পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জ্যোতিষবিদ্যা, ভাগ্য গণনা ও রাশিফল বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

ছবি
অনেক মানুষ ভবিষ্যতের ভালো-মন্দ জানার জন্য ভাগ্য গণনা করতে জ্যোতিষবিদ ও গণকের কাছে গমন করে। অথচ অদৃশ্য বস্তু ও ভবিষ্যৎ বিষয় জানা একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্যই নির্ধারিত, আল্লাহ বলেন : ﻗُﻞْ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﻦْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ অর্থ : আপনি বলুন, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আসমান ও জমিনের কেউ অদৃশ্যের সংবাদ জানেন না। (সূরা নমল : ৬৫) অন্য কেউ এ বিষয়ে জানার দাবি করা মূলত আল্লাহর সংরক্ষিত অধিকারকে খর্ব করার শামিল, যা শিরকের অংশবিশেষ। আমাদের দেশে জ্যোতিষবিদ্যা, রাশি নির্ণয়, ভাগ্য গণনা, পাখীর মাধ্যমে ভাগ্য পরীক্ষা, হাত দেখানো কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সেকল কাজকর্মের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হয়, তা ভবিষ্যৎ জানারই অপচেষ্টা মাত্র। বড় বড় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ভাগ্য গণনা ও রাশি নির্ণয়ের জন্য প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। পত্রিকায় ঘটা করে রাশি নির্ধারণপূর্বক ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। কোথাও ভাগ্য নির্ধারণের জন্য যন্ত্রও বসানো হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাটে পাখি দিয়েও ভাগ্য নির্ধারণের মিথ্যা অপচেষ্টা চলে। এসবই ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইসলামী আকিদার পরিপন্থী। কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট বিরোধী। গায়েব বা অদৃ

সহীহ ইসলামী আক্বীদার ভিত্তি কী?

শরীয়তের মৌলিক দলিল চারটি। ১.কুরআন। ২.সুন্নাহ। ৩.ইজমা। ৪.কিয়াস। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত এই চার মূলনীতি অনুসরণ করে। মুসলিম উম্মাহের ইজমা যে কোন যুগেই হতে পারে। সাহাবীদের ইজমা, তাবেয়ীগণের ইজমা কিংবা পরবর্তী যুগের আলেমদের ইজমাও শরীয়তের দলিল। এই চার মূলনীতির বাইরে শরীয়তের অন্য কোন দলিল নেই। সালাফদের ব্যক্তিগত মতামত শরীয়তের পৃথক কোন দলিল নয়। বিষয়টা এমন নয় যে, সালাফদের যে কেউ যাই বলুক, সেটাই শরীয়তের দলিল হয়ে যাবে। তবে কোন বিষয়ে সালাফদের মধ্যে যদি ইজমা হয়, তাহলে সেটা শরীয়তের দলিল হবে। নতুবা এটা সাধারণ বক্তব্য হিসেবে ধর্তব্য হবে। সালাফদের মধ্যে যারা ইজতিহাদের যোগ্য ছিলেন, তাদের কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইজতিহাদ শরীয়তের দলিল বলে গণ্য হবে। মুজতাহিদের ইজতিহাদ সব যুগেই শরীয়তের দলিল। এটা শুধু সালাফদের সাথেই নির্দিষ্ট নয়। সালাফদের যুগ অবশ্যই উত্তম যুগ ছিলো। এটা রাসূল স. এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। একইভাবে সালাফদের ইলম,তাকওয়া, যুহদ অবশ্যই অতুলনীয়। ইবনে রজব হাম্বলী রহ. তাদের ইলমের ফজীলতের বিষয়ে পৃথক কিতাব লিখেছেন। ফাজলু ইলমিস সালাফ আলাল খালাফ। কিন্তু তাদের প্রত্যেকের সকল বক্তব্য শরীয়তের দলিল হ

ইমাম তিরমিযী যখন জাহমিয়া (!)

ইমাম তিরমিজী রহ. এর তাবীল সম্পর্কে ইবনে তাইমিয়া রহ ও তার ছাত্রের মূল্যায়ন: ----- ইমাম তিরমিজী রহ. তিরমিজি শরীফের ৩২৯৮ নং হাদীসে একটি দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করেছেন। হাদীসটির মান নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। আমাদের আলোচনা সেটি নয়। হাদীস উল্লেখ করে ইমাম তিরমিজী রহ. হাদীসের একটি তাবীল বা ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছেন। সেই তাবীল সম্পর্কে ইবনে তাইমিয়া রহ. ও তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বিশেষ মন্তব্য করেছেন। আমরা এখানে তাদের মন্তব্য দু'টি আলোচনা করবো। প্রথমে হাদীসের শেষ অংশটি দেখা যাক। রাসূল স. বলেছেন, والذي نفس محمد بيده لو أنكم دليتم رجلا بحبل إلى الأرض السفلى لهبط على الله সেই মহান সত্ত্বার শপথ, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, তোমরা যদি কাউকে দড়ি দিয়ে ভূপৃষ্ঠের তলদেশে নামিয়ে দাও, তাহলে সে আল্লাহর কাছে গিয়ে উপনীত হবে। ইমাম তিরমিজী রহ. এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, فسر بعض أهل العلم هذا الحديث فقالوا‏:‏ إنما هبط على علم الله وقدرته وسلطانه‏.‏ আলেমগণ এই হাদীসের ব্যাখ্যা করেছেন। তারা বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আল্লাহর ইলম, কুদরত ও ক্ষমতার কাছে উপনীত হবে। অর্থাত হাদীসে রয়েছে জমিনের তলদেশে গেলেও সেখান

ঘুণে ধরা সহিহ আকিদা; ভিত্তি যখন যুক্তি!

'সহীহ আক্বীদায়' ঘুন পোঁকা প্রবেশ করলে সেটা 'তথাকথিত সহীহ আক্বীদা'য় পরিনত হয়। তখন দলিল বিহীন বিকৃত আক্বিদা আর ঠুনকো যুক্তিকেই সহীহ আক্বিদা হিসেবে চালানো হয়। একটি উদাহারণ দেই। আমি এক গায়রে মুকাল্লিদ ভাইকে প্রশ্ন করলাম -  "কবর থেকে হাত বের হওয়ার ঘটনার ব্যাপারে আপনাদের আপত্তি কোথায় ??? আক্বিদায় নাকি সনদে ??????" তিনি জবাবে বললেন - "আক্বীদায় , সনদে। কারণ যদি হাত বের হত তাহলে আবু বকর উমর উসমান আলি যে কোন সাহাবীদের (রা:) আজমাইনদের বেলায় অবশ্যই ঘটত। সুতরাং তাদের বেলায় রাসুল সা হাত বের করেন নি আর কারো বেলায় হবে তা মিথ্যা। আমরা অনুমান করে একটা বিষয় দিয়ে আরেকটা যুগ করতে চাই না। বিশেষ করে আক্বীদার ক্ষেত্রে।" ওয়াও, সেরাম আক্বিদার বিস্ফরণ!!!! মূলত কারামাত বা মুজেজার ব্যাপারে ইসলামি আক্বিদা কি এটাই আমাদের এ ভায়েরা জানেন না। কারামত একমাত্র আল্লাহর ক্ষমতা ও ইচ্ছায় সংঘঠিত হয়। এতে বান্দার ক্ষমতা ও ইচ্ছার কোন প্রভাব নেই। আল্লাহ কখন কার মাধ্যমে কোন কারামতের প্রকাশ ঘটাবেন তিনিই ভালো জানেন। এক্ষেত্রে বান্দা শুধুমাত্র উপলক্ষ। আল্লাহ তায়ালা চাইলে অধিক মর্যাদাপূর্ণ ব

তোমরা যারা চে গুয়েভারাকে আদর্শ মানো...

ছবি
আজকাল অনেক মুসলিম ভাইকে কমিউনিজমের পক্ষে কথা বলতে দেখা যায়। নিজেকে গর্বভরে কমিউনিজমের কর্মী হিসেবে পরিচয়ে দিয়ে থাকেন অনেকেই আবার নিজেকের বেশ শক্তভাবেই মুসলমান দাবি করে থাকে। পুরো ব্যাপারটিই আসলে সাংঘর্ষিক। কমিউনিজম আসলে সব ধর্মের বিরুদ্ধেই একটা যুদ্ধ। এর অগ্রভাবে রয়েছে ইসলাম ধর্ম। তবে ইহুদী ধর্মের ব্যাপার ভিন্ন ... ধর্মের ব্যাপারে কমিউনিজম ধারার আদর্শ বক্তব্যগুলো দেখা যেতে পারে ... কাল মার্কস বলেছেন, “ধর্ম জাতির জন্য আফিম। আল্লাহ মানব জাতিকে ‍সৃষ্টি করেননি, বরং মানুষই আল্লাহকে সৃষ্টি করেছেন” লেলিন বলেন, “ধর্ম হলো রূপকথা ও অজ্ঞতাবিলাস।” যুবকদের তৃতীয় সম্মেলনে লেনিন বলেছিলেন, “আমরা কোন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। আমরা ভালোভাবেই জানি যে গির্জার প্রভুরা, সামন্তবাদীরা এবং ‍বুর্জোয়া শ্রেণী কেবল সুবিধাভোগের উদ্দেশ্যেই আমাদের ঈশ্বর বলে সম্বোধন করে থাকে।” স্ট্যালিন 1937 সালে বলেছেন, “এটা বোধগম্য হওয়া উচিত যে, ধর্ম হলো কল্পকাহিনী, আল্লাহর চিন্তা কুসংস্কার এবং নাস্তিকতাই আমাদের ধর্ম।” রাশিয়ার রাজনৈতিক সংবাদপত্রে প্রাভদা ঘোষণা করেছে, “আমরা তিনটি বিষয় বিশ্বাস করি : কার্ল মার্কস, লেনিন

শিরক সমাচার (৩-৪)

ছবি
শিরক সমাচার-৩ শুরুতে কয়েকটা পরিভাষার সাথে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন। আমরা আল্লাহ তায়ালাকে রব হিসেবে বিশ্বাস করি। আল্লাহ তায়ালার সত্ত্বা, গুণ ও কাজকে আমরা অনন্য বিশ্বাস করি। অনন্য অর্থ কী? একমাত্র আল্লাহর মাঝেই আছে। অন্য কারও মাঝে নয়। একমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট। অন্য কারও মাঝে যেটা থাকতে পারে না। যিনি প্রভূ কেবল তার মধ্যেই থাকবে। এধরণের বিষয়কে আমরা খাসাইসুর রুবুবিয়্যা বা রবের অনন্য বৈশিষ্ট্য বলি।  কয়েকটা উদাহরণ দেয়া যাক। আমরা বিশ্বাস করি, যিনি প্রভূ, তাকে অবশ্যই ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হবে। তার ক্ষমতা থাকবে। অক্ষম কেউ প্রভূ হতে পারে না। এখন প্রশ্ন হলো,  ক্ষমতা কি প্রভূর অনন্য বৈশিষ্ট্য? স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, সীমিত পর্যায়ে সৃষ্টির মধ্যেও ক্ষমতা আছে। তাহলে ক্ষমতা প্রভূর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো কী করে? এই বিষয়টা বোঝা খুব জরুরি। ক্ষমতা বা কুদরত অবশ্যই প্রভূর অনন্য বৈশিষ্ট্য। এটা শুধু প্রভূর মাঝেই আছে। অন্য কারও মাঝে নেই।  প্রভূর ক্ষমতা: স্বাধীন, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও অসীম।  সৃষ্টির ক্ষমতা: অন্যের দেয়া, অসম্পূর্ণ ও সসীম।  এবার চিন্তা করে দেখুন। প্রভূর ক্ষমতা আস

শিরক সমাচার (১-২)

ছবি
পর্ব-১ কয়েকটা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করার ইচ্ছা ছিলো। অনেকের সাথে অঙ্গীকারবদ্ধও ছিলাম। কিছু ব্যস্ততার জন্য তেমন সময় দিতে পারি না। আরও কিছু দিন হয়তো বিচ্ছিন্ন থাকবো। একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্যের কাছে কিছু চাওয়া। এক্ষেত্রে  আমাদের কী বিশ্বাস রাখতে হবে। কতটুকু পর্যন্ত ইসলামের গন্ডির মধ্যে থাকবে। এ বিষয়টা নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। আকিদার অস্পষ্টতার কারণে বিষয়টি অনেক সময় ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সঠিক আকিদা না জানার কারণে নিজে যেমন ভুলের মধ্যে থাকে। সেই সাথে অন্যকেও আক্রমণের লক্ষ্য বানায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইমাম ইবনুল জাওযী রহ. তার বিখ্যাত কিতাব আল-ওফা বি-আহওয়ালিল মুস্তফা কিতাবে আবু বকর আল-মিনকারী থেকে একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ইমাম ত্ববারানী, ইমাম আবুশ শায়খ ও ইমাম আব বকর মিনকারী মদিনায় অবস্থান করছিলেন। এক সময় তারা মারাত্মক ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন। ইমাম আবু বকর মিনকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা ক্ষুধার্ত। আমরা ক্ষুধার্ত। একথা বলে আমি উঠে যাচ্ছিলাম। আবুশ শায়খ আমাকে বললো, বসো। হয়তো রিজিকের ব্যবস্থা হবে না হয় এখানে ইন্তেকাল করবো। 

তোমরা যারাঃ মহররম মাসে বিবাহ-শাদী করাকে নিষিদ্ধ মনে কর

তোমরা যারাঃ মহররম মাসে বিবাহ-শাদী করাকে নিষিদ্ধ মনে কর ======================================== ইতিহাসের কিতাব সমূহ প্রমান করে- ১. রাসূলুল্লাহ (সঃ) নিজে হযরত খাদীজা (রা) কে মহররম মাসের ১০ তারিখে বিবাহ করেছিলেন।। ২. রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কন্যা, হযরত উম্মে কুলসুম (রা) এর বিবাহ হযরত উসমান (রা) এর সাথে ৩য় হিজরীতে মহররম মাসে হয়েছিল।। এটি অনেক গুলো বর্ণনার অন্যতম।। ৩. রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর অপর কন্যা, হযরত ফাতিমা (রা) এর বিবাহ হযরত আলী (রা) এর সাথে ২য় হিজরীতে মহররম মাসে হয়েছিল।। এটিও অন্যতম একটি বর্ণনা।। যারা পথভ্রষ্ট শিয়াদের প্ররোচনায় পড়ে মহররম মাসে বিবাহকে নিষিদ্ধ মনে করেন তারা বড় আজব দলিল দেন!! তারা বলে- "মহররম মাসে হযরত হোসেইন (রা) কে হত্যা করা হয়েছে, এই শোকের সময় কীভাবে বিবাহ হতে পারে।।" তাদের কাছে প্রশ্ন করা যায়- "বাপ বড় না ছেলে বড়?? হযরত আলী (রা) কে ২১ রামাদান ৪০ হিজরীতে হত্যা করা হয়!! কই কেউ তো বলে না রামাদান মাসে বিবাহ করা নিষেধ??!!" অথচ আলী (রা) মর্যাদার দিক থেকে ৪র্থ খলিফা, রাসূল(সঃ) এর অন্যতম নির্ভরযোগ্য সাহাবী, চাচাতো ভাই আবার হাসান-হোসেন (

সংগ্রহে রাখুন চমৎকার একটি বই- নবীজীর নামাজ

ছবি
নামাজ পড়া আমাদের ওপর যেমন আবশ্যক তেমনি নামাজ পড়ার নিয়ম-কানুন জানাও আমাদের জন্য আবশ্যক। কে না চায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মত নামাজ পড়তে? আর সেটা যদি কোরআন হাদিসের বিস্তারিত রেফারেন্সসহ শিখে নেয়া যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এক্ষেত্রে ড. শাইখ মুহাম্মদ ইলিয়াস ফয়সাল এর নবীজীর নামাজ বইটি আপনার সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ্‌...  তাহলে ডাউনলোড করে নিন কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে সুন্নাহ অনুযায়ী নামাজ বিষয়ক বই নবীজীর নামাজ   মুল ড. শাইখ মুহাম্মদ ইলিয়াস ফয়সাল মদীনা মুনাওয়ারাহ সম্পাদনা ও ভূমিকা মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক ছাহেব আমিনুত তা'লিমঃ মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা খতিবঃ শান্তিনগর আজরুন কারীম জামে মসজিদ, ঢাকা তত্বাবধায়কঃ মাসিক আল কাউসার, ঢাকা অনুবাদ মাওলানা মুহাম্মদ যাকারিয়া আবদুল্লাহ মুদাররিসঃ মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া, ঢাকা খতীবঃ আফতাবউদ্দীন জামে মসজিদ, পল্লবী, ঢাকা সহ-সম্পাদকঃ মাসিক আল কাউসার, ঢাকা ================================= ডাউনলোডঃ **গুগল ড্রাইভ লিংকঃ https://goo.gl/md2LEv **মিডিয়াফায়ার লিংকঃ http://mediafire.com/?lvo6fluc1f4ec

কবর থেকে হাত বের হওয়ার ঘটনা বিশ্বাস করা শিরক?

ছবি
মতিউর রহমান মাদানীর কথা মেনে নিলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম, হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা., ইবনে তাইমিয়া রাহঃ , ইবনুল কাইউম রাহঃ সহ মুহাদ্দিসদের বিশাল এক জামাত বেরলভী আক্বিদায় বিশ্বাসী ছিলেন (নাউযুবিল্লাহ) ****************************** ********** মানুষ কম জেনে যখন বেশি বয়ান করে তখন তার বড় বড় ভূল হয়। মাদানী সাহেবের অবস্থাও অনেকটা এরকম। আক্বিদার ব্যাপারে তাহার এলেম এত বেশি! যে, তার হুশও নেই তাবলীগ জামাত বা দেওবন্দীদের সাইজ করতে গিয়ে অনেক বিষয়ে পরক্ষ ভাবে রাসূল সা. , সাহাবীদের্‌, তাকফীর করে ফেলছে বা আহলুল বিদায়া ওয়াল ফিরকার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা এ ধরণের শায়খ থেকে উম্মাহকে হেফাযত করেন। এবার মূল বিষয়ে আসি। বছর খানিক আগে iDEA এর youtube চ্যানেল iDEA TV এ "টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে মদিনা ইউনির্ভাসিটির প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট " নামে একটি ভিডিও আপ করেছিলাম। কিছু দিন আগে এ ভিডিওটির কাউন্টার হিসেবে মাদানী সাহেবের একটি ভিডিও নজরে পড়লো। ব্যাচারা মাদানী সেহেবকে এটা নিয়েই নাজেহাল করে দেওয়া যাবে। সামনের কোন এক পোস্টে সেটি নিয়ে আলোচনা করবো ইন

কবর থেকে ফয়েজ গ্রহণ করা প্রসঙ্গে কিছু কথা

মতিউর রহমান মাদানী সাহেব বলেছেন- “কবর থেকে ফয়েজ আসে” এমন আকিদা রাখা শিরক । আর এ শির্কি আক্বিদা নাকি দেওবন্দী আলেমগণ রাখেন। তিনি দু এক জনের নামও উল্লেখ করেছেন। মাদানী সাহেব কোনটাকে শির্ক বলতে চাচ্ছে আর এ ব্যাপারে তার এলমের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনায় আমরা একটু পড়ে যাবো। প্রথমে মাদানী সাহেব ও তার ভক্তদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন। আচ্ছা এ ধরণের ফয়েজ বা বরকতের কথা যদি আহলে হাদীসের আলেমগণ বলেন তাহলে তাদের কথা কি শির্কি হবে না??? নাকি সব স্থানের মতো এখানেও ডাবোল স্টান্ডার্ড দাড়া করিয়ে আহলে হাদীস আলেমদের পাক্কা মুমিন বানিয়ে ওলামায়ে দেওবন্দদের মুশরিক বানানো হবে?? মাদানী সাহেব সহ তার ভক্তদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে কেয়ামত নামে একটি দিন আছে। “কবর থেকে ফয়েজ আসে” এমন আকিদায় আহলে হাদীস আলেমগণ --------------- --------------- --------------- --------------- --------------- - এখানে দুজন আহলে হাদীস আলেমের নাম উল্লেখ করবো (১) আহলে হাদীসদের অন্যতম মান্যবর আলেম নবাব সিদ্দীক হাসান খান স্বীয় কিতাব “আত তাজুল মুকাল্লিল”এ তার পিতা আবু আহমাদ হাসান বিন আলী আল হুসাইনীর স্মরণে লিখেন, ولا يزال يري

শরীয়তের কষ্টিপাথরে জসীম উদ্দীন রাহমানী (episode 3-4)

ছবি
❖ ৩য় পর্ব ❖ ✍ তার বেশ কিছু বক্তৃতার মাঝে শুনেছি তিনি বলেন, কিছু কিছু পীর আছে যারা বলে, میانِ عاشق و معشوق رمزیست کرامًا کاتبیں را ہم خبر نیست عاشق و معشوق کے درمیان ایک ایسی رمز بھی پائی جاتی ہے جس کی خبر کرامًا کاتبین کو بھی نہیں ہوتی۔ উচ্চারন : মিয়ানে আশেকা মাশুক রুমুযিস্ত * কিরামান কাতেবিরা হাম খবর নিস্ত। অর্থ. আশেক আর মাশুকের মাঝে এমন কিছু সংকেত / ইঙ্গিত / ইশারা পাওয়া যায়, যার খবর কিরামান কাতেবিনও জানে না।  ✏ রাহমানী সাহেব বলেন, এগুলো শিরক, কারণ এমন কোন অবস্থা নেই, যার বিষয় কিরামান কাতেবিন যানেনা এবং তারা সর্বক্ষন মানুষের সাথে থাকে, কখনো পৃথক হয় না এবং তিনি অনেক সময় কোরআনের আয়াত {مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ} [ق: 18] অর্থাৎ মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে। সূরা ক্বাফ : 18। আর বিষেশ করে তিনি আকাবেরে দেওবন্দ এর আলোচনা করতে গিয়ে এ কবিতাটি দিয়ে তাদের সন্মানের প্রতি আঘাত করে। ** দেখুন রাহমানী সাহেবের ভুল। আল্লাহ তায়ালা উক্ত আয়াতের মাঝে বলেছেন, يَلْفِظُ অর্থাৎ উচ্চারণ করা‘‘ এর সম