতি সামনে আসে, তখন তার বোধগম্য হয় যে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য যে ফায়সালা করেছিলেন, সেটাই তার ক্ষেত্রে উত্তম এবং কল্যাণকর ছিল

শিয়াদের ব্যাপারে উলামায়ে ইসলাম এর রায়

ছবি
শিয়া-রাফেযী সম্পর্কে অজ্ঞ ও মডারেট মুনাফিকদের মুখে আজকাল শিয়াদের শিখানো বুলি শুনা যায় ❝শিয়া-বিদ্বেষ আসলে সৌদির চাল,ওহাবী❞ ইত্যাদি! কিন্তু ইসলাম এর প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে তাবেয়ী,হাদিসের হাফিয-বিশ্লেষণকারী, ফকীহ, মুফাসসির  ও উলামা- যারা ১৭০০-১৮০০ সালের আগে দ্বীনের খিদমত করেছেন, শিয়াদের ব্যাপারে তাঁদের ফয়সালা/রায় শুনে নিলে সব পরিষ্কার হয়ে যায়! যে, কিভাবে ইমামত,সাবাঈ-মতবাদ,দ্বীনের ক্ষেত্রে মিথ্যাচার-জালিয়াতি,আল্লাহ্‌র সাথে শিরক ইত্যাদি কারণে তাঁরা শিয়াদের কাফের সাব্যস্ত করে উম্মাহকে সতর্ক করেছেন!  বর্তমান শিয়াদের ৯০% ইমামি, অর্থাৎ আকিদা-আমল এর ক্ষেত্রে  রাফেযী, এরা জাতিগত কাফের।এরপরেও একশ্রেণীর অন্ধ,নিফাকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চোখ-কান বন্ধ করে চিৎকার করে যায় ❝সব শিয়া রাফেযী না, কাফের না❞ ইত্যাদি প্রলাপ। বস্তুত, রাফেযী বাছতে গেলে শিয়া উজার।এমনকি গর্বের সাথে ‘রাফেযী/রাফিদ’ নাম রাখা ও নিজেদের জন্য ব্যবহারের অহরহ প্রচলন দেখা যায়! হাদিস এর গবেষক ইমামগণ তাফযিলি/রাজনৈতিক শিয়াদের ক্ষেত্রেই ❝শিয়াগ্রস্থ❞ বলে তাদের বর্ণনা নজরদারীতে রেখেছেন এবং যারা বর্তমান শিয়াদের মত আকিদাধারী তাদের ক্

উলামায়ে ইসলাম এর ব্যাপারে শিয়া ধর্মের রায়

ছবি
২৩ হিজরিতে পারস্যের অগ্নিপূজক আবু লুলু’র ছুরিকাঘাত এবং ৩৪ হিজরিতে ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা’র বিদ্রোহের পটভূমিতে জন্ম নেয় ইমামি শিয়া ধর্ম। সাবাঈ আকিদার বিপরীতে থাকা বেশিরভাগ সাহাবায়ে কেরামকে গালি,তাকফির ইত্যাদির জন্য;  এবং ছদ্মবেশ ধারণ করতে অল্প ক’জন সাহাবী,আহলে বাইতের ভালবাসার অভিনয়ের জন্য শিয়া ধর্ম পরিচিত।  শুধুমাত্র সাহাবাগণ(রা)ই না, তাকিয়া’র মুখোশের আড়ালে প্রকৃত মুসলিম তথা আহলে সুন্নাহ ওয়ালা জামাআতের সমগ্র উম্মত,ফকিহ ইমাম,মুহাদ্দিস,মুফাসসির এবং উলামাদের ব্যাপারে শিয়া-রাফেজী ধর্মের রায় হল- তারা নাসিবী অর্থাৎ আহলে বাইত-বিদ্বেষী,জাহান্নামী,কাফের, হত্যা ও জানমাল লুট করা বৈধ!  ইসলামের উসুল হল- কেউ আহলে বাইতের প্রতি শত্রুতা রাখলে যেমন- হুসাইন(রা)এর হত্যাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করলে,আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ রাখলে সে নাসিবী।  কিন্তু সাবাঈ শিয়া ধর্মে আহলে বাইতকে ভালবাসা’র কোন মূল্য নেই। ইহুদিদের থেকে আমদানি করা ইমাম-থিউরি না মানলে, আলী(রা)কে আল্লাহ্‌র ন্যায় মান্য না করলে ও আহলে বাইতকে আল্লাহ্‌র গুণে গুণান্বিত না করলে সে নাসিবী। যিন্দীক-মুশরিক-পেশাদার মিথ্যাজীবিদের দ্বারা আহলে বাইতের

হাদিসে কিরতাস বা কাগজের ঘটনা প্রসঙ্গে শিয়া কাফেরদের অপবাদের জবাব

ছবি
সহি বুখারী ও মুসলিম এর একাধিক হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রা) থেকে বর্ণিত রাসূল(ﷺ)এর ওফাতের পূর্বের ঘটনা নিয়ে শিয়া-ধর্মাবলম্বীরা প্রশ্ন তুলে থাকে ও উমর(রা)এর উপরে অপবাদ দিয়ে থাকে। যেটিকে বৃহস্পতিবারের ঘটনা বা কাগজের ঘটনা/হাদিসে কিরতাস বলা হয়। হাদিসে বর্ণিত ঘটনা নিম্নরূপ-  “রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর অফাতের সময় যখন নিকটবর্তী হল এবং ঘরে ছিল লোকের সমাবেশ,তখন নবী(ﷺ)বললেন,তোমরা আস,আমি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দেই,যেন তোমরা পরবর্তীতে পথভ্রষ্ট না হও।তখন ঘরে থাকা লোকেদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল।এরপরে কিছু লোক বললেন,নবী(ﷺ) এর অবস্থা কি? তিনি কি বিচ্ছিন্ন হলেন,জিজ্ঞেস করে নাও তাঁকে।উমর(রা) বললেন,রাসূল(ﷺ)এর রোগ যন্ত্রণা প্রবল হয়েছে।আমাদের কাছে কিতাবুল্লাহ(কুরআন) আছে,তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর কাছে যখন তাদের কথা কাটাকাটী বৃদ্ধি পায় তখন তিনি(ﷺ) বললেন,তোমরা উঠে যাও,আমার সামনে বাকবিতণ্ডা করো না।বর্ণনাকারী উবায়দুল্লাহ(র) বলেন,এরপর থেকে ইবন আব্বাস(রা)আক্ষেপ করে বলতেন,বিপদ কত বড় বিপদ!রাসূলুল্লাহ(ﷺ) ও তাদের জন্য সেই কিতাব লিখে দেয়ার মাঝখানে তাদের মতবিরোধ ও ঝগড়া যে অন্তরায় হয়ে পড়ল।” [সহি বুখারী ১১৫,কিতাব

সাবাঈ শিয়া-রাফেযী ধর্মের বিবর্তন ও শাখাপ্রশাখাসমূহ

ছবি
ইসলামের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়ার সাহস না থাকায়,ইসলামের ভিতরে ছদ্মবেশ নিয়ে অবস্থান করে ভাঙন,দল-উপদল সৃষ্টি ও ইসলামের মৌলিক বিষয়কে বিকৃত করে বিনষ্ট করার অভিযান শুরু হয় উসমান(রা)এর শাসনামলে সাবাঈ ছুপা ইহুদিদের নেতৃত্বে বিদ্রোহের মাধ্যমে। তাঁকে হত্যার পরে বিদ্রোহীদের এক বড় অংশ আলী(রা)এর হাতে বাইয়্যাত দিয়ে নিজেদেরকে আলী-প্রেমী দাবি করতে থাকে, কিন্তু তখনো “আহলে বাইতের শিয়া” ইত্যাদি নামে দল খোলা হয়নি সেরকমভাবে, অথবা আহলে বাইতের নামে মিথ্যা হাদিস রচনার জালিয়াতি অতটা গতি পায়নি।  আলী(রা)এর খিলাফতকালে মুয়াবিয়া(রা)এর সাথে বিরোধের সময়ে, সাহাবাদের কেউ আলী(রা)এর পক্ষে আবার অনেকে মুয়াবিয়া(রা)এর পক্ষে অবস্থান নেন। এই পরিস্থিতিকে সাবাঈরা বিভেদ সৃষ্টির মোক্ষম সময় বিবেচনা করে। তারা মুয়াবিয়া(রা)কে নয়, সেই পিছনে ফিরে আবু বকর(রা),উমর(রা) এর খিলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, আলী(রা) এর ইমামত,অসিয়্যাত-ইত্যাদি নানাবিধ মিথ্যা দাবি তুলে এবং তাদের অনেকে আলী(রা)কে রব দাবি করে। সাবাঈরা এই সময়ে বিশেষভাবে নিজেদের ‘আলীর শিয়া’ পরিচয় দিতে শুরু করে এবং আলী(রা)কে সকলের শ্রেষ্ঠ দাবি করে। যে ক’জন সাহাবা জীবিত ছিলেন তারা অনেকে ইজতিহাদ ক

ইমামত আকিদায় শিরক-কুফর এর সম্ভার

ছবি
সুপ্ত ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা এর উদ্ভাবিত ইমামত তত্বের উপরে ভিত্তি করে আস্ত শিয়া মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে যা পারতপক্ষে প্রকৃত ইসলাম এর উসুল বিপরীত। কেউ ১২ ইমাম,কেউ এখনো ইমাম বানিয়ে যাচ্ছে! “আহলে বাইত এর ইমাম,ওয়ালি,ওয়াসি-ফরয” দাবির নামে শিয়া-রাফেযীরা যে আস্ত ধর্ম বানিয়ে নিয়েছে, তাতে জঘন্য শিরকি ইমামি-আকিদার অবদানঃ- ∞ ☢  সর্বাগ্রে, এই ইমামত এর আকিদা আল্লাহ্‌র নামে মিথ্যাচার। আর আল্লাহ্‌র রাসূল(সা) এর বাণিকে টেনেহিচড়ে কাল্পনিক,অযৌক্তিক ব্যাখ্যা করা। উসমান(রা)কে হত্যার পরে, ইসলামে অস্তিত্বহীন জিনিসের উপরে ভিত্তি করে ইহুদিজাত সাবাঈরা এমন আকিদা আবিষ্কার করে যা দিয়ে সাহাবায়ে কিরামকে তাকফির করা যায়, মুসলিম জাতিকে খণ্ডিত করার জঘন্য কাজ আঞ্জাম দেয়া যায়।  এবং এরি সিলসিলায় রাসূল(সা) এর সুন্নাহকে বর্জন করে ১২/১৪ ইমাম এর মতবাদ টিকিয়ে রাখতে শত শত বছরে আহলে বাইত এর নামে মিথ্যা বক্তব্য, সাহাবা কর্তৃক আহলে বাইতের উপরে নির্যাতন-কিচ্ছা ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো হয়েছে। যেহেতু আলী(রা) আবু বকর(রা), উমর(রা) ও উসমান(রা) এর খিলাফত নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছেন , সেহেতু শিয়া-কাফেরদের এই মিথ্যা বেলায়েত-দাবির মাধ্যম