শুক্রবারে নফল রোজা রাখা কি মাকরুহ?
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত শায়েখ, আমি শুনেছি শুক্রবারে নফল রোজা রাখা মাকরুহ। আমি এব্যাপারে জানতে চাই।
উত্তরঃ
ওয়ালাইকুমুস সালাম।
শুধু শুক্রবার বা শুধু শনিবার রোযা রাখার ক্ষেত্রে খাস করে নেওয়া হলে মাকরূহে তানজিহী। হারাম বা মাকরূহে তাহরিমী নয় এটাই হানাফি মাযহাব সহ অন্যান্য মাযহাবের মুফতা বিহী (ফতোয়া যোগ্য) সিদ্ধান্ত।এবং ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মালেকের মত মুতাবেক্ব কেউ যদি শুধু শুক্রবার কিংবা শুধু শনিবার রোজা রাখে তাতে সমস্যা নেই এটা জায়েয। কিন্ত এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে জুমুয়ার দিনকেই যেন খাস না করা হয়। তবে কেউ যদি জুমার আগে ও পরের দিন একসাথে ২টি মিলিয়ে রোজা রাখে কিংবা কারো অভ্যাসগত, বিশেষ নিয়ত বা মান্নতের রোজা,কিংবা ইয়াওমে আরাফাহ বা কাজার রোজা জুমুয়ার দিনেই পড়ে যায় তাহলে সে রোজা রাখতে পারবে এ ব্যাপারে কারো কোন মতভেদ নেই।
[সূত্রঃ ই'লাউস সুনান ৯/১০১;হাশিয়ায়ে ত্বহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-৩১৫; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৫৪;ফতহুল বারী ৪/২৭৫]
*
সহীহ হাদিস ভিত্তিক দলিলঃ
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يصومن أحدكم يوم الجمعة إلا يوما قبله أو بعده
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমআর আগে অথবা পরে একদিন মিলানো ব্যতিত শুধু জুমআর দিন রোযা রেখো না। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৪]
عن جويرية بنت الحارث رضي الله عنها أن النبي صلى الله عليه و سلم دخل عليها يوم الجمعة وهي صائمة فقال ( أصمت أمس ) . قالت لا قال ( تريدين أن تصومي غدا ) . قالت لا قال ( فأفطري )
হযরত জুআইরিয়া বিনতে হারেস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা শুক্রবার তার কাছে এলেন। সেদিন তিনি রোযা ছিলেন। রাসূল সাঃ জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি গতকাল রোযা ছিলে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তোমার কি আগামীকাল রোযা রাখার ইচ্ছে আছে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তাহলে রোযা ভেঙ্গে ফেল।
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪২৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬১১, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১৬২]
عن عبد الله : قال كان رسول الله صلى الله عليه و سلم يصوم من غرة كل شهر ثلاثة أيام وقلما كان يفطر يوم الجمعة
হযরত আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। আর তিনি খুব কমই জুমআর দিন রোজা ভাঙ্গতেন।
[সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৭২৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১৮০৭৮, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১৮১৮]
قال يزيد الصماء – أن النبى -صلى الله عليه وسلم- قال « لا تصوموا يوم السبت إلا فيما افترض عليكم وإن لم يجد أحدكم إلا لحاء عنبة أو عود شجرة فليمضغه
ইয়াজিদ সাম্মা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা শনিবার দিন রোযা রেখো না আবশ্যকীয় রোযা ছাড়া। যদি তোমাদের কেউ কোন কিছু না পায় আঙ্গুরের বাকল বা গাছের কাঠ ছাড়া। তাহলে সে যেন এটাই চুষে নেয়।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪২৩, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৭৪৯, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-২৭৬২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬১৫, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১৬৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৬৮৬, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৪৩৪]
আল্লাহু আ'লামু বিস সাওয়াব।
------------------
উত্তর প্রদানেঃ শাইখ Abdullah Al Mamun
আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত শায়েখ, আমি শুনেছি শুক্রবারে নফল রোজা রাখা মাকরুহ। আমি এব্যাপারে জানতে চাই।
উত্তরঃ
ওয়ালাইকুমুস সালাম।
শুধু শুক্রবার বা শুধু শনিবার রোযা রাখার ক্ষেত্রে খাস করে নেওয়া হলে মাকরূহে তানজিহী। হারাম বা মাকরূহে তাহরিমী নয় এটাই হানাফি মাযহাব সহ অন্যান্য মাযহাবের মুফতা বিহী (ফতোয়া যোগ্য) সিদ্ধান্ত।এবং ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম মালেকের মত মুতাবেক্ব কেউ যদি শুধু শুক্রবার কিংবা শুধু শনিবার রোজা রাখে তাতে সমস্যা নেই এটা জায়েয। কিন্ত এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে জুমুয়ার দিনকেই যেন খাস না করা হয়। তবে কেউ যদি জুমার আগে ও পরের দিন একসাথে ২টি মিলিয়ে রোজা রাখে কিংবা কারো অভ্যাসগত, বিশেষ নিয়ত বা মান্নতের রোজা,কিংবা ইয়াওমে আরাফাহ বা কাজার রোজা জুমুয়ার দিনেই পড়ে যায় তাহলে সে রোজা রাখতে পারবে এ ব্যাপারে কারো কোন মতভেদ নেই।
[সূত্রঃ ই'লাউস সুনান ৯/১০১;হাশিয়ায়ে ত্বহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-৩১৫; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৫৪;ফতহুল বারী ৪/২৭৫]
*
সহীহ হাদিস ভিত্তিক দলিলঃ
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يصومن أحدكم يوم الجمعة إلا يوما قبله أو بعده
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমআর আগে অথবা পরে একদিন মিলানো ব্যতিত শুধু জুমআর দিন রোযা রেখো না। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৪]
عن جويرية بنت الحارث رضي الله عنها أن النبي صلى الله عليه و سلم دخل عليها يوم الجمعة وهي صائمة فقال ( أصمت أمس ) . قالت لا قال ( تريدين أن تصومي غدا ) . قالت لا قال ( فأفطري )
হযরত জুআইরিয়া বিনতে হারেস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা শুক্রবার তার কাছে এলেন। সেদিন তিনি রোযা ছিলেন। রাসূল সাঃ জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি গতকাল রোযা ছিলে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তোমার কি আগামীকাল রোযা রাখার ইচ্ছে আছে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তাহলে রোযা ভেঙ্গে ফেল।
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪২৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬১১, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১৬২]
عن عبد الله : قال كان رسول الله صلى الله عليه و سلم يصوم من غرة كل شهر ثلاثة أيام وقلما كان يفطر يوم الجمعة
হযরত আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। আর তিনি খুব কমই জুমআর দিন রোজা ভাঙ্গতেন।
[সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৭২৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১৮০৭৮, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১৮১৮]
قال يزيد الصماء – أن النبى -صلى الله عليه وسلم- قال « لا تصوموا يوم السبت إلا فيما افترض عليكم وإن لم يجد أحدكم إلا لحاء عنبة أو عود شجرة فليمضغه
ইয়াজিদ সাম্মা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা শনিবার দিন রোযা রেখো না আবশ্যকীয় রোযা ছাড়া। যদি তোমাদের কেউ কোন কিছু না পায় আঙ্গুরের বাকল বা গাছের কাঠ ছাড়া। তাহলে সে যেন এটাই চুষে নেয়।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪২৩, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৭৪৯, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-২৭৬২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬১৫, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১৬৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৬৮৬, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৪৩৪]
আল্লাহু আ'লামু বিস সাওয়াব।
------------------
উত্তর প্রদানেঃ শাইখ Abdullah Al Mamun
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন