পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আবু বকর ও উমর (রা) এর উপর আরোপিত হাদিস ধ্বং‌স - জ্বালানোর অপবাদের জবাব

ছবি
আবু বকর(রা) ও উমর(রা) এর নামে শিয়া-কাফের ও আহলে কুরআন গোষ্ঠিরা রাসূল(ﷺ)এর হাদিস ধ্বংস/জ্বালানোর অপবাদ দিয়ে থাকে- যে তাঁরা ২ খলিফা হাদিস বর্ণনা নিষিদ্ধ করেছেন, জ্বালিয়ে দিয়েছেন হাদিসের কপি ইত্যাদি। এবং হাস্যকর ব্যাপার হল এর জন্য তারা আবার আমাদের  মুসলিমদের(আহলে সুন্নাহর) হাদিসেরই রেফারেন্স দিতে চায়!  হাদিস ধ্বংসের কাহিনীগুলো মূলত ড.আলী মাহদী,আল-জালালী ও আয়াতুল্লাত আলী আল কোরানী নামক শিয়া ধর্মগুরু, যাজকদের বই লেখা থেকে প্রচারিত।  দেখে নেই কাফের-মুশরিকদের আনিত অভিযোগসমূহ-    ♔ আবু বকর(রা) :-  আবু বকর(রা)এর ব্যাপারে হাদিস জ্বালানো/সীমতি করার বিষয়ে যে হাদিস ২টা আনা হয়-  ➊ ১. আয়শা(রা) থেকে বর্ণিতঃ আমার পিতা রাসূল(ﷺ) এর ৫০০ হাদিস সংগ্রহ করেন।তিনি এত নির্ঘুম,বেচঈন রাত কাটাচ্ছিলেন যে আমি দুঃখিত হলাম ও জিজ্ঞাসা করলাম-আপনি কি কোন সমস্যা অথবা খারাপ খবর পৌছার কারণে পেরেশান? সকালে তিনি হাদিসের সংগ্রহ আনতে বললেন যা আমার কাছে ছিল, এরপরে তিনি তা জ্বালিয়ে দিলেন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম,কেন জ্বালালেন?তিনি বললেন-“ভয় পেলাম যে, এই হাদিসের সংগ্রহ রেখে মারা যাব; যেখানে এমন ব্যক্তিকে বিশ্বস্ত মনে করেছি হয়ত সে তার বি

পূর্বের ৩ খলিফা ও সাহাবাদের ব্যাপারে শিয়া, খারেজীদের প্রশ্নের জবাবে আলি (রা)

ছবি
খুলাফায়ে রাশেদীনের প্রথম ৩ খলিফার প্রতি আলী(রা)এর সম্মান ও আনুগত্যকে পরবর্তী সময়ে শিয়া দাবিকারী সাবাঈ দল ও শিয়া থেকে বের হওয়া খারেজীদের কাছে বিরক্তিকর,অসম্ভব ও অন্যায় মনে হত। কিন্তু হযরত আলী(রা) প্রকাশ্যে পূর্বের খলিফাদের প্রতি তাঁর সম্মতি ও শ্রদ্ধার জানান দিতেন; যেমনটি এসেছে ইতিহাসের কিতাবের গ্রহণযোগ্য রিওয়ায়াতেঃ- হাসান বসরী(র) থেকে বর্ণনা এসেছে যে, আলী(রা) যখন বসরায় গিয়ে তালহা(রা) ও তাঁর সহযোগীদের ব্যাপারে খবর নিচ্ছিলেন, তখন খারেজীদের নেতা আবদুল্লাহ ইবনে কাওয়া ও কায়স বিন আব্বাদ দাঁড়িয়ে গেল এবং আলী(রা)এর এই আসার ব্যাপারে প্রশ্ন রেখে বলল- ‘আপনি কেন এসেছেন,হে আমিরুল মুমিনীন? এটা কি রাসূলুল্লাহ(ﷺ)’র নির্দেশ? নাকি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর দেয়া ওয়াদা যা আপনাকে পূরণ করতে বলে গিয়েছেন? নাকি উম্মাহর বিখণ্ডতা ও বর্তমান অবস্থা দেখে এটা শুধু আপনি নিজের ইচ্ছায় করছেন?’ আলী(রা) জবাব দিয়ে বললেন- “সত্য হল, আল্লাহ্‌র শপথ, নবী(ﷺ)কে হত্যা করা হয়নি এবং অথবা তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাননি। তিনি এমন সময় পর্যন্ত অসুস্থ ছিলেন যখন মুয়াজ্জিন সালাতের জন্য আহ্বান করত এবং নবী(ﷺ) আবু বকরকে সালাতে ইমামতি করতে ন

শিয়া-ইমামত বনাম খতমে নবুওয়্যাত

ছবি
আল্লাহ্‌ তায়ালা রাসূল(ﷺ)কে সর্বশেষ নবী হিসাবে পাঠিয়ে দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন।এরপরে উম্মতের আর কোন নবী-রাসূল,ওহী,কিতাব ইত্যাদির দরকার নেই, অথবা নবীর মত গুণাবলী(ত্রুটির ঊরধে,অবশ্য পালনীয় যার নির্দেশ) রাখেন এমন ব্যক্তি/নেতার দরকার নেই; সুতরাং যে জিনিসের দরকার নেই তাকে ফরয/আবশ্যক দাবি করা ঈমান-বিরোধী মিথ্যাচার! এই কাজটিই করে থাকে ইহুদি ইবনে সাবার ইমামত তত্বে জন্ম নেয়া শিয়া জাতি।তবে সেটা আধুনিক যুগের উৎপাদিত কাদিয়ানিদের মত না, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে; শুধু ইমামদের ক্ষেত্রে নবী শব্দ ব্যাবহার বাকি রেখে। ব্যাপার অনেকটা এরকম যে, কেউ জুসের বোতলে মদ খেয়ে বলে ‘আমি তো মদ খাই না,বোতলে জুস লেখা’! আসুন দেখে নেই,ইমামতের আড়ালে ১৩০০ বছর ধরে কিভাবে শিয়া-মালাঊনরা খতমে নবুয়্যাতের বিরোধী আকিদা পুষে আসছে। ⌂ ১. ইমামত আল্লাহ্‌র থেকে নবুয়্যাতের ন্যায় ইমামতকেও আল্লাহ্‌র পক্ষ হতে নির্ধারিত দাবি করা হয়- ¤ আবু আব্দুল্লাহ(আ) বলেন- ‘ ইমামত আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পদ;যার অধিকারী কেবল কয়েকজন মনোনীত ও নির্বাচিত সুমহান ব্যক্তিত্ব।কোন ইমামের অধিকার নেই, পরবর্তী নির্ধারিত ইমামকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সেই পদ দান করা। ’

মজলুম অবস্থায় সাবাঈদের হাতে উসমান রা. এর শাহাদাত

ছবি
আবু বকর(রা) ও উমর(রা) এর সময়ে ইসলামের শত্রুরা গা ঢাকা দিয়ে থাকে। সাহাবী হুযাইফা(রা)-যাকে রাসূল(ﷺ) বিভিন্ন গোপন বিষয় জানিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি ফিতনার হাদিস সম্পর্কে বলেন যে, ফিতনা আসার মাঝে যেই দরজা তা উমর(রা), এবং তা ভেঙ্গে ফেলা হবে। বাস্তবেই, উমর(রা)কে হত্যা করে শিয়া জাতির অন্যতম আদর্শ আবু লুলু ওরফে ফিরোজ।  এরপরে উসমান(রা) এর সময়ে অতটা কড়াকড়ি না থাকার কারণে ইহুদি ও পারসিকরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পায়। ৩৪ হিজরির শেষে ছুপা ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা মিশর ও ইরাক থেকে তার বিদ্রোহী বাহিনী নিয়ে মদিনায় উসমান(রা)কে অবরোধ করে।  সাহাবীরা এসময় বেশিরভাগ হজ্জের জন্য মদিনার বাইরে থাকায় তালহা(রা),আলী(রা) এর মত অল্পকিছু প্রথম শ্রেণির সাহাবী উসমান(রা)এর সাথে সাবাঈ বিদ্রোহীদের মীমাংসা করাতে চেষ্টা করেন।  কিন্তু ক্রমেই বিদ্রোহীরা দলে ভারী হয়ে আক্রমণাত্নক হতে থাকে এবং প্রায় ১ মাস অবরোধ করে রাখার পরে অবশেষে একদিন ফজরের সময়ে কিছু বিদ্রোহী হঠাত ঘরে ঢুকে উসমান(রা)কে হত্যা করে।   নিজের উপরে আপতিত বিপদ এবং জান্নাতের সুসংবাদের ব্যাপারে রাসূল(ﷺ) আগেই তাঁকে আভাস দিয়ে রেখেছিলেন। তাই তিনি সবর করে যান এবং বিদ্রোহীদের সাথে

শিয়া শব্দের বিশ্লেষণ ও কুরআন-হাদিস-ইতিহাসে এর প্রয়োগ

ছবি
শিয়া~ শব্দটিকে কেন্দ্র করে এক বিশাল কাফের জনগোষ্ঠী নানারকম দাবিদাওয়া করে থাকে। ইহুদি ইবন সাবার ঔরসজাত এই ধর্মের ইতিহাস,কার্যক্রম ইত্যাদি জানার আগে জরুরি হল ভাষাগতভাবে শিয়া শব্দকে জানা এবং কুরআন ও হাদিসে,ইতিহাসে এর ব্যবহার সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান নেয়া। ➽ আরবি শব্দকোষে ‘শিয়া’: ☀ আরবি ভাষাবিদ ইবন দুরাইদ বলেনঃ অমুক অমুকের ‘শিয়া’ এই কথার দ্বারা বুঝায় সে ঐ ব্যক্তির চিন্তাধারার। কোন বিষয়ে কোন ব্যক্তিকে যখন “مشايعة”(মুশায়’আ) বা সাহায্য করা হয়,তখন বলা হয় সে তার শিয়া(شيعت), কোন ব্যাপারে কোন ব্যক্তিকে পরস্পর সঙ্গ দেয়া(সহযোগিতা করা) হলে সাহায্যকারীকে ঐ ব্যক্তির শিয়া বলা হয়। [জামহুর আল-লুগাত, ৬৩/৩] ☀ ভাষাবিদ আবুল মানসুর আল-আযহারী বলেনঃ শিয়া হল কোন ব্যক্তির সাহায্যকারী ও অনুসারী,এবং যেসব জাতি তার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয় তারা তার শিয়া। এই অনুসারী(شيع)দের সমষ্টিকে অনুসারীদল(أشياع) বলা হয়।ভিন্ন অর্থে, শিয়ারা এমন এক জাতি যারা নবী মুহাম্মদ(ﷺ) এর আহলে বাইতের জন্য ভালবাসা প্রদর্শন করে এবং তাদের সমর্থন করে। আগুনের শিয়া বলা হয় যা আগুনের সাথে সাক্ষাৎ হলে আগুনকে আরো প্রজ্বলিত করে তুলে। এছাড়াও কোন ব্যক্তির শিয়া(شيعت

গাদিরে খুম এর ঘটনা ও মাওলা'র হাদিস এর বিশ্লেষণ

ছবি
বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পথে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে সফরসঙ্গী সাহাবীদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন গাদিরে খুম নামক স্থানে যাত্রাবিরতি দিয়ে। আলী(রা)এর ব্যাপারে আনিত কিছু অভিযোগের খণ্ডন করেন এবং “আমি যার মাওলা, আলী তার মাওলা”-উক্তিটি করেন, যা মাওলার হাদিস হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।  ৩৪ হিজরির শেষে, ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা’র জন্ম দেয়া ইমামী তত্বের জন্ম ও প্রসারের পরে তা থেকে শিয়া ধর্মের ভিত্তি জোর দিতে, মুসলিমদের হাদিস কিতাব থেকে মাওলা-শব্দের হাদিস বিকৃত করে প্রচার করা হয় এবং গাদিরে খুম এর ঘটনা থেকে কল্পনাপ্রসূত অপব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। ☸ পটভূমিঃ- অনুমাননির্ভর শিয়া ধর্মতত্বে উড়িয়ে এনে জুড়ে বসাবার হাস্যকর প্রয়াস চলে, অথচ কোন বিষয় সম্পূর্ণ ঘটনা এবং প্রসঙ্গ,প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে পরিষ্কার হওয়া সম্ভব নয়।  ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ কিতাবের ৫ম খণ্ড, ১৯০-১৯৪ পৃষ্ঠার মাঝে বায়হাকী(র), বুখারী(র) হতে নির্ভরযোগ্য সূত্রে যা জানা যায় তার সারসংক্ষেপ- রাসূলুল্লাহ(ﷺ) ইয়েমেনবাসীর প্রতি ইসলামের দাওয়াত দিতে খালিদ ইবন ওয়ালিদ(রা)কে পাঠিয়েছিলেন, পরে আলী(রা)কে পাঠিয়ে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন।সেখান থেকে যাকাত ও যুদ

ইসলামের আকিদা–বিশ্বাস সম্পর্কে বাংলা ভাষায় অনূদিত-প্রকাশিত কিছু কিতাব

ইসলামের মৌলিক আকিদা–বিশ্বাস জানতে বাংলা ভাষায় অনূদিত-প্রকাশিত নিম্নোক্ত কিতাবসমূহ মুতালাআ করতে পারেন Beginner's Level : প্রাথমিক পর্যায় একজন প্রাথমিক পর্যায়ের তালিবুল ইলম হিসেবে ইসলামের মৌলিক ও অকাট্য আকিদা–বিশ্বাসের বিবরণ সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে মুতালাআ করুন  :  ১. ঈমান ও আকীদা মূল : হাকিমুল উম্মাহ মাওলানা আশরাফ আলি থানবি রহ. সংকলক : মাওলানা হাবীবুর রহমান খান প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আশরাফ  ২. কালিমা ও নামাযের হাকীকত মূল : মাওলানা মুহাম্মাদ মানযুর নু'মানি রাহ. অনুবাদ : মাওলানা নাসীম আরাফাত প্রকাশনী : বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স  ৩. দস্তূরে হায়াত – ইসলামী জীবনপদ্ধতি (শুধু আকিদা–বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট অধ্যায়) মূল : আল্লামা সাইয়িদ আবুল হাসান আলি নদবি রাহ. অনুবাদ : মাওলানা শামসুল আরেফীন প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আশরাফ  ৪. শুআবুল ঈমান মূল : ইমাম বাইহাকি রহ. প্রকাশনী : বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার [ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার থেকে প্রকাশিত বইটির অনুবাদটি যথাযথ আছে কি না (অর্থাৎ, ইনসাফধর্মী অনুবাদ হয়েছে কি না তা) মুহাক্কিক কোনো আলিমের কাছে গিয়ে যাচাই করে নিলে ভালো হয়। এই প্রকাশনা সংস্থার বইগুলো (অ

ব্যবসায় কী পরিমাণ লাভ করা বৈধ? ইসলাম কী বলে?

প্রশ্নঃ  ব্যবসায় কী পরিমাণ লাভ করা বৈধ? স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য দাবি করা কিংবা চড়া মূল্যে কোন পণ্য বিক্রয় করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ কি না? উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা হালাল পন্থায় ব্যবসা করার মাধ্যমে একে অপরের সম্পদ ভোগ করাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু লাভ করার কোন পরিমাণ নির্ধারণ করে দেন নি। বরং পরস্পর সন্তুষ্ট চিত্তে যেকোনো পরিমাণ লাভ করার সুযোগ রয়েছে।  আল্লাহ তায়ালা বলেন,  يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ "হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। তবে পরস্পর সন্তুষ্টি চিত্তে ব্যবসার মাধ্যমে ভোগ করতে পারো।" (সুরা নিসা, ২৯) সুতরাং হালাল পন্থায় পরস্পর সন্তুষ্টি চিত্তে ব্যবসার মাধ্যমে অপরের সম্পদ ভোগ করা যাবে। কিন্তু ব্যবসায় কী পরিমাণ লাভ করা যাবে তা আল্লাহ বলে দেন নি। বরং এটা ক্রেতা-বিক্রেতার উপর ছেড়ে দিয়েছেন।  তাইতো রাসুল সাঃ কে যখন বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! বাজারের সব কিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। আপনি পণ্যের বাজার দর নির্ধারণ করে দিন! তখন রাসুল সাঃ বললেন

হানাফি মাযহাবের অনুসারীর অন্য মাজহাব অধ্যুষিত অঞ্চলে আসরের নামাজ পড়া প্রসঙ্গে

প্রশ্ন শায়েখ, আসরের ওয়াক্ত নিয়ে আমার একটা প্রশ্ন আছে। Affan Bin Sharfuddin হাফিজ্বাহুল্লাহ এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আসরের সময়ে আহলে হাদিস মসজিদে না যেতে কিংবা তাদের সঙ্গে জামায়াতে শরীক না হতে। আসরের সালাতের ওয়াক্ত নির্ধারণ তো ফিকহী ইখতিলাফি বিষয়। আমার জানামতে এই ব্যাপারে বাকি তিন মাজহাবের সঙ্গে হানাফি মাজহাবের ইখতিলাফ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই ওয়াক্ত (বাকি তিন মাজহাব) অনুযায়ী সালাত পড়লে তো সালাত হয়ে যাওয়ার কথা। হারামাইনে হাম্বলি মাজহাব অনুসারে আসরের ওয়াক্ত নির্ধারণ হয়। আল্লাহ চাহে তো যদি কখনো হারামাইনে আসরের সালাত আদায় করার সৌভাগ্য হয় তখন আমরা কি জামায়াতে আদায় করবো না? উত্তর বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। মক্কা মদিনাতে থাকা অবস্থায় আপনাকে সেখানকার সময় অনুযায়ীই জামাতে শরীক হতে হবে। কারন যখন একাধিক মাযহাবের মতামত সামনে থাকে এবং নিজ মাযহাব অনুসরণের সুযোগ থাকে তখন মুকাল্লিদ পর্যায়ের মানুষদের জন্য নিজের মাযহাবের মতের উপরেই আমল করতে হবে। কিন্তু যেখানে নিজ মাযহাবের মতের উপরে আমল করা সম্ভব না বরং ভিন্ন মাযহাবের উপরে আমল করাই একমাত্র অপশন ও উত্তম হয়ে পড়ে তখন ভিন্ন মাযহাবের উপরে আমল করতে হবে। তাই দেশে

অর্থনৈতিক সমস্যার সময়ে পর্দাহীন অবস্থায় প্রাপ্তবয়স্কা ছাত্রীকে পড়ানো কি বৈধ হবে?

প্রশ্ন :  আসসালামু আলায়কুম অর্থনৈতিক সমস্যার সময়ে বাধ্য হয়ে প্রাপ্তবয়স্কা মেয়েদের পড়ানোর বিধান সম্পর্কে জানতে চাই। আমি টিউশনিতে কোন মেয়ে ছাত্রী পড়াই না। অনেকদিন যাবত এই অবৈধ বিষয়টি পরিত্যাগ করেছি।কিন্ত বর্তমানে আমি এমন অবস্থায় উপনীত হয়েছি যে, আমার একটা টিউশনিও নেই। ২-৩ মাস বেকার থাকার পর এখন একটা টিউশন পেয়েছি তাও একজন প্রাপ্তবয়স্কা ছাত্রীকে পড়াতে হবে। এক্ষেত্রে আমার জন্য কি করণীয়?  উত্তর :  ওয়ালাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। একই জেণ্ডারের চিকিৎসকের অনুপস্থিতি হেতু চিকিৎসাগত প্রয়োজন বা অন্য কোন শরীয়ত অনুমোদিত ওযর ছাড়া কোন নারীকে তার গাইরে মাহরাম পুরুষ দেখতে পারবেনা। উপার্জনহীনতার সময়েও বেপর্দা অবস্থায় পড়া পড়ানো ওযরের অন্তর্ভুক্ত না। কারন সাধারণভাবে সুস্থ কোন মানুষের জন্য উপার্জনের পদ্ধতি পর্দাহীন পরিবেশে পড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে পারেনা। সুস্থ মানুষের জন্য এ ছাড়া ভিন্ন পদ্ধতিতেও উপার্জন করা সম্ভব। আল্লাহ্ তায়ালা উপার্জনের জন্য আমাদেরকে মেধার পাশাপাশি শারিরিক শক্তিও দিয়েছেন। তাই মেধাকেন্দ্রিক শ্রমের (পড়ানো ও অন্যান্য) মাধ্যমে যদি বৈধ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে হালাল পদ্ধতিতে কায়িক প

হায়েজ থেকে পবিত্র হয়ে নামাজ পড়া প্রসঙ্গে...

প্রশ্ন আসসালামু আলাইকুম।  হায়েজ শেষ হওয়ার পর শেষ হয়নি ভেবে কিংবা জাগতিক কোন সমস্যার কারনে সালাত শুরু করতে দেরি হলে কিংবা এমন সময় শেষ হলো যে গোসল করে নামাজের সময় থাকল না, তাহলে কি ঐ ওয়াক্তের ক্বাজা করলে হবে? হায়েজ শুরু হওয়ার আগে কোন নামাজের ওয়াক্ত শুরু হলে এবং কোন কারনে পড়তে না পারলে, এই অবস্থায় হায়েজ শুরু হয়ে গেলে পরে এই ওয়াক্তের ক্বাজা পড়ে নিতে হবে? জাযাকাল্লাহ। উত্তর ১.হায়েজ যদি দশ দিন পূর্ণ হওয়ার পর শেষ হয় তাহলে যেই ওয়াক্তে শেষ হবে সেই ওয়াক্তের সামান্য সময়ও যদি বাকি থাকে তাহলে সেই ওয়াক্তের নামাজ কাজা করা আবশ্যক। চাই সেই সামান্য সময়ের মধ্যে গোসল করে নামাজ সময় থাকুক বা না থাকুক। আর যদি দশ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই হায়েজ শেষ হয়ে যায় তাহলে যেই ওয়াক্তে শেষ হবে সেই ওয়াক্তের মধ্যে যদি এতটুকু সময় পাওয়া যায় যে, গোসল করে নামাজের জন্য দাড়িয়ে তাকবীরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলার মতো সময় পাওয়া যায়, তাহলেও সেই ওয়াক্তের নামাজ কাজা করতে হবে। কিন্তু যদি এইটুকু সময় পাওয়া না যায়, তাহলে সেই ওয়াক্তের নামাজ কাজা করতে হবে না। ২.কোন ওয়াক্তে যদি হায়েজ শুরু হয়ে যায় এবং সময় পাওয়া সত্ত্বেও সেই ওয়াক্তের নামাজ হায়েজ

কিতাবুল ফিতানের পাঠকদের সমীপে

কিতাবুল ফিতান অর্থ ফিতনার আলোচনা বিষয়ক গ্রন্থ। এখানে সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রন্থ উদ্দেশ্য নয়; বরং বাংলা ভাষায় এ যাবৎ প্রকাশিত যেকোনো গ্রন্থ উদ্দেশ্য। কয়েক বছর ধরে ফিতান বিষয়ে পাঠকদের বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাই প্রকাশকরাও এ বিষয়ে বিভিন্ন বই প্রকাশ করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত কিতাবুল ফিতানগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন তুলে ধরা সংগত মনে হচ্ছে। আর বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কথা বলাও প্রয়োজন।       ১. ফিতান বিষয়ক অধিকাংশ হাদিসই অশুদ্ধ, অগ্রহণযোগ্য ও অপ্রমাণিত। অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় এ বিষয়ে জাল, ভিত্তিহীন ও দুর্বল হাদিসের সংখ্যা অনেক বেশি।   ২. ফিতান বিষয়ক হাদিসগুলোকে আমরা দু-ভাগে ভাগ করতে পারি : (ক) যা অতীতে সংঘটিত হয়েছে। (খ) যা বর্তমান বা ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত। অতীত ফিতনার সঙ্গে ইতিহাসের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ইতিহাসের বর্ণনাগুলোর মধ্যেও শুদ্ধ এবং অশুদ্ধ দুই ভাগ রয়েছে। হাদিসের তাহকিকের তুলনায় ইতিহাসের বর্ণনার তাহকিক কঠিনই বটে। ইতিহাসের বিশুদ্ধ বর্ণনার আলোকেই কেবল অতীত ফিতনাগুলোর আলোচনা বোঝা সম্ভব। অন্যথায় হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণেই দেখা যায়, অনেক