আহমদ রেজা খান বেরেলভি একজন তাকফিরি আলেম
এক.
এই প্রবন্ধটি কেন ?
ওলামায়ে দেওবন্দ তার শুরু লগ্ন থেকে কুফরি ফিতনার বিপরীত যে ফিতনার পিছনে সময় ব্যয় করতে বাধ্য হয়েছেন তার মধ্যে প্রথম সারিতে হলো বেরলবি ফিতনা ও এই ফিতনা যার দিকে সম্বন্ধ আহমদ রেজা খান বেরলবি রহ.-এর মিথ্যাচারের জবাব দিয়ে। এমনকি ইংরেজদের শত জুলুম অত্যাচার আর তাদের চাপিয়ে দেওয়া কুফরের বিরুদ্ধে যখন হিন্দুস্থানের ওলামায়ে কেরাম কাজ করে যাচ্ছিলেন তখন আহমদ রেজা খান ও তার অনুসারীরা কিছু বেদয়াতি মাসআলা নিয়ে ওলামায়ে আহলে হককে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন। উম্মাহের ঐক্যের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু হিন্দুস্থানের ওলামায়ে কেরাম বিশেষত ওলামায়ে দেওবন্দ মানুষের ইমান ও আমল রক্ষার স্বার্থে বেরলবিদের সকল অপপ্রচারের উত্তর দিয়েছেন। তাদের বেদয়াতি মাসআলাগুলো নিয়ে খণ্ডনের পর খণ্ডন করে এই মাসআলাগুলোকে প্রায় দাফন করেছেন।
কিন্তু সম্প্রতি কিছু ভাই সে বিভিন্নভাবে ওলামায়ে দেওবন্দের কবর দেওয়া সে মাসআলাগুলোকে আবার পূনরায় লোক সম্মুখে আনার পায়তারা করছে। এর মাঝে কেউ কেউ প্রকাশ্যে এগুলো করার চেষ্টা করছে, কেউ নিজের আদর্শ গোপন করে নিজেকে দেওবন্দি পরিচয় দিয়ে বেরলবিয়াত প্রচার করছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো বেরলবিয়্যাত আর আহমদ রেজা বেরলবিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে কওমী মাদরাসায় পড়ুয়া কিছু ভাই! আরো দুঃখজনক হলো কিছু ভাই যাদের সাথে উম্মাহের বৃহৎ স্বার্থে ভালো সম্পর্ক রেখে চলা হয় তারা বিভিন্ন মাদরাসার তালেবে ইলমকে ইনবক্সে বিভিন্ন দলিল দিয়ে বিভ্রান্ত করে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, দেওবন্দি আর বেরলবিদের মাঝে মৌলিক কোনো তফাৎ নেই। কিছু শাখাগত বিষয়ে পার্থাক্য রয়েছে শুধু!
এই সবগুলো বিষয় সামনেই ছিলো। তার উপর বেরলবি ও আহমদ রেজা খানের বিষয়ে জানতে অনেকেই বারবার জিজ্ঞাসা করছিলো। অপরদিকে কিছু শ্রদ্ধেয় বড় কয়েকজন ভাই আহমদ রেজা খানের বিষয়ে অল্প হলেও ধীরে ধীরে কিছু লেখার জন্য আদেশ করেছেন। তাই বিষয়ে সামান্য কিছু আলোচনা করা নিজের জন্য প্রথমত, অতঃপর অন্যভাইদের জন্য জরুরি মনে করছি। যাতে করে হাজারো সমস্যার মাঝে উম্মাহ পুরান বোতলে এই নতুন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া থেকে সামান্য হলেও বেঁচে থাকতে পারে।
দুই.
আহমদ রেজা খান বেরলবির পরিচয় :
১২৭২ হিজরীর শাওয়াল মাসে হিন্দুস্থানের বেরেলি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন আহমদ রেজা খান। নসব সূত্রে তিনি একজন আফগানী। বংশীয় পরিচয় হলো, আহমদ রেজা বিন নাকি আলি বিন রেজা আলি। পরবর্তীতে ‘আলা হজরত’ এবং ‘আব্দুল মোস্তফা’ নামে তিনি অধিক পরিচিতি লাভ করেন। অল্প বয়েসেই পিতার অধীনে ইলম অর্জন শুরু করেন এবং মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই নিয়মতান্ত্রিক পড়াশোনা শেষ করে ফেলেন। এবং সমসাময়িকদের থেকে ইলমি যোগ্যতায় নিজেকের শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষর রাখেন, বিশেষত ফিকহ ও উসুলে ফিকহ শাস্ত্রে। হানাফি মাজহাবে আহমদ রেজা খানের ছিলো বিশেষ পাণ্ডিত্ব। মাজহাবের সুক্ষাতিসুক্ষ বিষয়ে তার জ্ঞান ছিলো গভির। -নুজহাতুল খাওয়াতির ৮/১১৮১
এত কিছুর পরেও নিজ মতাদর্শে সে ছিলো গোড়া। এবং ভিন্ন মতালম্বিদের বিষয়ে সে শুধু শক্ত ভাষায় ব্যবহার করতো না বরং জঘন্য মিথ্যাচারেও লিপ্ত হতো। বিভিন্ন মতালম্বি আলেমদের লেখাকে কাটছাট করে তাদেরকে গোমরাহ প্রমাণ করতো এমনকি কাফের আখ্যায়িত করতো। বিশেষত ওলামায়ে দেওবন্দকে সে চরম শত্রু মনে করতো। ওলামায়ে দেওবন্দকে আমভাবে তাকফির করতো এবং ওলামায়ে দেওবন্দকে যারা তাকফির বা কাফের বলতো না তাদেরকে আহমদ রেজা খান রহ. কাফের ও মুরতাদ মনে করতো। (এই বিষয়ে দলিলসহ সামনে আলোচনা আসছে ইনশাআল্লাহ) ওলামায়ে দেওবন্দের প্রতি তার বিদ্বেষ এতটাই ছিলো যে, ওলামায়ে দেওবন্দের বিভিন্ন লেখাকে কাটছাট করে এবং তাদের ইবারতের ভুল অর্থ বের করে সে একটি দীর্ঘ ফতোয়া তৈরি করে এবং হারামাইনের ওলামায়ে কেরাম যারা তখনও ওলামায়ে দেওবন্দের আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত ছিলো না তাদের থেকে এই ফতোয়ায় স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। পরে তা কিতাব আকারে প্রকাশ করে যার নাম দেয় ‘হুসামুল হারামাইন’। অতপর এই কিতাব উপমাহাদেশে প্রচার করে প্রচুর ফিতনা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ওলামায়ে দেওবন্দ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে হারামাইন শরীফে পাঠালে তারা বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারে এবং আগের বিষয় থেকে রুজু করে নেয়। দেখুন, নুজহাতুল খাওয়াতির ৮/১১৮১, দারুল উলুম দেওবন্দের সাইটে প্রকাশিত একটি মাকালা (লিংক কমেন্টে)
শুধু ওলামায়ে দেওবন্দেরই নয়, ভারত বর্ষ জুড়ে যখন ইংরেজরা মুসলমানদের উপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালাচ্ছিলো, ওলামায়ে কেরামকে হত্যা, গুম-খুন করে যাচ্ছিলো, জনসাধারণকে খ্রিস্টান বানানোর শতশত মিথ্যা আর কৌশলের আশ্রয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলো তখন ওলামায়ে কেরামের সঙ্গ না দিয়ে ইংরেজদের পক্ষে বই লেখে ভারত বর্ষকে দারুল ইসলাম ফতোয়া দেয় আহমদ রেজা খান। এই বিষয়ে সে একটি পুস্তিকা রচনাও করে যার নাম দেয় ‘ইলামুল ইলাম বিয়ান্না হিন্দুস্থান দারুল ইসলাম’। -রাহে সুন্নাত, সারফারাজ খাঁন সফদার পৃ. ৭
তিন.
আহমদ রেজা খানের তাকফিরি মনোভাব :
আহমদ রেজা খান ছিলো মারাত্মক পর্যায়ের একজন তাকফিরি আলেম। উসুলে তাকফিরের শুধু ভুল ব্যবহারই করতেন না বরং ভিন্ন মতাদর্শি আলেমদের লেখাগুলোকে কাটছাট করে সে নিজের মত ক্রে উপস্থাপন করে আলেমদের তাকফির করতো। ওলামায়ে দেওবন্দ যাদের অবদানে আজ এই অঞ্চলের জনসাধারণ এখনো ইমানের নুর নিয়ে জীবন যাপন করছে সে ওলামায়ে দেওবন্দকে আহমদ রেজা খান ব্যপকভাবে তাকফির করতো। তার তাকফিরের ধরণ শুধু উসুলীভাবেই ছিলো এমন নয় তিনি একদম নাম ধরে ধরে এবং নির্দিষ্ট ফতোয়ায় সে ওলামায়ে দেওবন্দের আলেমদেরকে কাফের আখ্যায়িত করতো।
আহমদ রেজা খানের তাকফিরের কিছু চিত্র তার কিতাব থেকেই দেখে নেওয়া যাক।
১. দেওবন্দিদের জবাই করা বস্তু হারাম এবং তারা সকলেই মুরতাদ
আহমদ রেজা খান বেরলবির নিজের লেখা ফতোয়াগুলোর সংকলনের একটি হলো “আহকামে শরীয়ত” নামক একটি ফতোয়ার কিতাব। সেখানে জবাই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে সে লেখে, “দেওবন্দি, ওহাবি গাইরে মুকাল্লিদ, কাদিয়ানি, ন্যাচারি—এইসবগুলো দলের ব্যক্তিদের জবাই করা পশু নাপাক ও অকাট্ট হারাম। চাই এরা সকলে যত লক্ষবার জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করুক না কেন। এরা যতই মুত্তাকি পরহেজগার হোক না কেন, এরা সকলেই মুরতাদ।’’ -আহকামে শরীয়ত পৃ. ১৬১ (মূল ইবারতের স্ক্রিন শট ১ নং স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)
২. দেওবন্দিরা ইহুদি খ্রিস্টানদের থেকেও নিকৃষ্ট
একই কিতাবের আরেকটি ফতোয়া আহমদ রেজা খান লেখে, “.... দেওবন্দিরা যদিও হানাফি ফিকহের কিতাবগুলো যদিও মানে এমনকি চিশতী, নকশবন্দি ও অন্যান্য সুফিদের দিকে নিজেদের সম্পৃক্ত করে মানুষকে মুরিদ বানায় এবং ওলামাদের লেখা থেকে উদ্ধৃতি দেয়, কিন্তু এরা জরুরিয়্যাতে দ্বীনের কিছু বিষয়কে তারা অস্বীকার করে। তাদের কালিমা পড়া, নিজেদের মুসলিম দাবী করা নিজেদের কথা ও কাজে আলেমদের বক্তব্য উল্লেখ করা এটাই তাদেরকে আরো খবিস ও ক্ষতিকারক কাফের বানিয়ে দেয় এমনকি কাফেরে আসলি ইহুদি, খ্রিস্টানদের ও মুর্তি পুজারী মুশরিকদের থেকেও এরা নিকৃষ্ট হয়ে যায়। - আহকামে শরীয়ত পৃ. ১৬২ (মূল ইবারতের স্ক্রিন শট ২ নং স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)
৩. রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি আশরাফ আলি থানভি ও খলিল আহমদ সাহানপুরী রহ.কে নাম ধরে তাকফির
হুসামুল হারামাইন নামে আহমদ রেজা খান এক কিতাব লেখে ‘হুসামুল হারামাইন’ নামে। সে কিতাবে সে ওলামায়ে দেওবন্দকে আমভাবে যেনো হারামাইনের আলেমগণ তাকফির করে সে জন্য ওলামায়ে দেওবন্দের মহান তিন ইমাম রশীদ আহমদ গাঙ্গুহি রহ., আশরাফ আলি থানভি রহ., ও খলিল আহমদ সাহারানপুরী রহ.-এর নাম উল্লেখ করে তাদের তাকফির করে। -হুসামুল হারামাইন ২৪/২৫ (মূল ইবারতের স্ক্রিন শট ৩ নং স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)
এই কিতাবে সে ওলামায়ে দেওবন্দ বিশেষত এই তিন মহান ইমামকে এমন জঘন্য ভাষায় ও মিথ্যাচার করে উপস্থাপন করে যে, সে সময়ের মসজিদে নববির একজন মালেকি আলেম ওমর বিন হামদান সে ফতোয়াতে তাকরিজ দিয়ে লেখেন, এই ফতোয়ায় যা লেখা হয়েছে তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে গোস্তাখী করার কারণে রশিদ আহমদ (গাঙ্গুহী), খলিল আহমদ (সাহারানপুরী) ও আশরাফ আলি (থানভি) এরা সকলে কাফের। এদের কুফরি ও সামর্থ্য থাকলে হত্যা করার বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। হুসামুল হারামাইন পৃ. ১৩১, তাকরিজ নং ২৯ (মূল ইবারতের স্ক্রিন শট ৪ নং স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)
এই তিনটি আমি শুধু নমুনা হিসেবে পেশ করলাম। এবং সবগুলোই আহমদ রেজা খানের নিজের লেখা কিতাব থেকেই উল্লেখ করলাম। এমন আরো অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। এমন একজন তাকফিরি যে হিন্দুস্থানের আহলুস সুন্নাহের এত বড় একটি জামাতকে কাফের মনে করতো এবং তাদের রক্তকে হালাল মনে করতো অন্যায়ভাবে মিথ্যাচার করে মানুষের কাছে তাদেরকে খারাপ করে উপস্থাপন করতো এমন একজন মানুষকে ইমাম যারা মনে করে তারা কিভাবে অন্য কোনো ইসলামি দলকে খারেজি বলে! দুনিয়ায় কী ইনসাফ উঠে গেছে!
চার.
আহমদ রেজা খানের ব্যাপারে ওলামায়ে দেওবন্দের কয়েকটি ফতোয়া :
ক. দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া :
দারুল উলুম দেওবন্দের অফিসিয়াল সাইটে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধে আহমদ রেজা খানের ব্যাপারে বলা হয়,
قام أحمد رضا خان البريلوي المتوفى1340هـ رأس أهل البدع والأهواء، واقتبس نصوصًا من كتب كلٍّ من الإمام محمد قاسم النانوتوي، والشيخ رشيد أحمد الكنكوهي، والشيخ خليل أحمد السهارنفوري، والشيخ أشرف علي التهانوي، وفسَّرها تفسيرًا لا يرضى أصحابها واستنبط منها عقائد باطلة من إنكار ختم النبوة، وإمكان كذب الله عزَّوجل، وكون علم أبليس اللعين أكثرمن علم سيدنا محمد صلى الله عليه وسلم، وما إلى ذلك.
“আহমদ রেজা খান সে হলো আহলে বেদআতের সর্দার...’’
অন্য একটি ফতোয়ায় উল্লেখ করে (ফতোয়া নাম্বার ৬০৪৬৮১) মৌলভি আহমদ রেজা খান ইংরেজদের পক্ষ নিয়ে মুসলমানদের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করতে নিজের পক্ষ থেকে আবিষ্কার করে। এবং আহলে হক মুসলমানকে নিজের বানানো মাসআলা না মানার কারণে কুফরের ফতোয়া দেয়। ওলামায়ে দেওবন্দ ও বেরলবিদের মাঝে ইখতিলাফ সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই না, সে বেশকিছু কুফরি মাসআলাও সৃষ্টি করেছে যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানতেন। দুনিয়ার শুরু থেকে শেষ—যা হয়েছে এবং যা হবে এই সকল বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন।
যেহেতু সে এই বিষয়ে তাবিল করতো তাই ওলামায়ে দেওবন্দ আহমদ রেজা খানকে কাফেরের ফতোয়া দিতেন না। বরং তাকে বেদয়াতি বলতেন।– ফতোয়ার স্ক্রিনশট ৫ নং স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য
খ.
আহমদ রেজা খান ব্রেলভির সম্পর্কে আবুল হাসান আলি নদভি রহ.-এর পিতা আব্দুল হাই হাসানী রহ.-এর কিছু মন্তব্য দিচ্ছি যা তিনি তার জগত বিখ্যাত কিতাব নুজহাতুল খাওয়াতিরে উল্লেখ করেছেন।
كان متشددا في المسائل الفقهية والكلامية، متوسعا مسارعا في التكفير، قد حمل لواء التكفير والتفريق في الديار الهندية في العصر الأخير وتولى كبره وأصبح زعيم هذه الطائفة تنتصر له... ثم انصرف إلى تكفير علماء ديو بند، كالإمام محمد قاسم النانوتوي والعلامة رشيد أحمد الكنكوهي والشيخ خليل أحمد السهارنفوري ومولانا أشرف علي التهانوي ومن والاهم، ونسب إليهم عقائد، هم منها برآؤ، ونص على كفرهم وأخذ على ذلك توثيقات علماء الحرمين الذين لا يعرفون الحقيقة... ونشرها في مجموعة سماها حسام الحرمين على منحر أهل الكفر والمين قال فيها من شك في كفرهم وعذابهم فقد كفر واشتغل بهذا الرد والنقض والمحاربة والمعارضة لا تأخذه في ذلك هوادة ولا يعتريه وهن، حتى أصبح التكفير شغل الناس الشاغل، وكانت مضاربات ومحاكمات وفتن ومشاغبات. وكان يعتقد بأن رسول الله ﷺ كان يعلم الغيب علما كليا، فكان يعلم منذ بدء الخليقة إلى قيام الساعة بل إلى الدخول في الجنة والنار جميع الكليات والجزئيات، لا تشذ عن علمه شاذة... وكان ينتصر للرسوم والبدع الشائعة وقد ألف فيها رسائل مستقلة، وألف رسائل في الاستمداد والاستعانة بأولياء الله وأهل القبور، وكان مع ذلك يرى حرمة سجدة التحية وألف فيها رسالة سماها الزبدة الزكية لتحريم سجود التحية وهي رسالة جامعة تدل على غزارة علمه وقوة استدلاله، وكذلك كان ينتصر للأعياد التي تقوم على القبور ويسميها أهل الهند
অর্থাৎ, আহমদ রেজা খান ছিলো একজন তাকফিরি আলেম। সে ওলামায়ে দেওবন্দকে কাফের বলতো বিশেষত রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী, খলিল আহমদ সাহারানপুরী ও আশরাফ আলী থানভি রহ. প্রমুখকে কাফের বলতো।...
যাইহোক সংক্ষিপ্ত এই আলোচনা আশা করি এই বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন ভ্রান্তি থেকে হেফাজত করবে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিক। ফিতনার এই সময়ে এই ধরনের বিষয়গুলোতে জড়িয়ে সময় নষ্ট করা থেকে হিফাজত করুক। আমীন।
লিখেছেনঃ Abdullah Bin Bashir
সংযুক্তি: বেরলবিয়াত সম্পর্কে জানতে মাওলনা আব্দুল মালেক সাহেব দা.বা.-এর এই লেখাটি বেশ উপকারী ও তথ্যসমৃদ্ধ। লেখাটা আশা করি সকলে পড়বেন এবং খুব বেশি প্রচার করবেন যাতে বিষয়টি অধিকাংশ মানুষের হল হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুক। আমীন। লেখার লিংকঃ https://www.alkawsar.com/bn/article/1847/
সংযুক্তি-২: আহমদ রেজা খান ওলামায়ে দেওবন্দের নামে মিথ্যাচার করে তাদের কথা কাটছাট করে হারামাইনের ওলামাদের থেকে কাফের ফতোয়া নিয়েছিলো এই বিষয়ের পুরো ইতিহাস সংক্ষেপে ইলিয়াস গুম্মান সাহেব বলেছেন। ভিডিওটি শুনতে পারেন। লিংকঃ https://youtu.be/QTWCIK3T9Vs
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন