পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আহলে বাইত ও সাহাবা পরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ক

আহলে বায়াতের সাথে আহলুস সুন্নাহ’র সম্পর্ক বনাম শী’আদের আহলে বায়াতের প্রতি ভিত্তিহীন পিড়ীতি! Relationship by marriage between Ahlul-Bait and Sahaba ---- শী’আদের অন্যতম অভিযোগ হলো- তারাই আহলে বায়াতকে ভালোবাসে এবং তাদের অনুসরণ করে। কিন্তু আমাদের দাবি হলো- সুন্নিরাই অর্থাৎ আহলুস সুন্নাহ-ই প্রতৃত অর্থে আহলে বায়াতকে ভালোবাসে এবং আহলে বায়াতও সুন্নিদেরকেই ভালোবাসে। আসুন এই দাবির স্বপক্ষে আসল বাস্তবতাটা দেখি। হযরত আলী (রা.) এর সন্তানদের সঙ্গে কাদের বিয়ে হয়েছে? একজন শী’আ মতাদর্শী কি দেখানো যাবে যে কিনা হযরত আলী (রা.)-এর অন্তত একজন সন্তানের সাথে বিয়ে হয়েছে অর্থাৎ আত্মীয়তার সম্পর্ক হয়েছে? কোনো শী’আ কি কোনো আহলে বায়াতকে কিংবা কোনো আহলে বায়াত কি শী’আদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন? ১. হযরত আলী (রা.)-এর এক কন্যা রামলা’র বিয়ে হয়েছে মুয়াবিয়া ইবনে আল-হাকাম, মারওয়ানের ভাইয়ের সাথে। ২. খাদিজা বিনতে আলী বিন আবি তালিব। তার বিয়ে হয়েছিল আবদুর রহমান বিন আ’মর বিন কারিয়ের সাথে। যিনি কিনা ‘বনু আব্দ আল- শামস’ গোত্রের এবং সম্পর্কে মুয়াবিয়ার কাজিন ছিলেন। ৩. উম্মে কুলসুম বিনতে আলী বিন আবি তালিব। তার ব

আরাফাহ দিবস বা ইয়াওমে আরাফাহ কোনটি?

ছবি
 'আরাফাহ দিবস' বা ইয়াওমে আরাফাহ দ্বারা কী উদ্দেশ্য?   হাদীসে 'ইয়াওমে আরাফা'তে রোজা রাখার বিশেষ ফজীলত বর্ণিত হয়েছে - (صيام يوم عرفة أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله والسنة التي بعده) ‘ইয়াওমে আরাফার রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, তিনি এর দ্বারা এর আগের এক বছরের ও পরের এক বছরের গোনাহ মাফ করবেন।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১৬২ . প্রশ্ন হচ্ছে ইয়াওমে আরফাহ বলতে কী বোঝায়? আরাফাহ দিবস দ্বারা ৯ ই জিলহজ্ব উদ্দেশ্য। অর্থাৎ এই দিনটি। এটি একটি পারিভাষিক নাম, যেহেতু ৯ ই জিলহজ্বে আরাফাহতে অবস্থান করা হয়, তাই এই দিনটিকে আরাফাহ দিবস বলা হয়। একইভাবে দশই জিলহজ্ব যেহেতু কুরবানি দেয়া হয়, তাই একে 'ইয়াওমুন নাহর' বলা হয়। উদ্দেশ্য, ১০ ই যিলহজ্ব। সুতরাং যে অঞ্চলে যেদিন যিলহজ্ব এর দশ তারিখ হবে, সে অঞ্চলে সেদিনই কুরবানি হবে। একইভাবে, যে অঞ্চলে যিল হজ্বের ৯ তারিখ যেদিন হবে, সেদিনই রোজা রাখতে হবে। এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট বোঝা উচিত, ৯ই যিলহজ্ব রোজা রাখা হাজীদের সাথে সম্পৃক্ত কোন আমল না। অর্থাৎ, এই আমল বরং যারা হাজী না, তাদের জন্যে। কারণ হাজীদের জন্যে এই দিনে

শিয়াধর্মের ইমামি ধাঁধা!

ছবি
সাবাঈ শিয়া ধর্মাবলম্বীরা রাসূল(সা) এর ওফাতের ২৪ বছর পরে ইহুদিদের “মূসার অসি ইউশা” এর অনুকরণে আলী(রা) এর নামে বেলায়েত,অসিয়্যাত চালু করেই ক্ষান্ত হয়নি। যখন দেখল, আহলে বাইতের নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যাচার, প্রকৃত ইসলাম এর বিরুদ্ধে নিজেদের “শিয়া” দলের অস্তিত্ব বজায় রাখা ও ইহুদি-মাজুস মিশ্রিত বিকৃত মতবাদের বিস্তার ঘটানো আবশ্যক; তখন তারা রাসূল(সা) এর বর্ণিত ১২ জন খলিফার হাদিসকে বাহানা হিসাবে দেখাতে চাইল। আহলে বাইতের মধ্য থেকে ইচ্ছামত ১২ জনকে ইমাম দাবি করে ,তাদের দাবিকৃত ইমামঃ- ১. আলী বিন আবি তালিব(রা) ২. হাসান বিন আলী(রা) ৩. হুসাইন বিন আলী(রা) ৪. আলী বিন হুসাইন(র), যাইনুল আবিদীন ৫. মুহাম্মদ বিন আলী(র), বাকির ৬. জাফর বিন মুহাম্মদ(র), জাফর সাদিক ৭. মুসা বিন জাফর(র), আল কাযিম ৮. আলী বিন মূসা(র), আল-রেযা ৯. মুহাম্মদ বিন আলী(র), আল-জাওয়াদ/আল তাকী ১০. আলী বিন মুহাম্মদ(র), আল হাদী/ আল নকী ১১. হাসান বিন মুহাম্মদ(র), আল আসকারী ১২. মুহাম্মদ বিন হাসান, আল মাহদী {কাল্পনিক, জন্মের পরে গায়েব ১২০০ বছর ধরে!} এই ইমামত এর ইমাম হবার কেমনে কি – তা শিয়া জাতি ব্যাখ্যায় অক্ষম, যতক্ষণ না সাব্যস্ত হয়য

সংক্ষেপে শিয়াদের উৎপত্তির ইতিহাস

শিয়া জাতি নিয়ে আলোচনার জন্য সুবিশাল রেফারেন্স এর ভাণ্ডার রয়েছে।তবে সার-সংক্ষেপে জেনে নিন- রাসূল(সা) এর জীবদ্দশায় ইসলাম গৌরব এর মুখ দেখে। আবু বকর(রা) তাঁর ২ বছরের সংক্ষিপ্ত খিলাফতে মুরতাদ দমন সহ অন্যান্য প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেন।উমর ফারুক(রা) এর খিলাফতে ইসলামী হুকুমত সুবিশাল ডানা মেলে বিস্তৃত হয়।বিজিত হয় বাইতুল মুকাদ্দাস ও পারস্য সাম্রাজ্য। একদিকে যেমন ইহুদি-নাসারাদের ক্ষোভ ছিল ইসলাম এর প্রতি, আরেকদিকে অগ্নিপূজক পারসিক মাজুসরাও জিঘাংসার চোখে দেখে আসছিল ইসলামকে।কিন্তু শক্তিশালী অবস্থার কারণে কিছু করতে সাহস হচ্ছিল না। কাফের-মুশরিকদের মনে ভয় ধরানো খলিফা উমর(রা)কে ফজরের সালাতের মধ্যে হামলা করে শহীদ করে ইরানি মাজুস আবু লুলু ওরফে ফিরোয। তারপরে উসমান(রা) এর খিলাফতকে ফিতনা ছড়ানোর জন্য বেছে নেয় ইসলাম এর দুশমনরা। আগেই জানা ছিল যে,কাফের-পরিচয় নিয়ে ইসলাম এর কিছু করা সম্ভব না। তাই মুসলিম নাম নিয়ে ইসলাম এর ভিতরে ঢুকে আস্তিনের সাপ হয়ে ছোবল মারার পরিকল্পনা করে তারা। এই কাজের প্রধান নেতৃত্বদাতার ভূমিকা পালন করে ছুপা ইয়েমেনী ইহুদি আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা। সে উসমান(রা) এর খিলাফতের দুর্বল দিকগুলা নিয়ে স

কোরবানীর সাথে আকীকা; সুন্নাহর অালোকে বিভ্রান্তি নিরসন

কোরবানীর মত আকীকাও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ গুরুত্বের সাথে আকীকার কথা উল্লেখ করেছেন, যা হাদীস শরীফের কিতাবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। বাচ্চা জন্মের সপ্তম দিনে এই কাজটি সম্পাদন করতে হয়। কোন কারণে এই দিনে আকীকা দিতে না পারলে পরবর্তীতে তা আদায় করার সুযোগ রয়েছে। কোরবানী ও আকীকা আলাদাভাবেই করা উচিৎ। প্রশ্ন হল, কেউ যদি আকীকা এবং কোরবানী একসাথে দিয়ে দেয়, তাহলে সেটা কি অবৈধ হবে? বা একারণে আকীকা ও কোরবানী আদায় হবে না? কোরআন সুন্নাহর দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকালে আকীকার সাথে কোরবানী দেয়ার বৈধতাই প্রমাণিত হয়। বিষয়টি বুঝতে হলে কয়েকটি বিষয় বুঝতে হবে। এক. আকীকাও এক ধরণের কোরবানী। হাদীস শরীফে আকীকাকে কোরবানী বলা হয়েছে এবং কোরবানীর জন্য যে শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে আকীকার ক্ষেত্রে সেই শব্দটিই প্রয়োগ করা হয়েছে। সূরা আনআমের ১৬২ নং অায়াতে কোরবানীকে ‘নুসুক’ বলা হয়েছে তেমনিভাবে সহীহ বুখারী ও মুসলিমসহ হাদীসের অসংখ্য কিতাবে কোরবানীকে নুসুক বলা হয়েছে। অপরদিকে কোরবানীর মত আকীকার ক্ষেত্রেও হাদীস শরীফে ‘নুসুক’ শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে যার অর্

সুন্নাত নামাজের কিছু ফাযায়েল ও মাসায়েল

সুন্নত নামাজ আদায়ের কিছু ফাযায়েল ও কিছু মাসায়েল জানতে চেয়েছিলেন নাসীহা গ্রুপের কতক ভাই। তাদের জন্যে লেখাটা তৈরি করা............ "সুন্নত আদায়ের গুরুত্ব" *** ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা ফজরের ফরজের পূর্বে দু রাকাত সুন্নত, জোহরের আগে ৪ রাকাত সুন্নত, জোহরের পর দু রাকাত সুন্নত, মাগরিবের পর দু রাকাত সুন্নত ও এশার ফরজের পর দু রাকাত সুন্নত, মোট ১২ রাকাত সুন্নতের ফাযায়েল-- /-- আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সবসময় বার রাকাআত সুন্নাত নামায আদায় করে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন। এ সুন্নাতগুলো হল, যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাকাআত ও পরে দুই রাকাআত, মাগরিবের (ফরযের) পর দুই রাকাআত, ইশার (ফরযের) পর দুই রাকাআত এবং ফযরের (ফরযের) পূর্বে দুই রাকাআত। উম্মু হাবীবাহ বলেছেনঃ আমি যে সময়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সলাত সম্পর্কে শুনেছি তখন থেকে আর কখনো তা আদায় করা পরিত্যাগ করিনি। আম্বাসাহ ইবনু আবূ সুফইয়ান বলেছেনঃ এ সলাত সম্পর্কে যখন আমি উম্মু হাবীবার কাছে শ

শিয়া - রাফেযিদের দৃষ্টিতে হজ্ব, মক্কা এবং পবিত্র কা'বা

ছবি
ইহুদি ঔরসে জন্ম নেয়া শিয়া ধর্ম গত ১৩০০ বছর ধরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে ঘাপটি মেরে আছে এবং যখনি শক্তি অর্জন করেছে, তাকিয়া ভেঙ্গে মুসলিমদের পিঠে ছুরি বসিয়েছে। বিশেষ করে আধুনিক যুগে এসে ইরানের মত শিয়া রাষ্ট্র পরিষ্কার প্রতিভাত হওয়ায় পবিত্র মক্কা-মদিনায় এহেন কাফের-মুশরিকদের বিচরণ রোধ করা জরুরি এবং একি সাথে সম্ভবপর হয়ে উঠে। আসুন জেনে নেয়া যাক রাফেজী শিয়া ধর্মের দৃষ্টিতে হজ্জ ও কাবার অবস্থানঃ- শিয়া ধর্মে হজ্জের অবস্থানঃ-  সাবাঈ শিয়া ধর্মে ইহুদি উদ্ভাবিত বেলায়েত/ইমামতই সবকিছু,দাবিকৃত ইমামদেরকে রব/ইলাহ ইত্যাদি বানালেই কাম সারা। ইসলামের ভিতরে মিশে থাকার জন্য সালাত,যাকাত ইত্যাদির কথা বললেও ইবনে সাবার উদ্ভাবিত বেলায়েত তত্বই সব এরকম বলা হয়; ৫ স্তম্ভের মধ্যে কখনো এক্টাকে রেখে আরেকটা বাদ দেয়া হয়, কখনো কলেমা! কখনো হজ্জ। যেমনটা বলা আছে শিয়া ধর্মগ্রন্থের রচিত বর্ণনায়- ☫ আবু জাফর(আঃ) থেকে বর্ণিত-‘ইসলাম ৫টি জিনিসের উপরে নির্মিত- সালাত,যাকাত,সাওম,হজ্জ ও বেলায়াত; অন্য কোনটাকেই বেলায়াতের মত করে আহবান/জোর দেয়া হ নাই। অতপর মানুষ বাকি চারটাকে আঁকড়ে ধরল আর এটা(বেলায়েত)কে ত্যাগ করল’ [আল কাফি, খণ্ড ২, ইম

শিয়া ধর্মাবলম্বীদের জাতির পিতার পরিচয়

ছবি
{শিয়াদের ধর্মগ্রন্থ ও মুসলিমদের কিতাবের রেফেরেন্সের ভিত্তিতে} শিয়া ধর্মের মৌলিক ভিত্তিসমূহ কুরআনবিরোধী ও জঘন্য শিরক-কুফরে সমৃদ্ধ।এর জন্য দায়ী ছিল এক ইয়েমেনী ইহুদি আবদুল্লাহ ইবনে সাবা- যে উসমান(রা) এর সময়ে এসে ইসলাম গ্রহণ এর ভান করে,খিলাফত এর বিভিন্ন অংশে সফর করে ফেতনা সৃষ্টী করে বিদ্রোহী দল তৈরি করে ও সর্বশেষে সেই দল কর্তৃক উসমান(রা) শহীদ হন।এরপরে নিজেকে আলী(রা) এর মহাভক্ত দাবি করে তাঁর সাথে অবস্থান করে ধীরে ধীরে সাবাঈ আকিদার প্রসার ঘটায়। আলী(রা) এর ইমামত ফরয,রাসূল(সা) এর পরে ওসি,সাহাবাদের তাকফির করা ইত্যাদি আকিদার জন্ম দেয়- যা থেকে পরে শিয়া ধর্মের আকিদা(আহলে বাইতের নামে মিথ্যাচার,রজাআত,তাহরিফে কুরআন,কবর-পূজা ইত্যাদি) ডালপালা মেলে।এছাড়া আলী(রা)কে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে জঘন্য শিরক করা,যা এখনো ইমামদের ব্যাপারে আকিদাস্বরূপে শিয়াদের মৌলিক কিতাবসমূহে বিস্তার করে আছে- ইমামরা সকল কিছুর মালিক,আমল দেখতে পায়,জন্ম-মৃত্যুর নিয়ন্ত্রন রাখে,গায়েবের সকল জ্ঞানের মালিক,জান্নাত-জাহান্নামের বন্টনকারী ইত্যাদি। নাঊযুবিল্লাহ শিয়াদের মধ্যে প্রবণতা রয়েছে যে, কেউ এক্কেবারে অস্বীকার করে ও “ইবনে সাবা কাল্পনি

কোরবানির দিনে নখ-চুল কাটার আদেশ কি শুধু কোরবানি দাতার জন্য!

কোরবানি দাতার জন্য জিলহজ্ব মাস শুরু হওয়ার পর নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকা এবং কোরবানির পর তা কাটা উত্তম। এটা তো অনেকেরই জানা। কেননা এটা সুস্পষ্ট সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "যখন যিলহজ্বের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানি করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১৯৭৭; জামে তিরমিযি, হাদিস ১৫২৩) উক্ত হাদিসের উপর ভিত্তি করে ফকিহগণ কুরবানিদাতার জন্য নখ-চুল না কাটাকে মুস্তাহাব বলেছেন। অবশ্য কোন কোন ফকিহ উক্ত হাদিসের কারণে কোরবানির আগে নখ-চুল কাটা হারাম বলেছেন। অনেক কিতাবে হানাফি মাযহাব এর দিকে সম্বন্ধ করা হয়েছে যে, তাদের মতে কোরবানির আগে নখ-চুল কাটা হারামও নয় মাকরূহও নয়। এসম্পর্কে শায়খুল ইসলাম আল্লাম তাকী উসমানি দামাত বারাকাতুহুম বলেন, হানাফিদের কিতাবে আমি এটা পাই নি। (তাকমিলায়ে ফাতহুল মুলহিম: ৩/৪৮৬) তবে এ হুকুম তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে যারা যিলকদের শেষে নখ-চুল কেটেছে। অন্যথায় নখ-চুল বেশি লম্বা হয়ে যাবে, যা সুন্নাতের খেলাফ। এটা তো গেল ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা য

ডাউনলোড করুন মাকতাবায়ে শামেলা লেটেস্ট ভার্শন (মোবাইল এবং পিসির জন্য)

ছবি
এণ্ড্রয়েড এবং পিসিতে কিভাবে মাকতাবা শামেলা (Maktaba Shamela) ব্যবহার করবেন? আলহামদুলিল্লাহ্। অবশেষে মাকতাবা শামেলা (Maktaba Shamela) এর উইণ্ডোজ এবং এণ্ড্রয়েড উভয় ভার্সনই অসংখ্য কিতাবাদি সহ সফল ভাবে আপলোড করতে সক্ষম হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ্। এণ্ড্রয়েড এবং পিসির জন্য মাকতাবা শামেলা সকল কিতাবসহ কোথা থেকে ডাউনলোড করবেন এবং কিভাবে ইন্সটল করে ব্যবহার করবেন তা নিচে দেয়া হলোঃ মাকতাবায়ে শামেলা ৩.৪৮ সম্পুর্ণ ডাউনলোড [ মাকতাবা শামেলা - এণ্ড্রয়েড ভার্সন ] এণ্ড্রয়েডের ভার্সনের জন্য আপনার মোবাইলে কমপক্ষে প্রায় ১৪ জিবি ফাঁকা মেমোরীর প্রয়োজন হবে। ► মাকতাবা শামেলা এণ্ড্রয়েড ভার্সন প্লেস্টোরেঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=shamela.ws ► অথবা APK ডাউনলোড http://www.mediafire.com/file/ysew9t29kz8iuuv/shamela_android_v9.5.apk ► সমস্ত কিতাবাদিঃ http://www.mediafire.com/file/j7nngaahfnqvzc0/shamela.ws.7z ইন্সটল দেয়ার নিয়মবলীঃ ১। প্রথমে উপরের ২টি ফাইল ডাউনলোড করুন। ২। মাকতাবা শামেলা এপটি এণ্ড্রয়েডে ইন্সটল করে নিন। ৩। সকল কিতাবাদিগুলো আনজিপ করে sdcard এ রাখুন। ৪। সবশেষে মাকতা

সহিহ আকাইদ কণিকা! (অধ্যায়ঃ মৃত্যু ও কবর) কিস্তি-২

ছবি
<< প্রথম পর্ব দেখুন [৬] গায়রে মুকাল্লিদদের কাঠগড়ায় ইবনে কাসীর রহ. --------- একদা আমি নবী করীম ﷺ -এর রওযা মুবারকের কাছে উপবিষ্ট ছিলাম ৷ এমন সময়ে সেখানে এক বেদুঈন আগমন করল! সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ আল্পাহ তা'আলা বলেছেন - وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذ ظَّلَمُوا أَنفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَّحِيمًا [٤:٦٤] অর্থঃ আর যখন তারা নিজেদের উপর যুলুম করে ফেলে, তারা যদি আপনার কাছে উপস্থিত হয় আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার আশায় আর আপনি (রাসূল) যদি তাদের জন্য ক্ষমা চান, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন, আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু] [সূরা নিসা, আয়াত ৬৪] এরপর বললো-’আমি নিজে নিজ অপরাধের জন্যে আমার প্ৰতিপালক প্রভু আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি আর তাহার কাছে আমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে আপনার নিকট আবেদন জানাইতেছি। অতঃপর সে নিম্নোক্ত চরণ কয়টি অবৃত্তি করল- يا خير من دفنت بالقاع اعظم فطاب من طيبهن لقاع والاكم نفسى الفداء القبر انت ساكنه فيه الفات وفيه الجود والكرم

যাল্লাত ও শুযুযাত- আলেমদের বিরল ও বিচ্ছিন্ন মতের অনুসরণ....

'যাল্লাত, শুযুযাত, নাওয়াদের' ইত্যাদি দ্বারা বোঝানো হয়, শরীয়তের কোন সুষ্পষ্ট প্রতিষ্ঠিত বিধানের বিপরীতে, প্রায় সকল ইমামদের মতামতের চেয়ে ভিন্ন ও সাংঘর্ষিক মত প্রদান করা। যেমন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। কেও একজন এটাকে মুস্তাহাব বলল। মদ খাওয়া হারাম। কেও একজন, এটাকে জায়েজ বলল। এই ধরণের মতামত যদি কেও দিয়েও থাকেন, সেটা অনুসরণ করা হারাম ও নিকৃষ্ট কাজ। কেন এই বিষয়টা লিখছি? বর্তমান সময়ের 'প্রাক্টিসিং' বা ইসলামি বিধিবিধান অনুসরণ করতে আগ্রহীদের সবচেয়ে বড় কয়েকটা ফেতনার মাঝে একটি হচ্ছে, 'শায আকওয়াল অনুসরণ করা'! অর্থাৎ, কোন ইমাম বা গবেষক এমন মত দিয়েছেন, যা প্রতিষ্ঠিত বিধানের বিপরীত অথবা সালাফে সালিহিনদের কেও এই মত দেন নি। কিংবা, পূর্বে কেও এই মত দিলেও সে মত উম্মাহর অন্যান্য আলেমগণ গ্রহণ করে নি। এর অনুসরণ ও হয় নি। যেমন, ইবনে হাজাম যাহেরী। তিনি কিছু মত দিয়েছেন, যা সকল আলেম প্রত্যাখ্যান করেছে। কেও এর অনুসরণ করে নি। তিনি বলেছেন, 'সন্তানের পিতা ধনী হলে সে তার সন্তানকে হত্যা করতে পারবে। কারণ পবিত্র কুরআনে দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে। ধনী ব্যক্তির তো দারিদ

সালাফের সালাত, ধ্যানমগ্নতার কিছু ঘটনা

১- আবু যুরয়া আর রাযী! বিখ্যাত ইমাম। ইমাম মুসলিম, তিরমিজী, নাসায়ীর উস্তাদ তিনি। ইমাম যাহাবীর ভাষায়, "সায়্যিদুল হুফফাজ"! বায়হাকী ইমাম আহমদ থেকে বর্ণনা করেন, 'আবু যুরয়া ছয় লাখ হাদিসের হাফেজ"! (১) আবু যুরয়া রাজী এক মসজিদের ইমাম। নামাজ পড়াচ্ছেন, ২০ বছর যাবত। একদিন তার কাছে কিছু মুহাদ্দিস আসলেন হাদিসের দরস নিতে। নামাজ শেষ হলো। তারা প্রশ্ন করলেন, - আচ্ছা শায়েখ! নামাজরত ব্যক্তির সামনে মেহরাবে কোন কিছুর লেখার ব্যাপারে আপনার রায় কী? - এটাকে আমি অপছন্দ করি। পূর্ববর্তীরাও অপছন্দ করতেন। - কিন্তু শায়েখ, আপনার মেহরাবে যে কিছু বাক্য লেখা রয়েছে। - সুবাহানাল্লাহ! আমি তো জানিই না। -আশ্চর্য! এখানে আপনি এতবছর নামাজ পড়ছেন, তবুও দেখেন নি? - ইমাম আবু যুরয়া বললেন "সুবাহানাল্লাহ! এটা কীভাবে সম্ভব যে বান্দা আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে, আবার তার সামনে কী লেখা আছে সেটাও দেখবে।" এরপর ছাত্ররা জিজ্ঞেস করলেন, - নামাজে এই খুশু খুজু নিশ্চয় বিশর বিন হারেস ও আহমদ বিন হানবলের সান্নিধ্যের বরকতে হয়েছে? ইমাম রাজী উত্তর দিলেন- না! বিশর ও আহমদ বিন হানবল উম্মাহর ইলমের সর্দার নিঃসন্দেহে। কিন্

মহিলারা কি জানাযার নামাজে অংশ নিতে পারবে?

প্রশ্নঃ মহিলারা কি জানাযার নামাজে অংশ নিতে পারে ? উত্তরঃ মহিলাদের জন্য জানাযার নামাযে বের হওয়া জায়েয নয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবা তাবেয়ীন থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে। তাবেয়ী যার ইবনে আব্দুল্লাহ রাহ. বলেন- كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَّبِعُ جِنَازَةً، فَإِذَا بَامْرَأَةٍ عَجُوزٍ تَتَّبِعُهَا، فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى عُرِفَ الْغَضَبُ فِي وَجْهِهِ، فَأَمَرَ بِهَا فَرُدَّتْ، ثُمَّ وُضِعَ السَّرِيرَ، فَلَمْ يُكَبِّرْ عَلَيْهَا حَتَّى قَالُوا: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ تَوَارَتْ بِأَخْصَاصِ الْمَدِينَةِ قَالَ: ثُمَّ كَبَّرَ عَلَيْهَا রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাযার সাথে ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন একজন বৃদ্ধ মহিলাও জানাযার সাথে সাথে আসছে। এটা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রোধান্বিত হলেন এবং তার মুখম-লে ক্রোধের ছাপ ফুটে উঠল। তখন তার নির্দেশে ঐ বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে দেয়া হল। এরপর খাটিয়া রাখা হল কিন্তু তিনি জানাযা শুরু করলেন না। যখন