ইহুদি ও শিয়া ধর্মের ভয়ংকর সাদৃশ্যঃ ইমাম মাহদি এবং পাক পাঞ্জাতন
শিয়াদের ইমাম মাহদি আসলে কে?
ইসনে আশারিয়া বা বারো ইমাম পন্থীরা বারো জনের তালিকা দিয়ে রেখেছে। খোমেনী নিজেও ইসনে আশারীয়াপন্থী ছিল। তারা বিশ্বাস করে যে, ইমাম মাহদী তাদের শেষ ইমাম। কিন্তু শী’আরা ইমাম মাহাদীকে কি সত্যিই বিশ্বাস করে, নাকি এই ইমাম অন্য কেউ?শী’আদের কিতাবে যেভাবে ইমাম মাহদীর বর্ণনা এসেছে, তাতে করে ঐ চরিত্রটিকে ইমাম মাহদী হিসেবে মনে হয় না, (বরং ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দাজ্জাল মনে হয়)। খুব সংক্ষেপে আজ তিন-চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করব।
(১) শী’আদের কিতাব বলে, ইমাম মাহাদীর ভাষা হবে হিব্রু অথচ আমরা খুব ভাল করেই জানি যে, হিব্রু ভাষা কেবলমাত্র ইহুদীরাই ব্যবহার করে।
শী’আদের কিতাবে কী আছে, দেখুনঃ
Al-Mufadhal ibn Umar is reported to have said that Abu Abdullah [a.s.] (Shia’s 6th Imams) said: “When the Imam (Mahdi) makes a call (for prayer), he will supplicate to God using God's Hebrew name...”
[Shiite Source: Al-Numani, Al-Ghayba , p.326]
(২) শী’আরা বিশ্বাস করে যে, ২৭ জন মুসা (আ.)-এর অনুসারী (ইহুদী) তাঁর সাথে থাকবে এবং আসহাবে কাহাফ বা গুহায় লুকানো সেই ৭জন ব্যক্তি এবং নবী ইউশা বিন নূন আ., সুলাইমান আ. সহ আরো কয়েকজনও পুনরুত্থিত হয়ে ইমাম মাহাদীর সাথে মিলিত হবে।
শী’আদের কিতাবে কী আছে, দেখুনঃ
Sheikh al-Mufeed has reported in his Al-Irshaad based on al-Mufadhaal ibnu Umar that Imam Abu Abdullah [as] said: “ Twenty seven men from the people of Moses, seven from Ahl Al-Kahf (People of the Cave), (prophet) Joshua bin Nun, (prophet) Solomon, Abu Dajana Al-Ansari, Al-Miqdad, Malik Al-Ahtar will come out with the Mahdi and be his supporters."
[Shiite Source: Al-Mufeed Al-Tusi, Al-Irshaad p.402]
প্রশ্ন হলো- ইহুদীরা কেন ইমাম মাহাদীর সঙ্গী হবে? তিনি তো মুসলিম হবেন! নয়কি?
(৩) শী’আ বর্ণনা মতে, মাহাদী এসে দাউদ আ.-এর শরীয়তের উপর শাসন কায়েম করবেন!
শী’আদের কিতাবে কী আছে, দেখুনঃ
Muhammad ibn Ahmad attributes to Jaeed al Hamdani asking Ali ibn Al-Hussein [a.s.] (Shia's 4th Imams): “I asked him by which law will you (the 12 Imams) rule?” Ali ibn Al-Hussein [as]: said: “By the ruling (law) of the family of David, and if we encounter something perplexing, Ruh Al- Quds ( Holy Spirit, meaning Angel Gabriel ) will solve it for us.”
[Shiite Source: Al-Kulayni , Al-Kafi, Vol. 1, p. 397]
(৪) শী’আদের কিতাব স্বীকার করে যে, তাদের পূর্ববর্তী স্কলারদের জ্ঞান ছিল ইসরাঈলীয় (ইহুদী)।
দেখুনঃ
The Imam (a.s.) remained silent for a while and then said, “(Held) With us, there is Al-Jifr (the parchment). Do you know what Al-Jifr is?” I then asked, “What is Al-Jifr ?” The Imams (a.s.) said, “It is a container made of leather that contains knowledge of the prophets and the executors of their wills and the knowledge of the scholars of the past from the Israelites.” (Al-Kulayni, Al-Kafi, Vol. 1, Chapter 40, p. 635)
মোদ্দাকথা, গুহায় লুকানো যে মাহদির স্বপ্ন শিয়ারা দেখছে, সে আর কেউ না... সে নিশ্চয় দাজ্জাল!
এই হলো সংক্ষেপে শী’আ আর ইহুদীদের সম্পর্ক। বোঝাই যাচ্ছে, তাদের জন্ম লগ্ন থেকেই। আরো একটি নমুনা দেই।
শিয়া ধর্মের পাক পাঞ্জাতন
আরবীতে ‘খামসা’ শব্দের অর্থ হলো- পাঁচ বা হাতের পাঁচ আঙুল। ইহুদীরা এই খামসাকে বলে ‘হামসা’ বা (The hand of Miriam )। তারা বিশ্বাস করে যে, এটি হযরত মূসা আ. এবং হযরত হারুন আ.-এর বোন মারইয়াম-এর হাত। তারা এই পাঁচ আঙুল বিশিষ্ট পাঞ্জা সদৃশ বস্তু বাড়িতে কোথাও টাঙিয়ে রাখে, কিংবা গহনা হিসেবে গলায় ঝুলিয়ে রাখে। তাদের বিশ্বাস এই হামসা শয়তানের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা করবে।
লিভানটাইন (Levantine) খৃস্টানরাও হামসায় বিশ্বাসী। তারা এটিকে যিশু খ্রিস্টের মা মারিয়াম আ.-এর হাত (hand of Mary) মনে করে।
অপরদিকে শী’আরাও ‘খামসা’য় বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে যে, এটি হযরত ফাতিমা (রা.)-এর পাঞ্জা। পাক-পাঞ্জাতন (রাসূল-আলী-ফাতিমা-হাসান-হুসাইন) থেকেই এটি শী’আদের উপাস্য প্রতীক হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে থাকে।
হামসা বা খামসার ইতিহাস বেশ পুরোনো। মেসোপটেমিয়া বা বর্তমান ইরাক অঞ্চল থেকেই এর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধরা হয়। অন্যদিকে গৌতম বুদ্ধেরও ডান হাত উচানো ‘মুদ্রা’ সম্বলিত মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। তেমনি করে গ্রীক এবং রোমান মিথলজীতে ভেনাস বা আফ্রোদিতির হাতকে (Hand-of-Venus or Aphrodite) আত্মরক্ষার প্রতীক হিসেবে মেন করা হতো। হিন্দু মিথ অনুযায়ী, হিন্দুদের দেবী স্বরস্বতী সাদা পদ্মফুলের মাঝে রাজহাসের সাথে বীণা হাতে বসে আছেন। Sarasvati sits on a white lotus with the swan, Hamsa. তারা হামসা অর্থ করে- আত্মা; যে আত্মা কাব্য এবং সংগীতে শান্ত এবং অনুপ্রাণিত করে।
অর্থাৎ ইহুদী ধর্ম থেকে শুরু করে, নানান পৌত্তলিক উপাদান শী’আদের আলাদা ধর্ম তৈরিতে সহায়তা করেছে।
বরং আমরা বলতে পারি, ইহুদি ধর্মের ইসলামিক ভার্শনের নাম শিয়াধর্ম!
-----------
লিখেছেন: Samiur Rahman Piyal