তাবিজের শরয়ী বিধান কী?

বর্তমানে বিশেষ করে বাংলাদেশ,ভারত, পাকিস্থানের যারা তাবিয নেয় ও দেয় তাদের মাঝে তাবীয সমন্ধীয় বিদ্যার যথেষ্ট অভাব রয়েছে তাই আমাদের উচিত হবে এধরনের তাবীয থেকে সাবধান থাকা।শরয়ী রুকাইয়্যা(ঝাড়-ফুক) করা সুন্নত সুতরাং প্রচলিত তাবীয থেকে পরহেয করা উচিত।

উল্লেখ্য যে,
যে সকল  হাদিস দ্বারা কিছু লোক সকল প্রকার তাবীযকে শিরক বলে তারা ভুল করে। কেননা উক্ত হাদিস সমূহে তাবিয শব্দ নেই তামীম শব্দ আছে যা জাহেলী যুগের মুশরিকীনরা বিভিন্ন শিরিক ও কুফরের উপকরণের মাধ্যমে এই তামীম বানাত। এই তামীম বা তামায়েম গুলোকেই রাছুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ব্যাপক ভাবে শিরক ও  কুফর বলেছেন।
তবে ব্যাপক ভাবে কোন তাবীযকে শিরক  বলেননি। কিন্তু আফসোসের বিষয় আমাদের কিছু ভাইয়েরা তামায়েমের বা তামীমের অনুবাদ তাবিয করছে!!এই জন্যে সমাজে সকল প্রকার তাবিযকে শিরিক বলা হচ্ছে।(আল্লাহ আমাদের ইনসাফের উপর রাখুক)
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) বুখারী শরীফের ব্যাখ্যগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে লিখেন-

والتمائم جمع تميمة وهي خرز أو قلادة تعلق في الرأس كانوا في الجاهلية يعتقدون أن ذلك يدفع الآفات والتولة بكسر المثناة وفتح الواو واللام مخففا شيء كانت المرأة تجلب به محبة زوجها وهو ضرب من السحر وإنما كان ذلك من الشرك لأنهم أرادوا دفع المضار وجلب المنافع من عند غير الله ولا يدخل في ذلك ما كان بأسماء الله وكلامه -

তামায়েম শব্দটি তামীমা শব্দের বহুবচন। যা পুঁতি বা 
মালা সাদৃশ্য। মাথায় লটকানো হয়। জাহেলী যুগে বিশ্বাস করা হতো যে, এর দ্বারা বিপদমুক্ত হওয়া যায়, মহিলারা এসব ব্যবহার করতো স্বামীর মোহাব্বত অর্জন করতে। এটি জাদুরই একটি প্রকার। এটি শিরকের অন্তুর্ভূক্ত। কেননা এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের থেকে বিপদমুক্ত হওয়া ও উপকার অর্জন করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। কিন্তু এ শিরকের অন্তুর্ভূক্ত হবে না যেসব তাবীজ কবচে আল্লাহর নাম বা কালাম থাকে।
[ফাতহুল বারী-১/১৬৬, ঝাড়ফুক অধ্যায়]

১ম কথা হচ্ছে- তাবীযের অর্থ আশ্রয় প্রার্থনা(আমরা যেই আউযুবিল্লাহ বলি এটাও এক প্রকার তাবীয)।

দ্বিতীয়ত- আহলে সুন্নত ওয়া জামাতের ইজমা ভিত্তিক আক্বীদাহ হচ্ছেঃ
''যদি উক্ত তাবীজে কুফরী বা নাজায়েজ কোন কিছু না থাকে, কোন অস্পষ্ট বা সাংকেতিক কালিমা না থাকে,  এই তাবিযের উপর কেউ ভরসা না  করে এবং এই তাবীয টি কুরআন-সুন্নাহর কোন আয়াত কিংবা দুয়া সম্বলিত হয়  তাহলে তা জায়েয।''

এই আক্বীদার সাথে একমত হয়েছেন সালফে সালেহীনগন। এমনকি যারা সকল প্রকার তাবীয কে ব্যাপক শিরক বলে তাদেরও  মান্যবর ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ তার মাজমূউল ফাতাওয়ায়, ইমাম ইবনুল কাইয়্যুম তার আত ত্বীব্বে, আল্লামা শাওক্বানী তার নাইলুল আওত্বারে,নবাব সিদ্দীক হাসান খান ভুপালী তার আত তাবীযাত কিতাবে সহ অন্যান্যরা।
তাবীয ব্যাপক ভাবে শিরিক নয় ঠিক তবে এর কিছু স্তর আছে।কখোনও এটি শিরকি হয়, কখোনও জায়েয আবার কখোনও হারাম।

তৃতীয়ত- বিশেষ শর্তে তাবিয জায়েয হলেও সেসকল তাবিয যা কুরানের আয়াত,হাদিসের দুয়া কিংবা আল্লাহর নাম সম্বলিত উহা নিয়ে টয়লেটে যাওয়া অনুচিত হবে। কেননা এগুলো পবিত্র কালাম। তা নিয়ে এসব অপবিত্র স্থানে যাওয়া বেয়াদবী।

সাহাবা ও তাবেয়ীদের দৃষ্টিতে তাবীযঃ
১।
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ
আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫;মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা,হাদীস নং,২৪০১৩  -হাদিসটির সনদ হাসান)
২।
عَنْ إِسْرَائِيلَ ، عَنْ ثُوَيْرٍ ، قَالَ : كَانَ مُجَاهِدٌ يَكْتُبُ للنَّاسَ التَّعْوِيذَ فَيُعَلِّقُهُ عَلَيْهِمْ.
অর্থাৎ:বিশিষ্ট তাবেয়ী মুজাহিদ রহঃ মানুষদের তাবিজ লিখে দিতেন এবং গলায় লটকাতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা,হাদীস নং,২৪০১১.)
৩।
أَخْبَرَنِى نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّهُ سَأَلَ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ عَنِ الرُّقَى وَتَعْلِيقِ الْكُتُبِ فَقَالَ : كَانَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ يَأْمُرُ بِتَعْلِيقِ الْقُرْآنِ وَقَالَ لاَ بَأْسَ بِهِ.
অর্থাৎ:নাফে’ বলেন:আমি ইয়াইয়া বিন সাইদ কে ঝাড়ফুঁক এবং তাবিজ লটকানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম।তিনি বললেন:সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব কোরআন লিখে লটকানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেচেন:এতে কোন সমস্যা নেই।
(আস সুনানুল কুবরা,৯/৩৫১.২০১০০)
৪।
عَنْ يُونُسَ بْنِ خَبَّابٍ ، قَالَ : سَأَلْتُ أَبَا جَعْفَرٍ عَنِ التَّعْوِيذِ يُعَلَّقُ عَلَى الصِّبْيَانِ ؟ فَرَخَّصَ فِيهِ.
অর্থাৎ:ইউনুস বিন খাব্বাব বলেন:আমি আবু যাফরকে শিশুর গলায় তাবিজ লটকনো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম।তিনি অনুমতি দিলেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা,হাদীস নং.২৪০১৭)
৫।
عَنْ جَعْفَرٍ ، عَنْ أَبِيهِ ؛ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَرَى بَأْسًا أَنْ يَكْتُبَ الْقُرْآنَ فِي أَدِيمٍ ، ثُمَّ يُعَلِّقُهُ.
অর্থাৎ:জাফর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন:পাকা চামড়াতে কোরআনের তাবিজ লিখে লটকাতে কোন সমস্যা নেই।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা.হাদীস নং.২৪০১২)

সালফে সালেহীনদের দৃষ্টিতেঃ
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ বলেন-
يَجُوزُ أَنْ يَكْتُبَ لِلْمُصَابِ وَغَيْرِهِ مِنْ الْمَرْضَى شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَذِكْرُهُ بِالْمِدَادِ الْمُبَاحِ وَيُغْسَلُ وَيُسْقَى كَمَا نَصَّ عَلَى ذَلِكَ أَحْمَد وَغَيْرُهُ
বিপদগ্রস্ত বা অসুস্থ লোকদের জন্য কারি দ্বারা আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর জিকর লিখে দেয়া এবং ধুয়ে পান করা জয়েজ।
তারপর এ আলোচনার শেষদিকে তিনি তাবিজাত বৈধ হওয়ার পক্ষে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর একটি আছার পেশ করেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) কাগজের টুকরায় তাবিজ লিখে দিতেন,তা সন্তানসম্ভবা নারীদের বাহুতে বেঁধে দেয়া হত।
[ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-১৯/৬৪]

মুল্লা আলী আল ক্বারি(রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
إذا كتب له النشرة وهي كالتعويذ والرقية والمراد بالضمير البارز في قوله فقال أي النبي هو من عمل الشيطان النوع الذي كان أهل الجاهلية يعالجون به ويعتقدون فيه وأما ما كان من الآيات القرآنية والأسماء والصفات الربانية والدعوات المأثورة النبوية فلا بأس بل يستحب سواء كان تعويذا أو رقية أو نشرة وأما على لغة العبرانية ونحوها فيمتنع لاحتمال الشرك فيها
যদি তাবীজের মত কাগজে লিখা হয়। রাসূল সাঃ এর 
বানী “এটি শয়তানী কর্ম” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল জাহেলী যুগে যদ্বারা চিকিৎসা করা হতো ও যার উপর নির্ভর করা হতো। আর যা কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, আল্লাহর সিফাত সম্বলিত, দুআয়ে মাসুরা হয়, তাহলে কোন সমস্যা নেই। বরং এটি মুস্তাহাব। চাই সেটি তাবীজ হোক, বা ঝারফুক হোক বা কাগজে লিখা হোক। আর যেসব ইবরানী ও অন্যান্য ভাষায় লিখা হয় তা নিষিদ্ধ। কারণ তাতে শিরকের সম্ভাবনা আছে। 
[মিরকাতুল মাফাতীহ-৮/৩২১]

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-
إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به
নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। [ফাতওয়ায়ে শামী-৬/৩৬৩]
সুতরাং সকল প্রকার তাবীযকে শিরিক বললে এসকল  সাহাবী, তাবেয়ী ও উলামাদের ও মুশরিক বলতে হয়।(নাউযুবিল্লাহ)

তবে আমরা তাবিযের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করবনা কেননা এতে ভালোর চেয়ে খারাবের সম্ভাবনাই বেশী। শরয়ী ঝাড় ফুক করব।কেননা এটিই সুন্নাত।
এছাড়াও যারা তাবিযকে ঢালাও ভাবে শিরিক না বলে কেবল নাজায়েয বলেন উল্লেখিত শর্ত পাওয়া সত্ত্বেও তাদের বিষয়টি কয়েকজন সাহাবাগন ও ফুকাহাদের মতামত  থেকে প্রমানিত।

তাদের মধ্যে রয়েছেন: আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ, ইবনে আব্বাস, হুযাইফা, উকবা বিন আমের, ইবনে উকাইম, ইব্রাহিম নখয়ি, একটি বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ, ইবনুল আরাবি, শায়খ আব্দুর রহমান বিন হাসান, শায়খ সুলাইমান বিন আব্দুল ওয়াহহাব, শায়খ আব্দুর রহমান বিন সাদি, হাফেজ আল-হেকমি এবং মুহাম্মদ হামিদ আলফাকি।
তবে তারা কেউই শিরিক বলেননি।
আল্লাহু আ'লামু বিস সাওয়াব।

লিখেছেন- শাইখ Abdullah Al Mamun

---------------------------------
ফেসবুক থেকে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য....
(মন্তব্যটি মুহতারাম শায়খ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের)

""....কমেন্ট অপশন অফ করে দেয়া হচ্ছে। কারণ আসাবিয়াতের চর্চা হচ্ছে। আহলে হাদিস বা দেওবন্দ এসব নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া যে উম্মাহর জন্যে কতটা ক্ষতিকর সেটা উপলব্ধিতে আসা উচিত।
এখানে যেটা বোঝানো হয়েছে যে, উম্মাহর সালাফ ও সাহাবাদের অনেকে কুরআন দ্বারা তাবীজ ব্যবহার করেছেন। তারা এটাকে জায়েজ মনে করতেন। আবার শায়খ উসাইমিন রহ. বিন বাজ রহ. এর বক্তব্য অনুযায়ী, অনেক সালাফ এটাকেও অপছন্দ করতেন। অর্থাৎ কুরআন দ্বারা তাবীয ব্যবহার করা। তারা এটাকেও না জায়েজ বলেন। আমাদের দেশের বর্তমান তাবীজের যে অবস্থা, তাতে তাবিজের ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে হয়। কারণ ভন্ডদের দৌরাত্ম্য আর খদ্দেরদের ঈমান আমলের দুর্বলতা।
কিন্তু সবাই যে বিষয়ে একমত, সেটা হচ্ছে। কুফুরী কালাম দ্বারা তাবিজ করা শিরক। যেটার চর্চা এই উপমহাদেশে মারাত্মক পর্যায়ে। সুতরাং কোনভাবেই কুফুরী কালামের তাবিজ নেয়া যাবে না।
তাবিজকে নিরুৎসাহিত করা উচিত। এর দ্বারা আর কিছু না হোক, একীনের দৃঢ়তা কমে যায়। আমাদের দেশের মানুষের ঈমানের হালত এই পর্যায়ে উন্নীত নয় যে তারা তাবিজ ব্যবহার করবে অথচ এর উপর ভরসা করবে না।
তবে রুকইয়া করা সুন্নত। রাসূল সা. বহুবার রুকইয়া করেছেন। নিজেকে ও স্ত্রীদেরকে ঝাড়ফুঁক দিয়েছেন। আহমদ বিন হানবল ও সালাফে সালেহীনও রুকইয়াকে পছন্দ করতেন।
শায়খ বিন বাজ রহ. ও ইবনে উসাইমিন রহ. তাদের বয়ানে বা কিতাবে ঝাড়ফুঁককে উৎসাহিত করেছেন তাবীজের বিপরীতে।
বরং আজকের যুগের বস্তুবাদী চিকিৎসার চেয়ে রুকইয়াকে প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে মনি করি। তবে হ্যা! চিকিৎসা গ্রহণ ও সুন্নাহ। সতর্ক থাকতে হবে, এর কোনটার ব্যবহারেই যেন এগুলোর উপর বিশ্বাস না জন্মে, যে চিকিৎসা ঝাড়ফুঁক এর নিজস্ব ক্ষমতার দ্বারা আরোগ্য লাভ হয়। বরং  আল্লাহর হুকুম হলেই, এই মাধ্যমগুলোর দ্বারা শেফা হতে পারে।""

এই সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

ডাউনলোড করুন মাকতাবায়ে শামেলা লেটেস্ট ভার্শন (মোবাইল এবং পিসির জন্য)

রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)

ইসতিখারার সুন্নত তরিকা + pdf