পোস্টগুলি

2022 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছোট ছেলে “হ্যাঁ তুমি আমার বউ” বলে সম্মতি দিলেই কি বিবাহ হয়ে যাবে?

ছবি
প্রশ্নঃ দু জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে কোন মেয়ে যদি দুষ্টুমি করে কোন ছোট ছেলেকে বলে “তুমি আমার জামাই” অতঃপর ছেলে যদি গ্রহণ করে নেয় এবং উত্তর দেয় “হ্যাঁ তুমি আমার স্ত্রী” তাহলে কি বিবাহ হয়ে যাবে? উত্তরঃ বিবাহ, তালাক, রজআত; এই তিনটি বিষয় খুবই গুরতর এগুলো নিয়ে মজা করা বা ফান করা উচিত নয়। রাসুল সা. বলেন, ثلاث ‌جدهن ‌جد، وهزلهن جد: النكاح، والطلاق، والرجعة “তিনটি বিষয় সিরিয়াস হিসেবে হোক বা দুষ্টমির ছলে হোক বাস্তবায়ন হয়ে যায়। বিবাহ, তালাক এবং রজআত।” (ইবনু মাযাহ, হা. ২০৩৯) সুতরাং এগুলো নিয়ে মজা করা উচিত নয়। ★এবার আসি মূল কথায়। দু জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে যদি কোন মেয়ে বা ছেলে মজা করে ছোট কোন ছেলে বা মেয়েকে বলে “তুমি আমার স্বামী বা তুমি আমার স্ত্রী” অতঃপর সেই ছোট ছেলে বা মেয়ে প্রতি উত্তরে বলে “হ্যাঁ তুমি আমার স্ত্রী বা তুমি আমার স্বামী” তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে কি না? বিবাহ হওয়ার জন্য শুধুমাত্র দু জন সাক্ষীর উপস্থিতি এবং স্বামী স্ত্রী হিসেবে একে অপরকে গ্রহণ করাই যথেষ্ঠ নয়। বরং আরো শর্ত রয়েছে। উল্লিখিত প্রশ্নের ধাঁচে বোঝা যাচ্ছে প্রশ্নটি করা হয়েছে নাবালক ছেলে বা মেয়েকে কেন্দ্র করে। সুতরাং আমরা এখানে নাবালকের

মহিলাদের মসজিদে গমন : একটি পর্যালোচনা

জমহুর আলিমগণ একমত যে, মহিলাদের মসজিদে সালাত আদায় করা অপেক্ষা ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম। এ ব্যপারে বেশ কয়েকটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে সহিহ সনদে । এর বিপরীতে মহিলাদের মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করার ফজিলত সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। হজরত ইবনু উমর রা. রাসুলুল্লাহ সা. থেকে বর্ণনা করেন, তোমরা স্ত্রীদের মসজিদে যেতে বারণ করো না। তবে নিজের বাড়িতে সালাত আদায় করা তাদের জন্য সর্বোত্তম। (আবু দাউদ : ৫৬৭, মুসনাদে আহমাদ : ৫৪৬৮, সহিহ ইবনু খুজাইমা : ১৬৮৪) এ হাদিসটিকে ইমাম নববি (আল-মাজমু', ৪/১৯৭), ইবনু দাকিক (আল-ইকতিরাহ : পৃ.৯১), আহমাদ শাকের (তাহকিকুল মুসনাদ, ৭/২৩৪), নাসিরুদ্দীন আলবানী (সহিহ সুনানু আবি দাউদ, পৃ.৫৬৭) প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ সহিহ বলেছেন। হাদিসটি এব্যাপরে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন যে, নারীদের জন্য মসজিদে সালাত আদায়ের চেয়ে নিজের ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা. রাসুলু্ল্লাহ সা.-থেকে অন্য একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যা মহিলাদের মসজিদে সালাত আদায়ের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সা.-এর দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করে তুলে। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন : নারীদের ক্ষুদ্র কক্ষের নামায বড় কাম

নারীদের রোযা সংক্রান্ত বিশেষ মাসায়েল

ছবি
নারীদের ক্ষেত্রে রমযান ও রোযা সংক্রান্ত শরীয়তের বেশ কিছু বিশেষ বিধান রয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রয়োজনীয় কিছু মাসায়েল উল্লেখ করা হলো। এসবের বাইরে আরো কোনো মাসআলার দরকার হলে নির্ভরযোগ্য মুফতিয়ানে কেরাম থেকে জেনে নিতে হবে।  ঋতুস্রাব অবস্থায় রোযার বিধান : নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব অবস্থায় রোযা রাখা জায়েয নয়। এ সময়ে রোযা রাখলেও তা সহীহ হবে না। তাই তাদেরকে ঐসব রোযা পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহায় নারীদের লক্ষ্য করে বললেন- أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ؟! قُلْنَ بَلَى‏، قَالَ: فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا.‏ মহিলারা তো ঋতুস্রাবের সময় রোযা রাখতে পারে না এবং নামাযও পড়তে পারে না। এটা তাদের দ্বীনের অসম্পূর্ণতা। -সহীহ বুখারী ১/৪৪; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪৪০; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ১০০ রোযা অবস্থায় ঋতুস্রাব শুরু হলে : পবিত্র অবস্থায় রোযা রাখার পর যদি কোনো মহিলার ঋতুস্রাব শুরু হয় বা সন্তান প্রসব হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। সুতরা

মু'তাযিলা ফিরকার উৎপত্তির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ভ্রান্ত ফিরক্বাহ মু'তাযিলাদের উৎপত্তির সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ এই ফিরক্বাহর প্রবর্তক ওয়াসেল ইবনু আ'তা। ওয়াসেল খারেজী ও মুরজিয়া দের আক্বীদার ব্যাপারে তাবেয়ী হাসান বসরী রহ. থেকে ফতোয়া আনতে যাওয়ার পর তাঁর উত্তরের অপেক্ষায় না করেই নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে খারেজী ও মুরজিয়া দের মাঝামাঝি আক্বীদা গ্রহন করে। অর্থাৎ কবীরাহ গুনাহ কারী কাফেরও না আবার মুমিনও না!! তার এই ধরনের আক্বীদাহ পোষণ করায় ইমাম হাসান বসরী রহ  তাকে তার মজলিস থেকে বেরও করে দিয়েছিলেন যেমনটি ইমাম বাগদাদী উল্লেখ করেন। ইমাম শাহরাস্তানী রহ. এ ব্যাপারে  বলেন, 'এক ব্যক্তি হাসান বসরির মজলিসে প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করলঃ হে দ্বীনের ইমাম! আমাদের এই যামানায় একটা দলের উদ্ভব হয়েছে যারা কবীরাহ গুনাহে লিপ্ত মুসলমানদের কাফের আখ্যায়িত করে। তাদের নিকট কবীরাহ গুনাহ হচ্ছে এমন কুফর যা মিল্লাতে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। আর তারা হচ্ছে, ওয়াইদিয়া খারেজি (ওয়াইদিয়া হচ্ছে, যারা আল্লাহর ওয়াইদ তথা সতর্ক ও ধমক সংক্রান্ত নসের উপর আমল করে আর তার প্রয়োগ করে)। আরেকটি দলের উদ্ভব হয়েছে, যারা কবীরাহ গুনাহ কারীদের ইরজা করে (অর্থাৎ অবকাশ দেয়)। তাদের নিকট কবীরাহ গুনাহ ঈ

হায়েয শেষ হয়েছে কিভাবে বুঝবে?

একদম ১ম বার হায়েয হলে হায়েয শেষ হয়েছে কি না তা বুঝতে হলে হায়েযের লাল রক্ত বন্ধ হয়েছে কিনা দেখতে হবে। এরজন্য লজ্জাস্থানে তুলা অথবা ন্যাকড়া রেখে কিছুক্ষণ পরে বের করে তা শুকনো অথবা রক্ত বিহীন পরিষ্কার দেখলে গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করবে।  হাদীছে এসেছে, وَكُنَّ نِسَاءٌ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ بِالدُّرْجَةِ فِيْهَا الْكُرْسُفُ فِيْهِ الصُّفْرَةُ فَتَقُوْلُ لاَ تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيْدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنَ الْحَيْضَةِ. মহিলারা আয়েশা (রাদি.)-এর নিকট কৌটায় করে তুলা প্রেরণ করতেন। তাতে হলুদ রং দেখলে আয়েশা (রাদি.) বলতেন- তাড়াহুড়া কর না, সাদা পরিষ্কার (রক্ত) দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। এর দ্বারা তিনি হায়েয হতে পবিত্র হওয়া বুঝাতেন। [মুআত্ত্বা মালেক ১/৫৯; সহীহ বুখারীতে ইমাম বুখারী তা'লীক হিসেবে এ হাদীস এনেছেন, হাঃ৩২০ ; মুসান্নাফ ইবনু অব্দির রযযাক্ব ১/৩০২ হাঃ১১৫৯ - হাদীসটির সনদ হাসান।] আবার কখনও সাদা স্রাবও বের হতে পারে। তবে এটা বের হওয়া জরুরী না। আর যদি  হায়েয বন্ধের একটি স্বাভাবিক অভ্যাস হয়ে থাকে অর্থাৎ পিরিয়ডের রক্ত আসা শুরু হবার যতদিন পর তা বন্ধ হয় যেমন- দ

মাহরাম ছাড়া নারীদের ভ্রমণ করার শরঈ বিধান

ছবি
পর্ব - ১ মূল বিষয়ে আলোচনার পূর্বে ভূমিকাস্বরূপ কিছু কথা বলা প্রয়োজন। মানুষের সাধ্যের বাইরে আল্লাহ তায়ালা কোন বিধান আরোপ করেন না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে পাকে বলেন; لَا يُكَلِّفُ الله نَفسًا إِلَّا وُسعَهَا “অর্থাৎ সাধ্যের বাহিরে আল্লাহ তায়ালা কোন বিষয় কারো উপর চাপিয়ে দেন না।” (সুরা বাকারা, ২৮৬) সুতরাং যেকোনো বিধান সামনে আসলেই এই কথাটি মাথায় রাখতে হবে যে, এটা আমাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। অন্যথায় আল্লাহ তায়ালা এই বিধান অবতীর্ণ করতেন না। ইসলাম কোন বিষয়ের উপকার অর্জনের পূর্বে সেই বিষয়ের ক্ষতিকে দূর করার প্রতি মনযোগ দিয়েছে। এইজন্য মদের মধ্যে বাহ্যিক কিছু উপকার থাকলেও তার ক্ষতির দিকটি প্রাধান্য পাওয়ায় ইসলাম মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, يَسـألُونَكَ عَنِ الخَمرِ والمَيسِر، قُل فِيهِمَا إِثم كَبِير وَمَنافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثمُهُمَا أَكبَرُ مِن نَّفعِهِمَا “তারা আপনাকে মদ এবং জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে, আপনি বলুন উভয়ের মধ্যে রয়েছে অনেক ক্ষতি এবং মানুষের জন্য বহু উপকার। তবে উপকারের চেয়ে ক্ষতিটা বেশি।” (সুরা বাকারা, ২১৯) এক্ষেত্রে ফিকহী একটি মূলন