পোস্টগুলি

মে, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাযহাব বিষয়ে ইমাম আবু হানিফার উক্তি নিয়ে ধোঁকাবাজির জবাব..

  প্রশ্নঃ ইমাম আবু হানিফার এই উক্তিগুলোর ব্যাপারে আপনারা কি বলেন? ১- যখন ছহীহ হাদীছ পাবে, জেনো সেটাই আমার মাজহাব’। [হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩] ২- আমরা কোথা থেকে গ্রহণ করেছি, তা না জেনে আমাদের কথা গ্রহণ করা কারো জন্য বৈধ নয় [হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ৬/২৯৩] ৩- যে ব্যক্তি আমার দলীল জানে না, আমার কথা দ্বারা ফতোয়া প্রদান করা তার জন্য হারাম [ড. অছিউল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আববাস, আত-তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাব ওয়াস-সন্নাহ, পৃঃ ২০] ৪- নিশ্চয়ই আমরা মানুষ। আমরা আজকে যা বলি, আগামীকাল তা থেকে ফিরে আসি [ ড. অছিউল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আববাস, আত-তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাব ওয়াস-সন্নাহ, পৃঃ ২০] উত্তর উক্ত বক্তব্যগুলো যাচাই বাছাই ছাড়া আপনি নিশ্চয় কারো অন্ধ তাকলীদ করে কপিপেষ্ট করেছেন। এটি নিশ্চিত। যদি আপনি হাশিয়ায়ে ইবনে আবিদীন কিতাবটি দেখতেন। আর যদি আল্লাহ তাআলা আপনাকে কিতাবটি বুঝার তৌফিক দিতেন, তাহলে আপনি এরকম দাম্ভিকতার সাথে কিছু মিথ্যা, কিছু অর্থ বিকৃতি আর কিছু আগের বক্তব্য বাদ দেয়া ধোঁকাবাজীপূর্ণ বক্তব্যগুলো উদ্ধৃত করতেন না। মিথ্যাচারের নমুনা দে...

তোমরা যারা তাবিল অস্বীকার করো...

মৌলিক আকিদার ক্ষেত্রে আশ-আরি মাতুরিদি আকিদা এক ও অভিন্ন। এটা জানার জন্য আপনাকে উভয়ের আকিদা ভালভাবে জানতে হবে। কিছু শাব্দিক ও শাখাগত বিরোধ থাকলেও মৌলিক আকিদার ক্ষেত্রে তারা এক। উভয় আকিদা আহলে সুন্নতের আলেমগণের কাছে গ্রহণযোগ্য আকিদা । আপনি লিখেছেন, ফিকহ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আক্বীদাহ দুইটা হবে কেন? আকিদার ক্ষেত্রে সালাফিদের মাঝে অসংখ্য মতবিরোধ আছে। আকিদা বিষয় সালাফিদের মতবিরোধ সম্পর্কে আমি ১০ পরবে সংক্ষেপে আলোচনা করেছি। এছাড়া সালফিদের আকিদা ও ফিকহের আরও ইখতেলাফ জানতে ড সায়াদ আল-বুরাইক এর আল-ইজাজ দেখুন। আপনাকে ভালভাবে মনে রাখতে, ইসলামের মৌলিক যেসব আকিদার উপর মানুষের মুমিন ও মুসলিম হওয়া নির্ভর করে, সেগুলোতে কোন মতবিরোধ নেই। আল্লাহর হাত, পা, চোখ এগুলো ইসলামি আকিদায় পরে ঢুকান হয়েছে। এগুলো ইসলামি আকিদার অংশ নয়। আপনি আরও লিখেছেন, // আল্লাহর সিফাত তাবিল করা হবে আর সালাফিরা চুপ থাকবে তাহলে খুশি তাই না// ১। প্রথম কথা হল, আপনারা যেগুলোকে সিফাত বা গুণ বলছেন, এগুলো গুণ হিশেবে প্রমাণিত না। হাত, পা, চোখ, এগুলো পৃথিবীর কোন ভাষায় আক্ষরিক অর্থে গুণ বুঝায় না। এগুলোকে গুণ বলা অনেক ...

তাবিজের শরয়ী বিধান কী?

ছবি
বর্তমানে বিশেষ করে বাংলাদেশ,ভারত, পাকিস্থানের যারা তাবিয নেয় ও দেয় তাদের মাঝে তাবীয সমন্ধীয় বিদ্যার যথেষ্ট অভাব রয়েছে তাই আমাদের উচিত হবে এধরনের তাবীয থেকে সাবধান থাকা।শরয়ী রুকাইয়্যা(ঝাড়-ফুক) করা সুন্নত সুতরাং প্রচলিত তাবীয থেকে পরহেয করা উচিত। উল্লেখ্য যে, যে সকল  হাদিস দ্বারা কিছু লোক সকল প্রকার তাবীযকে শিরক বলে তারা ভুল করে। কেননা উক্ত হাদিস সমূহে তাবিয শব্দ নেই তামীম শব্দ আছে যা জাহেলী যুগের মুশরিকীনরা বিভিন্ন শিরিক ও কুফরের উপকরণের মাধ্যমে এই তামীম বানাত। এই তামীম বা তামায়েম গুলোকেই রাছুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ব্যাপক ভাবে শিরক ও  কুফর বলেছেন। তবে ব্যাপক ভাবে কোন তাবীযকে শিরক  বলেননি। কিন্তু আফসোসের বিষয় আমাদের কিছু ভাইয়েরা তামায়েমের বা তামীমের অনুবাদ তাবিয করছে!!এই জন্যে সমাজে সকল প্রকার তাবিযকে শিরিক বলা হচ্ছে।(আল্লাহ আমাদের ইনসাফের উপর রাখুক) ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) বুখারী শরীফের ব্যাখ্যগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে লিখেন- والتمائم جمع تميمة وهي خرز أو قلادة تعلق في الرأس كانوا في الجاهلية يعتقدون أن ذلك يدفع الآفات والتولة بكسر المثن...

এটা সহীহ হাদীসে / বুখারী-মুসলিমে আছে?

"সহীহ হাদীসে আছে কি?" বহুল প্রচলিত একটি প্রশ্ন। অনেকে আবার বুখারী মুসলিমের শর্ত করেন। তো, যে লোকটা হাদীসের সঙ্গাটা স্পষ্ট করে বলতে পারবে না। সহীস হাদীস কী জিনিস, হাদীস সহীহ ...

প্রসঙ্গঃ তাক্বলীদ এবং দলিল

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানব জীবনের যাবতীয় দিকের দিকনির্দেশনা অতি সুন্দরভাবে এখানে বর্ণিত আছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাষ্ট্...