শিয়া-ইমামত বনাম খতমে নবুওয়্যাত
আল্লাহ্ তায়ালা রাসূল(ﷺ)কে সর্বশেষ নবী হিসাবে পাঠিয়ে দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন।এরপরে উম্মতের আর কোন নবী-রাসূল,ওহী,কিতাব ইত্যাদির দরকার নেই, অথবা নবীর মত গুণাবলী(ত্রুটির ঊরধে,অবশ্য পালনীয় যার নির্দেশ) রাখেন এমন ব্যক্তি/নেতার দরকার নেই; সুতরাং যে জিনিসের দরকার নেই তাকে ফরয/আবশ্যক দাবি করা ঈমান-বিরোধী মিথ্যাচার! এই কাজটিই করে থাকে ইহুদি ইবনে সাবার ইমামত তত্বে জন্ম নেয়া শিয়া জাতি।তবে সেটা আধুনিক যুগের উৎপাদিত কাদিয়ানিদের মত না, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে; শুধু ইমামদের ক্ষেত্রে নবী শব্দ ব্যাবহার বাকি রেখে। ব্যাপার অনেকটা এরকম যে, কেউ জুসের বোতলে মদ খেয়ে বলে ‘আমি তো মদ খাই না,বোতলে জুস লেখা’!
আসুন দেখে নেই,ইমামতের আড়ালে ১৩০০ বছর ধরে কিভাবে শিয়া-মালাঊনরা খতমে নবুয়্যাতের বিরোধী আকিদা পুষে আসছে।
নবুয়্যাতের ন্যায় ইমামতকেও আল্লাহ্র পক্ষ হতে নির্ধারিত দাবি করা হয়-
¤ আবু আব্দুল্লাহ(আ) বলেন- ‘ ইমামত আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পদ;যার অধিকারী কেবল কয়েকজন মনোনীত ও নির্বাচিত সুমহান ব্যক্তিত্ব।কোন ইমামের অধিকার নেই, পরবর্তী নির্ধারিত ইমামকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সেই পদ দান করা। ’ [ উসুল আল কাফি-পৃষ্ঠা ১৬৬/১, হা ৩(বাব ১১৭)]
¤ ‘গোপন উন্মোচনকারী’ শায়খ মুহাম্মদ হুসাইন এর ভাষায় “ইমামত নবুয়্যাত এর মত ইলাহ-প্রদত্ত পদ” [উসুলুস শিয়া ওয়া উসুলুহা, পৃষ্ঠা ১৩৪]
¤ শায়খ সাদুক- ইবনে বাবুইয়্যা কুম্মী বলেছেঃ “খলিফা নির্বাচিত করার ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া আর কারো নেই” [কামালাদ্দিন ওয়া তামাম আন-নিয়ামাত, পৃ ২০]
⌂ ২. নবুয়্যাতের মত আবশ্যক
নবুয়্যাত যেরকম ফরয,সেরকম শিয়াদের দাবিকৃত ইমামতকেও ফরয দাবি করা হয়-
¤ “সৃষ্টজীবের উপর আল্লাহ তায়ালার প্রমাণ(হুজ্জাত) ইমাম ছাড়া প্রতিষ্ঠিত হয় না,যতক্ষণ না তাকে চেনা হয়” [ উসুল আল কাফি-পৃষ্ঠা ১০৩/১, হা ১(বাব ৬১)]
¤ বাকের মাজলিসি বলেছে- “ইমামত নবুয়্যাতের মতই। কেননা, উভয়ের অর্থই হচ্ছে যাবতীয় বিষয়ে দুনিয়াবাসীর নেতৃত্ব দেয়া” [হায়াত আল ক্কুলুব, খণ্ড৫, পৃ ৪৪]
¤ প্রখ্যাত শিয়া আকিদা-গুরু সালেহ আল-ওয়ারদানি লিখেঃ “শিয়াদের মতে ইমামত নবুয়্যাতের মতই গুরুত্বপূর্ণ, যেমন নবীর কাজ সরল পথে পরিচালিত করা তেমনি ইমামের কাজও একই ” [আকায়েদ আস-সুন্নাহ ওআশ-শিয়া, পৃষ্ঠা ১৪৫ ]
⌂ ৩. জিব্রাইল(আ) ও অন্যান্য ফেরেশ্তা আসে
নবী-রাসূলদের কাছে যেরকম সরাসরি মালাইকাত/ফেরেশতা আসতেন,কথা বলতেন- শিয়াদের ইমামদের ক্ষেত্রেও একইঃ-
¤ “আবু আব্দুল্লাহ(আ) কে বলতে শুনেছি, ‘তারা আমাদের কাছে আসে সালাম দেয় ও আমরা তাদের নিজদের বালিশ দেই’, অর্থাৎ ফেরেশতারা। [বিহারুল আনওয়ার, ৩৫৫/২৬]
¤ আবু আব্দুল্লাহ(আ)কে ‘এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে’{সূরা শূরাঃ ৫২} আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন- সেই রুহ হল আল্লাহ্র সৃষ্টির মধ্য থেকে, জিবরাঈল ও মিকাঈল এর থেকেও শ্রেষ্ঠ, তিনি আল্লাহ্র রাসূল(ﷺ)এর সাথে ছিলেন খবর পৌঁছানো ও প্রতিরক্ষার জন্য; এবং আল্লাহ্র রাসূল(সা)এর পরে ইমামদের সাথে আছেন। [আল কাফি ১৬৩/১ম খণ্ড; কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১১৩]
¤ ‘ইমামগণ জিবরাঈল,মিকাঈল এবং মালাকুল মাউতকে এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন’[বাসাইর আদ দারাজাত, ৫ম খণ্ড,বাব ৮(এর বর্ণনাসমূহ)]
⌂ ৪. অহী আসে
ইমামদের কাছে জিবরাঈল(আ)সহ ফেরেশতারা এসে খবর জানানো,জ্ঞান দেয়া ইত্যাদি করেন। আর ইমামরাও আল্লাহ্র থেকে ওহীর ন্যায় জ্ঞান লাভ করেনঃ-
¤ “নবীরা ফেরেশ্তাকে দেখেন এবং কখনও দেখা ব্যতীত শুধু তাঁর কথা শুনেছেন। আমি(বর্ণনাকারী) জিজ্ঞাসা করলাম,ইমামের মঞ্জিল কি? তিনি বললেনঃ ইমামগণ ফেরেশতার আওয়াজ(অহি) শুনতে পান, কিন্তু তাঁকে দেখতে পান না,সাক্ষাৎ পান না।”[উসুল আল কাফি-পৃষ্ঠা ১০২/১, হা ১(বাব ৬০)]
¤ আবু আব্দুল্লাহ(আ)কে জিজ্ঞাসা করা হল,হুকুমত পেলে কি দিয়ে শাসন করবেন? তিনি বললেন- ‘আল্লাহ্র আইনে এবং দাঊদ(আ)এর আইনে। আমাদের সামনে যদি এমন কোন বিষয় চলে আসে যা আমাদের আয়ত্তের বাইরে, তখন রুহুল কুদ্দুস(পবিত্র আত্না/ফেরেশতা) এসে আমাদের জানিয়ে দিবে’ [আল কাফি, ২৪৯ পৃ/১ম খণ্ড; কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১৫৬]
¤ ‘মালাঈকাত/ফেরেশ্তারা ইমামদের ঘরে এসে খবর জানিয়ে দেন’ [আল কাফি, ২৪৬ পৃ/১ম খণ্ড; কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১৫৪]
¤ আবু আবদুল্লাহ(আ) বলেন- “প্রত্যেক জুমআর দিনে আল্লাহ্র রাসূল(ﷺ)ও সাথে ইমামগণ আল্লাহ্র আরশে পৌঁছান এবং নতুন প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেবার পরে তাদের শরীরে রুহ ফিরে আসে”[আল কাফি,১৫০/১,কিতাবুল হুজ্জাত,বাব ৯৯, হাঃ ২,৩]
¤ রুহুল্লাত খোমেনি- ‘ফাতিমাতুয যাহরা(সা)এর কাছে পচাত্তর দিন পর্যন্ত জিবরাঈল(আ) অহী নিয়ে এসেছেন, আর আমিরুল মু’মিনীন(আলী) তা লিখেছেন’ [মাকানাত আল-মারআহ, ১৯৮৬/৩/১২]
¤ ‘ইমামদের কাছে সকল ফেরেশতা,নবী-রাসূলদের কাছে আসা জ্ঞান আছে’ [আল কাফি, ১৫১/১, বাব ১০১]
¤ ‘লাইলাতুল কদরের রাতে ফেরেশতারা ইমামদের কাছে এসে পরবর্তী বছরের ঘটনাবলী জানিয়ে দেন’ [বাসাইর আদ দারাজাত, ৫ম খণ্ড,বাব ৩(এর বর্ণনাসমূহ)]
¤ জাফর(আ) বলেন- ‘আমাদের যদি নতুন নতুন জ্ঞানবৃদ্ধি করে না দেয়া হত তাহলে আমরা ফুরিয়ে যেতাম(জ্ঞান)’[আল কাফি, ১৫১/১; কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১০০]
¤ ইমামদের কাছে মুসহাফে ফাতিমা ও মুসহাফে জাফর ইত্যাদি রয়েছে, যা কুরআন এর চেয়েও উত্তম জ্ঞান এর উৎস বিবেচনা করা হয়। মুসহাফে ফাতিমা কুরআন এর চেয়ে তিনগুণ বড়-[উসুল আল কাফি, অধ্যায় ৯৭,বর্ণনা ১]
¤ ইমামদেরকে সম্পূর্ণ কুরআন এর একমাত্র সংরক্ষক বিশ্বাস রাখা হয়। দ্রষ্টব্য- উসুল আল কাফি, অধ্যায় ৯২
¤ মুসহাফে ফাতিমা সম্পর্কে আরো- ‘রাসূল(সা)এর ওফাতের পরে আল্লাহ্ তায়ালা ফাতিমা(আ)এর কাছে ফেরেশতা প্রেরণ করেছেন।সেই ফেরেশতা যা বলেছেন তা শুনে আলী(আ) লিখে রেখেছেন।তাতে হালাল-হারাম এর সকল জ্ঞান ও অতীত-ভবিষ্যতের সকল জ্ঞান রয়েছে’ [আল কাফি, অধ্যায় ৯৭(১৪১/১), হাঃ২]
⌂ ৫. আনুগত্য ফরজ
সবকিছুর উপরে ইমামদের বিশ্বাস করার আকিদা। তাদের মানা ফরয,ধর্মের স্তম্ভের অন্যতম ইত্যাদিঃ-
¤ “যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও আহলে বাইতের ইমামদের চিনে না(আনুগ্যত/মানে না),নিশ্চয়ই সে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করে” [উসুল আল কাফি-পৃষ্ঠা ১০৫/১, হা ১(বাব ৬৪) ]
¤ শিয়াদের তাফসিরে ফুরাত আল কুফী,এর ৩৭০ পৃষ্ঠা(২য় খণ্ড) তে সূরা যুমার এর ৬৫ নাম্বার আয়াতের তাফসিরে, শিয়াদের দাবিকৃত “বেলায়াত” কে তাওহীদের সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে-[ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُك]“যদি কিছু শরীক করলে, তাহলে তোমাদের আমল বাতিল” এর মানে আলীর বেলায়্যাতের সাথে কিছু শরীক করলে আমল বাতিল।
¤ শিয়া যাজক আল্লামা রেযা মুযাফফর লিখেছে-“ইমামত দ্বীনের ভিত্তি এবং তা ছাড়া কারো ঈমান নেই”(আকায়েদ আল ইমামিয়া,পৃষ্টা ৫৪)
¤ আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী তার কাশফুল আসরার বইয়ের ১৫০ পৃষ্ঠায় ইমামতকে দ্বীনের আবশ্যক দাবি করেছে!
¤ আবু আব্দুল্লাহ(আ) বলেন, আমরা এমন জাতি, আল্লাহ তাআলা আমাদের আনুগত্য ফরয করে দিয়েছেন।[উসুল আল কাফি-পৃষ্ঠা ১০৯/১, হা ১(বাব ৬৫) ]
¤ ইমাম আবু জাফর(আ) বলেন, ইসলাম ৫টি ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত- সালাত,যাকাত, হজ্জ সাওম ও আহলে বাইতের বেলায়াত। ৪টির জন্য ছাড় আছে কিন্তু বেলায়াত এর জন্য ছাড় নেই। [ওয়াসায়েল আল শিয়া১/২৩, বিহারুল আনওয়ার ৬৮/৩৩২-৩৭৬]
⌂ ৬. মাসুম
ইমামগণ নবী-রাসূলদের মতই ভুল-ত্রুটি হতে সংরক্ষিতঃ-
¤ ‘ইমামরা নবীদের মতই মা’সুম, তাদের পক্ষে ছোট বড় কোন গুনাহ করাই সম্ভব না।এবং তারা দ্বীন ও শরিয়াতের কিছুই ভুলেন না’[আওয়াএল মাকালাত, ৭১ পৃষ্ঠা]
¤ শিয়া যাজক রেযা মুজাফফর- ‘আমরা বিশ্বাস রাখি ইমামগণের জন্যেও নবীদের ন্যায় মা’সুম/নিষ্পাপ হওয়া আবশ্যক’ [আকায়েদ আল ইমামিয়া, পৃ ৫৬]
¤ শায়খ সাদুক- ‘সকল নবী-রাসূল এবং ইমামগণ ফেরেশতাদের থেকে শ্রেষ্ঠ,তারা সকল অপিবত্রতা হতে মুক্ত, ছোট বা বড় কোণ গুনাহ করেন না’ [আমালিস সাদুক,৪৫৪ পৃষ্ঠা(মজলিস ৯৩)]
⌂ ৭. রাসূল(ﷺ)ব্যতীত অন্যান্য নবী থেকে শ্রেষ্ট
অন্য নবীদের বিশ্বাস করার চেয়ে ইমামদের বিশ্বাস করার গুরুত্ব বেশি,ইমামদের মর্যাদা অন্যান্য নবীদের উপরেঃ-
¤ শায়খ মুফিদ বলেছে- “ইমামরা নবুয়্যাতের গুণাবলী রাখেন,কিন্তু শরিয়াত তাদেরকে নবী বলতে বাধা দেয়” [আওয়াএল মাকালাত ৪৭পৃষ্ঠা]
¤ শিয়াদের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস বাকের মাজলিসি আরো লিখে-“কোন একজন ইমামকেও না মানলে,সকল নবী-রাসূলকে মানাও কাজে আসবে না”[মিরাত আল উকুল,পৃষ্ঠা ৩১১(খণ্ড ২)]
¤ বাসাইর আদ দারাজাত এর ২য় খণ্ডে দাবি-“সকল নবীদের কাছ থেকে আলী(আ) এর বেলায়েত এর শপথ নেয়া হয়েছে”,
¤ বাকের মাজলিসি তার হাক্কুল ইয়াকীন কিতাবে নিশ্চিত করে লিখেছে-“বেশিরভাগ শিয়াগণ বিশ্বাস রাখেন যে-আলী(আ) ও ইমামগণ সকল নবী-রাসূলদের থেকে উত্তম,শুধু শেষ নবী(ﷺ) ব্যতীত।এবং এই বর্ণনা সর্বজন প্রসিদ্ধ” [হাক্কুল ইয়াকীন,পৃষ্ঠা ৫৪(১ম খণ্ড)]
¤ আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী তার বই হুকুমাত আল ইসলামিয়া,পৃষ্ঠা ৫২ তে ইমামদের স্তর নবীদের উপরে ঘোষণা করেছে
¤ মোল্লা মুহসিন ফয়েয কাশানি লিখে- ‘নবীর মাঝে যেসকল গুণ থাকার শর্ত করা হয়েছে, ইমামের মাঝেও সেসব শর্ত করা হয়েছে। ইমাম সাদিক আলাইহিস সালাম বলেন- “রাসূল(সা)এর যে অবস্থান, ইমামের মাঝেও তার শর্ত করার দাবি আমরাই করেছি।তবে নবুয়্যাত ও বিয়ের বিষয় তার ব্যতিক্রম”’ [মিনহাজুন নাজাত, পৃ ৩৯]
¤ ‘ইমামগণ মূসা(আ) ও খিযির(আ) থেকেও শ্রেষ্ঠ,জ্ঞানী’ [বাসাইর আদ দারাজাত, ৫ম খণ্ড, বাব ৬]
⌂ ৮. নবী-রাসূলদের অপমান করা
সর্বোপরি ইমামদের তুলনায় নবী-রাসূলদের জঘন্য অপমান করা হয়,এমনকি রাসূলুল্লাহ(সা)কেও কুৎসিতভাবে হেয় করেঃ-
¤ শিয়া ধর্মাবলম্বীদের এক বড় অংশ মনে করে নবুওয়্যাতে জিবরাঈল ভুল করেছে(নাঊযুবিল্লাহ), শিয়া ধর্মগ্রন্থে- “গুরাবিয়্যাগণ বলেন- মুহাম্মদ(ﷺ)দেখতে আলী(আ)এর সাথে এমন সাদৃশ্য ছিল যেমন এক কাকের সাথে আরেক কাকের,এক মাছির সাথে আরেক মাছির থাকে।অতপর আল্লাহ্ যখন জিবরাঈলকে আলী(আ)কে রিসালাত দিতে পাঠালেন,তখন জিবরাইল রিসালাতে ভুল করে মুহাম্মদ(সা)কে রিসালাত পৌঁছাল।কবি বলেন- <হায়দার এর ব্যাপারে জিবরাঈল ভুল করল> এরপর থেকেই তারা জিবরাঈলকে অভিশাপ দিয়ে থাকে!” [আনওয়ার আন নুমানিয়া,পৃষ্ঠা ২০৮(খণ্ড ২)]
¤ বাকের মাজলিসি লিখেছে- “আমিরুল মু’মিনীন(আ) বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আমার বেলায়েত আসমান-যমিনের সকল অধিবাসীর সামনে প্রকাশ করেছেন।যে চিনল সে মেনে নিল,যার অস্বীকার করার সে প্রত্যাখ্যান করল।ইউনুস(আ) একে(বেলায়েত) অস্বীকার করেছেন তাই আল্লাহ্ তাঁকে মাছের পেটে রেখেছেন যতক্ষন না স্বীকার করেছেন।” [বিহারুল আনোয়ার পৃষ্ঠা ৩৯১,খণ্ড ১৪]
¤ আবু জাফর(আ) বলেন- আল্লাহ্ তায়ালা বেলায়েত(আলীর)কে জিবরাঈল এর কাছে গোপন করলেন, এবং জিবরাঈল তা মুহাম্মদ(ﷺ)এর কাছে গোপন করলেন এবং মুহাম্মদ(ﷺ)তা আলী(আ)র কাছে গোপন করলেন। আলী(আ) আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী যাকে ইচ্ছা তা গোপনে বলেছেন; অতপর তোমরা এ বিষয়টি প্রকাশ করে দিচ্ছ। তোমরা আমাদের ইমামতের কথা প্রকাশ করে দিও না। [আল কাফি, ১৩৮/২; বাব ৯৮, হাঃ ১০]
¤ “জিবরাঈল(আ) কর্তৃক আনিত রাসূল(সা)এর কাছে প্রেরিত ইলম এর অর্ধেক অংশীদার ছিলেন আলী(আ) ” [আল কাফি ১৫৬ পৃ/১ম খণ্ড, কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১০৬]
¤ আবু আব্দুল্লাহ(আ) বলেন- ‘হে আবু মুহাম্মদ! আমাদের কাছে আল্লাহ্র গোপন বিষয়াদির মধ্যে থেকে এক গোপন বস্তু আছে এবং আল্লাহ্র জ্ঞানভাণ্ডারের এক জ্ঞান আছে। আল্লাহ্র কাছের কোন ফেরেশতা এমনকি কোন নবী বা রাসূল অথবা পরীক্ষিত ঈমানদার তা ধারণে সক্ষম না ’ [আল কাফি, ২৫২ পৃ/১, কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১৫৯, হাঃ ৫]
¤ রুহুল্লাত খোমেনী - ‘আমাদের মাজহাব(১২ ইমামি)মতে আবশ্যক যে, আমাদের ইমামদের স্তর এমন পর্যায়ের যে তাতে কোন নিকটবর্তী ফেরেশতা, নবী বা রাসূল পৌঁছাতে পারেনা’ [হুকুমত আল ইসলামিয়া, পৃ ৫২]
‘যদি আলী(আ), রাসূলুল্লাহ(সা)এর পূর্বে আবির্ভূত হতেন, নবী(সা)এর মত শরিয়াহ প্রকাশ করার জন্য,তাহলে তিনিও সেভাবেই ইসলামকে প্রসার করতে পারতেন, একারণে যে- আধ্যাত্মিকতার দিক থেকে তাঁরা একই ছিলেন,বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ স্তরেও তাঁরা একই ছিলেন’ [মিসবাহ আল-হিদায়াত,পৃ ১৬৩]
¤ শিয়া যাজক ফযল মাসঊদী লিখেছে- ‘আল্লাহ্ নবী(সা)কে বলেন, হে আহমদ। যদি তোমাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করতাম না, আলী না হলে তোমাকে সৃষ্টি করতাম না, আর ফাতিমাকে না সৃষ্টি করলে তোমাদের উভয়কেই সৃষ্টি করতাম না’ [আসরার আল-ফাতিমিয়্যা, পৃ ২৩৭]
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকেই এই জঘন্য কাফের, নবুয়্যাতের অবমাননাকারী শিয়া- রাফেযী ও তাদের সমগোত্রীয় কাদিয়ানি,আহলে কুরআন- ফিত্নার থেকে হিফাজত করুন!
~ The Rafidologist
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন