খাদ্য সংস্কৃতি, আমাদের অসচেতনতা
এক, খাদ্যাভ্যাস সভ্যতা সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সভ্যতার সংঘাত বা সংস্কৃতির লড়াইয়ে খাদ্য উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ। আমরা এই অঞ্চলে মাছ ভাত ডাল হালাল গোস্ত খেয়ে থাকি। আবহমানকাল থেকে এই সংস্কৃতি চলে আসছে। বর্তমানে খাদ্যাভ্যাসে বেশ পরিবর্তন এসেছে এই প্রজন্মের। মাসায়েল গ্রুপে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি খাবারের হালাল হারামের প্রশ্ন আসায়, বিষয়টা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। আমাদের গ্রহণপটু মানসিকতার কারণেই কিনা, দিনেদিনে আমরা পশ্চিমা খাদ্যে নিজেদের অভ্যস্ত করে ফেলেছি। অনেক অভিভাবক থেকে এমনও শুনেছি যে তাদের সন্তানরা ঘরের সাধারণ খাবার খেতেই চায় না। হটডগ, বার্গার, পিৎজা ইত্যাদিই তাদের প্রধান আহার্য। ফলে, বাধ্য হয়ে ঘরেই সেসব খাবার তৈরি করতে হচ্ছে।
পশ্চিমা খাদ্য সংস্কৃতির বিপরীতে আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাস ইসলামী সংস্কৃতিতে গড়ে তুলতে পারি। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন খাদ্যকে আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নেই। খেজুর, মধু, যাইতুন, যব ইত্যাদি। পবিত্র কুরআনে ৪ জায়গায় খেজুর ও খেজুর বৃক্ষের কথা আলোচনা হয়েছে। (সুরা ক্বাফ-১০, সুরা শু'আরা- ১৪৮, সুরা মারইয়াম-২৫, সুরা নাহল ৬৭)
বিভিন্ন হাদিসেও খেজুরের কথা আলোচিত হয়েছে। খেজুর এর মাধ্যমে দান করার ফাযায়েলও আছে। খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথাও এসেছে হাদিসে। এমনকি হাদিসে এও বলা হয়েছে-
بيت ليس فيه تمر جياع أهله
যে ঘরে খেজুর নেই, যেন সে ঘরবাসী অনাহারী, অভুক্ত.. অন্য বর্ণনায়, যেন সে ঘরে দুর্ভিক্ষ। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা- ২৪৪৯৬, মুসনাদে আহমদ- ২৫৫৪৯ সহীহ) আলোচনা সংক্ষেপ করতে যাইতুন মধু ইত্যাদির প্রসংগে যাওয়া হলো না। কিন্তু এই খাবারগুলোকে আধুনিক, স্মার্ট ভাবা হয় না। একান্ত চিকিৎসকরা জোর না করলে বা বৈজ্ঞানিক উপকারিতার বয়ান না শুনলে অনেকে খেতেও চায় না।
যদি আমরা বাইরের খাবার না খেয়ে নিজস্ব খাবার খাই, তাহলে হারাম হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। আমাদের দেশে অমুসলিম দেশগুলোর খাদ্য যেভাবে সয়লাব ঘটছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। একেতো এইসব খাবার হালাল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। দ্বিতীয়ত এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার কিনা? কারণ পিজা ফার্স্টফুড ইত্যাদিকে ডাক্তাররা 'জাংক ফুড' বলে থাকে। আমার জানামতে, পাচতারকা হোটেল থেকে নিয়ে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরাঁয় যে চিকেন আইটেমগুলো থাকে তা এদেশীয় নয়। বরং বাইরের থেকে আমদানিকৃত, যেমন ব্রাজিল থেকে চিকেন লাগেটসহ অনেক আইটেম এদেশে আসে। ব্রাজিলসহ অমুসলিমদেশগুলোতে প্রস্তুতকৃত মুরগি হালাল না। অনেক স্থানে হালাল সার্টিফিকেট ঝোলানো থাকলেও, সরেজমিনে দেখা গেছে স্লটার মেশিন দিয়ে যে পদ্ধতিতে জবাই করা হয় তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তাই ওলামায়ে কেরাম একমত হয়েছেন যে উক্ত মুরগি হালাল না।
বিশেষজ্ঞ আলেমদের মুখে শুনেছি, 'বিভিন্ন কোম্পানি যারা খাদ্য পানীয় প্রস্তুত করে। তাদের প্রোডাক্টে ইচ্ছে করেই হারাম খাদ্য মিশিয়ে দেয়। ফলে, মুসলিমদের অন্তর থেকে নূর চলে যায়। মানুষ হেদায়েতের বাণী, ইসলামের নূর সহজে গ্রহণ করে না। ইবাদাতে মন বসে না। আহকাম পালনে আগ্রহ থাকে না। যারা খুব বেশি পরিমাণে বাইরের পানীয় ও খাদ্য খায়, তাদের ক্বলব মরে যায়। কারণ অপবিত্র পাত্রে পবিত্র বস্তু থাকতে পারে না। হারাম খাদ্যে গড়ে উঠা দেহেও হেদায়তের নূর স্থায়ী হয় না। '
অমুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতি এতটা আস্থাশীল হওয়ার কোন কারণ নেই যে, তারা ওরকম কিছু করবে না। হ্যা, যদিও সুস্পষ্ট প্রমাণ হাতে না থাকায় এইজাতীয় পানীয়কে (কোকাকোলা পেপসি ম্যাকডোনাল্ড ইত্যাদি) আমরা হারাম বলতে পারছি না। কিন্তু তাকওয়া তো এটাই যে, প্রকৃত ঈমানদাররা তাদের পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকবে।
দুই, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বে মুসলিম নির্যাতনের প্রেক্ষিতে আমাদের সাধারণ মুসলিমদের করণীয় কী? এমন এক প্রশ্নের জবাবে বেশ কিছু করণীয় লিখেছিলাম। তার মধ্যে একটা এই ছিল, অমুসলিম কোম্পানির প্রোডাক্ট বর্জন করা। এ ব্যাপারটা অনেকের মনপুত হয় নি। কেও কেও তো মেসেজে সেটা জানিয়েছেন, অনেকে মনে পুষে রেখেছেন হয়ত।
দেখুন, বদরের সেই জিহাদের প্রেক্ষাপট আমাদের জানা আছে কি? রাসূল সা. সাহাবীদের এক মুবারাক জামাত নিয়ে বেড়িয়েছিলেন আবু সুফিয়ানের কাফেলা রুখে দিতে। কী ছিল সেই কাফেলায়? মক্কার মুশরিকদের অর্থশক্তির প্রধান মেরুদণ্ড ছিল তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য। সে ধারায় প্রতিবছর কুরাইশরা শামদেশে বাণিজ্য করতে যেত। এবারও ব্যত্যয় ঘটে নি। রাসূল সা. চাইলেন তাদের এই অর্থনৈতিক শক্তি ভেংগে দিতে। যাতে মুশরিকরা এই অর্থবিত্তের বলে বলিয়ান হয়ে মুসলিমদের সাথে লড়াই করতে না পারে। পাশাপাশি মুসলিমরাও তাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। যদিও আবু সুফিয়ান তার কাফেলা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অপরদিকে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত হয় আবু জাহেল দলবল নিয়ে লড়াইয়ে আসে.. অতঃপর সংগঠিত হয় বদরের জিহাদ।
যেসমস্ত দেশগুলো আজ মুসলিমদের উপর আক্রমণ করছে, তাদের এত বল এত জোরের পিছনে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সামরিক যান, যুদ্ধ সামগ্রী অত্যন্ত ব্যয়বহুল ব্যাপার। এগুলো তৈরি ও মেইনটেইন করতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হয়। এত অর্থ তারা পায় কীভাবে? তাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হওয়ার পিছনে, আমাদেরও সহায়তা আছে কিনা ভেবে দেখা প্রয়োজন। আমরা অসচেতনভাবে, তাদের চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অবলীলায় ওদের পণ্য কিনে যাচ্ছি। ব্রান্ডের নাম দেখলে লোভ সামলাতে পারছি না। আর সেই অর্থই নানাভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যয়িত হচ্ছে। আমরা যদি একটু সবর করি, খুব প্রয়োজন না হলে তাদের পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকি। তাহলে এর বিনিময়ে রাব্বে কারীম জান্নাতে এরচেয়েও উন্নত অনিন্দ্য সুন্দর সুখকর এবং পবিত্র সামগ্রী দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
হাদিসে আছে,
لا تصاحب إلا مؤمنا، ولا يأكل طعامك إلا تقي
রাসূল সা. বলেন, "মুমিন ছাড়া কাউকে বন্ধু করো না। আর তোমার খাবার যেন মুত্তাকী ছাড়া কেও না খায়।" (আবু দাউদ- ৪৮৩২, তিরমিযি- ২৩৯৫- হাসান)
ভেবে দেখুন, আপনার আয়কৃত সম্পদ যেন মুমিন মুত্তাকী নয় এমন ব্যক্তিদের কাছে না যায়, সে জন্যে স্বয়ং নবীজী সা. তাকীদ দিয়েছেন। সেখানে কাফের ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর হাতে আমরা কোন বুদ্ধিতে আমাদের অর্থ তুলে দিতে পারি??
------------------
পশ্চিমা খাদ্য সংস্কৃতির বিপরীতে আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাস ইসলামী সংস্কৃতিতে গড়ে তুলতে পারি। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন খাদ্যকে আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নেই। খেজুর, মধু, যাইতুন, যব ইত্যাদি। পবিত্র কুরআনে ৪ জায়গায় খেজুর ও খেজুর বৃক্ষের কথা আলোচনা হয়েছে। (সুরা ক্বাফ-১০, সুরা শু'আরা- ১৪৮, সুরা মারইয়াম-২৫, সুরা নাহল ৬৭)
বিভিন্ন হাদিসেও খেজুরের কথা আলোচিত হয়েছে। খেজুর এর মাধ্যমে দান করার ফাযায়েলও আছে। খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথাও এসেছে হাদিসে। এমনকি হাদিসে এও বলা হয়েছে-
بيت ليس فيه تمر جياع أهله
যে ঘরে খেজুর নেই, যেন সে ঘরবাসী অনাহারী, অভুক্ত.. অন্য বর্ণনায়, যেন সে ঘরে দুর্ভিক্ষ। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা- ২৪৪৯৬, মুসনাদে আহমদ- ২৫৫৪৯ সহীহ) আলোচনা সংক্ষেপ করতে যাইতুন মধু ইত্যাদির প্রসংগে যাওয়া হলো না। কিন্তু এই খাবারগুলোকে আধুনিক, স্মার্ট ভাবা হয় না। একান্ত চিকিৎসকরা জোর না করলে বা বৈজ্ঞানিক উপকারিতার বয়ান না শুনলে অনেকে খেতেও চায় না।
যদি আমরা বাইরের খাবার না খেয়ে নিজস্ব খাবার খাই, তাহলে হারাম হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। আমাদের দেশে অমুসলিম দেশগুলোর খাদ্য যেভাবে সয়লাব ঘটছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। একেতো এইসব খাবার হালাল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। দ্বিতীয়ত এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার কিনা? কারণ পিজা ফার্স্টফুড ইত্যাদিকে ডাক্তাররা 'জাংক ফুড' বলে থাকে। আমার জানামতে, পাচতারকা হোটেল থেকে নিয়ে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরাঁয় যে চিকেন আইটেমগুলো থাকে তা এদেশীয় নয়। বরং বাইরের থেকে আমদানিকৃত, যেমন ব্রাজিল থেকে চিকেন লাগেটসহ অনেক আইটেম এদেশে আসে। ব্রাজিলসহ অমুসলিমদেশগুলোতে প্রস্তুতকৃত মুরগি হালাল না। অনেক স্থানে হালাল সার্টিফিকেট ঝোলানো থাকলেও, সরেজমিনে দেখা গেছে স্লটার মেশিন দিয়ে যে পদ্ধতিতে জবাই করা হয় তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তাই ওলামায়ে কেরাম একমত হয়েছেন যে উক্ত মুরগি হালাল না।
বিশেষজ্ঞ আলেমদের মুখে শুনেছি, 'বিভিন্ন কোম্পানি যারা খাদ্য পানীয় প্রস্তুত করে। তাদের প্রোডাক্টে ইচ্ছে করেই হারাম খাদ্য মিশিয়ে দেয়। ফলে, মুসলিমদের অন্তর থেকে নূর চলে যায়। মানুষ হেদায়েতের বাণী, ইসলামের নূর সহজে গ্রহণ করে না। ইবাদাতে মন বসে না। আহকাম পালনে আগ্রহ থাকে না। যারা খুব বেশি পরিমাণে বাইরের পানীয় ও খাদ্য খায়, তাদের ক্বলব মরে যায়। কারণ অপবিত্র পাত্রে পবিত্র বস্তু থাকতে পারে না। হারাম খাদ্যে গড়ে উঠা দেহেও হেদায়তের নূর স্থায়ী হয় না। '
অমুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতি এতটা আস্থাশীল হওয়ার কোন কারণ নেই যে, তারা ওরকম কিছু করবে না। হ্যা, যদিও সুস্পষ্ট প্রমাণ হাতে না থাকায় এইজাতীয় পানীয়কে (কোকাকোলা পেপসি ম্যাকডোনাল্ড ইত্যাদি) আমরা হারাম বলতে পারছি না। কিন্তু তাকওয়া তো এটাই যে, প্রকৃত ঈমানদাররা তাদের পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকবে।
দুই, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বে মুসলিম নির্যাতনের প্রেক্ষিতে আমাদের সাধারণ মুসলিমদের করণীয় কী? এমন এক প্রশ্নের জবাবে বেশ কিছু করণীয় লিখেছিলাম। তার মধ্যে একটা এই ছিল, অমুসলিম কোম্পানির প্রোডাক্ট বর্জন করা। এ ব্যাপারটা অনেকের মনপুত হয় নি। কেও কেও তো মেসেজে সেটা জানিয়েছেন, অনেকে মনে পুষে রেখেছেন হয়ত।
দেখুন, বদরের সেই জিহাদের প্রেক্ষাপট আমাদের জানা আছে কি? রাসূল সা. সাহাবীদের এক মুবারাক জামাত নিয়ে বেড়িয়েছিলেন আবু সুফিয়ানের কাফেলা রুখে দিতে। কী ছিল সেই কাফেলায়? মক্কার মুশরিকদের অর্থশক্তির প্রধান মেরুদণ্ড ছিল তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য। সে ধারায় প্রতিবছর কুরাইশরা শামদেশে বাণিজ্য করতে যেত। এবারও ব্যত্যয় ঘটে নি। রাসূল সা. চাইলেন তাদের এই অর্থনৈতিক শক্তি ভেংগে দিতে। যাতে মুশরিকরা এই অর্থবিত্তের বলে বলিয়ান হয়ে মুসলিমদের সাথে লড়াই করতে না পারে। পাশাপাশি মুসলিমরাও তাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। যদিও আবু সুফিয়ান তার কাফেলা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অপরদিকে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত হয় আবু জাহেল দলবল নিয়ে লড়াইয়ে আসে.. অতঃপর সংগঠিত হয় বদরের জিহাদ।
যেসমস্ত দেশগুলো আজ মুসলিমদের উপর আক্রমণ করছে, তাদের এত বল এত জোরের পিছনে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সামরিক যান, যুদ্ধ সামগ্রী অত্যন্ত ব্যয়বহুল ব্যাপার। এগুলো তৈরি ও মেইনটেইন করতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হয়। এত অর্থ তারা পায় কীভাবে? তাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হওয়ার পিছনে, আমাদেরও সহায়তা আছে কিনা ভেবে দেখা প্রয়োজন। আমরা অসচেতনভাবে, তাদের চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অবলীলায় ওদের পণ্য কিনে যাচ্ছি। ব্রান্ডের নাম দেখলে লোভ সামলাতে পারছি না। আর সেই অর্থই নানাভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যয়িত হচ্ছে। আমরা যদি একটু সবর করি, খুব প্রয়োজন না হলে তাদের পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকি। তাহলে এর বিনিময়ে রাব্বে কারীম জান্নাতে এরচেয়েও উন্নত অনিন্দ্য সুন্দর সুখকর এবং পবিত্র সামগ্রী দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
হাদিসে আছে,
لا تصاحب إلا مؤمنا، ولا يأكل طعامك إلا تقي
রাসূল সা. বলেন, "মুমিন ছাড়া কাউকে বন্ধু করো না। আর তোমার খাবার যেন মুত্তাকী ছাড়া কেও না খায়।" (আবু দাউদ- ৪৮৩২, তিরমিযি- ২৩৯৫- হাসান)
ভেবে দেখুন, আপনার আয়কৃত সম্পদ যেন মুমিন মুত্তাকী নয় এমন ব্যক্তিদের কাছে না যায়, সে জন্যে স্বয়ং নবীজী সা. তাকীদ দিয়েছেন। সেখানে কাফের ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর হাতে আমরা কোন বুদ্ধিতে আমাদের অর্থ তুলে দিতে পারি??
------------------
লিখেছেনঃ শাইখ Abdullah Al Mahmud
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন