মৃত এর জন্য কোরআন পড়া
আলী বিন মুসা হাদ্দাদ (রহঃ) বলেন,
আমি, ইবনে কুদামা (রহঃ) এবং ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহঃ) এক দাফন কার্যে গিয়েছিলাম।। দাফন-কাজ শেষ হতে আমরা দেখলাম এক ক্ষীণদৃষ্টির বা অন্ধ লোক কবরের কাছে (মৃতের জন্য) কোরআন পড়ছে।।
তাকে ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহঃ) বললেন- কবরের পাশে মৃতের জন্য কোরআন পড়া বিদ'আত।।
তখন ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন- আপনি (আহমদ) মুবাশশির হালবী সম্পর্কে কি বলেন??
ঈমাম আহমদ (রহঃ) তিনি তো নির্ভরযোগ্য।।
এবার ঈমাম আহমদ (রহঃ) জিজ্ঞেস করলেন- আপনি তার থেকে কোনো রেওয়ায়াত লিখেছেন কী??
তখন ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন- হ্যাঁ, মুবাশশির হালবী শুনেছেন আব্দুর রহমান ইবনে আলা ইবনে লাজলাজ থেকে তিনি তার পিতা সাহাবী আলা ইবনে লাজলাজ (রাঃ) থেকে শুনেছেন- তিনি (সাহাবী) তার দাফনের পর তার মাথার কাছে সূরা বাকারার শুরুর ও শেষের আয়াতগুলো পড়ার জন্য অসিয়ত করেছেন, এবং এমনটি করতে হযরত ইবনে উমর (রাঃ)-ও অসিয়ত করে গেছেন।।
তখন ঈমাম আহমদ (রহঃ) তখন-ই আরেকজনকে বললেন- "যাও গিয়ে ঐ অন্ধকে কোরআন থেকে পড়তে বলো"
কিতাবুর রূহ - ১১ পৃষ্ঠা
লেখক- আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)
-----
উপরোক্ত বর্ণনাটি হাদিসের গ্রন্থাদিতে পাওয়া যায়,
হযরত আব্দুর রহমান বিন আলা বিন লাজলাজ, তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার পিতা আমাকে বলেছেন, হে আমার ছেলে!! আমি যখন মারা যাবো, তখন আমার জন্য “লাহাদ” জাতীয় কবর খুড়বে।। তারপর আমাকে যখন কবরে রাখবে তখন পড়বে “বিসমিল্লাহি ওয়াআলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ” তারপর আমার উপর মাটি ঢালবে।। তারপর আমার মাথার পাশে সূরা বাকারার শুরু এবং শেষাংশ পড়বে। কেননা, আমি রাসূল সাঃ থেকে এমনটি বলতে শুনেছি।।
সূত্রঃ
আলমুজামুল কাবীর লি তাবরানী, হাদীস নং-৪৫১,
সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৭০৬৮
মুহাদ্দিস হায়ছামী রহঃ বলেনঃ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ فِي الْكَبِيرِ، وَرِجَالُهُ مُوَثَّقُونَ.
এ হাদীস ইমাম তাবারানী তার কাবীরে নকল করেছেন, এবং তার প্রতিটি রাবী সিকাহ।।
[মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৪২৪৩]
-----
এছাড়া হযরত ইবনে উমর (রাঃ) এর নিজস্ব আমল-ও অনুরূপ ছিলো।।
সূত্রঃ
সুনান এ কুবরা বায়হাকী- ৪র্থ খণ্ড, ৫৬ পৃষ্ঠা।।
ক) ঈমাম নববী (রহঃ) উক্ত বর্ণনাকে "হাসান" বলেছেন।।
[কিতাবুল আযকার, হাদিস নং- ৪৯৩, ২১২ পৃষ্ঠা]
খ) হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) এ বর্ণনাকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।।
[ফুতাহাত এ রাব্বানিয়্যাহ- ৩য় খণ্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা]
আল্লাহ সকলকে সহিহ বুঝ দান করুন।।
------------------
কৃতজ্ঞতায়ঃ
দারসে তাফসীরে রাহিমী - Shaykh Abdul Raheem
মুফতি Lutfor Faraji
মুফতি সানাউল্লাহ কাসেমী, দারুল উলুম দেওবন্দ
মুফতি মুহাম্মাদ বিন হারুন আবসুমার, ডারবান, সাউথ আফ্রিকা- আল মিফতা
লিখেছেনঃ Maksudul Hakim
আমি, ইবনে কুদামা (রহঃ) এবং ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহঃ) এক দাফন কার্যে গিয়েছিলাম।। দাফন-কাজ শেষ হতে আমরা দেখলাম এক ক্ষীণদৃষ্টির বা অন্ধ লোক কবরের কাছে (মৃতের জন্য) কোরআন পড়ছে।।
তাকে ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহঃ) বললেন- কবরের পাশে মৃতের জন্য কোরআন পড়া বিদ'আত।।
তখন ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন- আপনি (আহমদ) মুবাশশির হালবী সম্পর্কে কি বলেন??
ঈমাম আহমদ (রহঃ) তিনি তো নির্ভরযোগ্য।।
এবার ঈমাম আহমদ (রহঃ) জিজ্ঞেস করলেন- আপনি তার থেকে কোনো রেওয়ায়াত লিখেছেন কী??
তখন ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন- হ্যাঁ, মুবাশশির হালবী শুনেছেন আব্দুর রহমান ইবনে আলা ইবনে লাজলাজ থেকে তিনি তার পিতা সাহাবী আলা ইবনে লাজলাজ (রাঃ) থেকে শুনেছেন- তিনি (সাহাবী) তার দাফনের পর তার মাথার কাছে সূরা বাকারার শুরুর ও শেষের আয়াতগুলো পড়ার জন্য অসিয়ত করেছেন, এবং এমনটি করতে হযরত ইবনে উমর (রাঃ)-ও অসিয়ত করে গেছেন।।
তখন ঈমাম আহমদ (রহঃ) তখন-ই আরেকজনকে বললেন- "যাও গিয়ে ঐ অন্ধকে কোরআন থেকে পড়তে বলো"
কিতাবুর রূহ - ১১ পৃষ্ঠা
লেখক- আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)
-----
উপরোক্ত বর্ণনাটি হাদিসের গ্রন্থাদিতে পাওয়া যায়,
হযরত আব্দুর রহমান বিন আলা বিন লাজলাজ, তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার পিতা আমাকে বলেছেন, হে আমার ছেলে!! আমি যখন মারা যাবো, তখন আমার জন্য “লাহাদ” জাতীয় কবর খুড়বে।। তারপর আমাকে যখন কবরে রাখবে তখন পড়বে “বিসমিল্লাহি ওয়াআলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ” তারপর আমার উপর মাটি ঢালবে।। তারপর আমার মাথার পাশে সূরা বাকারার শুরু এবং শেষাংশ পড়বে। কেননা, আমি রাসূল সাঃ থেকে এমনটি বলতে শুনেছি।।
সূত্রঃ
আলমুজামুল কাবীর লি তাবরানী, হাদীস নং-৪৫১,
সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৭০৬৮
মুহাদ্দিস হায়ছামী রহঃ বলেনঃ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ فِي الْكَبِيرِ، وَرِجَالُهُ مُوَثَّقُونَ.
এ হাদীস ইমাম তাবারানী তার কাবীরে নকল করেছেন, এবং তার প্রতিটি রাবী সিকাহ।।
[মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৪২৪৩]
-----
এছাড়া হযরত ইবনে উমর (রাঃ) এর নিজস্ব আমল-ও অনুরূপ ছিলো।।
সূত্রঃ
সুনান এ কুবরা বায়হাকী- ৪র্থ খণ্ড, ৫৬ পৃষ্ঠা।।
ক) ঈমাম নববী (রহঃ) উক্ত বর্ণনাকে "হাসান" বলেছেন।।
[কিতাবুল আযকার, হাদিস নং- ৪৯৩, ২১২ পৃষ্ঠা]
খ) হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) এ বর্ণনাকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।।
[ফুতাহাত এ রাব্বানিয়্যাহ- ৩য় খণ্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা]
-
আল্লাহ সকলকে সহিহ বুঝ দান করুন।।
------------------
কৃতজ্ঞতায়ঃ
দারসে তাফসীরে রাহিমী - Shaykh Abdul Raheem
মুফতি Lutfor Faraji
মুফতি সানাউল্লাহ কাসেমী, দারুল উলুম দেওবন্দ
মুফতি মুহাম্মাদ বিন হারুন আবসুমার, ডারবান, সাউথ আফ্রিকা- আল মিফতা
লিখেছেনঃ Maksudul Hakim
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন