ব্যবসায় কী পরিমাণ লাভ করা বৈধ? ইসলাম কী বলে?
প্রশ্নঃ
ব্যবসায় কী পরিমাণ লাভ করা বৈধ? স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য দাবি করা কিংবা চড়া মূল্যে কোন পণ্য বিক্রয় করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ কি না?
উত্তরঃ
আল্লাহ তায়ালা হালাল পন্থায় ব্যবসা করার মাধ্যমে একে অপরের সম্পদ ভোগ করাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু লাভ করার কোন পরিমাণ নির্ধারণ করে দেন নি। বরং পরস্পর সন্তুষ্ট চিত্তে যেকোনো পরিমাণ লাভ করার সুযোগ রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। তবে পরস্পর সন্তুষ্টি চিত্তে ব্যবসার মাধ্যমে ভোগ করতে পারো।"
(সুরা নিসা, ২৯)
সুতরাং হালাল পন্থায় পরস্পর সন্তুষ্টি চিত্তে ব্যবসার মাধ্যমে অপরের সম্পদ ভোগ করা যাবে। কিন্তু ব্যবসায় কী পরিমাণ লাভ করা যাবে তা আল্লাহ বলে দেন নি।
বরং এটা ক্রেতা-বিক্রেতার উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
তাইতো রাসুল সাঃ কে যখন বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! বাজারের সব কিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। আপনি পণ্যের বাজার দর নির্ধারণ করে দিন! তখন রাসুল সাঃ বললেন,
إِنَّ اﷲَ هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّازِقُ وَإِنِّي لَاَرْجُو اَنْ اَلْقَی اﷲَ وَلَيْسَ اَحَدٌ مِنْکُمْ يُطَالِبُنِي بِمَظْلَمَةٍ فِي دَمٍ وَلَا مَالٍ.
"আল্লাহই হলো বাজার দর নির্ধারক। তিনি রিজিক সংকুচিত করেন এবং ব্যাপক করেন। আমি কামনা করি আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবো যে, অন্যায়ের এক ফোটা রক্ত কিংবা সামান্য সম্পদ গ্রহণের ব্যাপারে তোমাদের কেউ যেনো আমার কাছে হিসাব না চায়।"
(আবু দাউদ, ৩৪৫১)
এখানে স্পষ্ট যে, লাভের বিষয়টি ক্রেতা-বিক্রেতার সন্তুষ্টির উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত এক্ষেত্রে দখলদারিত্ব করে না।
★শরীয়ত যেহেতু লাভের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন দখলদারিত্ব করে না, তাই বিক্রেতা নিজের পণ্যে যত ইচ্ছে ততো লাভ নিয়ে বিক্রি করতে পারে। বাজারদর বা স্বাভাবিক মূল্য ফলো করা তারজন্য আবশ্যক নয়।
হাদীসে এর কিছু উদাহরণ রয়েছে,
أنَّ النَّبيَّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ أعْطَاهُ دِينَارًا يَشْتَرِي له به شَاةً، فَاشْتَرَى له به شَاتَيْنِ، فَبَاعَ إحْدَاهُما بدِينَارٍ، وجَاءَهُ بدِينَارٍ وشَاةٍ، فَدَعَا له بالبَرَكَةِ في بَيْعِهِ، وكانَ لَوِ اشْتَرَى التُّرَابَ لَرَبِحَ فِيهِ.
"রাসুল সাঃ উরওয়া রাঃ কে এক দিনার দিলেন তারজন্য (রাসুল সাঃ এর জন্য) একটি বকরি ক্রয় করতে। অতঃপর তিনি এক দিনার দিয়ে দুটি বকরি ক্রয় করলেন। এরপর সেখান থেকে একটি বকরি বিক্রি করলেন এক দিনারে। অতঃপর এক দিনার এবং একটি বকরি নিয়ে রাসুল সাঃ এর দরবারে উপস্থিত হলেন। তখন রাসুল সাঃ (খুশি হয়ে) তার জন্য ব্যবসায় বরকতের দুয়া করলেন।
(বুখারী, ৩৬৪২)
দুটি বকরি এক দিনারে ক্রয় করা আবার তারমধ্য হতে একটি আবার পূর্ণ এক দিনারে বিক্রি করা নিশ্চয়ই স্বাভাবিক বাজারদর হিসেবে ছিলো না।
বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
وكان الزبير اشترى الغابة بسبعين ومائة ألف، فباعها عبد الله بألف ألف وستمائة ألف.
" যুবায়ের রাঃ একটি জমি ক্রয় করেছিলেন এক লক্ষ ৭০ হাজার দিয়ে। অতঃপর সেই জমি (তার সন্তান) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রাঃ বিক্রি করেন ১৬ লক্ষ অর্থ মূল্যে।"
(বুখারী, ২৯৬১)
একবার ভেবে দেখেছেন কী পরিমাণ লাভ করেছেন? নয় গুণের চেয়েও বেশী।
অপরদিকে ইসলামী শরীয়তে কোন পণ্য নিলামে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। আর নিলামে বিক্রিতে বাজার দরের প্রতি কোন গুরুত্ব দেয়া হয় না। বরং যে বেশি দাম দিবে সে ই পণ্য নিতে পারবে। রাসুল সাঃ নিজে নিলাম করেছেন। আনাস রাঃ বলেন, রাসুল সাঃ একটি জিনপোশ এবং একটি পাত্র বিক্রি করেছেন। তিনি বললেন,
من اشترى هذا الحلس والقدح؟ فقال رجل: أخذتهما بدرهم، فقال: من يزيد على درهم؟ فأعطاه رجل درهمين، فباعهما منه.
"এই জিনপোশ এবং পাত্র কে কিনবে? এক ব্যক্তি বললো আমি এক দিরহাম দিবো। রাসুল সাঃ আবার জিজ্ঞেস করলেন, এক দিরহামের বেশি দিতে কেউ প্রস্তুত? অতঃপর এক ব্যক্তি দুই দিরহাম দিলো। রাসুল সাঃ এই ব্যক্তির কাছে তা বিক্রি করে দিলেন।"
(তিরমিজি, ১২১৮)
সুতরাং উভয়ের সন্তুষ্টি চিত্তে যত ইচ্ছে লাভ করা যাবে কোন বাধা নেই।
★শরীয়ত যদিও লাভ গ্রহণ বা দাম হাকানোর ক্ষেত্রে কোন বাধানিষেধ আরোপ করেনি। কিন্তু কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যেগুলোর মধ্য হতে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। আর কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা উত্তম এবং মানবিক দায়িত্ব।
★যেসমস্ত বিষয় লক্ষ্য রাখা আবশ্যক।
১.মিথ্যা বলে বা অন্য কোন উপায়ে প্রতারণা করা যাবে না।
রাসুল সাঃ বলেছেন,
من غشنا فليس منا
"যে আমাদের সাথে প্রতারণা করলো সে আমাদের দলভুক্ত নয়।"
(মুসলিম,১৪৬)
২.মানসিক বা শারীরিক কোনভাবেই কাউকে বাধ্য করা যাবে না।
কেননা আল্লাহ তায়ালা পরস্পর সন্তুষ্টি চিত্তে ব্যবসা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
(সুরা নিসা, ২৯)
রাসুল সাঃ বলেছেন,
لا يحل مال امرئ مسلم إلا بطيب نفس منه
"কোন মুসলমানের সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যতীত গ্রহণ করা বৈধ নয়"
(মাজমাউয যাওয়াইদ, ৪/১৭২)
৩.যে ব্যক্তি একান্ত বাধ্য হয়ে কোন কিছু কিনতে চাচ্ছে বা বিক্রি করতে চাচ্ছে তার থেকে স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বেশি লাভ না করা। একান্ত বাধ্য বলতে যার নিজের অথবা পরিবারের জীবন নাশের আশংকা রয়েছে বা ক্রয়/বিক্রয় না হলে তার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রবল ধারণা রয়েছে।
আলী রাঃ বলেন,
نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن بيع المضطر
"রাসুল সাঃ কারো অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ক্রয় বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।"
(আবু দাউদ, ৩৩৮২)
★লাভ করার ক্ষেত্রে বা ব্যবসার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা মানবিক দায়িত্ব এবং উত্তম। তবে এগুলো পালন করতে শরীয়ত বাধ্য করেনি। শুধুমাত্র উদ্ভুদ্ধ করেছে।
১.ব্যবসার মধ্যে পরস্পর ছাড় দেয়া। ক্রেতা মূল্য বাড়িয়ে দেয়া এবং বিক্রেতা কিছু পণ্য বেশি দেয়া। টাকা না থাকলে সময় দেয়া। নম্র আচরণ করা।
রাসুল সাঃ বলেছেন,
رحم الله رجلا سمحا إذا باع وإذا اشترى
"ক্রয় বিক্রয়ের সময় যে ব্যক্তি ছাড় দেয় আল্লাহ তার উপর রহম করুক।"
(বুখারী, ১৯৭০)
২.স্বাভাবিক বাজার দরের চেয়ে এতো বেশি মূল্যে বিক্রি না করা যা কোন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী সমর্থন করে না।
ﻫﻮ ﻣﺎ ﻻ ﻳﺪﺧﻞ ﺗﺤﺖ ﺗﻘﻮﻳﻢ اﻟﻤﻘﻮﻣﻴﻦ
"গবনে ফাহেশ (মারাত্মকভাবে ঠকে যাওয়া) বলা হয় এমন মূল্যে লেনদেন করা যে মূল্য কোন বাজার নীতিনির্ধারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।"
(আদ দুররুল মুখতার, ৫/১৪৩)
★প্রসঙ্গক্রমে একটি আলোচনা করা উপযুক্ত মনে করছি।
ফিকহের পরিভাষায় একটা পরিভাষা রয়েছে। যাকে غبن فاحش (গবনে ফাহেশ বা চরমভাবে ঠক খাওয়া) বলে।
আর এই غبن فاحش এর সবচেয়ে বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা হলো, এমন মূল্যে লেনদেন করা যে মূল্য কোন বাজার নীতিনির্ধারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।"
(আদ দুররুল মুখতার, ৫/১৪৩)
যেমন কেউ একটা পণ্য ক্রয় করলো এক হাজার টাকায়। অতঃপর বাজারের মূল্যের নীতিনির্ধারক এবং অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের সকলেই এটার এমন দাম বলছে যা এক হাজারের চেয়ে কম। যেমন কেউ বললো পাচশো। কেউ বললো সাতশো। কিন্তু এক হাজের ধারে কাছে কেউ বলে না।
তো কোন ব্যক্তি যদি এমন চড়া মূল্যে লেনদেন করে তাহলে তার বিধান কী?
★এর উত্তর হলো, চড়া মূল্যে বিক্রি করা বা ক্রয় করতে গিয়ে চরমভাবে ঠক খাওয়ার দুটি অবস্থা হতে পারে।
(এক)
বিক্রেতা কোন প্রকার প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করেনি। বরং সে প্রতারণা এবং মিথ্যা বলা ছাড়াই নিজের পণ্য চড়া মূল্যে বিক্রি করেছে। ক্রেতা হয়তো ব্যবসায় পারদর্শী না হওয়ার কারণে অথবা এই পণ্য অন্যত্র না পাওয়ার কারণে বেশী দাম দিয়েই ক্রয় করেছে।
★বিধান।
এভাবে চড়া মূল্যে লেনদেন করা বৈধ হলেও মানবিকতা এবং উত্তম আদর্শ বিরোধী। তাই স্বাভাবিক মূল্যে লেনদেন করা উচিত। কিন্তু স্বাভাবিক মূল্যে বিক্রি না করলে নাজায়েজ হবে না।
আল্লামা কুরতুবী রহঃ বলেন,
والجمهور على جواز الغبن في التجارة، مثل أن يبيع ياقوتة بدرهم وهي تساوي مائة، فذلك جائز، وأن المالك الصحيح الملك جائز له أن يبيع ماله الكثير بالتافه اليسير.
"জমহুর উলামা ব্যবসায় লস খাওয়ার বৈধতার ব্যাপারে একমত। যেমন কেউ ইয়াকুত পাথর বিক্রি করলো এক দিরহামে। অথচ তার দাম রয়েছে একশত দিরহাম। এটা জায়েজ আছে। বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদের মালিকের জন্য জায়েজ আছে সে তার অনেক পরিমাণ সম্পদ খুবই কম দামে বিক্রি করে দিবে।"
(আল-জামি লিআহাকামিল কুরআন, ৫/১৩০)
আল্লামা মারগীনানী রহঃ বলেন,
ولا ينبغي للسلطان أن يسعر على الناس.......ولأن الثمن حق العاقد فإليه تقديره.
"রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া উচিত না..........কেননা মূল্য হলো চুক্তিকারীর অধিকার। সুতরাং তা নির্ধারণের অধিকার তারই।"
(হেদায়া মাআ ফাতহুল কাদীর, ৪/৩৭৭)
عاقدین اگر جھوٹ ودھوکہ دہی سے بچتے ہوئے باہمی رضامندی سے کسی بھی قیمت پر معاملہ کرلیں تو اس کی گنجائش ہوگی خواہ اس میں کتنا ہی نفع ہو ؛البتہ اس قدر نفع لینے کو فقہاء نے نامناسب اور خلافِ مروت کہا ہے جو غبنِ فاحش کے دائرے میں آتا ہو
"ক্রেতা-বিক্রেতা মিথ্যা এবং প্রতারণা না করে পরস্পর সন্তুষ্টি চিত্তে যে মূল্য নির্ধারণ পূর্বক লেনদেন করবে তা বৈধ রয়েছে। চাই তাতে লাভের পরিমাণ যত বেশি হোক না কেন। কিন্তু 'গবনে ফাহেশ' (অর্থাৎ এমন মূল্যে লেনদেন করা যে মূল্য কোন বাজার নীতিনির্ধারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়) এ লেনদেন করাকে অনুচিত এবং মানবিকতার বিরোধী মনে করেন।"
(ফতোয়া দারুল উলূম দেওবন্দ, ফতোয়া নং ১৬৯৯৪৩)
(দুই)
বিক্রেতা মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে স্বাভাবিক মূল্যের অনেক বেশি দামে পণ্য বিক্রি করেছে। অর্থাৎ এমন মূল্যে লেনদেন করেছে যে মূল্য কোন বাজার নীতিনির্ধারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যাকে غبن فاحش বলে।
★বিধান।
এভাবে লেনদেন করা নাজায়েজ। যদি কেউ এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অত্যাধিক দামে পণ্য বিক্রি করে তাহলে তারজন্য উক্ত পণ্য ফেরত দেয়ার অধিকার রয়েছে।
রাসুল সাঃ বলেন,
من غشنا فليس منا
"যে আমাদের সাথে প্রতারণা করলো সে আমাদের দলভুক্ত নয়।"
(মুসলিম,১৪৬)
ﺃﻥ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﻓﻲ اﻟﻤﻐﺒﻮﻥ: ﺇﻧﻪ ﻻ ﻳﺮﺩ ﻟﻜﻦ ﻫﺬا ﻓﻲ ﻣﻐﺒﻮﻥ ﻟﻢ ﻳﻐﺮ ﺃﻣﺎ ﻓﻲ ﻣﻐﺒﻮﻥ ﻏﺮ ﻳﻜﻮﻥ ﻟﻪ ﺣﻖ اﻟﺮﺩ.
"ঠক খাওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদের হানাফী ফকীহগণ বলেন, তার জন্য পণ্য ফিরিয়ে দেয়ার অধিকার নেই। কিন্তু এই বিধান সেই ঠকে যাওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে যে কোন প্রকার প্রতারণা ছাড়া ঠক খেয়েছে। কিন্তু যে প্রতারিত হয়ে ঠক খেয়েছে তার জন্য পণ্য ফিরিয়ে দেয়ার অধিকার রয়েছে।"
(ফতোয়া শামী, ৫/১৪৩)
উত্তর প্রদানেঃ মুফতি Masum Billah
হানাফী ফিকহ (Hanafi Fiqh) গ্রুপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন