প্রকৃত মুসলিম-আহলে সুন্নাহ'র ব্যাপারে শিয়া ধর্মের মতামত
২৩ হিজরিতে পারস্যের অগ্নিপূজক আবু লুলু’র ছুরিকাঘাত এবং ৩৪ হিজরিতে ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা’র বিদ্রোহের পটভূমিতে জন্ম নেয় ইমামি শিয়া ধর্ম। সাবাঈ আকিদার বিপরীতে থাকা বেশিরভাগ সাহাবায়ে কেরামকে গালি,তাকফির ইত্যাদির জন্য;
এবং ছদ্মবেশ ধারণ করতে অল্প ক’জন সাহাবী,আহলে বাইতের ভালবাসার অভিনয়ের জন্য শিয়া ধর্ম পরিচিত।
শুধুমাত্র সাহাবাগণ(রা)ই না, তাকিয়া’র মুখোশের আড়ালে প্রকৃত মুসলিম তথা আহলে সুন্নাহ ওয়ালা জামাআতের সমগ্র উম্মত,ফকিহ ইমাম,মুহাদ্দিস,মুফাসসির এবং উলামাদের ব্যাপারে শিয়া-রাফেজী ধর্মের রায় হল- তারা নাসিবী অর্থাৎ আহলে বাইত-বিদ্বেষী, জাহান্নামী,কাফের, হত্যা ও জানমাল লুট করা বৈধ!
ইসলামের উসুল হল- কেউ আহলে বাইতের প্রতি শত্রুতা রাখলে যেমন- হুসাইন(রা)এর হত্যাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করলে,আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ রাখলে সে নাসিবী।
কিন্তু সাবাঈ শিয়া ধর্মে আহলে বাইতকে ভালবাসা’র কোন মূল্য নেই। ইহুদিদের থেকে আমদানি করা ইমাম-থিউরি না মানলে, আলী(রা)কে আল্লাহ্র ন্যায় মান্য না করলে ও আহলে বাইতকে আল্লাহ্র গুণে গুণান্বিত না করলে সে নাসিবী। যিন্দীক-মুশরিক-পেশাদার মিথ্যাজীবিদের দ্বারা আহলে বাইতের নামে রচিত মূলনীতি না মানলেই সে আহলে বাইত-বিদ্বেষী নাসিবী!
দেখে নেয়া যাক ইসলামের উলামাদের ব্যাপারে শিয়া মালাঊনদের ধর্মগ্রন্থ কি বলে-
☫ ফকিহ ইমামগণের ব্যাপারে ☫
ইমাম আবু হানিফা(র) ও অন্যান্য ফকিহ ইমামগণ শিয়া-খারেজী মতবাদের চরম প্রতিরোধ করেছেন, আহলে বাইতের নামে রটানো মিথ্যাচারকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর ফলশ্রুতিতে শিয়া-রাফেজীরা ফিকহের ইমামদের নানা প্রকার অপবাদ দিয়েছে এবং নাসিবী সাব্যস্ত করেছেঃ-
১) ইমাম আবু হানিফা(র), যিনি তাকওয়া,যুহদ ও ফিকহের জন্য মুসলিম জাতির শিরতাজতুল্য। কুফা’র অধিবাসী এই ইমাম শিয়া ধর্মের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, তাই তাঁর ব্যাপারে রিওয়ায়াত রটিয়ে শিয়া ধর্মগ্রন্থে লেখা-
✍ “আবু হানীফার উপর আল্লাহ্র লা‘নত হোক। সে বলত, আলী(আ) এই মত পোষণ করেন। আর আমি ও অন্যান্য সাহাবীরা এই মত পোষণ করি” [আল কাফি, ইল্ম অধ্যায়, বাব-১৯, রি-১৩]
✍ ‘আবু হানিফা তার মাজহাবের স্বার্থে হাদিস জাল করার অনুমতি দিত।’ [সিরাতাল মুস্তাকিম ইলা মুস্তাহাক্কিত-তাকদিম, ২১৪/৩]
✍ ‘এরপর বাকির(আ) বললেন, “ হে সুদাইর! যারা মানুষকে আল্লাহ্র দীনে প্রবেশে বাধা দেয় আমি কি তোমাকে সেসব লোকদের দেখিয়ে দিব না? সেসময় আবু হানীফা ও সুফিয়ান সাওরী মসজিদে গোল মজলিসে বসা ছিলেন। তখন তিনি (ইমাম বাকির) তাদের দিকে তাকিয়ে বলেন, এরা মানুষকে আল্লাহ্র দীনে প্রবেশে বাধা দেয়, এদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো দলীল-প্রমাণ নেই। যদি এ খারাপ লোকগুলো তাদের বাড়ীঘরে বসে থাকত, তাহলে আল্লাহ্ ও তার রাসূল(সা) সম্পর্কে জানার জন্য লোকেদেরকে আমাদের কাছে আসতে হত। তখন আমরা লোকদেরকে আল্লাহ্ ও তার রাসূল(সা) সম্পর্কে জানাতে পারতাম। [আল কাফি, কিতাবুল হুজ্জাত, বাব ১৫৩, রি-৩]
✍ কুখ্যাত শিয়া ধর্মগুরু নিয়ামাতুল্লাহ জাযায়েরী আবু হানিফা(র) সম্পর্কে লিখে- ‘সে মুশরিক ছিল কারণ সে কুফা’র মসজিদে বসে বলত- আলী এটা বলেছেন ও আমি এটা বলি’ [নূরুল বাহরাইন, ১৬০/২]
✍ শাহ ইসমাঈল আবু হানিফার কবরের হাড্ডিগুড্ডি তুলে সেখানে গাধার কবর দেন, শাহ আব্বাস সেখানে মলত্যাগের ব্যবস্থা করেন। [আল কাশকুল, পৃ২৭৪/১]
আবু হানিফা(র)এর কবরে টয়লেট- [মাসাইব আল-নাওয়াসিব, পৃ ৩৬৬/১]
২) ইমাম মালিক(র), মদিনাবাসীদের ইলমের ইমাম,ফিকহের সাগর, দুনিয়াবিমূখ এই ইমামের ব্যাপারে শিয়া ধর্মে বলা-
✍ ইমাম মালিক খারেজীদের মতবাদ রাখত [সিরাতাল মুস্তাকিম ২২০/৩]
✍ ইমাম মালিক ইসলামে নতুন মাজহাবের উদ্ভাবন করেছিল [শিয়া হুম আহ্লুস সুন্নাহ-তিজানী, পৃ ৮৮]
✍ ইমাম মালিক নাসিবী ছিল তা বক্তব্যে স্পষ্ট [শিয়া হুম আহ্লুস সুন্নাহ-তিজানী, পৃ ১০৩]
৩) ইমাম শাফেয়ী(র), মুসলিম জাতির অন্যতম প্রধান অনুসরণীয় এই ফকিহ ইমামের ব্যাপারে শিয়া ধর্মগ্রন্থে লেখা-
✍ ‘শাফেয়ী ছাড়া তাদের আর কোনো ফিকহবিদ নেই, তাছাড়া এ শাফেয়ীও আমীরুল মুমেনীনের প্রতি দোষারোপ করেছে, তার অনেক মতামতকে হেয় করেছে এবং তার দেওয়া অনেক হুকুমকে প্রত্যাখ্যান করেছে’ [বিহারুল আনওয়ার ৪৪৪/১০; ফুসুলুল মুখতারাত-মুফিদ পৃ১৩২]
✍ “হে শাফেয়ী, তোমার এ দাবী মিথ্যা; মিথ্যাবাদীর প্রতি আল্লাহ্র লা‘নত হোক। বরং তোমার কাছে তোমার ওস্তাদদের ভালোবাসা একদিকে, আর আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ একদিকে। তোমরা তো এক মাবুদকে বাদ দিয়ে জিবতের, তাগুতের ইবাদত করছো। হে নাসিবী, শরীয়ত ও তাওহীদ থেকে তোরা নাসিবীর দলেরা অনেক দূরে। [আল কাশকুল ১১৭/২]
৪) ইমাম আহমদ(র), হাদিস ও ফিকহের অন্যতম প্রধান ইমাম, বাতিলের বিরুদ্ধে আপোসহীন এই শহীদ ফকিহ’র ব্যাপারে শিয়া ধর্মের রায়-
✍ “জাহেল, নাসিব(আহলে বাইতের শত্রু), তাঁতের কাজ করত, সে ফিকহবিদ নয়। [সিরাতাল মুস্তাকিম ইলা মুস্তাহাক্কিত-তাকদিম, ২২৩/৩]
এছাড়া ইসলামের অন্তর্গত ফিকহি মাজহাব বর্জন করে, সাবাঈ ধর্মের প্রতি আহবান জানিয়ে এবং মুসলিমদের ফিকহের প্রতি অপবাদ আরোপ করে লেখা-
✍ “যদি তুমি নিজের জন্য সন্তোষজনক কোনো মাযহাব পেতে চাও যা তোমাকে হাশরের দিন জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে, তাহলে শাফেয়ী, মালেক, আহমাদ, নুমান অথবা কাব আহবারের মাযহাব পরিত্যাগ কর” [বিহারুল আনওয়ার ১১৭/১০৮; কিতাব ওয়া ইতাব,পৃ ৫৭]
✍ “যারা আমাদের বিরোধী (আহলে সুন্নাহ) তাদের সব ইবাদত বাতিল। কারণ তারা সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করেনি যে দরজা দিয়ে তাদেরকে প্রবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল...চার মাযহাবকে তাদের মাঝে ও তাদের রব্বের মাঝে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং যাবতীয় বিধি-বিধান এসব মাযহাবের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে।” [কাসাসুল আম্বিয়া, নিয়ামাতুল্লাহ জাযায়েরী-পৃ ৩৪৪]
✍ “অতঃপর শাসকরা যে মাযহাবকে সমর্থন দিয়ে আইন হিসেবে গ্রহণ করত সে অনুযায়ী আমল চলত এবং সেটাই আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামের মর্যাদা পেত। আর ভিন্নমত পোষনকারী ও তার মতকে ছুড়ে ফেলা হত...এমনকি শেষ পর্যন্ত শাসকগোষ্ঠী ফিকহের চার মাযহাবের মধ্য থেকে কোনো একটি মাযহাবকে জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়ে অট্টহাসি হাসত।…স্বভাবতঃ জনগণ শাসকদের ধর্মের অনুগত হয়ে থাকে। এ কারণে সাধারণ মানুষ তাদের শাসকের মাধ্যমে বাস্তবে যেটাকে ইসলাম হিসাবে দেখল সেটাকে গ্রহণ করল এবং শাসকরা যেসব হুকুম-আহকাম, আকীদা-বিশ্বাস ও হাদীসকে সমর্থন দিল সেগুলোকেই মেনে নিল। এভাবে শাসকদের অনুসারীরা আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআহ্ খেতাব পেল।” [আসল-আশ শিয়া ওয়া উসুলুহা, পৃ ৫৯]
☫ সালফে সালেহীন মুহাদ্দিস-মুহাক্কিকদের ব্যাপারেঃ- ☫
সাবাঈ শিয়া ধর্মে সাহাবীদের অনুসারী থেকে শুরু করে সকল যুগের মুসলিম আলেম,মুহাদ্দিস,মুহাক্কিক সবাইকে নাসিবী(আলী রা. ও আহলে বাইতের শত্রু,বিদ্বেষ পোষণকারী) আখ্যা দিয়ে সবচেয়ে ঘৃণিত শত্রুর তালিকায় ফেলা হয়েছে। শিয়া-মালাঊনদের ধর্মগ্রন্থে প্রায় সকল প্রধান প্রধান মুসলিম স্কলার, হাদিস-বিশ্লেষক,মুহাক্কিকগণকে আহলে বাইতবিদ্বেষী নাসীবি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং অন্যান্য অপবাদ দেয়া হয়েছে। যেমন-
⊗ ১ম শতাব্দীর তাবেঈ, ফকিহ ইমাম আমির আশ-শা’বী(র)-
‘এবং আমির আশ শা’বী নাসিবী, আমিরুল মু’মিনীন(আ)এর ব্যাপারে অপব্যাখ্যাকারী’ [নূর আল-আফহাম, ৩৪/২]
⊗ হাদিসের ইমাম ও তাবেঈ ইবন শিহাব আল-যুহরী(র) সম্পর্কে-
উমাইয়্যাদের পিছে সালাতের বৈধতা দিত,তাদের থেকে অর্থসম্পদ গ্রহণ করত এবং তাদের অপকর্মের দিফা/সাফাই করত [হায়াত ইমাম যাইনুল আবিদিন, পৃ ৩১৭/২]
⊗ ইমামুল মুহাদ্দিস ইয়াহইয়া ইবন মঈন(র) সম্পর্কে শিয়া-কাফেরদের গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাত মারাশি লিখে- ‘ইয়াহইয়া ইবন মাঈন এর ব্যাপারেও একই কথা, সে উমাইয়্যা নাসিবী ছিল’ [শরহে ইহক্কাকুল হক্ক ৩৯৮/৭]
⊗ ইমাম বুখারী(র)-
‘শাসকদের ভয়ে আহলে বাইতের বিরোধিতা করত, খারেজী-নাসিবি-আহলে বাইতের শত্রুদের থেকে রিওয়ায়াত নিত। জাফর সাদিক(আ)এর এড়াত, রিওয়ায়াত নেয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছামর্জির অনুসরণ করত’ [আল ইমাম সাদিক ওয়াল মাজহাব আলআরবা’, পৃ ৮৩-৮৪/১]
⊗ সহি ইবন হিব্বান কিতাবের লেখক, ইমাম ইবন হিব্বান(র) সম্পর্কে,
শিয়া ধর্মের রিজাল স্কলার আয়াতুল্লাত তাক্কী তুসতারী উল্লেখ করে-
‘..নাসীবী ইবনে হিব্বানের বক্তব্য’ [কামুস আল-রিজাল, ২৮৩/৯]
শিয়া ধর্মগুরু সাইয়্যিদ মুহসিন আমীন লিখে- ‘জানাশোনা নাসিবী ইবন হিব্বানের বক্তব্য’ [আ’ইয়ান আশ-শিয়া, ৪৬৬/৩]
⊗ সুনানে আবু দাঊদ কিতাবের সঙ্কলক আবু দাঊদ(র) সম্পর্কে শিয়া যাজক বাকির আল-মাহমুদী লিখে-
‘সে নাসিবী আবদুল্লাহ ইবন সুলায়মান ইবন আশআছ’ [জাওয়াহির আল-মাতালিব ১৫১/১]
⊗ মুহাক্কিক ও মুহাদ্দিস ইমাম দারাকুতনী(র) সম্পর্কে আয়াতুল্লাত আলী নামাজী লিখে- ‘সে নাসিবী ছিল’ [মুসতাদরাকাত ৫১৪/৮]
⊗ ইসলামী কালামবিদ,কুরআনবিদ ইমাম আবু বকর আল বাকিল্লানী সম্পর্কে-
‘নাসিবী- শিয়াদের প্রতি কঠোর ও আমিরুল মু’মিনীন(আ)এর প্রতি আবু বকর ও উমরের কালামের নখর দ্বারা আক্রমণকারী’ [আল নাসব-ওয়াল নাওয়াসিব, পৃ ৪৫৯]
⊗ ইবনুল জাওযী(র) সম্পর্কে শিয়া রিজালবিদ আয়াতুল্লাত তাকী তুসতারী উল্লেখ করে- ‘ইবনুল জাওযী, সে আব্দুর রহমান বিন আলী নাসিবী’ [কামুস আল রিজাল ৫৯৯/১১]
⊗ মুহাক্কিক ইমাম ইবন হাজার আল-আস্কালানী(র)এর মত প্রসঙ্গে আয়াতুল্লাত তাকী তুসতারী লিখে- ‘নাসিবী ইবন হাজার তাকে বিশ্বস্ত বলেছে’ [কামুস আল-রিজাল ২৮৬:৯]
⊗ সিরাত-রিজাল ও হাদিসের ইমাম যাহাবী(র) সম্পর্কে-
শিয়া যাজক নুরুল্লাহ শুস্তরি লিখে- ‘সে(হায়ছামী) নাসিবী যাহাবী’র থেকে যা উদ্ধৃত করেছে, আল্লাহ্ যাহাবীর নূর ছিনিয়ে নিন’ [আল সাওয়ারিমুল মুহরিক্ক, পৃ ১৯৮]
⊗ শিয়া যাজক মুহসিন আল আমিন লিখে- ‘নাসিবী যাহাবী তার মিযান গ্রন্থে আলোচনা করেছে...’ [আ’ইয়ান আশ-শিয়া ২৯৪/৩]
‘সুন্নিদের কট্টর ব্যক্তি, আহলে বাইতের চরম বিদ্বেষী, যেমন শামের যাহাবী’ [আল নাসব ওয়ান নাওয়াসিব, পৃ ৪৫৪]
⊗ ইমামুল মুফাসসির ইবন কাছির(র) সম্পর্কে-
আয়াতুল্লাত মুহিউদ্দিন মামাকানী লিখে- ‘নাসিবী ইবনে কাছিরের বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে আছে’ [তানকীহ আল-মাক্কাল ১৭৫/৫]
শিয়া যাজক বাকির মাহমুদি- ‘নাসিবী ইবনে কাছিরের দ্বারাও বর্ণিত’[শাওয়াহেদ আত-তানযিল ১৯২/২]
⊗ মুফাসসির জালালুদ্দিন সুয়ূতি(র) সম্পর্কে-
শিয়া ধর্মগুরু সুলায়মান আল মাহুজী লিখে- ‘যেকোন অবস্থায়, এই জাহেল নাসিবীর ব্যাখ্যা..’ [আল আরবা', পৃ ৩৯০]
⊗ হাদিস বিশারদ খতিব আল-বাগদাদী(র) সম্পর্কে, শিয়া যাজক তাকী তুসতারী উল্লেখ করে- ‘নাসিবী খতিব এর কথায় কোন গুরুত্ব দেয়া উচিত না’ [কামুস আল-রিজাল ৩৯০/৯]
⊗ ইমাম গাজ্জালী(র)’র সাথে শিয়া ধর্মগুরু সাইয়্যেদ মুরতাযা ইবন আদ-দাঈ’র কল্পিত ঘটনা সম্পর্কে, শিয়া যাজক মুকাদ্দাস আল-আরদাবিলী লিখে- ‘সাইয়্যিদ মুরতাযা, যার সাথে নাসিবী আল-গাজ্জালীর কথা হয়েছিল’ [তারাইফ আল-মাকাল ১২২/১]
⊗ মুহাদ্দিস ইবন হাজার আল-হায়ছামী(র) সম্পর্কে, শিয়া যাজক নিয়ামাতুল্লাহ জাযায়েরী উল্লেখ করে- ‘নাসিবী ইবনে হাজার যখন এই রিওয়ায়াতকে জরুরি মনে করল..’ [নুরুল বাহরাইন ১৫৮/২]
আমরা মুসলিমরা পরিষ্কার দেখতে পাই যে, ইসলামের সম্মানিত ইমাম,উলামাগণকে শিয়া ধর্মে সর্বোচ্চ শত্রু আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং নিকৃষ্টতম ঘৃণা,অপবাদ দেয়া হয়েছে শিয়া ধর্মগ্রন্থে।
~ The Rafidologist
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন