সংগ্রহে রাখুন ই-বুকঃ কুরআন-সুন্নাহের আলোকে কারামত
**** কিতাবের নামঃ কুরআন-সুন্নাহের আলোকে কারামত
**** লেখকঃ শায়খ ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী
**** সংকলন ও বিন্যাসঃ আহ্নাফ বিন আলী আহ্মাদ
"""""""""""""""""""""""""" """""""""""""""""""""""""" """"""""""
কিতাবটি ১২০ পৃষ্ঠার কাছাকাছি। বেশ দলিল সমৃদ্ধ । সূচিপত্রটি বেশ যত্নের সাথে তৈরি করা হয়েছে। একনজরে সূচিপত্র দেখে নিলে বইটির গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।
কারামত সম্পর্কে সঠিক এলেম জানার পর আশা করি তাকফীর করতে অভ্যস্থ এমন অনেক শায়খ থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিবে। আর না নিয়ে উপাই বা কি ??? যারা অসম্পূর্ণ এলেমের উপর ভিত্তি করে নিজেদের খুব হক মনে করে আর আহলে হকদের তাকফির করে বেড়ায় তাদের থেকে এলম সেখা আর হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে দাঁতের চিকিৎসা করানো একই কথা।
**** লেখকঃ শায়খ ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী
**** সংকলন ও বিন্যাসঃ আহ্নাফ বিন আলী আহ্মাদ
""""""""""""""""""""""""""
কিতাবটি ১২০ পৃষ্ঠার কাছাকাছি। বেশ দলিল সমৃদ্ধ । সূচিপত্রটি বেশ যত্নের সাথে তৈরি করা হয়েছে। একনজরে সূচিপত্র দেখে নিলে বইটির গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।
কারামত সম্পর্কে সঠিক এলেম জানার পর আশা করি তাকফীর করতে অভ্যস্থ এমন অনেক শায়খ থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিবে। আর না নিয়ে উপাই বা কি ??? যারা অসম্পূর্ণ এলেমের উপর ভিত্তি করে নিজেদের খুব হক মনে করে আর আহলে হকদের তাকফির করে বেড়ায় তাদের থেকে এলম সেখা আর হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে দাঁতের চিকিৎসা করানো একই কথা।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
মিডিয়াফায়ার থেকেঃ http://bit.ly/1QNdo5Y
আর্কাইভ থেকেঃ http://bit.ly/1RcJ3cM
আর্কাইভ থেকেঃ http://bit.ly/1RcJ3cM
"""""""""""""""""""""""""" """""""""""""""""""""""""" """"""""""
লেখকের কথাঃ
ইসলামের স্বীকৃত বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত কোনটিই এই আক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। আশ্চর্যেরর বিষয় হলো, সন্দেহ তৈরির এ কাজটি করা হচ্ছে সংস্কার ও গবেষণার নামে। ইসলাম নিয়ে রিসার্চের নামে সাধারণ মানুষকে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। এভাবে ইসলামের মূল স্রোত থেকে আমরা দূরে সরে পড়ছি। সেই সাথে মূর্খদের হাস্যকর গবেষণার বেড়াজালে ইসলামের স্বীকৃত ও ঐকমতের বিষয়গুলোতেও সন্দেহ দানা বাঁধছে। গবেষণার নামে কৌশলে বিভিন্ন অপব্যাখ্যাকে ইসলাম হিসেবে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসলামের ঐকমতে্যর বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ক্ষেত্রে দু'টি জামাত অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। ১. সালাফী ২.আহলে হাদীস। মৌলিকভাবে এদের চিন্তা-ধারা এক হলেও অনেক বিষয়ে তারা দ্বিমত রাখে। প্রায় দু'বছর আগে সংক্ষেপে এদের একটা পরিচয় লিখেছিলাম। সালাফী অর্থ হলো, যার আকিদা-বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে। আর আহলে হাদীস মানে হলো, যার আকিদা ও ফিকহ দু'টোই নষ্ট হয়েছে। বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ সালাফী ফিকহী বিষয়ে বেশ উদার। ফিকহের ক্ষেত্রে মাজহাব অনুসরণ করলেও তাদের বিশেষ অসুবিধা নেই। কিন্তু আকিদার ক্ষেত্রে তারা তাদের ভ্রান্ত আকিদা প্রচারে সোচ্চার। আহলে হাদীসরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। মাজহাব ও ফিকহী বিষয়ে কঠোর। সেই সাথে আকিদার ক্ষেত্রে তারা সালাফীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
আকিদা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আমলের ক্ষেত্রে বর্তমানের সালাফী ও আহলে হাদীসগণ সাধারণ মানুষকে সংশয়ে ফেলে দিচ্ছে। স্বীকৃত বিষয়গুলো প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিভিন্ন অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।
অবাক করার বিষয় হলো, বর্তমানের সালাফীরা অনেক ক্ষেত্রে তাদের পূর্বসূরী ইমামদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অনুসরণীয় ইমামগণ অনেক বিষয়ের স্বীকৃতি দিলেও তারা নির্দ্বিধায় অস্বীকার করে।
বুজুর্গদের কারামত বা অলৌকিক বিষয়ে আহলে সুন্নতের সকলেই একমত। কারামাতুল আউলিয়া হাক্কুন। ওলীদের কারামত সত্য। এটি আহলে সুন্নতের সর্বজন স্বীকৃত একটি মূলনীতি। আহলে হাদীস সালাফীদের অনুসরণীয় আলেমগণ এটির স্বীকৃতি দিলেও বর্তমানের সালাফীরা এই মূলনীতি থেকে যোজন-যোজন দূরে। তারা শুধু কারামত অস্বীকার করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। কারামতে যেহেতু অলৌকিক বিষয় থাকে। একারণে কারামতকেই শিরক বানিয়ে দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ।
এদের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ ভ্রান্তির উপর বিস্তারিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে এ বিষয়ে কিছু লেখা-লেখি করেছিলাম। আমাদের প্রিয় ইঞ্জিনিয়ার আহনাফ ভাই লেখাগুলি এক জায়গা করেছেন। অনেক মেহনত করে বিন্যস্ত করেছেন। আল্লাহ তাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন। সালাফী ও আহলে হাদীসরা সাধারণ মানুষকে একটা বিষয়ে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে। তারা বলে, কুরআন-হাদীসে কারামত থাকলে মানবো। অন্য কোথাও থাকলে মানবো না। এটি তাদের নিজস্ব বানানো মূলনীতি। আমরা জানি না, তারা এই ভ্রান্ত মূলনীতি কোথায় পেয়েছে। এই মূলনীতি কে বানিয়েছে আল্লাহ ভালো জানেন। তাদের এই ভূল মূলনীতিকে সামনে রেখেই কারামতগুলো আলোচনা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন এবং রাসূল স. এর হাদীসে অসংখ্য কারামত রয়েছে। পরবতর্ী সংস্করণে ইনশা আল্লাহ সেগুলো সংযুক্ত করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
অবশেষে দুয়া করি, আল্লাহ তায়ালা এক্ষুদ্র খেদমতকে কবুল করেন। যারা সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে সংশয়-সন্দেহে ফেলে দিচ্ছে, তাদেরকে হেদায়াত দান করুন। আমাদের সকলকে সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল-অবিচল রাখুন। সাহাবায়ে-কেরাম ও সালাফে-সালেহীনের পথ ও পদ্ধতি অনুসরণ করে মুসলমানদের জামাতের সাথে একতাবদ্ধ থাকার তৌফিক দান করুন। বিচ্ছিন্নতা ও মুসলমানদের মাঝে ফাটল সৃষ্টি থেকে হেফাজত করুন।
আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
- ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী
লেখকের কথাঃ
ইসলামের স্বীকৃত বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত কোনটিই এই আক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। আশ্চর্যেরর বিষয় হলো, সন্দেহ তৈরির এ কাজটি করা হচ্ছে সংস্কার ও গবেষণার নামে। ইসলাম নিয়ে রিসার্চের নামে সাধারণ মানুষকে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। এভাবে ইসলামের মূল স্রোত থেকে আমরা দূরে সরে পড়ছি। সেই সাথে মূর্খদের হাস্যকর গবেষণার বেড়াজালে ইসলামের স্বীকৃত ও ঐকমতের বিষয়গুলোতেও সন্দেহ দানা বাঁধছে। গবেষণার নামে কৌশলে বিভিন্ন অপব্যাখ্যাকে ইসলাম হিসেবে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসলামের ঐকমতে্যর বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ক্ষেত্রে দু'টি জামাত অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। ১. সালাফী ২.আহলে হাদীস। মৌলিকভাবে এদের চিন্তা-ধারা এক হলেও অনেক বিষয়ে তারা দ্বিমত রাখে। প্রায় দু'বছর আগে সংক্ষেপে এদের একটা পরিচয় লিখেছিলাম। সালাফী অর্থ হলো, যার আকিদা-বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে। আর আহলে হাদীস মানে হলো, যার আকিদা ও ফিকহ দু'টোই নষ্ট হয়েছে। বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ সালাফী ফিকহী বিষয়ে বেশ উদার। ফিকহের ক্ষেত্রে মাজহাব অনুসরণ করলেও তাদের বিশেষ অসুবিধা নেই। কিন্তু আকিদার ক্ষেত্রে তারা তাদের ভ্রান্ত আকিদা প্রচারে সোচ্চার। আহলে হাদীসরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। মাজহাব ও ফিকহী বিষয়ে কঠোর। সেই সাথে আকিদার ক্ষেত্রে তারা সালাফীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
আকিদা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আমলের ক্ষেত্রে বর্তমানের সালাফী ও আহলে হাদীসগণ সাধারণ মানুষকে সংশয়ে ফেলে দিচ্ছে। স্বীকৃত বিষয়গুলো প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিভিন্ন অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।
অবাক করার বিষয় হলো, বর্তমানের সালাফীরা অনেক ক্ষেত্রে তাদের পূর্বসূরী ইমামদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অনুসরণীয় ইমামগণ অনেক বিষয়ের স্বীকৃতি দিলেও তারা নির্দ্বিধায় অস্বীকার করে।
বুজুর্গদের কারামত বা অলৌকিক বিষয়ে আহলে সুন্নতের সকলেই একমত। কারামাতুল আউলিয়া হাক্কুন। ওলীদের কারামত সত্য। এটি আহলে সুন্নতের সর্বজন স্বীকৃত একটি মূলনীতি। আহলে হাদীস সালাফীদের অনুসরণীয় আলেমগণ এটির স্বীকৃতি দিলেও বর্তমানের সালাফীরা এই মূলনীতি থেকে যোজন-যোজন দূরে। তারা শুধু কারামত অস্বীকার করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। কারামতে যেহেতু অলৌকিক বিষয় থাকে। একারণে কারামতকেই শিরক বানিয়ে দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ।
এদের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ ভ্রান্তির উপর বিস্তারিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে এ বিষয়ে কিছু লেখা-লেখি করেছিলাম। আমাদের প্রিয় ইঞ্জিনিয়ার আহনাফ ভাই লেখাগুলি এক জায়গা করেছেন। অনেক মেহনত করে বিন্যস্ত করেছেন। আল্লাহ তাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন। সালাফী ও আহলে হাদীসরা সাধারণ মানুষকে একটা বিষয়ে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে। তারা বলে, কুরআন-হাদীসে কারামত থাকলে মানবো। অন্য কোথাও থাকলে মানবো না। এটি তাদের নিজস্ব বানানো মূলনীতি। আমরা জানি না, তারা এই ভ্রান্ত মূলনীতি কোথায় পেয়েছে। এই মূলনীতি কে বানিয়েছে আল্লাহ ভালো জানেন। তাদের এই ভূল মূলনীতিকে সামনে রেখেই কারামতগুলো আলোচনা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন এবং রাসূল স. এর হাদীসে অসংখ্য কারামত রয়েছে। পরবতর্ী সংস্করণে ইনশা আল্লাহ সেগুলো সংযুক্ত করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
অবশেষে দুয়া করি, আল্লাহ তায়ালা এক্ষুদ্র খেদমতকে কবুল করেন। যারা সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে সংশয়-সন্দেহে ফেলে দিচ্ছে, তাদেরকে হেদায়াত দান করুন। আমাদের সকলকে সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল-অবিচল রাখুন। সাহাবায়ে-কেরাম ও সালাফে-সালেহীনের পথ ও পদ্ধতি অনুসরণ করে মুসলমানদের জামাতের সাথে একতাবদ্ধ থাকার তৌফিক দান করুন। বিচ্ছিন্নতা ও মুসলমানদের মাঝে ফাটল সৃষ্টি থেকে হেফাজত করুন।
আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
- ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী
--------------------------
সংকলকের কথা
বাংলা ভাষায় ‘কারামত’ সম্পর্কে একটি সতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ কিতাবের প্রয়োজন অনেক আগের থেকেই ছিলো। বিশেষ করে বর্তমানে সহীহ আক্বীদার নাম দিয়ে যখন পরক্ষ ভাবে কারামতকে অস্বিকার করে আল্লাহ ওয়ালাদের কারমতকে শির্কি ফতোয়া দেওয়া হচ্ছিলো তখনতো এ ধরণের কিতাবের প্রয়োজন গ্রীষ্মের দুপুরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানির মত।
আল্লাহ তায়ালা বাংলাদেশের তরুন মেধাবী আলেম শায়খ ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী হাফিযাহুল্লাহ এর এলমের মধ্যে বরকতকে বাড়িয়ে দিন। তার লেখা কারামত সম্পর্কিত বিভিন্ন নোটে কারামতের মৌলিক আলোচনাগুলো দালিলিক ভাবে এসে পড়েছে। এগুলোকে বিন্যস্থ করে সংকলন করায় সংকলনটি একটি কিতাবে রুপ নেয়। এরপর শায়েখের অনুমতি ক্রমে আরো কিছু দালায়িল সংযোজন করা হয়েছে কিতাবটিতে।
এ কিতাবটির সামনের সংস্করণে কারামতের আরো কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং প্রতিটি বিষয়কে আরো দলিল সমৃদ্ধ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
- আহ্নাফ বিন আলী আহ্মাদ