শিয়া ধর্মের ভুয়া মাহদি বা ১২তম ইমাম প্রসঙ্গে...
শিয়া ধর্মের মূল ভিত্তি হল ইমামত,১২-ইমামি শাখার শিয়ারা তাদের ইচ্ছামত আহলে বাইত এর বংশধরদের মধ্যে থেকে ১২ জনকে ইমামত(চিপা দিয়ে নবুয়্যাত পদ্ধতি) দিয়েছে, যার সর্বশেষ হল ইমাম মাহদী- যার অস্তিত্ব ভিত্তিহীন।
এই ১২তম ইমাম শৈশবে গায়েব হয়ে সমগ্র সৃষ্টিজগতে কর্তৃত্ব করছে বলে শিয়া-ধর্মে বিশ্বাস,তার জন্য সামারা গুহার গর্তে খোঁজ চলে,ইরানের যামকারান কূপে চিঠি ফেলা হয়।
১২০০ বছর আগে গায়েব এই কল্পিত ইমাম এর বের হবার উপরেই শিয়া ধর্ম বহুলাংশে নির্ভরশীল!ইরানের সরকারকে “মেহদির অফিস” বলা হয়!আসুন সংক্ষেপে জানি তার সম্পর্কে,শিয়া ধর্মগ্রন্থ থেকে-
◊● জন্মঃ
আহলে বাইতের নামে মিথ্যাচার করে ইহুদি-সাবাঈ তত্বে সৃষ্ট ইমামত-আকিদার প্রচার করে আসছিল শিয়ারা সেই আলী(রা) এর সময় থেকেই। তার সাথে রাসূল(সা) এর বর্ণিত ১২ জন খলিফার হাদিসকে চাপিয়ে দিয়ে আলী(রা)এর পরে আহলে বাইত এর বংশধরদের থেকে ইচ্ছামত ইমাম বানাতে থাকে।
বিপত্তি বাধে ২৬০ হিজরি সনে দাবিকৃত #১১ ইমাম হাসান আসকারী(র) ২৮ বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। স্বভাবজাত পন্থায় শিয়ারা হাসান আসকারী(র) এর নামেও কিচ্ছা ফাঁদে যে,তার এক দাসী ছিল নারজিস/মুলাইকা/সাওসান/খামত/সাকিল নামে [দালায়েলুল ইমামত ২৬৪পৃ; গায়বাহ তুসি ১৪২-১৪৭;ই’লামাল ওয়ারি ৩৯৪]।
নাম-বিভ্রাট দেখে কেউ কেউ ঘোষণা দেয় তার প্রতিদিন আলাদা নাম হত [মুন্তাখাব আল-আছার ৩২০]।
কথিত মেহদীর মা’র ব্যাপারে বলা হয় সে যোশুয়া নামে রোমান রাজার কন্যা ছিল,কিন্তু ইতিহাস বলে এই নামে রোমান রাজাই ছিলনা!
উল্লেখ্য,শিয়া ধর্মমতে, সকল সৃষ্টির ২২,০০০/২৪০০০ মতান্তরে ২ লাখ বছর পূর্বে মেহদিকে সৃষ্টি করে হয়েছে{বিহার ১১১/৪৩;আল কাফি ৪৬০/১;আমালি আস-সাদুক ৫৯২}
মেহদী গর্ভে আসার কোন লক্ষণ দৃষ্টিগত হত না।তার ফুপু হাকিমা তার মা নারজিসের মধ্যে গর্ভবতীর চিহ্ন না দেখে তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে,-আবু মুহাম্মদ(বাবা) বলেন,আমরা ইমামরা মায়ের গর্ভে না, উরু হতে জন্মাই,কারণ আমরা পবিত্র! [বিহারুল আনওয়ার ২৫পৃ/৫১],
ধাত্রী হাকিমা ঘুমিয়ে পড়লে হঠাত মেহদীর কান্নার আওয়াযে উঠে দেখেন সে জন্মেছে!
*মেহদীর শরীর দেখেনি কেউ,তার নাম নেয়াও নিষিদ্ধ,ইমাম রেযা[হেদায়াতুল কুবরা ৩৬৪পৃ]
ও ইমাম বাকির,মুসা কাযিম এর বর্ণনা অনুসারেও! মেহদী নিজেও নাকি কারো মারফত বলেছে-তার নাম যে নিবে সে অভিশপ্ত।[বিহার ৩৩পৃ/৫১]
আরো সমস্যা দাঁড়ায় নাম নিয়ে, নিয়মে নাম হয় মুহাম্মদ বিন হাসান আসকারী। একে রাসূল(সা) এর বর্ণিত প্রকৃত মাহদীর(মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ) সাথে একই সাব্যস্ত করার জন্য সহস্রাব্দব্যাপী শিয়া-ধর্মগুরুরা কাঠখড় পুড়িয়ে নানারকম পরোক্ষ ব্যাখ্যার চেষ্টা করে গেছে।
* মেহদী সাধারণ মানুষের ১ বছরের সমান বড় হত ১ দিনে! [বিহার ২০,২৭/৫১;গায়বাহ তুসি ১৪৪পৃ]
হিজরি ৩য়/৪র্থ শতকের শিয়া-গবেষক আল-নাওবাখতি এর ফিরাকুশ শিয়া কিতাবমতে প্রতিটা ইমাম এর মৃত্যুর পরেই নানা মতবাদ আবিষ্কার করে নতুন দল বের হয়েছে। ১১তম ইমামের মৃত্যুর পরেও কেউ বলল তিনি মরেন নাই-ঈসা(আ)এর মত ফিরে আসবেন,কেউ বলল তিনিই ইমাম কাঈম/মেহদি,কেউ বলল-তার ভাই জাফর’ই ১২তম ইমাম!
তবে আসকারী(র)এর অজ্ঞাত সন্তান এর গায়েব-কিচ্ছাই বেশি প্রসার পায় শিয়াদের মাঝে,তাকেই ১২তম ইমাম ধরা হয়।
◊● গায়বাহ (উধাও হওয়া):
সকলের অজ্ঞাতসারে জন্মানো মুহাম্মদ বিন হাসান কেই #১২ ইমাম মেহদি বলে প্রচার আরম্ভ হয়।হাসান আসকারীর ফুপু হাকিমার নামে বর্ণনা চালিয়ে দাবি করা হয়- সকলের থেকে গোপন রাখার পরে ৪-৫ বছর বয়সে মেহদী গায়বাহ আস-সাগীরা(ছোট গায়েব অবস্থা)তে চলে যায়!
কিন্তু শিয়া-জাতি তাদের বানোয়াট ধর্মের নিয়মানুসারে আয়ের ৫ ভাগের ১ ভাগ #১২ ইমামের নামে জমা দিতে বাধ্য থাকে।
* উসমান বিন সাঈদ-আল আমরি নামক ব্যক্তি দাবি করে, একমাত্র তার সাথে মেহদির গোপন যোগাযোগ হয়; সে ইমাম সাহেবের উকিল! তার কাছেই শিয়ারা ইমামের নামে খুমুস(১/৫ অর্থ) জমা দেয়। তার মৃত্যুর পরে পুত্র মুহাম্মদ বিন উসমান ইমামের সাথে চিঠি-বিনিময়ের মাধ্যমে মেহদির উকিল নিযুক্ত হয় ও খুমস আদায় করে!
এই ইমামের-প্রতিনিধি আসন ধরে রাখতে তাদেরকে বহু প্রতিকূলতা,প্রতিদ্বন্দ্বী দমন করতে হয়! তার পরে বাগদাদের সম্ভ্রান্ত আবুল কাসিম নাওবাখতী এই পদ লাভ করে।
শিয়া ধর্মগুরু তুসির কিতাবুল গায়বাহ মতে, খুমুস আদায়ের এই লোভনীয় পদের জন্য কুকুরের মত লড়াই চলত।
৩২৬হি সনে নাওবাখতি মারা গেলে আবুল হাসান আল-সামরি এই পদ পায়।সে মৃত্যুশয্যায় বলে যায়,ইমাম সাহেব গায়বাহ আল-কাবিরা(বড় গায়েব অবস্থা)তে চলে গেছেন। আর কারো সাথে চিঠিতে যোগাযোগ হবে না বা গোপনে দেখা দিবেন না! জন্মের প্রায় ৬৫-৭০ বছর পরে লুকিয়ে থাকা #১২ ইমামের সাথে শিয়া জাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হল অনির্দিষ্টকালের জন্য!
বাকের মাজলিসি তার মিরাত আল-উকুল কিতাব(১৭০পৃঃ’ ৬ষ্ঠ খণ্ড) মতে শিয়া ধর্মের বাইবেল-উসুল আল কাফিতে মেহদীর জন্ম বিষয়ে ৩১ টি বর্ণনা উল্লেখ আছে তার মধ্যে ৮টি বাদে বাকি সব মাজহুল(অজ্ঞাত) ও জঈফ!
উসুলে কাফি গ্রন্থের “ইমামের-জন্ম” বিষয়ক ৮টী গ্রহণযোগ্য বর্ণনা(৪,৮,১৫,২০,২৪,২৫,২৯,৩১ নং) এ দেখা যায়- এর প্রায় সবই অর্থ-সম্পদের লেনদেন,টাকা পাঠাতে চিঠি,লেনদেন নিয়ে ঝগড়া,অর্থ-প্রেরণ বিষয়ক।#১২ ইমামের জন্ম/উধাও হবার কোন বিবরণ নেই। বস্তুতঃ মেহদির কিচ্ছা যে শুধু পাব্লিকের মাল খাওয়ার জন্য ফাঁদা হয়েছিল তা পরিষ্কার!
*ইমাম সাহেব গায়েব/লুকিয়ে আছেন কেন?
মেহদির কিচ্ছাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে শিয়া-যাজকরা যুগে যুগে রিওয়ায়েত রচনা করেছেন আহলে বাইতের নামে!লুকানোর কিছু কারণঃ-
> আবু জাফর বর্ণিতঃ কারো সামনে আসার আগেই মেহদী গায়েব,কারণ সে নিজের হত্যার ভয়ে ভীত।এছাড়া যথেষ্ট সমর্থনের অভাব! [গায়বাহ আন-নুমানী ১১৮;কামাল আদ-দ্বীন ৩২১,৩২৫পৃ;আকায়েদুল ইমামিয়্যা ১৪৮পৃ/২]
> তার পূর্বের সব ইমামরা জালিম খলিফাদের বাইয়্যাত/আনুগত্য দিতে বাধ্য হয়েছিল।কিন্তু মেহদী বাইয়্যাত দিবেনা-তাই গায়েব হয়েছে।সে তার ২য় উকিলকেও নাকি এই কথা জানিয়েছিল।[কামাল আদ-দ্বীন ৪৩৬;বিহারুল আনওয়ার ৯২,২৭৯/৫২;১৮১/৫৩]
> শিয়াদের পাপ কাজ,দুর্নীতি এর জন্যই মেহদি বের হচ্ছেনা,এরকম রিওয়ায়েতও রচনা করা হয়েছে শিয়া ধর্মগ্রন্থ বিহারুল আনওয়ার ৩২১পৃ/৫২ খণ্ড- তে।
এছাড়া শিয়া ধর্মগুরু শারিফ মুরতাযি তার গায়বাহ কিতাবের ৫৪পৃষ্ঠায় মেহদি কর্তৃক তার শিয়াদের ফেলে গায়েব হবার দোষ জনসাধারণের উপরে চাপিয়ে লিখেছে-“তিনি(আঃ),এর যদি ক্ষতির ভয়ে লুকানোর প্রয়োজন হয়,তবে যারা তাঁকে এই কাজে বাধ্য করেছে তাদের উপরেই দোষ বর্তায়”।
সুতরাং শিয়া-জাতির রক্ষক মেহদি,যে ইমামদের ন্যায় সকল কিছুর মালিক(নাউযুবিল্লাহ) সে নানা কিসিমের বাহানা ধরে লুকিয়ে আছে!
* কখন বের হবে #১২ ইমাম??
মেহদি চায়না কেউ তার গায়েব হওয়া নিয়ে মাথা ঘামাক,সে নাকি বলেছে-“যেসব প্রশ্ন তোমাদের বিষয় না,সেগুলা নিয়ে আলোচনা বন্ধ রাখ ও আমার বের হবার পরিস্থিতির জন্য দুয়া কর, যাতে আমি আবার বের হতে পারি”[কামাল আদ-দ্বীন ১৬২/২; গায়বাহ তুসি ১৭৭]
এই সময় নিয়েও নানা রকমের রিওয়ায়েত রচনা করা হয়েছে আহলে বাইতের নামে-
> আবু আবদুল্লাহ(আঃ) বলেন, মেহদি মুসা(আঃ) ন্যায় ২৮ বছর কওম এর থেকে দূরে থাকবে।[ইছাবা আল-হুদাত ৪৫৯,৪৭১পৃ/৩]।আরেক বর্ণনায় আছে, বনী ইসরাইল এর দিক-হারানোর সময় পরিমাণ মেহদী গায়েব থাকবে [গায়বাহ-তুসি ৬৩; বিহার ১৯৯/২]
,সেটা হয় ৪০ বছর। অথচ মেহদীর ছোট গায়বাহ ই ৬০-৭০ বছরের। আর তারপর তো ১১৫০ বছর ধরে খবর/চিঠি লেখা সব বন্ধ!
> শিয়া ধর্মের জঘন্য বাদা’আ(আল্লাহ্ পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত বদলান_নাঊযুবিল্লাহ) আকিদাও মেহদীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে!আবু জাফর এর নামে বর্ণিত- আল্লাহ্ ৭০ বছরের সময় নির্ধারিত করেছিলেন,কিন্তু হুসাইন এর শাহাদাতে দুনিয়াবাসীদের প্রতি আল্লাহ্র ক্রোধ হয়,ফলে তিনি তা ১৪০ এ নেন, সেই খবর আমরা তোমাদের জানিয়ে দেয়ায় আল্লাহ্ তা আরো দেরি করিয়ে দেন।[আল-কাফি ৩৯৮/১;গায়বাহ আন-নুমানী ১৯৭;গায়বাহ তুসি ২৬৩] ।
আবু বাসির বর্ণিত- ইমামকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন,তোমার খবর ছড়িয়েছ,তাই আল্লাহ্ পিছিয়ে দিয়েছেন![ গায়বাহ-তুসি ২৬৫; গায়বাহ আন-নুমানী ১৯৪]। নাঊযুবিল্লাহ্!
◊● বের হবার পরে মেহদির কাজঃ-
শিয়ারা প্রত্যেক নওরোজে(পারসিক নববর্ষ)এর দিনে অগ্নিপূজকদের রীতি পালন করে,মেহদির বের হবার অপেক্ষায় থাকে!
>জাফর সাদিক(র) এর নামে বর্ণনা- “আমরা প্রত্যেক নওরোযে ইমাম কাঈম/মেহদি এর বের হবার অপেক্ষায় থাকি।এটা বিশেষ দিন,পারসিক(অগ্নিপূজক)রা এই দিন সংরক্ষণ করেছে আর তোমরা আরবরা তা খুইয়েছ!” [ইছাবা আল-হুদাত ৫৭১/৩; ইয়াওমাল খালাস ৭২২পৃ]
সে কি বারে এবং কোন জায়গা থেকে বের হবে তা নিয়ে বিভিন্ন বর্ণনা চালু আছে শিয়া-ধর্মে।
রাসূল(সা)এর সত্য বাণীগুলাও শিয়া-ধর্মগ্রন্থে এসেছে যাতে বলা হয়েছে আহলে বাইত এর বংশে ইমাম মাহদী জন্মাবে ও দুনিয়াতে ইনসাফ কায়েম করবে।কিন্তু এর সাথে ইহুদিজাত মাজুস শিয়া ধর্মের রিওয়ায়েতসমূহ যা বর্ণিত হয়েছে তা দাজ্জাল এর সাথেই যায়!
* শিয়া রেফারেন্স মতে ৬০-৭০ বয়সে গায়েব(কবীরা) হওয়া মেহদী যেকোন রূপ ধরতে পারবে।
> ইমাম রেযা(আ) কে আল-মুফাদ্দাল জিজ্ঞাসা করল,ইমাম সাহেব তরুণ না বৃদ্ধ অবস্থায় বের হবে?তিনি বললেন, “সে তার ইচ্ছামত যেকোন আকৃতিতে বের হবে” [ই’লামাল ওয়ারি ৪০১; গায়বাহ আন-নুমানী ৯৯পৃ]।
> মেহদি আল্লাহ্কে হিব্রু ভাষায় ডাকবে।[গায়বাহ আন-নুমানী ৩২৬পৃ]
> শিয়াদের জঘন্য রাজাআত আকিদার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে, বহু লোক জীবিত থেকে মৃত হবে।
* ২৭ জন বনী ইসরাইলি,আসহাবে কাহফের যুবকেরা,সুলায়মান(আ),ইউশা(আ) ও আরো অনেক সাহাবী জীবিত হবে![ইরশাদ আল-মুফিদ ৩৮৬পৃ/২]
*সর্বপ্রথম রাসূল(সা) মেহদির হাতে বাইয়্যাত দিবেন [বিহারুল আনওয়ার ৩৪৮পৃ/৫২] নাউযুবিল্লাহ!
* মেহদি মদীনায় গিয়ে আবু বকর,উমর(রা)কে রাসূল(সা)এর পাশের কবর থেকে তরতাজা অবস্থায় তুলে(জীবিত করে) তাদেরকে ক্রুশবিদ্ধ করে শাস্তি দিবে।[ইছাবা আল হুদাত ৪৭৬/১;বিহার ১২/৫৩;উয়ুন আল আখবার ৬১/১]
* আয়শা(রা)কে কবর থেকে তুলে তাঁর উপরে হুদুদ কায়েম করে কৃতকর্মের শাস্তি দিবে মেহদি।[বিহারুল আনওয়ার ৩১৪পৃ/৫২,দালায়েলুল ইমামাত ২৫৬]
* নতুন ধর্মীয় বিধান কায়েম করবে [বিহার ৩৫৪/৫২]।
একথা নিশ্চিত যে-“মেহদি দাউদ(আ) ও সুলায়মান(আ) এর বিধান অনুযায়ী শাসন করবে” [উসুল আল-কাফি ৩৯৭/১;বিহার ৩২০/৫২;নাজমুয সাকিব ৩২৬পৃ/১] অর্থাৎ তাওরাত এর বিধান।
* মেহদি প্রকৃত কুরআন বের করবে।[তাফসিরে সাফি ১৬পৃ/১ম খণ্ড;]।
* মাসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ভাংতে ভাংতে তার ভিত্তি পর্যন্ত পোউছে যাবে মেহদি{বিহার ৩৮/৫২}
মৃতকে জীবিত করে দেখানো,বিশেষ করে সাহাবাদের।তারপরে শাস্তি দেয়া,তাওরাত কায়েম করা ইত্যাদি তো প্রকৃতপক্ষে শিয়া-জাতির জন্মদাতা ইহুদিদের প্রতিক্ষীত মাসিহ/দাজ্জাল এর সাথেই যায়।এছাড়া আরো কিছু লোমহর্ষক বর্ণনা দেখি-
*মেহদি দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে এই বর্ণনা মুসলমানদের ইমাম মাহদীর সাথে মিলে যিনি স্বাভাবিক জন্মাবেন।কিন্তু শিয়া-মেহদির সাথে ইহুদিদের বন্ধুত্ব হবে আর আরবরা তার শত্রু হবে!
> আবু আবদুল্লাহ(আ)বলেন-“মেহদি বের হলে মুসা(আ)এর জাতির লোকেরাও তার সঙ্গী হবে” [ইরশাদ আল মুফিদ ৪০২পৃ]
আয়াতুল্লাহ সাদিক হুসাইনি রুহানীর ওয়েবসাইটে প্রশ্নের জবাবেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে মেহদী ইহুদিদের সাথে শত্রুতা শেষ করবে।
* মেহদি প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত ঘটাবে,কারো কোন তাওবা/ওজর গ্রহণ করবে না।আর তার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হবে আরব জাতি! শিয়া ধর্মগ্রন্থ বলে-“ইমাম কাঈম(মেহদি) বের হলে তাঁর সাথে আরব,কুরাইশদের মধ্যে তলোয়ার ছাড়া অন্য কিছু বাকি থাকবে না তিনি তাদের প্রতি তলোয়ারই ব্যবহার করবেন”[গায়বাহ আল-নুমানী ১৫৫;বিহার ৩৫৫/৫২]। “আরব,কুরাইশরা তাদের উপরে মেহদির আক্রমণের চোটে বলবে- সে যদি সত্যই আহলে বাইতের বংশধর হত,আলী ও ফাতিমার বংশধর হত তাহলে সে এরকম করত না”{তাফসিরে আইয়্যাশী ৫৭/২;বিহার ৩৪২/৫২ }
◊● মৃত্যুঃ
শিয়া ধর্মে বাহারী রিওয়ায়াত রচনা হয়েছে এ নিয়ে যে মেহদী কত বছর শাসন করবে।কোথাও ২০,৪০ ১২০ এমনকি ৩০০ বছরের কথাও বলা আছে।মেহদির পরে আবার আরো ১২ জন উপ-ইমাম/উপ-মেহদী আসার কিচ্ছাও আছে শিয়া-ধর্মগ্রন্থে{বিহার ১৪৫,১৪৮/৫৩;গায়বাহ আল তুসি ২৮৫}
আবার এমন বর্ণনাও আছে- “দুনিয়াতে ২ জন লোক অবশিষ্ট থাকলে তাদের একজন হবে ইমাম(মেহদি),এবং তিনি সর্বশেষে মরবেন।যাতে কেউ হুজ্জাত ছাড়া মারা যাবার কথা না বলতে পারে”{আল কাফি ১৮০/১;বিহার ২১,২২,৩৬/২৩}
* মৃত্যু সম্পর্কে শিয়া-ধর্ম বলে তাদের #১২ ইমামের শাহাদাত হবে এরূপ-“ইমামুযযামান(মেহদী) ৭০ বছর পার করা পরে সাঈদা নামের বনী তামীম গোত্রের এক দাড়িওয়ালা মহিলা কর্তৃক নিহত হবেন” [ইযাম আন-নাসিব ১৭৮পৃ/২খণ্ড]
গাঞ্জাখুড়ি কিচ্ছার হাস্যকর সমাপ্তি।
-----------------
~ The Rafidologist: এসো শিয়া চিনি
এই ১২তম ইমাম শৈশবে গায়েব হয়ে সমগ্র সৃষ্টিজগতে কর্তৃত্ব করছে বলে শিয়া-ধর্মে বিশ্বাস,তার জন্য সামারা গুহার গর্তে খোঁজ চলে,ইরানের যামকারান কূপে চিঠি ফেলা হয়।
১২০০ বছর আগে গায়েব এই কল্পিত ইমাম এর বের হবার উপরেই শিয়া ধর্ম বহুলাংশে নির্ভরশীল!ইরানের সরকারকে “মেহদির অফিস” বলা হয়!আসুন সংক্ষেপে জানি তার সম্পর্কে,শিয়া ধর্মগ্রন্থ থেকে-
◊● জন্মঃ
আহলে বাইতের নামে মিথ্যাচার করে ইহুদি-সাবাঈ তত্বে সৃষ্ট ইমামত-আকিদার প্রচার করে আসছিল শিয়ারা সেই আলী(রা) এর সময় থেকেই। তার সাথে রাসূল(সা) এর বর্ণিত ১২ জন খলিফার হাদিসকে চাপিয়ে দিয়ে আলী(রা)এর পরে আহলে বাইত এর বংশধরদের থেকে ইচ্ছামত ইমাম বানাতে থাকে।
বিপত্তি বাধে ২৬০ হিজরি সনে দাবিকৃত #১১ ইমাম হাসান আসকারী(র) ২৮ বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। স্বভাবজাত পন্থায় শিয়ারা হাসান আসকারী(র) এর নামেও কিচ্ছা ফাঁদে যে,তার এক দাসী ছিল নারজিস/মুলাইকা/সাওসান/খামত/সাকিল নামে [দালায়েলুল ইমামত ২৬৪পৃ; গায়বাহ তুসি ১৪২-১৪৭;ই’লামাল ওয়ারি ৩৯৪]।
নাম-বিভ্রাট দেখে কেউ কেউ ঘোষণা দেয় তার প্রতিদিন আলাদা নাম হত [মুন্তাখাব আল-আছার ৩২০]।
কথিত মেহদীর মা’র ব্যাপারে বলা হয় সে যোশুয়া নামে রোমান রাজার কন্যা ছিল,কিন্তু ইতিহাস বলে এই নামে রোমান রাজাই ছিলনা!
উল্লেখ্য,শিয়া ধর্মমতে, সকল সৃষ্টির ২২,০০০/২৪০০০ মতান্তরে ২ লাখ বছর পূর্বে মেহদিকে সৃষ্টি করে হয়েছে{বিহার ১১১/৪৩;আল কাফি ৪৬০/১;আমালি আস-সাদুক ৫৯২}
মেহদী গর্ভে আসার কোন লক্ষণ দৃষ্টিগত হত না।তার ফুপু হাকিমা তার মা নারজিসের মধ্যে গর্ভবতীর চিহ্ন না দেখে তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে,-আবু মুহাম্মদ(বাবা) বলেন,আমরা ইমামরা মায়ের গর্ভে না, উরু হতে জন্মাই,কারণ আমরা পবিত্র! [বিহারুল আনওয়ার ২৫পৃ/৫১],
ধাত্রী হাকিমা ঘুমিয়ে পড়লে হঠাত মেহদীর কান্নার আওয়াযে উঠে দেখেন সে জন্মেছে!
*মেহদীর শরীর দেখেনি কেউ,তার নাম নেয়াও নিষিদ্ধ,ইমাম রেযা[হেদায়াতুল কুবরা ৩৬৪পৃ]
ও ইমাম বাকির,মুসা কাযিম এর বর্ণনা অনুসারেও! মেহদী নিজেও নাকি কারো মারফত বলেছে-তার নাম যে নিবে সে অভিশপ্ত।[বিহার ৩৩পৃ/৫১]
আরো সমস্যা দাঁড়ায় নাম নিয়ে, নিয়মে নাম হয় মুহাম্মদ বিন হাসান আসকারী। একে রাসূল(সা) এর বর্ণিত প্রকৃত মাহদীর(মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ) সাথে একই সাব্যস্ত করার জন্য সহস্রাব্দব্যাপী শিয়া-ধর্মগুরুরা কাঠখড় পুড়িয়ে নানারকম পরোক্ষ ব্যাখ্যার চেষ্টা করে গেছে।
* মেহদী সাধারণ মানুষের ১ বছরের সমান বড় হত ১ দিনে! [বিহার ২০,২৭/৫১;গায়বাহ তুসি ১৪৪পৃ]
হিজরি ৩য়/৪র্থ শতকের শিয়া-গবেষক আল-নাওবাখতি এর ফিরাকুশ শিয়া কিতাবমতে প্রতিটা ইমাম এর মৃত্যুর পরেই নানা মতবাদ আবিষ্কার করে নতুন দল বের হয়েছে। ১১তম ইমামের মৃত্যুর পরেও কেউ বলল তিনি মরেন নাই-ঈসা(আ)এর মত ফিরে আসবেন,কেউ বলল তিনিই ইমাম কাঈম/মেহদি,কেউ বলল-তার ভাই জাফর’ই ১২তম ইমাম!
তবে আসকারী(র)এর অজ্ঞাত সন্তান এর গায়েব-কিচ্ছাই বেশি প্রসার পায় শিয়াদের মাঝে,তাকেই ১২তম ইমাম ধরা হয়।
◊● গায়বাহ (উধাও হওয়া):
সকলের অজ্ঞাতসারে জন্মানো মুহাম্মদ বিন হাসান কেই #১২ ইমাম মেহদি বলে প্রচার আরম্ভ হয়।হাসান আসকারীর ফুপু হাকিমার নামে বর্ণনা চালিয়ে দাবি করা হয়- সকলের থেকে গোপন রাখার পরে ৪-৫ বছর বয়সে মেহদী গায়বাহ আস-সাগীরা(ছোট গায়েব অবস্থা)তে চলে যায়!
কিন্তু শিয়া-জাতি তাদের বানোয়াট ধর্মের নিয়মানুসারে আয়ের ৫ ভাগের ১ ভাগ #১২ ইমামের নামে জমা দিতে বাধ্য থাকে।
* উসমান বিন সাঈদ-আল আমরি নামক ব্যক্তি দাবি করে, একমাত্র তার সাথে মেহদির গোপন যোগাযোগ হয়; সে ইমাম সাহেবের উকিল! তার কাছেই শিয়ারা ইমামের নামে খুমুস(১/৫ অর্থ) জমা দেয়। তার মৃত্যুর পরে পুত্র মুহাম্মদ বিন উসমান ইমামের সাথে চিঠি-বিনিময়ের মাধ্যমে মেহদির উকিল নিযুক্ত হয় ও খুমস আদায় করে!
এই ইমামের-প্রতিনিধি আসন ধরে রাখতে তাদেরকে বহু প্রতিকূলতা,প্রতিদ্বন্দ্বী দমন করতে হয়! তার পরে বাগদাদের সম্ভ্রান্ত আবুল কাসিম নাওবাখতী এই পদ লাভ করে।
শিয়া ধর্মগুরু তুসির কিতাবুল গায়বাহ মতে, খুমুস আদায়ের এই লোভনীয় পদের জন্য কুকুরের মত লড়াই চলত।
৩২৬হি সনে নাওবাখতি মারা গেলে আবুল হাসান আল-সামরি এই পদ পায়।সে মৃত্যুশয্যায় বলে যায়,ইমাম সাহেব গায়বাহ আল-কাবিরা(বড় গায়েব অবস্থা)তে চলে গেছেন। আর কারো সাথে চিঠিতে যোগাযোগ হবে না বা গোপনে দেখা দিবেন না! জন্মের প্রায় ৬৫-৭০ বছর পরে লুকিয়ে থাকা #১২ ইমামের সাথে শিয়া জাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হল অনির্দিষ্টকালের জন্য!
বাকের মাজলিসি তার মিরাত আল-উকুল কিতাব(১৭০পৃঃ’ ৬ষ্ঠ খণ্ড) মতে শিয়া ধর্মের বাইবেল-উসুল আল কাফিতে মেহদীর জন্ম বিষয়ে ৩১ টি বর্ণনা উল্লেখ আছে তার মধ্যে ৮টি বাদে বাকি সব মাজহুল(অজ্ঞাত) ও জঈফ!
উসুলে কাফি গ্রন্থের “ইমামের-জন্ম” বিষয়ক ৮টী গ্রহণযোগ্য বর্ণনা(৪,৮,১৫,২০,২৪,২৫,২৯,৩১ নং) এ দেখা যায়- এর প্রায় সবই অর্থ-সম্পদের লেনদেন,টাকা পাঠাতে চিঠি,লেনদেন নিয়ে ঝগড়া,অর্থ-প্রেরণ বিষয়ক।#১২ ইমামের জন্ম/উধাও হবার কোন বিবরণ নেই। বস্তুতঃ মেহদির কিচ্ছা যে শুধু পাব্লিকের মাল খাওয়ার জন্য ফাঁদা হয়েছিল তা পরিষ্কার!
*ইমাম সাহেব গায়েব/লুকিয়ে আছেন কেন?
মেহদির কিচ্ছাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে শিয়া-যাজকরা যুগে যুগে রিওয়ায়েত রচনা করেছেন আহলে বাইতের নামে!লুকানোর কিছু কারণঃ-
> আবু জাফর বর্ণিতঃ কারো সামনে আসার আগেই মেহদী গায়েব,কারণ সে নিজের হত্যার ভয়ে ভীত।এছাড়া যথেষ্ট সমর্থনের অভাব! [গায়বাহ আন-নুমানী ১১৮;কামাল আদ-দ্বীন ৩২১,৩২৫পৃ;আকায়েদুল ইমামিয়্যা ১৪৮পৃ/২]
> তার পূর্বের সব ইমামরা জালিম খলিফাদের বাইয়্যাত/আনুগত্য দিতে বাধ্য হয়েছিল।কিন্তু মেহদী বাইয়্যাত দিবেনা-তাই গায়েব হয়েছে।সে তার ২য় উকিলকেও নাকি এই কথা জানিয়েছিল।[কামাল আদ-দ্বীন ৪৩৬;বিহারুল আনওয়ার ৯২,২৭৯/৫২;১৮১/৫৩]
> শিয়াদের পাপ কাজ,দুর্নীতি এর জন্যই মেহদি বের হচ্ছেনা,এরকম রিওয়ায়েতও রচনা করা হয়েছে শিয়া ধর্মগ্রন্থ বিহারুল আনওয়ার ৩২১পৃ/৫২ খণ্ড- তে।
এছাড়া শিয়া ধর্মগুরু শারিফ মুরতাযি তার গায়বাহ কিতাবের ৫৪পৃষ্ঠায় মেহদি কর্তৃক তার শিয়াদের ফেলে গায়েব হবার দোষ জনসাধারণের উপরে চাপিয়ে লিখেছে-“তিনি(আঃ),এর যদি ক্ষতির ভয়ে লুকানোর প্রয়োজন হয়,তবে যারা তাঁকে এই কাজে বাধ্য করেছে তাদের উপরেই দোষ বর্তায়”।
সুতরাং শিয়া-জাতির রক্ষক মেহদি,যে ইমামদের ন্যায় সকল কিছুর মালিক(নাউযুবিল্লাহ) সে নানা কিসিমের বাহানা ধরে লুকিয়ে আছে!
* কখন বের হবে #১২ ইমাম??
মেহদি চায়না কেউ তার গায়েব হওয়া নিয়ে মাথা ঘামাক,সে নাকি বলেছে-“যেসব প্রশ্ন তোমাদের বিষয় না,সেগুলা নিয়ে আলোচনা বন্ধ রাখ ও আমার বের হবার পরিস্থিতির জন্য দুয়া কর, যাতে আমি আবার বের হতে পারি”[কামাল আদ-দ্বীন ১৬২/২; গায়বাহ তুসি ১৭৭]
এই সময় নিয়েও নানা রকমের রিওয়ায়েত রচনা করা হয়েছে আহলে বাইতের নামে-
> আবু আবদুল্লাহ(আঃ) বলেন, মেহদি মুসা(আঃ) ন্যায় ২৮ বছর কওম এর থেকে দূরে থাকবে।[ইছাবা আল-হুদাত ৪৫৯,৪৭১পৃ/৩]।আরেক বর্ণনায় আছে, বনী ইসরাইল এর দিক-হারানোর সময় পরিমাণ মেহদী গায়েব থাকবে [গায়বাহ-তুসি ৬৩; বিহার ১৯৯/২]
,সেটা হয় ৪০ বছর। অথচ মেহদীর ছোট গায়বাহ ই ৬০-৭০ বছরের। আর তারপর তো ১১৫০ বছর ধরে খবর/চিঠি লেখা সব বন্ধ!
> শিয়া ধর্মের জঘন্য বাদা’আ(আল্লাহ্ পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত বদলান_নাঊযুবিল্লাহ) আকিদাও মেহদীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে!আবু জাফর এর নামে বর্ণিত- আল্লাহ্ ৭০ বছরের সময় নির্ধারিত করেছিলেন,কিন্তু হুসাইন এর শাহাদাতে দুনিয়াবাসীদের প্রতি আল্লাহ্র ক্রোধ হয়,ফলে তিনি তা ১৪০ এ নেন, সেই খবর আমরা তোমাদের জানিয়ে দেয়ায় আল্লাহ্ তা আরো দেরি করিয়ে দেন।[আল-কাফি ৩৯৮/১;গায়বাহ আন-নুমানী ১৯৭;গায়বাহ তুসি ২৬৩] ।
আবু বাসির বর্ণিত- ইমামকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন,তোমার খবর ছড়িয়েছ,তাই আল্লাহ্ পিছিয়ে দিয়েছেন![ গায়বাহ-তুসি ২৬৫; গায়বাহ আন-নুমানী ১৯৪]। নাঊযুবিল্লাহ্!
◊● বের হবার পরে মেহদির কাজঃ-
শিয়ারা প্রত্যেক নওরোজে(পারসিক নববর্ষ)এর দিনে অগ্নিপূজকদের রীতি পালন করে,মেহদির বের হবার অপেক্ষায় থাকে!
>জাফর সাদিক(র) এর নামে বর্ণনা- “আমরা প্রত্যেক নওরোযে ইমাম কাঈম/মেহদি এর বের হবার অপেক্ষায় থাকি।এটা বিশেষ দিন,পারসিক(অগ্নিপূজক)রা এই দিন সংরক্ষণ করেছে আর তোমরা আরবরা তা খুইয়েছ!” [ইছাবা আল-হুদাত ৫৭১/৩; ইয়াওমাল খালাস ৭২২পৃ]
সে কি বারে এবং কোন জায়গা থেকে বের হবে তা নিয়ে বিভিন্ন বর্ণনা চালু আছে শিয়া-ধর্মে।
রাসূল(সা)এর সত্য বাণীগুলাও শিয়া-ধর্মগ্রন্থে এসেছে যাতে বলা হয়েছে আহলে বাইত এর বংশে ইমাম মাহদী জন্মাবে ও দুনিয়াতে ইনসাফ কায়েম করবে।কিন্তু এর সাথে ইহুদিজাত মাজুস শিয়া ধর্মের রিওয়ায়েতসমূহ যা বর্ণিত হয়েছে তা দাজ্জাল এর সাথেই যায়!
* শিয়া রেফারেন্স মতে ৬০-৭০ বয়সে গায়েব(কবীরা) হওয়া মেহদী যেকোন রূপ ধরতে পারবে।
> ইমাম রেযা(আ) কে আল-মুফাদ্দাল জিজ্ঞাসা করল,ইমাম সাহেব তরুণ না বৃদ্ধ অবস্থায় বের হবে?তিনি বললেন, “সে তার ইচ্ছামত যেকোন আকৃতিতে বের হবে” [ই’লামাল ওয়ারি ৪০১; গায়বাহ আন-নুমানী ৯৯পৃ]।
> মেহদি আল্লাহ্কে হিব্রু ভাষায় ডাকবে।[গায়বাহ আন-নুমানী ৩২৬পৃ]
> শিয়াদের জঘন্য রাজাআত আকিদার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে, বহু লোক জীবিত থেকে মৃত হবে।
* ২৭ জন বনী ইসরাইলি,আসহাবে কাহফের যুবকেরা,সুলায়মান(আ),ইউশা(আ) ও আরো অনেক সাহাবী জীবিত হবে![ইরশাদ আল-মুফিদ ৩৮৬পৃ/২]
*সর্বপ্রথম রাসূল(সা) মেহদির হাতে বাইয়্যাত দিবেন [বিহারুল আনওয়ার ৩৪৮পৃ/৫২] নাউযুবিল্লাহ!
* মেহদি মদীনায় গিয়ে আবু বকর,উমর(রা)কে রাসূল(সা)এর পাশের কবর থেকে তরতাজা অবস্থায় তুলে(জীবিত করে) তাদেরকে ক্রুশবিদ্ধ করে শাস্তি দিবে।[ইছাবা আল হুদাত ৪৭৬/১;বিহার ১২/৫৩;উয়ুন আল আখবার ৬১/১]
* আয়শা(রা)কে কবর থেকে তুলে তাঁর উপরে হুদুদ কায়েম করে কৃতকর্মের শাস্তি দিবে মেহদি।[বিহারুল আনওয়ার ৩১৪পৃ/৫২,দালায়েলুল ইমামাত ২৫৬]
* নতুন ধর্মীয় বিধান কায়েম করবে [বিহার ৩৫৪/৫২]।
একথা নিশ্চিত যে-“মেহদি দাউদ(আ) ও সুলায়মান(আ) এর বিধান অনুযায়ী শাসন করবে” [উসুল আল-কাফি ৩৯৭/১;বিহার ৩২০/৫২;নাজমুয সাকিব ৩২৬পৃ/১] অর্থাৎ তাওরাত এর বিধান।
* মেহদি প্রকৃত কুরআন বের করবে।[তাফসিরে সাফি ১৬পৃ/১ম খণ্ড;]।
* মাসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ভাংতে ভাংতে তার ভিত্তি পর্যন্ত পোউছে যাবে মেহদি{বিহার ৩৮/৫২}
মৃতকে জীবিত করে দেখানো,বিশেষ করে সাহাবাদের।তারপরে শাস্তি দেয়া,তাওরাত কায়েম করা ইত্যাদি তো প্রকৃতপক্ষে শিয়া-জাতির জন্মদাতা ইহুদিদের প্রতিক্ষীত মাসিহ/দাজ্জাল এর সাথেই যায়।এছাড়া আরো কিছু লোমহর্ষক বর্ণনা দেখি-
*মেহদি দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে এই বর্ণনা মুসলমানদের ইমাম মাহদীর সাথে মিলে যিনি স্বাভাবিক জন্মাবেন।কিন্তু শিয়া-মেহদির সাথে ইহুদিদের বন্ধুত্ব হবে আর আরবরা তার শত্রু হবে!
> আবু আবদুল্লাহ(আ)বলেন-“মেহদি বের হলে মুসা(আ)এর জাতির লোকেরাও তার সঙ্গী হবে” [ইরশাদ আল মুফিদ ৪০২পৃ]
আয়াতুল্লাহ সাদিক হুসাইনি রুহানীর ওয়েবসাইটে প্রশ্নের জবাবেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে মেহদী ইহুদিদের সাথে শত্রুতা শেষ করবে।
* মেহদি প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত ঘটাবে,কারো কোন তাওবা/ওজর গ্রহণ করবে না।আর তার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হবে আরব জাতি! শিয়া ধর্মগ্রন্থ বলে-“ইমাম কাঈম(মেহদি) বের হলে তাঁর সাথে আরব,কুরাইশদের মধ্যে তলোয়ার ছাড়া অন্য কিছু বাকি থাকবে না তিনি তাদের প্রতি তলোয়ারই ব্যবহার করবেন”[গায়বাহ আল-নুমানী ১৫৫;বিহার ৩৫৫/৫২]। “আরব,কুরাইশরা তাদের উপরে মেহদির আক্রমণের চোটে বলবে- সে যদি সত্যই আহলে বাইতের বংশধর হত,আলী ও ফাতিমার বংশধর হত তাহলে সে এরকম করত না”{তাফসিরে আইয়্যাশী ৫৭/২;বিহার ৩৪২/৫২ }
◊● মৃত্যুঃ
শিয়া ধর্মে বাহারী রিওয়ায়াত রচনা হয়েছে এ নিয়ে যে মেহদী কত বছর শাসন করবে।কোথাও ২০,৪০ ১২০ এমনকি ৩০০ বছরের কথাও বলা আছে।মেহদির পরে আবার আরো ১২ জন উপ-ইমাম/উপ-মেহদী আসার কিচ্ছাও আছে শিয়া-ধর্মগ্রন্থে{বিহার ১৪৫,১৪৮/৫৩;গায়বাহ আল তুসি ২৮৫}
আবার এমন বর্ণনাও আছে- “দুনিয়াতে ২ জন লোক অবশিষ্ট থাকলে তাদের একজন হবে ইমাম(মেহদি),এবং তিনি সর্বশেষে মরবেন।যাতে কেউ হুজ্জাত ছাড়া মারা যাবার কথা না বলতে পারে”{আল কাফি ১৮০/১;বিহার ২১,২২,৩৬/২৩}
* মৃত্যু সম্পর্কে শিয়া-ধর্ম বলে তাদের #১২ ইমামের শাহাদাত হবে এরূপ-“ইমামুযযামান(মেহদী) ৭০ বছর পার করা পরে সাঈদা নামের বনী তামীম গোত্রের এক দাড়িওয়ালা মহিলা কর্তৃক নিহত হবেন” [ইযাম আন-নাসিব ১৭৮পৃ/২খণ্ড]
গাঞ্জাখুড়ি কিচ্ছার হাস্যকর সমাপ্তি।
-----------------
~ The Rafidologist: এসো শিয়া চিনি
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন