সহিহ কিচ্ছা সমগ্র (অধ্যায়ঃ ইবনে তাইমিয়া রহ.)
[১]
যারা আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কে মানতো না, তারা আমাকে বলেছে-
"আমরা তাঁকে (ইবনে তাইমিয়া) স্বপ্নে দেখেছি এবং ফারায়েয (সম্পত্তি ভাগ বন্টন) সংক্রান্ত মাসায়েল নিয়ে কিছু জটিল জটিল প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি।। তিনি সেগুলোর সঠিক সমাধান আমাদের বলে দিয়েছেন।।"
ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) আরো বলেন-
মোট কথা এই বিষয়টি (স্বপ্নে বুযুর্গদের দ্বারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া) কেবল ঐ ব্যক্তি-ই অস্বীকার করতে পারে যে রূহ এর প্রকৃত অবস্থা এবং রূহের আহকাম সম্পর্কে অজ্ঞ।।
সূত্রঃ কিতাবুর রূহ- ৫০ পৃষ্ঠা।।
লেখকঃ আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)।।
__________________
ফুটনোটঃ মাকতাবা এ শামেলা এর বিন্যাস খুলে দেখা যেতে পারে, এই "কিতাবুর রূহ" একটি "আক্বীদার" কিতাব।। কোন ফিক্বহ বা ফাযায়েলের কিতাব নয়।।
[২]
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) লেখেন-
ইব্রাহিম তায়িমি (রহঃ) ১-২ মাস পর্যন্ত কিছুই খেতেন না।
- মাজমুয়া ফাতাওয়া- ১১ খণ্ড ২৮২ পৃষ্ঠা।।
__________________
এসব সূফিয়ানা কথা বার্তা যদি ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর ফতোয়া এর কিতাবে থাকে তাহলে হাসবেন নাকি নাউযুবিল্লাহ বলবেন??
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কতৃক স্বপ্নে স্বপ্নে জটিল মাস'আলা এর সমাধান প্রদান
---------------------যারা আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কে মানতো না, তারা আমাকে বলেছে-
"আমরা তাঁকে (ইবনে তাইমিয়া) স্বপ্নে দেখেছি এবং ফারায়েয (সম্পত্তি ভাগ বন্টন) সংক্রান্ত মাসায়েল নিয়ে কিছু জটিল জটিল প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি।। তিনি সেগুলোর সঠিক সমাধান আমাদের বলে দিয়েছেন।।"
ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) আরো বলেন-
মোট কথা এই বিষয়টি (স্বপ্নে বুযুর্গদের দ্বারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া) কেবল ঐ ব্যক্তি-ই অস্বীকার করতে পারে যে রূহ এর প্রকৃত অবস্থা এবং রূহের আহকাম সম্পর্কে অজ্ঞ।।
সূত্রঃ কিতাবুর রূহ- ৫০ পৃষ্ঠা।।
লেখকঃ আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)।।
__________________
ফুটনোটঃ মাকতাবা এ শামেলা এর বিন্যাস খুলে দেখা যেতে পারে, এই "কিতাবুর রূহ" একটি "আক্বীদার" কিতাব।। কোন ফিক্বহ বা ফাযায়েলের কিতাব নয়।।
[২]
দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা...
------------আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) লেখেন-
ইব্রাহিম তায়িমি (রহঃ) ১-২ মাস পর্যন্ত কিছুই খেতেন না।
- মাজমুয়া ফাতাওয়া- ১১ খণ্ড ২৮২ পৃষ্ঠা।।
__________________
এসব সূফিয়ানা কথা বার্তা যদি ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর ফতোয়া এর কিতাবে থাকে তাহলে হাসবেন নাকি নাউযুবিল্লাহ বলবেন??
বড় সাইজে দেখতে পিকচারে ক্লিক করুন |
[৩]
মৃত ব্যক্তিদের কথা বলা...
-------------আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন-
কখনো কখনো মৃতরা কথা-বার্তা বলে, এবং তা শ্রবণ করাও সম্ভব।
- ফাতাওয়া আল কুবরা- ৩য় খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠা
--------------
ইবনে তাইমিয়া রহ.এর নাম জপে সহিহ আক্বিদার অনুসারী দারিদারদের অভিমত কী?
বড় সাইজে দেখতে পিকচারে ক্লিক করুন |
নবীজীর কবর থেকে আওয়ায শুনে নামায পড়া
--------------আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন-
হাররা এর ফিতনার দিনগুলোতে (৩ দিন) বিখ্যাত তাবিঈ সাইদ বিন মুসাইয়্যাব (রাহি.) রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কবর থেকে প্রতি নামাযের ওয়াক্তে আযান শুনতে পেতেন, আর সেই সময় মসজিদে নববিতে আর কেউ ছিল না।।
- মাজমুউল ফাতাওয়া - ১১ খণ্ড ২৮০-৮১ পৃষ্ঠা
বড় সাইজ দেখতে পিকচারে ক্লিক করুন |
___________________________
রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কবর থেকে কিছু বের হলে যদি আক্বীদা ঠিক না থাকে, তাহলে হাত বা আযান ২টির ক্ষেত্রে ফতোয়া এক-ই হওয়া উচিত।
[৫]
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর দেওয়া সূফী যিকির
===================আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহঃ) বলেন-
<وَكَانَ شَيْخُ الْإِسْلَامِ ابْنُ تَيْمِيَّةَ قَدَّسَ اللَّهُ رُوحَهُ
شَدِيدَ اللَّهْجِ بِهَا جِدًّا، وَقَالَ لِي يَوْمًا: لِهَذَيْنِ
الِاسْمَيْنِ وَهُمَا الْحَيُّ الْقَيُّومُ تَأْثِيرٌ عَظِيمٌ فِي حَيَاةِ
الْقَلْبِ، وَكَانَ يُشِيرُ إِلَى أَنَّهُمَا الِاسْمُ الْأَعْظَمُ،
وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ وَاظَبَ عَلَى أَرْبَعِينَ مَرَّةً كُلَّ
يَوْمٍ بَيْنَ سُنَّةِ الْفَجْرِ وَصَلَاةِ الْفَجْرِ يَا حَيُّ يَا
قَيُّومُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ حَصَلَتْ
لَهُ حَيَاةُ الْقَلْبِ، وَلَمْ يَمُتْ قَلْبُهُ >
অর্থঃ
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন আল্লাহর ২টি নামের প্রভাব মানুষের ক্বলব
(হৃদয়) এর উপর প্রবল 'আল হাইয়্যু' এবং 'আল ক্বাইয়্যুম'। উনি (ইবনে
তাইমিয়া) এটাও বোঝালেন যে এগুলো আল্লাহর ইসমে আযম (আল্লাহর বড়ত্বের নাম)
গুলোর অন্তর্ভুক্ত।যে -
[ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ ]
এই অযিফাটি ফজরের সুন্নাত ও ফরয সালাতের মাঝে ৪০ বার পড়বে প্রতিদিন, তাঁর ক্বলব হায়াত প্রাপ্ত হবে এবং মরবে না!!---
সূত্রঃ মাদারিজুস সালেকীন - ১ম খণ্ড ৪৪৬ পৃষ্ঠা
লেখকঃ আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহঃ)
====================
সালাফী বা আহলে হাদিসদের কাছে অনুরোধ থাকবে এই সংখ্যাপদ্ধতির সূফী যিকিরের সহিহ-মারফু-মুত্তাসিল হাদিস প্রমান হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অন্যথায় যারা "কোরআন - হাদিস এর দলিল ছাড়া অযিফা বানায়" তাদেরকে যেই উপাধি দেওয়া হয় সেই উপাধি ওয়ালা ফতোয়া উনাদের শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর উপর বর্ষণ করে যেতে!!
পারবে কি তাঁরা তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড থেকে বের হয়ে আসতে ??!!
______________________
সংকলনঃ মাকসুদুল হাকিম
সোর্সঃ [১], [২], [৩], [৪], [৫],