নারীদের রোযা সংক্রান্ত বিশেষ মাসায়েল
নারীদের ক্ষেত্রে রমযান ও রোযা সংক্রান্ত শরীয়তের বেশ কিছু বিশেষ বিধান রয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রয়োজনীয় কিছু মাসায়েল উল্লেখ করা হলো। এসবের বাইরে আরো কোনো মাসআলার দরকার হলে নির্ভরযোগ্য মুফতিয়ানে কেরাম থেকে জেনে নিতে হবে।
ঋতুস্রাব অবস্থায় রোযার বিধান :
নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব অবস্থায় রোযা রাখা জায়েয নয়। এ সময়ে রোযা রাখলেও তা সহীহ হবে না। তাই তাদেরকে ঐসব রোযা পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহায় নারীদের লক্ষ্য করে বললেন-
أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ؟! قُلْنَ بَلَى، قَالَ: فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا.
মহিলারা তো ঋতুস্রাবের সময় রোযা রাখতে পারে না এবং নামাযও পড়তে পারে না। এটা তাদের দ্বীনের অসম্পূর্ণতা। -সহীহ বুখারী ১/৪৪; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪৪০; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ১০০
রোযা অবস্থায় ঋতুস্রাব শুরু হলে :
পবিত্র অবস্থায় রোযা রাখার পর যদি কোনো মহিলার ঋতুস্রাব শুরু হয় বা সন্তান প্রসব হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং তিনি দিনের বাকি সময় পানাহার করতে পারবেন। পানাহার থেকে বিরত থাকবেন না। অবশ্য রমযানের মর্যাদা রক্ষার্থে প্রকাশ্যে পানাহার করবেন না; বরং লোকচক্ষুর আড়ালে পানাহার করবেন। আর ঐসব রোযা পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।চাই সেটা ফরয রোযা হোক বা নফল রোযা। -ফাতাওয়া কাযীখান ১/২১৭-২১৮]
রমযানে দিনের বেলায় স্রাব বন্ধ হলে :
রমযান মাসের দিনের বেলায় কোনো নারীর স্রাব বন্ধ হলে তার জন্য দিনের বাকি সময় রমযানের সম্মানার্থে রোযাদারের মতো পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা জরুরি। অবশ্য ঐ দিনটি তার রোযার অন্তর্ভুক্ত হবে না। তাই পরবর্তীতে তাকে ঐদিনের রোযাও কাযা করতে হবে। -মাবসূতে সারাখসী ৩/৫৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৩; ফাতহুল কাদীর ২/২৮২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯১
সুবহে সাদিকের পর ঋতুস্রাব বন্ধ হলে :
রোযা সহীহ হওয়ার জন্য সুবহে সাদিকের পূর্ব থেকে নারীর পবিত্র থাকা জরুরি। সুতরাং সুবহে সাদিকের পর যদি কোনো মহিলার ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব বন্ধ হয় তাহলে তার ওই দিনের রোযা শুদ্ধ হবে না; যদিও তিনি রোযার নিয়ত করে থাকেন এবং পানাহার থেকে বিরত থাকেন। অতএব তাকে পরবর্তীতে উক্ত রোযার কাযা করতে হবে।
সুবহে সাদিকের কতটুকু আগে পবিত্র হতে হবে?
যদি কোনো মহিলা পূর্ণ ১০ দিন ও ১০ রাত ঋতুস্রাবের পর, রাতের শেষভাগে গিয়ে পবিত্র হয় তাহলে তখন রাতের এতটুকু সময় হাতে না থাকলেও, যার মধ্যে একবার আল্লাহু আকবার বলা যায় তবুও তার উপর পরের দিনের রোযা রাখা ওয়াজিব। আর যদি ১০ দিনের কমে ঋতুস্রাব বন্ধ হয় এবং এতটুকু রাত অবশিষ্ট থাকে, যার মধ্যে তাড়াহুড়া করে গোসল করে নিতে পারে (যদিও একবারও আল্লাহু আকবার বলা যায় না) তবুও পরের দিনের রোযা রাখা ওয়াজিব হবে। এমতাবস্থায় গোসল না করে থাকলে গোসল ছাড়াই রোযার নিয়ত করে নিবে। আর যদি সময় তার চেয়েও কম থাকে তাহলে তার ঐ দিনের রোযা হবে না। তবে সারাদিন তাকে রোযাদারের মতোই পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে এবং পরে তা কাযা করতে হবে।
ওষুধের মাধ্যমে ঋতুস্রাব নিয়ন্ত্রণ :
কোনো কোনো মহিলা রমযানের রোযা রমযান মাসেই পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে ওষুধের মাধ্যমে ঋতুস্রাব বন্ধ রেখে থাকেন। এ ব্যাপারে শরীয়তের বিধান হচ্ছে, ওষুধ সেবনের কারণে হলেও একজন মহিলার যতক্ষণ পর্যন্ত মাসিক স্রাব চালু না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক পবিত্র বলেই গণ্য হবেন। তাই ওই দিনগুলোতেও তাকে নিয়মিত নামায-রোযা আদায় করতে হবে। আর তার ওই সময়ের নামায ও রোযাগুলো ত্রুটিযুক্ত হবে না; বরং পূর্ণ সহীহ বলেই গণ্য হবে। সুতরাং পরবর্তীতে তাকে সেসব নামায-রোযার কাযা করতে হবে না।
আর এ জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে শরীয়তে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে এটি কোনো উত্তম পন্থাও নয়। বিশেষ ওজর না থাকলে স্বাভাবিক নিয়মে চলাই উচিত। কেননা ঋতুস্রাব মহিলাদের একটি স্বভাবজাত বিষয়। এ অবস্থায় রোযা না রাখার বিধান রয়েছে এবং এর পরিবর্তে অন্য সময় রোযা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং রমযানে স্রাব বন্ধকারী ওষুধ ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ রমযানে স্রাবের কারণে রোযা না রাখলেও শরীয়তের কোনো বিধান লঙ্ঘন হয় না। উপরন্তু ওষুধ ব্যবহারের দরুন কোনো কোনো ক্ষেত্রে শারীরিক ক্ষতির আশংকা থাকে। তাই এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। অতএব পরবর্তী জটিলতা এড়ানোর জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১২১৯, ১২২০; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৯৯; জামিউ আহকামিন নিসা ১/১৯৮; ফিকহুন নাওয়াযিল ২/৩০৮; ফাতাওয়া রহীমিয়া ৮/১৩৬
অসুস্থতাজনিত স্রাবে রোযা :
ইস্তিহাযা তথা অসুস্থতাজনিত কারণে নির্গত স্রাব এবং ঋতুস্রাবের সর্বনিম্ন মেয়াদের কম ও সর্বোচ্চ মেয়াদের বেশি সময়ে নির্গত স্রাব অবস্থায় রোযা রাখা জরুরি। এ ধরনের স্রাব অবস্থায় রোযা না রাখার অবকাশ নেই। আর এ সময়ের রোযা পরিপূর্ণরূপে সহীহ হবে, ত্রুটিযুক্ত হবে না।
গর্ভবতী নারীর রোযা :
রোযা রাখার কারণে গর্ভবতী নারী নিজের কিংবা সন্তানের প্রাণহানী বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর প্রবল আশঙ্কা করলে তার জন্য রমযানে রোযা না রাখা জায়েয হবে। আর তাকে পরবর্তীতে এসব রোযা কাযা করতে হবে। -আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২
দুগ্ধদানকারিনী নারীর রোযা :
দুগ্ধদানকারিনী মা রোযা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ঐ সন্তান অন্য কোনো খাবারেও অভ্যস্ত না হয়, ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে সন্তানের মৃত্যুর বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে তার জন্য রমযানের রোযা না রাখা বৈধ হবে। তিনি পরবর্তীতে অনাদায়ী রোযাগুলো কাযা করে নিবেন। হাদীস শরীফে এসেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ الصَّوْمَ وَشَطْرَ الصَّلاَةِ وَعَنِ الْحَامِلِ أَوِ الْمُرْضِعِ الصَّوْمَ.
قَالَ أَبُو عِيسَى: حَدِيثٌ حَسَنٌ.
আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের জন্য রোযার হুকুম শিথিল করেছেন এবং আংশিক নামায কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনীর জন্যও রোযার হুকুম শিথিল করেছেন। -জামে তিরমিযী ১/১৫২
তবে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনী নারী রমযানে রোযা না রাখলে রোযার পরিবর্তে ফিদয়া দেয়া যথেষ্ট নয়। বরং পরে কাযা করতে হবে। আর ওজরের হালতে মৃত্যুবরণ করলে কাযা ও ফিদয়া কিছুই ওয়াজিব হবে না। অবশ্য ওজরের হালত শেষ হওয়ার পর, অর্থাৎ সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে স্রাব বন্ধ হওয়ার পর এবং স্তন্যদান বন্ধ করার পর যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে ওজর শেষে যে কয়দিন সময় পেয়েছে সে কয়দিনের কাযা দায়িত্বে আবশ্যক হবে। কাযা না করলে উক্ত দিনগুলির ফিদয়া আদায়ের অসিয়ত করে যেতে হবে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন-
ﺗﻔﻄﺮ اﻟﺤﺎﻣﻞ ﻭالمرضع ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺗﻘﻀﻴﺎﻥ ﺻﻴﺎﻣﺎ ﻭﻻ ﺗﻄﻌﻤﺎﻥ
গর্ভবতী নারী ও শিশুকে স্তন্যদানকারিনীর জন্যে রমযানে রোযা না রাখার অবকাশ রয়েছে। তারা ফিদয়া আদায় করবে না; বরং রোযাগুলো কাযা করে নিবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭০৬৪; -আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২৩-৪২৪; কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদীনাহ ১/২৫৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২
স্বামীর অনুমতি ছাড়া নফল রোযা রাখা :
বিবাহিত নারী স্বামীর উপস্থিতিতে নফল রোযা রাখতে চাইলে স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার জন্য নফল রোযা রাখা বৈধ নয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আরজ করলেন-
ﻣﺎ ﺣﻖ اﻟﺰﻭﺝ ﻋﻠﻰ ﺯﻭﺟﺘﻪ؟ ﻗﺎﻝ: ﻻ ﺗﺼﻮﻡ ﺇﻻ ﺑﺈﺫﻧﻪ ﺇﻻ اﻟﻔﺮﻳﻀﺔ، ﻓﺈﻥ ﻓﻌﻠﺖ ﺃﺛﻤﺖ ﻭﻟﻢ ﻳﻘﺒﻞ ﻣﻨﻬﺎ
স্ত্রীর উপর স্বামীর কী কী হক আছে? নবীজী বললেন, স্বামীর অনুমতি ছাড়া রোযা রাখবে না, তবে ফরয রোযা এর ব্যতিক্রম। স্বামীর অনুমতি ছাড়া রোযা রাখলে গুনাহগার হবে এবং তার রোযা কবুল হবে না। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/৩১৭
স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করা :
স্বামীর উপস্থিতিতে স্ত্রী ইতিকাফ করতে চাইলে স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করা অনুচিত। আর স্বামীদের উচিত, যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া স্ত্রীদের ইতিকাফে বাধা না দেওয়া। তাদের ইতিকাফের সুযোগ করে দেওয়া। এতে উভয়ই সওয়াব পাবে। আর স্বামী স্ত্রীকে ইতিকাফের অনুমতি দিয়ে দেয়ার পর আর বাধা দিতে পারবে না। বাধা দিলেও সে বাধা গ্রহণযোগ্য নয় এবং স্ত্রীর জন্য তা মানাও জরুরি নয়। -রদ্দুল মুহতার ২/৪৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১১
কাযা রোযার সঙ্গে শাওয়ালের রোযার নিয়ত করা :
অনেক মহিলা শাওয়াল মাসে রমযানের কাযা রোযা আদায় করার সময় শাওয়ালের ছয় রোযার নিয়তও করে নিতে চান। এভাবে রমযানের কাযা রোযার সঙ্গে শাওয়ালের রোযার নিয়ত করলে তা রমযানের কাযা হিসেবেই গণ্য হবে। এতে শাওয়ালের ছয় রোযা আদায় হবে না এবং তার সওয়াবও পাওয়া যাবে না। তাই শাওয়াল মাসের রোযা রাখতে চাইলে পৃথকভাবে শুধু এই নিয়তেই ছয়টি রোযা রাখতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৭
রোযা অবস্থায় বাচ্চার খাবার চিবিয়ে দেওয়া :
ছোট বাচ্চার খাবার চিবিয়ে দেয়ার মতো কোনো লোক থাকলে বা অন্য কোনো উপায়ে তার খাদ্য চিবিয়ে দেয়া গেলে রোযাদার মহিলার জন্য বাচ্চার খাবার চিবিয়ে দেয়া মাকরূহ হবে। তবে প্রয়োজনবশত: চিবিয়ে দিলে তা মাকরূহ হবে না। চিবানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে গলায় খাবারের স্বাদ বা কোনো অংশ চলে না যায়।
রোযা অবস্থায় তরকারির স্বাদ চেখে দেখা :
রোযা অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া জিহ্বা দ্বারা খাবারের স্বাদ না দেখা উচিত। একান্ত অন্যদের কষ্ট হলে ইফতারির লবণ দেখতে পারবে। তবে লবণ দেখে সাথে সাথে থুথু ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে কুলিও করে নিবে। খেয়াল রাখতে হবে, খাবারের কোনো অংশ যেন গলায় চলে না যায়। আর তরকারির লবণ ইফতারির পরে দেখলেও চলে। কেননা তরকারি সাধারণত ইফতারের পরই খাওয়া হয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন-
لاَ بَأْسَ أَن يَّذُوْقَ الْخَلَّ أَوِ الشَّيْءَ مَالَمْ يَدْخُلْ حَلْقِهِ وَهُوَ صَائِمٌ
রোযা অবস্থায় সিরকা বা অন্য কিছুর স্বাদ দেখতে কোনো অসুবিধা নেই; যদি তা গলার ভিতরে প্রবেশ না করে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৩৮৫, ৯৩৮৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৬; তাবয়ীনুল হাকাইক ২/১৮৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৯
রোযা অবস্থায় ডি. এন্ড. সি ও এম. আর করা :
ডি এন্ড সি হলো, গর্ভধারণের আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্যে একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে মায়ের গর্ভাশয় থেকে বাচ্চার ভ্রুণ বের করে নিয়ে আসা। এতে ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায় বলে রোযা ভেঙ্গে যায়। তাই এমনটি করলে রোযার কাযা করতে হবে।
আর এম. আর হলো, গর্ভধারণের পাঁচ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে যোনিদ্বার দিয়ে জরায়ুতে এম আর সিরিঞ্জ প্রবেশ করিয়ে জীবিত কিংবা মৃত ভ্রণ নিয়ে আসা। এরপর ঋতুস্রাব পুনরায় চালু হয়। অতএব মাসিক শুরু হওয়ার কারণে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে। কিন্তু যদি রাতের বেলায় করা হয় তাহলে দিনের রোযা কাযা করতে হবে না।
লিখেছেনঃ
-মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল্লাহ হাফি.
জামেআ হাকীমুল উম্মত,কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
মহিলাদের রোযা সংক্রান্ত বিশেষ মাসায়েল |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন