পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সহীহ বোখারীও কি স্বপ্নের কিতাব!???

ছবি
- শায়েখ হাসান মুহাম্মদ জামিল ১ . মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল ইমাম বোখারী রা. তুখোড় মেধাবী, ঈর্ষণীয় স্মরণশক্তির অধিকারী এক যুবক। হাদীস মুখস্ত করা ছিলো যার নেশা। লক্ষ লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করেছেন দেশ-বিদেশ সফর করে। যাঁর হাদীস সংগ্রহে জীবনযুদ্ধে নেমেছিলেন সেই মহান হযরাতকেই দেখলেন একদিন স্বপ্নে। হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুয়ে আছেন, তাঁর গায়ে অবাঞ্চিত মাছি এসে বসতে চাচ্ছে, সেগুলো তাড়ানোর মহান খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন ইমাম বোখারী রা.! স্বপ্নে কেউ রাসূলকে (সা.) দেখলে সে রাসূলকেই(সা.) দেখে, কারণ শয়তান রাসূলের (সা.) রূপ ধারণ করতে পারে না। ইমাম বোখারীর স্বপ্নও তাই সঠিক ছিলো। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ইমাম ছুটলেন উস্তাদের কাছে, কপালে চিন্তার রেখা; হায় কী দেখলাম!? উস্তাদে মুহতারাম মহান ছাত্রের স্বপ্ন শুনে যারপরনাই আনন্দিত, কারণ এ স্বপ্ন সাধারণ স্বপ্ন নয়; ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারন হয়েছে এ স্বপ্নে! এ যে চরম সৌভাগ্যের স্বপ্ন! নিজ ছাত্রের স্বাপ্নিক ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবহ স্বপ্ন! উস্তাদ ব্যাখ্যা দিলেন; রাসূলের (সা.) নামে চালিয়ে দেওয়া জাল হাদীস হচ্ছে সেই মাছি, যা সহীহ হাদীসের সাথে মিশ

একজন কাফন চোরের কাহিনী

এক কাফন চোরের কাহিনী ============= আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তার কাছে একবার এক লোক এসে বলল- হে আমীরুল মূমিনীন, আমি তো জঘন্য গোনাহ করি, আমার কি মাফ আছে?? আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান (রহঃ) বললেন-আল্লাহ সকল বান্দার-ই তওবা কবুল করেন আর গোনাহ মাফ করে থাকেন।। সে বলল- ও আমীরুল মূমিনীন!! আমি কবর থেকে কাফন চুরি করতাম।। আমি অত্যন্ত আজব আজব ঘটনা দেখেছি!! ১. একবার আমি এক কবর খুড়ে দেখলাম মৃত ব্যক্তির মুখ কিবলার দিক থেকে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দেয়া।। আমি ভয় পেয়ে কবর থেকে বেরিয়ে আসলে গায়েব থেকে আওয়াজ হল- "মৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস কর কেন তার মুখ কিবলা থেকে উল্টিয়ে দেয়া হয়েছে!!" আমি লাশকে প্রশ্ন করলাম- "তোমার চেহারা কিবলা থেকে উল্টিয়ে রাখার কারণ কী??" ঐ মৃত লাশ উত্তর দিল- এই যুবক নামায নিয়ে অবহেলা করতো।।যারা নামায নিয়ে অবহেলা করে তাদের শাস্তি এই।। ২. আমি আরেকটি কবর খুড়ে দেখি কবরে লাশের বদলে একটি শূকর বাঁধা আছে!! আমি ভয় পেয়ে বেরিয়ে আসলে গায়েব থেকে আওয়াজ হল- "তুমি কি জানতে চাও এই লোকের কাজ কি ছিল??" আমি জানতে চাইলাম "কি??" গায়েব থেকে আওয়াজ হল- স

ইমাম শাফেয়ীর মত কি বুকে হাত বাঁধা?

আল হেদায়া কিতাবের বক্তব্য নিয়ে লা-মাযহাবীদের মাতামাতি…! ইমাম শাফেয়ীর মত কি বুকে হাত বাঁধা? . —সামীউর রহমান শামীম . কিছু লা-মাযহাবী, তথাকথিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা নামাযে বুকে হাত বাঁধতে হবে এ বিষয়ে ইমাম শাফেয়ী (রহ.)'র বক্তব্য উল্লেখ করতে গিয়ে ফিকহে হানাফীর কিতাব ‘‘আল হিদায়া শরহুল বিদায়াতুল মুবতাদী’’ কিতাবের বাংলা অনুবাদ হতে একটি বক্তব্য উল্লেখ করছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইমাম শাফেয়ী (রহ.)'র মত ছিল বুকে হাত বাঁধা। এ বিষয়টি খুব জোর-শোরের সাথে তারা প্রচার করছে। এর কিছু জবাব দেয়া মুনাসেব মনে হলো। তাই জাবাব লিখলাম। . আল হিদায়া শরহুল বিদায়াতুল মুবতাদী কিতাবে, গ্রন্থাকার ইমাম আল মারগীনানী (রহ.) লিখেছেন, . ﻭﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻮﺿﻊ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺪﺭ . অর্থাৎ ‘‘…এটা আমাদের (হানাফীদের) পক্ষে ইমাম শাফেয়ী (রহ.)'র বুকে হাত রাখার মতের বিপরীতে দলীল।’’ . [আল হিদায়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩১৪; প্রকাশনায়ঃ ইদারাতুল কুরআন ওয়া উলূম আল ইসলাম; প্রথম সংস্করণঃ ১৪১৭ হি.] . এটি আল হিদায়া কিতাবের বক্তব্য। লা-মাযহাবী, কথিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা যেহেতু বাংলা মুজতাহিদ, বাংলা মুফতী ও বাংলা মুহাদ্দিস তাই তাদের ক্ষমত

কুরআনে টাই? নাকি কুরআনের নাম নিয়ে মিথ্যাচার?

কুরআনে টাই? নাকি কুরআনের নাম নিয়ে মিথ্যাচার? টাইয়ের বিষয়ে সঠিক অবস্থান ও আরবের উলামায়ে কেরামগণের মতামতঃ . —সামীউর রহমান শামীম . আফসোস! বড়ই আফসোস! যতই দিন যাচ্ছে আমরা বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হচ্ছি। অথচ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ-এর বৈশিষ্ট্য হলো, মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। লা-মাযহাবী, গাইরে মুকাল্লিদ শায়খ মুফতী কাজী মুহাম্মাদ ইবরাহীম সাহেব। দীর্ঘদিন যাবত তাঁকে আমি চিনি। বর্তমানে যারা কাজী ইবরাহীম সাহেবের অতি অন্ধভক্ত, তাদের অনেকের অনেক আগে একসময় আমি তাঁর ভক্ত ছিলাম। প্রায় ৬ বছর যাবত তাঁকে আমি চিনি। ৬ বছরের বেশি হবে কম নয়। অনেক কিছু তাঁর থেকে জেনেছি, শিখেছি। . সম্প্রতি তিনি টাই (Tie) নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। সম্প্রতিকালে দেখা যাচ্ছে, তিনি অনেক অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। পূর্বে কিন্তু তিনি এমন বক্তব্য দিতেন না। তখন তিনি বেশ সংযত হয়েই কথা বলতেন। ইদানিং কেন এমন করছেন, জানি না। . তাঁর বক্তব্য, বিশ্লেষণ ও সেটির জবাব দেয়ার আগে টাই সম্পর্কে আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দেইঃ . টাই (Tie) সম্পর্কে আমার বক্তব্য হলো, শাইখুল ইসলাম হযরত মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী (হ

ইসলামী গল্পঃ কসমের বিভ্রাট

একবার ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী কসম করে বললঃ "তোমার সাথে কথা নাই।। যদি আমি আগে তোমার সাথে কথা বলি তাইলে তুমি (স্ত্রী) তালাক।।" শুনে স্ত্রী-ও সমান তেজে স্বামীকে বললঃ "ও, তাই!! আচ্ছা আমি যদি আগে তোমার সাথে কথা বলি তাহলে সব দাস-দাসী আযাদ।।" এখন ২জনেই উভয় সংকটে।। কেউ কারো সাথে কথা বলে না, সংসারের ১২টা বাজে প্রায়।। স্বামী তার স্ত্রীকে অত্যন্ত ভালোবাসে, তাই সে কোন ভাবেই কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।। আর স্ত্রী-ও কথা বলবে না কারণ সব দাস-দাসী আযাদ হয়ে যাবে, বিশাল ক্ষতি।। অবস্থা বেগতিক দেখে, সে তখন ইরাকের বড় বড় আলেমদের কাছে গেল, সবাই বলল এক-ই কথা।। স্বামী আগে কথা বললে তালাক হবেই, স্ত্রী আগে কথা বললে ঐ গোলাম আযাদ হবেই।। পরে ঐ স্বামী ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর নাম শুনতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।। ঘটনা বিস্তারিত বললেন।। ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) বললেন- "যাও গিয়ে কথা বল, স্ত্রী তালাক হবে না!!" লোকটিতো চলে গেল।। কিন্তু ঈমাম সাহেবের ছাত্ররা তাজ্জব হয়ে গেল।। তৎকালীন সকল ফক্বীহ এসে বলাবলি শুরু করল- "আপনি আপনার ফতোয়াকে কীভাবে কুরআন ও সুন্নাহের বিপক্ষে দাড় করালেন!! আপনা

সহীহ হাদিসের আলোকে ঈদের নামাযের তাকবীর সংখ্যা (১)

হাদীসঃ তাবেঈ কূরদুস বর্ণনা করেন, তাবেঈ ওয়ালীদ লোক পাঠালেন- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা), হযরত হুযাইফা (রা), হযরত আবু মাসউদ বদরী (রা) এবং হযরত আবু মুসা আল আশ'আরী (রা) এই (৪জন) সাহাবীর কাছে।। জানতে চাইলেন, "মুসলিম জাতির ঈদ আসন্ন, নামাযের নিয়ম কী হবে??" তখন সকল সাহাবী ঐ দূতকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) কে জিজ্ঞেস করতে বললেন।। ঐ দূতের প্রশ্নের উত্তরে, ইবনে মাসউদ (রা) বললেন- "নামাযে দাঁড়িয়ে ৪ তাকবীর দিবে (তাকবীরে তাহরীমা + অতিরিক্ত ৩ তাকবীর), এরপর সূরা ফাতিহা সহ অন্য আরেকটি সূরা পড়বে।। এরপর রূকুর তাকবীর দিয়ে রূকু করবে, এভাবে প্রথম রাকাতে মোট ৫ তাকবীর হবে।। এরপর (২য় রাকাতে) সূরা ফাতিহা এবং অন্য আরেকটি সূরা পড়বে, ৪টি তাকবীর দিবে (অতিরিক্ত ৩ + রূকুর তাকবীর), শেষ (৪র্থ নম্বর) তাকবীরটি দিয়ে রূকুতে যাবে।। এভাবে মোট ৯টি তাকবীর হল উভয় ঈদের নামাযের নিয়ম।।" উপস্থিত সাহাবীদের কেউ-ই এই মতের সাথে দ্বিমত করেন নি।। ------------------- তথ্যসূত্রঃ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাঈবা- ৫৭৫৪।। মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক- ৫৬৮৫।। কিতাবুল আসার, ঈমাম মুহাম্মদ (রহঃ)- ২০৫ পৃষ্ঠা।। কিতা

রাসুলুল্লাহ সা. এর বর্ম এবং খাদ্য দ্বারা ফিতরা আদায়..

- হাদীসঃ হযরত আনাস বিন মালেক (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর একটি বর্ম এক ইহুদির নিকট বন্ধক ছিল, শেষ জীবন পর্যন্ত তা ছাড়ানোর মত পয়সা তার হাতে ছিল না।। ---------------------------- - সুত্রঃ মুসনাদ এ আবু ইয়ালা- ৪০১৫।। জামে উস সাগীর- ৯০৭০।। মু'জামুল কাবীর, ত্বাবারানি- ৭৩৪৩।। সিলসিলা সাহীহা, আলবানি- ২১২৯।। ---------------------------- হাদিসটির সনদ সহ আরবি ইবারতঃ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻭَﺍﺻِﻞُ ﺑْﻦُ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻷَﻋْﻠَﻰ ﺍﻟْﻜُﻮﻓِﻲُّ، ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﻓُﻀَﻴْﻞٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻷَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲِ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻳُﺪْﻋَﻰ ﺇِﻟَﻰ ﺧُﺒْﺰِ ﺍﻟﺸَّﻌِﻴﺮِ، ﻭَﺍﻹِﻫَﺎﻟَﺔِ ﺍﻟﺴَّﻨِﺨَﺔِ، ﻓَﻴُﺠِﻴﺐُ ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﺩِﺭْﻉٌ ﻋِﻨْﺪَ ﻳَﻬُﻮﺩِﻱٍّ، ﻓَﻤَﺎ ﻭَﺟَﺪَ ﻣَﺎ ﻳَﻔُﻜُّﻬَﺎ ﺣَﺘَّﻰ ﻣَﺎﺕَ ---------------------------- - আলোচনাঃ ফিক্বহে হানাফীর, "অর্থ দ্বারা ফিতরা আদায়" সংক্রান্ত মাসায়েলকে ঘায়েল করার জন্য, সবচেয়ে চালু কথা হল "নবীজীর (সঃ) তো দিনার-দিরহাম সব-ই ছিল।। তিনি তো অর্থ দ্বারা ফিতরা আদায় করেন নি।।" এটা হল, সাধারণ মানুষের কম জানার সুয