পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফরেক্স ট্রেডিং এর ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

প্রশ্নঃ   আসসালামু আলাইকুম, Forex Exchange এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময়ে যে লভ্যাংশ পাওয়া যাবে তা কি ব্যবসায়িক ভাবে হালাল আয় হিসেবে ধরে নেয়া যাবে ? (যদি হালাল হয় বা না হয়, সেক্ষেত্রে শর'ঈ কোন হুকুমের ভিত্তিতে, অনুগ্রহ করে জানাবেন?) বারাকাল্লাহ।। উত্তরঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে আন্ত:বর্ডার লেনদেন প্রতিনিয়তই হচ্ছে, হবে। প্রত্যেক দেশেরই অপর দেশের মুদ্রার প্রয়োজন হবে। ব্যবসায়িক লেনদেন, বিনিয়োগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জমাকরণ ইত্যাদি নানা কারণেই লাগবে। বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে মৌলিকভাবে কোনো শরয়ী সমস্যা নেই। তবে যে কোন মুদ্রা লেনদেনেই শর্ত হলো লেনদেনটা স্পট বা নগদ হতে হবে। আর একই জাতীয় মুদ্রা হলে (যেমন USD-USD) অতিরিক্ত শর্ত হলো, সমান পরিমাণ হতে হবে। যেমন: ১০০ USD - ১০০ USD। তো, ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজেদের প্রয়োজনেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে লেনদেন করতে হয়। এখানে লেনদেনটা মূলত তিন ভাবে হয়। Spot, Forward এবং Futures। Forward এবং Futures এবং তৎসংশ্লিষ্ট Options সবই ভবিষ্যতে পরিশোধ্য, কাজেই হালাল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্পট মৌলি

সুদ: কিছু প্রশ্ন, কিছু কথা!

* কৈফিয়ত! naseehah গ্রুপে এক বোন প্রশ্ন করেছিলেন সুদী ব্যাংকে চাকুরি করা ভাড়াটিয়ার দেয়া অর্থ গ্রহণ করা বৈধ কি না! আমি তার উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু সে উত্তর অনেকেরই মনপুত হয় নি। কেও কেও আপত্তি করেছিলেন, কেও বা উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। কথা দিয়েছিলাম, এটা নিয়ে লিখব। কিন্তু নানা ব্যস্ততায় সুযোগ তেমন মেলে নি। যারা লেখাটা পড়বেন, আশা করি মাঝপথ থেকে ফিরে যাবেন না। এটাও ইলম। ইলম অর্জনের যে ফজীলত রয়েছে, তা পাওয়ার আশা করতেই পারি। এক - সুদ নিয়ে কিছু আয়াত: -ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ ٱلرِّبَوٰا۟ لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ ٱلَّذِى يَتَخَبَّطُهُ ٱلشَّيْطَٰنُ مِنَ ٱلْمَسِّۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْبَيْعُ مِثْلُ ٱلرِّبَوٰا۟ۗ وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلْبَيْعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰا۟ۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۖ وَمَنْ عَادَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই

মাছ ব্যতীত পানিতে বসবাসকারী অন্য প্রাণী খাওয়ার বিধান কী?

প্রশ্নঃ  কাঁকড়া খাওয়ার বিধান কী?   উত্তরঃ হানাফী মাজহাব এর বিশেষজ্ঞদের মতে, কাকড়া এটা 'কুরআনে বর্ণিত 'খাবায়েস' এর অন্তর্ভুক্ত'! সুরা আরাফের ১৫৭ নং আয়াত মোতাবেক, "তায়্যিবাত হালাল, আর খাবায়েস হারাম"! সুতরাং এ অঞ্চলের বিশেষজ্ঞদের মতে কাকড়া খাওয়া জায়েজ নয়, মাকরুহে তাহরীমী। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এর মতও তাই। শামী-৬/৩০৮, ১/১৩৫, আলবাহরুর রায়েক-৬/৮০ উল্লেখ্য, নিজের সুবিধামত ভিন্ন মাসলাক বা মাজহাবের সুযোগ গ্রহণের অনুমতি নেই। কেও যদি নিজের মন মত বিভিন্ন মাজহাবের ছাড়গুলো গ্রহণ করে, তাহলে সালাফের সালেহীন এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে পথভ্রষ্ট। আল্লাহ পানাহ! -------  প্রশ্নঃ   পানির প্রানী হারাম হালাল বোঝার উপায় কি? যেমন, কচ্ছপ, অক্টোপাস, ঝিনুক, কাকড়া... আমি কিভাবে বুঝব যে কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম? উত্তরঃ  মাছ ব্যতীত অন্য প্রানী খাওয়া হালাল নয়। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের জন্য দু’ প্রকারের মৃতজীব ও দু’ ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু’টি হলো মাছ ও টিড্ডি এবং দু’ প্রকারের

গর্ভাবস্থায় কী দোয়া পড়বেন?

অনেকে জানতে চেয়েছেন, গর্ভাবস্থায় কী দুয়া পড়া যায়? অথবা নেক সন্তানের জন্যে কী দুয়া করা যায়? সন্তান লাভ করা ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল সা. উম্মাহর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পছন্দ করেছে। বর্তমান প্রকৃত মুসলিমদের যে শোচনীয় অবস্থা, এ প্রেক্ষিতে অধিক হারে সন্তান নেয়া মুসলিম পরিবারের কর্তব্য। এখানে অবহেলা করার সুযোগ নেই। "সবে বিয়ে হয়েছে, এখন সন্তান নিলে ফিগার ঠিক থাকবে না। মানুষ কী বলবে? চাকুরিতে সেলারি যা পাই এতে দুজনেরই সংসার চলে না। সদস্য বাড়লে তাকে খাওয়াব কী? সারাদিন ব্যবসা জব ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ততা স্বামী স্ত্রীর। বাচ্চাকে দেয়ার মত সময় নেই, তাই বাচ্চা নেই না।" ইত্যাদি নানারকম, ঠুনকো অজুহাত, কুপ্রথা, কুসংস্কার ও ঈমান বিধ্বংসী ধ্যানধারণার খেসারত সমাজে স্পষ্ট। প্রথমে নানানরকম বাহানা আর পিল গ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে বাচ্চা না নেয়ার পর, যখন বাচ্চা গ্রহণে ব্যাকুল হয়ে উঠে। তখনই দেখা যায় আল্লাহর রহমত উঠে গেছে। শুরু হয়, অস্থিরতা আর হতাশা। অতি শিক্ষিত, স্মার্ট লোকেরাও ভীড় করে রাস্তায় দিকভ্রান্ত উলংগ পাগলের ফুঁ বা স্পর্শ নেয়ার জন্যে। মসজিদের ইমাম, হুজুর থেকে নিয়ে মাজ

নামাজরত মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার মাসায়েল

প্রশ্নঃ   ১.  আমরা যখন একাকী নামায পড়ি তখন আমাদের সামনে ছুতরা দেওয়ার গুরুত্ব কতুটুকু ? নামাজরত মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার বিধান কি ?  ২. ছুতরা কী? এর পরিমাপ কতটুকু ? ৩. ছুতরা কতটুকু দুরুত্বে দিতে হবে ? ৪. আর ছুতরা যদি না থাকে তাহলে অন্যান্য মুসুল্লিরা কতটুকু দুরুত্ব দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে ? ৫.  যে ব্যক্তি নামাযীর ঠিক সামনেই বসা থাকে তখন তার উঠে যাওয়ার বৈধতা আছে কি এবং থাকলে তাকে কিরুপে উঠে যেতে হবে ?  ৬. নামাযের সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে নামাযরত ব্যক্তি কি বাঁধা দিবে ? দিলে তা কিরুপে ?  উত্তরঃ --- ১। আমরা যখন একাকী নামায পড়ি তখন আমাদের সামনে ছুতরা দেওয়ার গুরুত্ব কতুটুকু ? নামাজরত মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার বিধান কি ?  ---   ছলাত রত ব্যাক্তির সামনে সুতরা দেওয়া সুন্নত , যদি সুতরা না থাকে কিংবা না দেয় তাহলে শরীয়ত সিদ্ধ কোন ওজর ব্যাতিত তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করা জায়েয নেই। রাসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) ইরশাদ করেছেন- « لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّى مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ

সহিহ আকাইদ কণিকা! (অধ্যায়ঃ মৃত্যু ও কবর) কিস্তি-১

ছবি
[১] মৃত্যুর পর কথা বলেন যে সাহাবী ----------------- হযরত যায়েদ বিন খারযাহ (রাঃ) এর মৃত্যু হয়েছিল হযরত উসমান (রাঃ) এর শাসন আমলে।। তার জানাযা আদায়ের জন্য যখন সবাই প্রস্তুত, উসমান (রাঃ) এর জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলেন, তখন হঠাৎ যায়েদ বিন খারযাহ (রাঃ) কথা-বার্তা বলা শুরু করেন।। তিনি কথা বার্তা বলার সময় সাক্ষ্য দেন মুহাম্মাদ (সঃ) সত্য নবী।। হযরত আবু বকর (রাঃ) এবং হযরত উমর (রাঃ) উভয়-ই আমানতদার ছিলেন।। এরপর তিনি পুনরায় মৃত হয়ে যান।। __________ সূত্রঃ ১. দালায়েলুন নবুওয়্যাহ- ২/৪২৩ লেখকঃ ঈমাম বায়হাকী (রহঃ) ২. আল ইসতিয়াব- ২/৪২৩ লেখকঃ হাফেঝত   ইবনে আব্দুল বার আল মালেকী (রহঃ) ৩. আত তারীখ উল কাবীর- ৩/৩৮৩  লেখকঃ ঈমাম বোখারী (রহঃ) ৪. আল ইসাবা- ২/ ১৯০ লেখকঃ হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) ৫. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- ৯/৫৫ লেখকঃ আল্লামা ইবনে কাসীর (রহঃ) [২] হযরত উমর (রাঃ) এর সাথে মৃত ব্যক্তির কথোপকথন -------------  এক পরহেযগার যুবক মসজিদে খুব ইবাদাত করতো।। জনৈক মহিলা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, এবং নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করে।। একদিন ঐ যুবক কে নিজের করে পেতে সে তার ঘরে গিয়ে

সুলাইমান আ.এর বানানো মসজিদে আকসা মুসলমানদের হয় কী করে?

ছবি
বনী ইসরাইলের নবী হযরত সুলাইমান আ.এর বানানো 'মসজিদে আকসা' মুসলমানদের হয় কী করে? প্রশ্নটি কারো জন্যে আপত্তির, কারো জন্যে কৌতূহলের, কেউ বা প্রশ্ন করেন জানতে। স্বঘোষিত কনভার্টেড ক্রিশ্চিয়ান আসলে ইসলাম বিদ্বেষী এক নাস্তিক এ প্রশ্ন তুলেছে আমার এক পোস্টের জবাবে। উত্তর হয়ত তারও জানা, কিন্তু সহজ সরল মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতেই তার এমন প্রশ্ন। প্রশ্নটির উত্তর জানতে আসুন একটু ভিন্ন আলোচনায় যাই.... প্রথমে মুসলমানদের পরিচয় জানা দরকার; মুসলমান কারা। মুসলমান হচ্ছে সমস্ত ঈমানদারগণ; যারা রবে বিশ্বাসী হয়ে তাঁর সমস্ত হুকুম আহকাম মানবে, তাঁর পাঠানো নবীকে গ্রহণ করবে আদর্শ হিসেবে, তাঁর উপর অবতীর্ণ কিতাবকে গ্রহণ করবে জীবন বিধান হিসেবে। শুধু উম্মতে মোহাম্মদীই (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসলমান নন। স্বয়ং নবী ইব্রাহীম আ. রবের কাছে প্রার্থনা করেছেন যেন তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদেরকে মুসলিম বানিয়ে দেন (সূরা বাকারাহ, ১২৮) আর বনী ইসরাইল কারা? বনি ইসরাইল মানে ইসরাইলের সন্তান। ইসরাইল হযরত ইয়াকুব আ.-এর নাম, হিব্রু ভাষায়, অর্থ আল্লাহর বান্দা, তাঁর পরবর্তি বংশধররাই বনী ইসরাইল। কিন্তু হযরত ইয়াকুব আ