পোস্টগুলি

2023 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইবনে আবীল ইয হানাফী ও তার ‘শারহুল আকীদাতিত তাহাবিয়্যা’-এর প্রকৃত অবস্থা ও মূল্যায়ন

ইবনে আবীল ইয হানাফী ও তার ‘শারহুল আকীদাতিত তাহাবিয়্যা’-এর প্রকৃত অবস্থা ও মূল্যায়ন আহলে ইলমের কাছে একথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, ইবনে আবীল ইযের উক্ত শরাহটি সহজবোধ্য ও আকীদার সাথে হাদীস-আসার উল্লেখ করা এবং কিছু বিষয়ে ভালো আলোচনা থাকার পাশাপাশি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর বিপরীত অনেক আকীদা ও কথা রয়েছে। আমার জানামতে ছোটখাটো বিষয়গুলো বাদ দিলেও মৌলিকভাবে ১৫টির চেয়ে বেশি ভ্রান্ত আকীদা, অপব্যাখ্যা ও ভুল তথ্য রয়েছে। শাইখ সাঈদ ফুদার الشرح الكبير ও মুফতী রেজাউল হক সাহেবের العصيدة السماوية দেখলে সহজে পেয়ে যাবেন। আর উক্ত ব্যাখ্যা গ্রন্থে ভ্রান্তির মূল কারণ হচ্ছে, তিনি শাইখ ইবনে তাইমিয়া রহ, ও ইবনুল কায়্যিমের কিতাব সমূহ থেকে তাদের নাম নেওয়া ছাড়া অসংখ্য কথা ও বক্তব্য ব্যাখ্যা হিসেবে এনেছেন। এটা নিছক দাবি নয়, বরং সালাফি আলেম ড. আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মাদ তিনি এ বিষয়ে স্বতন্ত্র কিতাব রচনা করেছেন। যার নাম হচ্ছে, مصادر ابن أبي العز في شرح العقيدة الطحاوية এতে তিনি এমন ১৮৭ টি জায়গা চিহ্নিত করেছেন। মোল্লা আলী কারী রাহ. (মৃ. ১০১৪ হি.) বলেন,  والحاصل أن الشارح يقول بعلو المكان مع نفي التشبيه، و

যেকোনো গল্প লেখাই কি গুনাহ?

প্রশ্নঃ একটা মজার প্রশ্ন চোখে পড়লো। গল্পের ছলে বা কৌতুক করে যদি মিথ্যা না বলা যায় তাহলে কি মিথ্যা গল্প সাজিয়ে গল্প উপন্যাস কবিতা লেখা যাবে?!  (যেমন- আমরা অনেক সময় বলি, অমুক গ্রামে একজন অমুক ছিলো...। কাল্পনিক রূপ আরকি।) উত্তরঃ ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়ে আমার ভাবনাটা সংক্ষেপে বলছি- ১. মিথ্যা খারাপ হবার কারণ হলো, এটি শ্রোতার সামনে অসত্যকে সত্যভাবে তুলে ধরে, যেটার দ্বারা মানুষ প্রতারিত বা ধোঁকাগ্রস্ত হয়। গল্পে সেটা থাকে না। গল্পের ক্ষেত্রে কাহিনী যে সত্য না, সেটা শ্রোতাদের জানা থাকে। ফলে মিথ্যার নিন্দনীয় হবার মূল কারণ এতে বিদ্যমান নেই। ২. যেসব গল্পে কোন শিক্ষণীয় মেসেজ থাকে, সেটা অনেকটা দৃষ্টান্তের মতো। দৃষ্টান্ত দেবার জন্য কাল্পনিক চরিত্রকে উপস্থাপন করা সকলের মতেই জায়েয। ফুকাহাদের কিতাবে মাসআলা বর্ণনা করতে গিয়ে এমন বহু প্লট উপস্থাপন করা হয়, যেটা শুধুই মেসেজটা ক্লিয়ার করার জন্য করা হয়। এটা যে বাস্তব কিছু না, শুধুই বুঝানোর জন্য শ্রোতাদের/পাঠকের তা জানা থাকে। ফলে ১ম পয়েন্টে বলা মূল নিন্দনীয় বিষয় এতে অনুপস্থিত। ৩. আমরা নিত্য দিনের কথায় অনেক বাগধারা ব্যবহার করি। ধরেন, একজনকে বললাম, চুরি তো চুরি আমা