পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারীদের ঘরের বাহিরে বের হওয়ার বিষয়ে শরঈ বিধান

প্রশ্নঃ নারীদের অযথা ঘরের বাহিরে বের হওয়ার বিষয়ে শরঈ বিধান কি? উত্তরঃ অযথা মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়া সমীচীন নয়। বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে নারীরা ঘরে বসে যিকির-আযকার,  সাংসারিক কাজ ও অন্যান্য ইবাদাতে লিপ্ত থাকলে অনেক বেশি সাওয়াব পাবে। আর যখন কোন বিশেষ প্রয়োজনে বের হবে তখন অবশ্যই পুরুষ আকর্ষিত হয় এমন সাজসজ্জা করে বের হবেনা, বরং সাধারণ বোরক্বা বা পর্দা পড়ে বের হতে হবে। আর সর্বদা রাণীর মত স্ব-গৃহে অবস্থান করবে। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা বলেন- وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَىٰ ۖ وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ  'এবং তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান কর, আর পূর্বেকার জাহিলী যুগের মত সাজসজ্জা করে বের হবেনা। সালাত ক্বায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য কর।' [সূরা আহযাবঃ৩৩] .  ইমাম ইবনু কাসীর রহঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তার তাফসীরে বলেন- أي : الزمن بيوتكن فلا تخرجن لغير حاجة ومن الحوائج الشرعية... অর্থাৎ, আপন ঘর সমূহকে নিজেদের জন্য আবশ্যক স্থান বানাও, এবং কোন শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত ঘর থে

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বীদা সাব্যস্তে মুতাকাদ্দিমীন ও মুতাআখখিরীন উলামাদের পার্থক্য কেন?

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের জমহুর সালাফগন ইলমে কালাম পন্থী তথা আক্বল ও যুক্তি দিয়ে দিয়ে আক্বীদাহ সাব্যস্ত কারীদের বেশ কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। আসলে সালাফুস সালেহীন (রহিমাহুমুল্লাহ) দের সমালোচনার আন্দায ও কার সমালোচনা করছেন এটি অনেকের কাছে স্পষ্ট হয়না। অনেকে আবার গুলিয়ে ফেলে যে, উক্ত সমালোচনাটি মূলত আশআরী ও মাতূরীদি আক্বীদাহ পোষণ কারী আলেমদেরকেই করা হচ্ছে। যেখানে অনেক সালাফগনদের সময় আশআরী ও মাতূরীদি নামক কোন ফিরকাই ছিলনা।  এক আলেম সাহেব তো লিখেও ফেলেছেন- ইমাম শাফেয়ী রহঃ আশআরীদের ভ্রান্ত বলেছেন!!! অথচ ইমাম শাফেয়ীর সময় এই দলের কোন অস্তিত্বই ছিলনা! এই জন্য কিছু ওজাহাত করা জরুরী মনে করে এই বিষয়ে কিছু লিখছি।  এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সালাফদের অধিকাংশ আলেমগন ইলমে কালাম ও যুক্তি দিয়ে দ্বীন বুঝা ও বুঝানোকে কঠিনভাবে সমালোচনা করেছেন। কেননা অধিকাংশ বাতিল ফিরক্বাহর আক্বীদাগত পদস্খলন ও বিচ্যুতি ঘটেছে নিজের আক্বল প্রসূত জ্ঞান ও দর্শনের মাধ্যমে কুরআন ও সুন্নাহ বুঝতে গিয়ে। এই জন্যে মুতাকাদ্দিমীন উলামাগন এর চরম বিরোধী ছিলেন। আক্বল পূজারী ও যুক্তিবাদীদের অসার যুক্তির কবলে যখন সাধারণ মানুষ ভ্রান্ত আক্বীদাহ

মুসলিমদের ঈমান আক্বীদাহর ভয়ংকর ভাবে হরণ করছে কোয়ান্টাম মেথড

দ্বীনের মধ্যে ধর্মের নামে দিন দিন বহু ফিতনাহ ও ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। একটা শেষ হতে না হতেই আরেকটা শুরু হয়, উলামায়ে উম্মত যুগে যুগে এসব ফিতনাহ অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছেন,  ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবেন। সাধারণ মুসলমানদের উচিৎ প্রতি সালাতের পর আলেমদের জন্য দুয়া করা,কেননা তাদের কারনেই সঠিক দ্বীন ও আক্বীদাহ এখনও আমাদের মাঝে অক্ষত আছে আল্লাহ তাদের মাধ্যমে একে জিইয়ে রেখেছেন। তাদের অক্লান্ত মেহনতের দাম আমরা না দিতে পারলেও আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা অবশ্যই দিবেন। দেশীয় বিভিন্ন ভ্রান্ত ফিরক্বাহর মাঝে অন্যতম একটি কোয়ান্টাম মেথডের ফিতনাহ।  . মেডিটেশন ও ধ্যানমগ্নতার নামে কোয়ান্টাম মেথড ব্যতিক্রমধর্মী মেডিটেশনের কথা বলছে। মেডিটেশনের উৎপত্তি হয়েছিল মানসিক ও শারীরিক রোগ মুক্তির লক্ষে অথচ কোয়ান্টাম মেথড রোগ নিরাময়ের গন্ডি থেকে বেরিয়ে জীবনের সর্বক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। রোগ নিরাময়ের বিশ্বাসের স্থানে তারা মুক্ত বিশ্বাস নামে বিভিন্ন ধরণের কুফরী আকীদার প্রচার শুরু করেছে। কোয়ান্টাম মেথডের প্রধান গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক প্রথমে জ্যোতিষী ছিলেন। তিনিই কোয়ান্টাম মেথডের