পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এটা কাদের আক্বিদা?

সত্ত্বাগত ভাবে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এটাতো আশ'আরী মাতূরীদি ইমামদেরও আক্বীদাহ না তাহলে কেন এত ভুল-বুঝি। আমি চাই ঝগড়া না হয়ে ঐক্য হোক (যদিও এটা অসম্ভব!)। আশ'আরী, মাতূরীদি  ও আসারী তথা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের শত্রুতা হচ্ছে- .  জাহমিয়্যাহ,নাজ্জারিয়া,কাররামিয়া,মুজাসসিমাহ, হাশাবীয়াহ, মুশাব্বিহা, মু'আত্ত্বিলাহ, কদরিয়্যাহ,মুরজিয়া, মু'তাজিলা, খাওয়ারেজ, রাওয়াফেয, বারাহেম ইত্যাদি ফিরক্বায়ে বাত্বিলাহর সাথে। এটা রেখে কেন  এত ভুল বুঝা-বুঝি আর কাদা ছোড়াছুড়ি!? . যাইহোক আল্লাহ স্থান,কাল, দেহ, অবয়ব, প্রকৃতি, ধরণ, ও সীমানার থেকে পবিত্র যা ইতিপূর্বে লিখেছি।  . এখন আসারী পন্থী ভাইদের ভুল ভাঙ্গার জন্য  আশ'আরী ও মাতূরীদি আক্বীদার ইমামদের থেকে দলিল দিচ্ছি যে, আল্লাহকে তারা সত্তাগত সর্বত্র বিরাজমান মনে করেন না।-  . ১)  ইমাম ইবনু ফূরাক রহ. (৪০৬ হি.) বলেন: اعلم أن الثلجي كان يذهب مذهب النجار في القول بأن الله في كل مكان وهو مذهب المعتزلة وهذا التأويل عندنا منكر من أجل أنه لا يجوز أن يقال إن الله تعالى في مكان أو في كل مكان অর্থ: জেনে রেখো, সালজী মূলত: নাজ্জারের এই কথার উপর বিশ্বাস পোষণ

উসূলুত তাকফীর : ফেমিনিস্টদের ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণ

ফেমিনিস্টিদের ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণঃ ফেমিনিজম তথা নারীবাদ বলতে শরীয়তে কিছু নেই। এর আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সবই ভ্রান্তি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তদের গোমরাহ বলা গেলেও কাফের বলা যায়না আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে  শরীয়তের অকাট্য ও সুস্পষ্ট কোন বিষয়কে অস্বীকার করা, অভিযোগ করা ও বিদ্রুপ করার কারণে তাদের ঈমান চলে যাবে। বিয়ে করে থাকলে সাথে সাথে বিয়ে ভেঙ্গে যাবে। ঐ অবস্থায় বাচ্চা হলে তা হারামযাদা হবে! এবং তাওবা না করলে ইসলামী রাষ্ট্রে তাকে মুরতাদ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। সেসব বিষয় গুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে- ১) সকল বিষয়ে নারী পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে। তাদের মাঝে কেবল লিঙ্গ ও গঠনাকৃতির ব্যবধান রয়েছে! বাকী সব ক্ষেত্রে পুরুষ যা করতে পারবে নারীরাও তাই করতে পারবে, এতে বাধা দেওয়া ধর্মান্ধতা ও মধ্যযুগীয়  কুসংস্কার বললে ঈমান চলে যাবে।  ২) বোরকা পরিধান করা ও পর্দা প্রথা একটি সেকেলে ও মধ্যযুগীয় প্রথা। অনুরুপ  নারীদের হিজাব ও পর্দার বিধানকে ব্যাঙ্গাত্মক ও বিদ্রুপাত্মক ট্যান্ট/তাবু,  ক্ষেত, জঙ্গী,  ঝোপঝাড় ও জঙ্গল  বললেও ঈমান  চলে যাবে।   ৩) আল্লাহ কুরআনে উত্তরাধিকার হিসেবে ছেলেরা মেয়েদের দ্বিগুণ পাওয়ার বিধান র

কাফিরদের দেশে বসবাস করার বিধান কি?

কুফফারদের দেশে বসবাসের ও হিজরত করার বিধান কি? ফুকাহায়ে কেরাম কাফেরদের দেশে বসবাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। প্রখ্যাত  ফকীহ ইমাম মাওয়ারেদি রহ.-এর মতে ইসলামের দৃষ্টিতে কোন অঞ্চলে বসবাসের চারটি ভিত্তি হতে পারে।  . ক) নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা।  খ) আলাদা সংস্কৃতিতে থাকতে পারার সক্ষমতা। গ) দাওয়াতি কার্যক্রম।  ঘ) দ্বীন রক্ষার প্রয়োজনে যুদ্ধ করার সক্ষমতা।  . এই চার শর্তের ভিত্তিতে ইমাম মাওয়ারেদী রাহঃ সম্ভাব্য পাঁচটি চিত্রের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আগ্রহীরা বিস্তারিত জানতে ইমাম মাওয়ারেদী রাহঃ আল হাবিউল কাবীর কিতাবটি দেখতে পারেন। ( খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২২২ ) এছাড়াও ই'লাউস সুনানের হাশিয়া সহকারে ১২/ ১৪৯-১৬৮ এবং আল মাওসূয়াতুল ফিক্বহিয়্যাহ কুয়েতিয়্যাহ ২০/২০৬-২১৯ দেখা যেতে পারে। . অমুসলিম রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার হুকুম স্থান, কাল ও অবস্থাভেদে ভিন্ন ভিন্ন হবে। নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে- (এক) কোনো মুসলমান যদি অমুসলিম দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণে বাধ্য হয়। যেমন স্বদেশে বিনা কারণে তাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হয়, জেলে যেতে হয় বা মাল-সম্পদ ক্রোক করা হয়। এবং উক্ত সুরতে অমুসলিম দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ

কুরআনের পর্দাই তাঁদের দিয়েছে নেকাব-বোরকা

-- মুহা. যাকারিয়া আবদুল্লাহ . গত শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দৈনিক যুগান্তরের ‘ইসলাম ও জীবন’ পাতার একটি লেখা পড়ে বিস্মিত হয়েছি। ‘কোরআনের পর্দাকে বোরকায় ঢাকল কারা’  শীর্ষক লেখাটিতে ইসলামের পর্দা বিধানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ-‘বোরকা’ ও ‘পরপুরুষের সামনে নারীর চেহারা আবৃত রাখা’র বিষয়ে কিছু অশালীন ও অমার্জিত বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছু অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে! নিবন্ধের বাক্যব্যবহার সম্পর্কে কিছু বলার নেই, শুধু তথ্যবিকৃতির কিছু নমুনা তুলে ধরছি। ‘বোরকা ইসলামী বিধান নয়’ প্রমাণ করার জন্য বলা হয়েছে, ‘... কোরআনে সর্বমোট চারটি স্থানে ব্যাপক পর্দার কথা বলা হয়েছে।’ এরপর সূরা আরাফের (৭) : ২৬ নং আয়াত ও সূরা নূরের (২৪) : ৩০, ৩১, ৬০ নং আয়াতের তরজমা উদ্ধৃত করা হয়েছে। পর্দার বিষয়ে কোরআনে শুধু ঐ চার স্থানেই বলা হয়েছে-এই তথ্য সঠিক নয়। সূরা আহযাবের (৩৩) ৫৩ ও ৫৯ নং আয়াতেও পর্দার বিধান আছে, যা নিবন্ধে সম্পূর্ণ গোপন করা হয়েছে। সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াত দ্বারা বোরকার বিধান প্রমাণিত হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের, আপনার কন্যাদের ও মুমিনদের নারীদের বলুন, ত

মহামারী চলাকালে পূর্ববর্তী বুযুর্গদের স্বপ্নে প্রাপ্ত ও পরীক্ষিত কিছু আমল

১. কা’আব রা. বলেন, ‘سُبْحَانَ اللهِ’ ‘সুবহানাল্লাহ’ জিকির মহামারীকে রুখে দেয়। ইমাম শাফিঈ রহ. বলেন, মহামারীতে সবচেয়ে উত্তম দোয়া হল তাসবীহ পাঠ করা। অর্থাৎ ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করা । . ২.  মা’রিফাত লাভকারী আরিফগনের এক জামাআত বলেন, মহামারীর দিনগুলো তে ১৩৬ বার দোয়ায়ে ইউনুস পড়বে। তাদের অনেকের মতে এটাই ইসমে আজম। . لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ . ৩. তাকিউদ্দীন সাবকী রহ. ৪০৯ হিজরির মহামারী চলাকালে তার ছেলে আবু হামিদের কাছে পত্র লিখেন যে, জনৈক নেককার ব্যক্তি রাসূল সা.-কে স্বপ্নে দেখেন। তিনি লোকজনকে নিচের দোয়াটি পড়তে বলেন,  يَا وَدُوْدُ يَا وَدُوْدُ، يَا ذَا الْعَرْشِ الْمَجِيْدِ، يَا مُبْدِئُ يَا مُعِيْدُ، يَا فَعَّالَ لِّمَا يُرِيْدُ، اَسْأَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الَّذِيْ مَلَأَ أَرْكَانَ عَرْشِكَ، وَ بِقُدْرَتِكَ الَّتِيْ قَدَرْتَ بِهَا عَلَى خَلْقِكَ، وَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسَعْتَ كُلَّ شَيْئٍ، اِرْفَعْ عَنَّا هَذَا الْوَبَاءَ . ৪. শিহাবুদ্দিন ইবনু আবি হাজলা রহ. বলেন, ৭৬৪ হিজরিতে মিশরে মহামারির ব্যপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে কিছু নেককার লোক রাসূল সা.-কে স

ইলম অর্জনের লক্ষ্য - উদ্দেশ্য এবং দুটি কথা

ইলম হাসিলের পিছনে কয়েক ধরনের জজবা কাজ করে। যেমনঃ ১. আমল ও দাওয়াতের নিয়তে জানার জজবা। ২. শুধু আমলের নিয়তে জানার জজবা। ৩. শুধু দাওয়াতের নিয়তে জানার জজবা। ৪. জানানোর নিয়তে জানার জজবা। ৫. তর্ক ও বিতর্কের নিয়তে জানার জজবা। . উপরোক্ত পাঁচ প্রকার আবার ইখলাসের কারণে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এখন কথা হল ইখলাস থাকা স্বত্বেও এই পাঁচ প্রকার জজবা সমান উপকারী নয়। আপনি আপনার সাধারণ জ্ঞান ও বিবেচনা দিয়েই এগুলোর ক্রম বিন্যাস করতে পারবেন। অর্থাৎ ইখলাসের সাথেও সব জজবা সমান নয়। . আবার ইখলাস না থাকলে এ ধরণের জজবার যে কুফল আছে, তাও সমান নয়। অর্থাৎ ইখলাসহীন এ সকল জজবার একেকটার ক্ষতি একেকরকম। ইখলাসহীন ইলম হাসিলের জজবার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর হল অন্যকে জানানোর নিয়তে ইলম হাসিলের জজবা। এরপরেই তর্ক ও বিতর্কের উদ্দেশ্যে ইলম হাসিলের জজবা। এই দুই জজবায় মানুষ অধিকাংশ সময় উল্টোপথে হাঁটার নীতি বেছে নেয়। মানুষের মাঝে চমক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে, নিজের পাণ্ডিত্য জাহিরের মানসে এবং অন্যদের চেয়ে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করার খাহেশে ইলম ও আমলের উসুল ও সালাফের আঁকড়ে থাকা পথ থেকে দূরে সরে ভিন্ন পথ বেছে নেয়। এতে উম্মাতের চলমান বিশুদ্ধ ও

আবুল হাসান আশআরী রহ. এর ব্যাপারে অপপ্রচার ও কমনসেন্সের কিছু কথা…

ইমাম আবুল হাসান আশআরী রাহ. এর ব্যাপারে একটা কথা চাওর আছে যে, তিনি শেষ জীবনে নাকি সালাফি হয়েছিলেন। সুতরাং আশাআরী রাহ. নিজেই শেষ পর্যন্ত 'আশআরী' ছিলেন না। এই দাবীটা নিয়ে কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বলি। তাহলে পুরো বিষয় সম্পর্কে একটা সামগ্রিক ধারণা পাবেন।  ইমাম আশআরী স্পষ্টভাষায় কোথাও বলেননি যে, আমি এতদিন যা বলেছি সব ভুল ছিল। এখন আমি বুঝতে পেরে রুজু করলাম। বরং বিষয়টা উনার একটা কিতাব 'আল-ইবানা' এর মধ্যে সিফাতের ক্ষেত্রে উনার অনুসৃত পন্থা থেকে পরবর্তীতে কেউ কেউ ধারনা করে নিয়েছেন।  এখন এখানে সবচে বড় যে প্রশ্নটা আসে তা হলো, ইমাম আশআরী যদি আগের মত থেকে ফিরে আসেন এবং সেটাকে ভুল মনে করেন তাহলে সেটা কেন তিনি স্পষ্টভাষায় বলে গেলেন না? এটা তো দায়-দায়িত্বের বিষয়। উনি নিজেও জানতেন আকীদার ক্ষেত্রে সমযুগের অন্যরা তাকে ইমাম ও অনুসরণীয় মনে করে। তিনি এতদিন যে ভুল করে এসেছেন এবং তাকে অনুসরণ করে অন্যরাও সেই ভুলে পতিত হয়েছিলেন তাদেরকে সেই ভুল থেকে মুক্ত করা উনার দায়িত্ব ছিল না? তাহলে কেন উনি স্পষ্টভাষায় বলে গেলেন না বিষয়টা? মুতাযিলীদের আকিদা থেকে ফিরে আসার পর যেভাবে তিনি এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেম