শিয়াধর্মের ইমামি ধাঁধা!
সাবাঈ শিয়া ধর্মাবলম্বীরা রাসূল(সা) এর ওফাতের ২৪ বছর পরে ইহুদিদের “মূসার অসি ইউশা” এর অনুকরণে আলী(রা) এর নামে বেলায়েত,অসিয়্যাত চালু করেই ক্ষান্ত হয়নি। যখন দেখল, আহলে বাইতের নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যাচার, প্রকৃত ইসলাম এর বিরুদ্ধে নিজেদের “শিয়া” দলের অস্তিত্ব বজায় রাখা ও ইহুদি-মাজুস মিশ্রিত বিকৃত মতবাদের বিস্তার ঘটানো আবশ্যক; তখন তারা রাসূল(সা) এর বর্ণিত ১২ জন খলিফার হাদিসকে বাহানা হিসাবে দেখাতে চাইল।
আহলে বাইতের মধ্য থেকে ইচ্ছামত ১২ জনকে ইমাম দাবি করে ,তাদের দাবিকৃত ইমামঃ-
১. আলী বিন আবি তালিব(রা)
২. হাসান বিন আলী(রা)
৩. হুসাইন বিন আলী(রা)
৪. আলী বিন হুসাইন(র), যাইনুল আবিদীন
৫. মুহাম্মদ বিন আলী(র), বাকির
৬. জাফর বিন মুহাম্মদ(র), জাফর সাদিক
৭. মুসা বিন জাফর(র), আল কাযিম
৮. আলী বিন মূসা(র), আল-রেযা
৯. মুহাম্মদ বিন আলী(র), আল-জাওয়াদ/আল তাকী
১০. আলী বিন মুহাম্মদ(র), আল হাদী/ আল নকী
১১. হাসান বিন মুহাম্মদ(র), আল আসকারী
১২. মুহাম্মদ বিন হাসান, আল মাহদী {কাল্পনিক, জন্মের পরে গায়েব ১২০০ বছর ধরে!}
এই ইমামত এর ইমাম হবার কেমনে কি – তা শিয়া জাতি ব্যাখ্যায় অক্ষম, যতক্ষণ না সাব্যস্ত হয়যে বাস্তবে এটা খতমে নবুয়্যাত এর বিপরীত আকিদা-নবুয়্যাতের ন্যায় ইমামত সাব্যস্ত করা হয়েছে! শিয়াদের ধরিয়ে দেয়া এই লিস্টিখানা দেখলে মনে হবে, আলী(রা) এর হাসান-হসাইন(রা) ব্যতীত আর কোন সন্তান ছিলনা,হাসান(রা) নিঃসন্তান ছিলেন, এবং হুসাইন(রা) এর বংশের কারো এক পুত্রের বেশি হয় নাই!!
কুরআনের আয়াত ও মুসলিমদের হাদিসের অপ্রাসঙ্গিক অপব্যাখ্যা ব্যতীত শিয়ারা আলী(রা) এর ইমামতের ব্যাপারে যেসব সরাসরি উক্তি তুলে আনে সেগুলা নির্জলা জালিয়াতি, এমনকি বহু ক্ষেত্রে শিয়া-রিজাল(বর্ণনাকারীদের বৃত্তান্ত)মতেই সেগুলা জিন্দীক,মুশরিক,মিথ্যাবাদীদের বর্ণনা! বাস্তব অবস্থা হল, আলি(রা) এর আহলে বাইতের মুখের অভিশাপের প্রমাণও পরিষ্কার মিলে এই শিয়া দাবিকারীদের উপরে।
মূল ঘটনা হল, আলী(রা) এর মৃত্যুর পরেও এই “ইমাম” নিয়ে ঝামেলা চলতে থাকে। শিয়া দাবিকারীদের এক দল আব্বাস(রা) এর থেকে ইমামত দাবি করে! হাসান(রা)এর একাধিক যোগ্য সন্তান থাকা সত্ত্বেও, হুসাইন(রা) এর শাহাদাতের পরে ইমামত দেয়া হয়(!!) হুসাইন(রা) এর পুত্র আলী বিন হুসাইনকে। এ নিয়ে তার ও আলী(রা) এর পুত্র মুহাম্মদ ইবনে হানাফিয়্যা(র) এর মধ্যে পাথর দিয়ে ইমাম নির্ণয়ের কিচ্ছাও আসে! হাসান(রা) এর বংশ তো ইমামত থেকে বাদই, হুসাইন(রা) এর বংশের মধ্যেও যারা শুধু তাঁর পারসিক স্ত্রী এর গর্ভজাত তাদের মধ্য থেকে একের পরে এক ইমাম বানানো হতে থাকে। ঐদিকে আব্বাস(রা) এর বংশেও ইমামত এর দাবি হতে থাকে, যার বেশির ভাগ গ্রুপই পরে বিলুপ্ত হয়। আব্বাসীয়রা ক্ষমতায় আসলে আবার হাসান(রা) এর বংশধরদের অনেকে বিদ্রোহ করেন।
৪র্থ ইমাম আলী বিন হুসাইন(র) এর পরে কাকে ইমাম বানাতে হবে এ নিয়ে আবারো গ্যাঞ্জাম লাগে। এক পক্ষ তাঁর পুত্র যায়দ বিন আলীকে ইমাম দাবি করে, জন্ম নেয় যাইদি গ্রুপের,চলতে থাকে আরো এক ইমামত-সিলসিলা! ৬ষ্ঠ ইমাম জাফর বিন মুহাম্মদ(র) এর পরে কে ইমাম হবে এনিয়েও লাগে বিরোধ, শিয়া-মালুরা “আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত বদল/বাদাআ” এর কিচ্ছাও রচিত করে মুসা কাযিম এর ইমামত সাব্যস্ত করার জন্য! অপর দিকে আরেক পক্ষ ইসমাঈল বিন জাফর এর ইমামত দাবি করে ইসমাইলি গ্রপের ইমামত-ধারা চালু করে! হাসান আসকারী(র) এর কোন সন্তান না থাকায় ১২ সংখ্যা পূর্ণ করতে “অজ্ঞাত,অদৃশ্য পুত্র” এর কিচ্ছা রচনা করা হয়, যাকে দুই দফায় গায়েব দাবি করা হয়, এখনো যে সামারা/যামকারান এর কোথাও আত্নগোপন করে আছে!
এই সাবাঈ শিয়া-ধর্ম ৫০-১০০ বছরে রচিত বা বিকাশিত হয় নাই বরং কয়েক শতাব্দীর লাগাতার জালিয়াতি,মতবিরোধ একে টেনে এনেছে! এভাবে সেই প্রারম্ভ থেকে ইচ্ছামত ইমামত সাব্যস্ত করে আসায় ডজন ডজন ইমামি-দল জন্ম নিতে থাকে ও বিলুপ্ত হতে থাকে। তালখিস আশ-শাফি, ফিরাকুশ শিয়া, বুহুস ফিল-মিলাল ওয়াল নিহাল ইত্যাদি গ্রন্থে দেখা যায় এই ইমামত-নৈরাজ্য কতটা বিকট! সর্বমট প্রায় ১০০ এর বেশি ব্যক্তিকে ইমাম দাবি করা হয়, অথবা মাহদি ইত্যাদি এবং ইমাম-পূজা করা হয়! শিয়া-দাবিকারীদের এসব কাজকর্ম থেকে আহলে বাইত এর বংশধরগণ দায়মুক্ত ছিলেন।
সবার আগে প্রশ্ন আসে, যে রাসূল(সা) এর মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্ণ। এরপরে আবার ইমাম-ধারা কেন থাকবে যারা নবী-রাসূলদের ন্যায় জাতিকে চালাবেন??!! যদি জ্ঞানের প্রসঙ্গ আসে, আমরা মুসলমানরা যে আলী(রা) বা আহলে বাইতকে অবহেলা করেছি তা নয়। আলী(রা),হাসান-হুসাইন(রা) এর বর্ণিত যথেষ্ট পরিমাণ হাদিস ও আহলে বাইত এর বংশধরদের মধ্যে বহু আলেম এর থেকে জ্ঞান আহরণ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে শিয়া-মতবাদের অধিকাংশই বর্জনীয় সনদে মিথ্যাচার, হাস্যকর বর্ণনায় ভর্তি।
রাসূল(সা) এর হাদিসে ১২ জন খলিফা,নেতা- যারা ইসলামকে বিজয়ী করবেন, ইত্যাদির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ১২ ইমামি শিয়ারা যে ১২ জনকে বেছে নিয়ে ইমাম দাবি করে, তাদের মধ্যে আলী(রা),হাসান(রা) ব্যতীত আর কেউই খলিফা,আমির হন নাই! আর হাসান(রা) তো স্বয়ং মুয়াবিয়া(রা) এর হাতে খিলাফত তুলে দেন!!
এই বাস্তবতাকে মিথ্যা প্রবোধে চাপা দিতে শিয়াদের পক্ষ হতে “ইমামরা তাকিয়া অবল্মবন করেছেন(ভয়ের চোটে গোপন করা)” বলা হয়!! আবার কেউ কেউ কিচ্ছা ছাড়ে যে- “আহলে বাইত সর্বদা উমাইয়্যা-আব্বাসীয়দের নির্যাতনে থেকেছেন”!!
হায় বুদ্ধিভ্রষ্ট কাফের জাতি। তারা যে ১২ ইমাম/খলিফা/নেতার হাদিস নিয়ে চাপাবাজি করতে আসে, তাদের কি বিবেকে কি এটূকুও আসে না , যে যারা সাধারণ জীবন কাটিয়েছেন,কেউ কেউ আলিম হিসাবে; আর শিয়াদের হিসাবে “ভীত, নির্যাতিত” অবস্থায় কেটেছে তারা কিভাবে ইসলাম-কে গৌরবদানকারী নেতা হবেন! যাদের মধ্যে ২ জন ব্যতীত আর কেউ নেতৃত্বের অবস্থানেই যান নাই! আর ১২ তম ইমাম দাবিকারী অদৃশ্য ১২০০ বছর বয়স্ক মেহদির কথা তো আরেক উপাখ্যান !
এরকম অযৌক্তিক,নানামুখী,ভিত্তিহীন হবার কারণেই শিয়া-ধর্ম গুরুরা তাদের মতবাদ সম্পর্কে বলেছে-
{ إن ديننا صعب مستصعب☻أن أحاديثنا تشمئز منها القلوب ☻ } নিশ্চয়ই আমাদের দ্বীন(শিয়া ধর্ম) খুবই কঠিন [উসুল আল কাফি ৪০১,৪০২/১; বিহারুল আনওয়ার ১৮২/২] নিশ্চয়ই আমাদের হাদিসগুলোকে অন্তর ফিরিয়ে দিতে চায় [বিহারুল আনওয়ার ১৯২/২]
----------
~ The Rafidologist: এসো শিয়া চিনি
আহলে বাইতের মধ্য থেকে ইচ্ছামত ১২ জনকে ইমাম দাবি করে ,তাদের দাবিকৃত ইমামঃ-
১. আলী বিন আবি তালিব(রা)
২. হাসান বিন আলী(রা)
৩. হুসাইন বিন আলী(রা)
৪. আলী বিন হুসাইন(র), যাইনুল আবিদীন
৫. মুহাম্মদ বিন আলী(র), বাকির
৬. জাফর বিন মুহাম্মদ(র), জাফর সাদিক
৭. মুসা বিন জাফর(র), আল কাযিম
৮. আলী বিন মূসা(র), আল-রেযা
৯. মুহাম্মদ বিন আলী(র), আল-জাওয়াদ/আল তাকী
১০. আলী বিন মুহাম্মদ(র), আল হাদী/ আল নকী
১১. হাসান বিন মুহাম্মদ(র), আল আসকারী
১২. মুহাম্মদ বিন হাসান, আল মাহদী {কাল্পনিক, জন্মের পরে গায়েব ১২০০ বছর ধরে!}
এই ইমামত এর ইমাম হবার কেমনে কি – তা শিয়া জাতি ব্যাখ্যায় অক্ষম, যতক্ষণ না সাব্যস্ত হয়যে বাস্তবে এটা খতমে নবুয়্যাত এর বিপরীত আকিদা-নবুয়্যাতের ন্যায় ইমামত সাব্যস্ত করা হয়েছে! শিয়াদের ধরিয়ে দেয়া এই লিস্টিখানা দেখলে মনে হবে, আলী(রা) এর হাসান-হসাইন(রা) ব্যতীত আর কোন সন্তান ছিলনা,হাসান(রা) নিঃসন্তান ছিলেন, এবং হুসাইন(রা) এর বংশের কারো এক পুত্রের বেশি হয় নাই!!
কুরআনের আয়াত ও মুসলিমদের হাদিসের অপ্রাসঙ্গিক অপব্যাখ্যা ব্যতীত শিয়ারা আলী(রা) এর ইমামতের ব্যাপারে যেসব সরাসরি উক্তি তুলে আনে সেগুলা নির্জলা জালিয়াতি, এমনকি বহু ক্ষেত্রে শিয়া-রিজাল(বর্ণনাকারীদের বৃত্তান্ত)মতেই সেগুলা জিন্দীক,মুশরিক,মিথ্যাবাদীদের বর্ণনা! বাস্তব অবস্থা হল, আলি(রা) এর আহলে বাইতের মুখের অভিশাপের প্রমাণও পরিষ্কার মিলে এই শিয়া দাবিকারীদের উপরে।
মূল ঘটনা হল, আলী(রা) এর মৃত্যুর পরেও এই “ইমাম” নিয়ে ঝামেলা চলতে থাকে। শিয়া দাবিকারীদের এক দল আব্বাস(রা) এর থেকে ইমামত দাবি করে! হাসান(রা)এর একাধিক যোগ্য সন্তান থাকা সত্ত্বেও, হুসাইন(রা) এর শাহাদাতের পরে ইমামত দেয়া হয়(!!) হুসাইন(রা) এর পুত্র আলী বিন হুসাইনকে। এ নিয়ে তার ও আলী(রা) এর পুত্র মুহাম্মদ ইবনে হানাফিয়্যা(র) এর মধ্যে পাথর দিয়ে ইমাম নির্ণয়ের কিচ্ছাও আসে! হাসান(রা) এর বংশ তো ইমামত থেকে বাদই, হুসাইন(রা) এর বংশের মধ্যেও যারা শুধু তাঁর পারসিক স্ত্রী এর গর্ভজাত তাদের মধ্য থেকে একের পরে এক ইমাম বানানো হতে থাকে। ঐদিকে আব্বাস(রা) এর বংশেও ইমামত এর দাবি হতে থাকে, যার বেশির ভাগ গ্রুপই পরে বিলুপ্ত হয়। আব্বাসীয়রা ক্ষমতায় আসলে আবার হাসান(রা) এর বংশধরদের অনেকে বিদ্রোহ করেন।
৪র্থ ইমাম আলী বিন হুসাইন(র) এর পরে কাকে ইমাম বানাতে হবে এ নিয়ে আবারো গ্যাঞ্জাম লাগে। এক পক্ষ তাঁর পুত্র যায়দ বিন আলীকে ইমাম দাবি করে, জন্ম নেয় যাইদি গ্রুপের,চলতে থাকে আরো এক ইমামত-সিলসিলা! ৬ষ্ঠ ইমাম জাফর বিন মুহাম্মদ(র) এর পরে কে ইমাম হবে এনিয়েও লাগে বিরোধ, শিয়া-মালুরা “আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত বদল/বাদাআ” এর কিচ্ছাও রচিত করে মুসা কাযিম এর ইমামত সাব্যস্ত করার জন্য! অপর দিকে আরেক পক্ষ ইসমাঈল বিন জাফর এর ইমামত দাবি করে ইসমাইলি গ্রপের ইমামত-ধারা চালু করে! হাসান আসকারী(র) এর কোন সন্তান না থাকায় ১২ সংখ্যা পূর্ণ করতে “অজ্ঞাত,অদৃশ্য পুত্র” এর কিচ্ছা রচনা করা হয়, যাকে দুই দফায় গায়েব দাবি করা হয়, এখনো যে সামারা/যামকারান এর কোথাও আত্নগোপন করে আছে!
এই সাবাঈ শিয়া-ধর্ম ৫০-১০০ বছরে রচিত বা বিকাশিত হয় নাই বরং কয়েক শতাব্দীর লাগাতার জালিয়াতি,মতবিরোধ একে টেনে এনেছে! এভাবে সেই প্রারম্ভ থেকে ইচ্ছামত ইমামত সাব্যস্ত করে আসায় ডজন ডজন ইমামি-দল জন্ম নিতে থাকে ও বিলুপ্ত হতে থাকে। তালখিস আশ-শাফি, ফিরাকুশ শিয়া, বুহুস ফিল-মিলাল ওয়াল নিহাল ইত্যাদি গ্রন্থে দেখা যায় এই ইমামত-নৈরাজ্য কতটা বিকট! সর্বমট প্রায় ১০০ এর বেশি ব্যক্তিকে ইমাম দাবি করা হয়, অথবা মাহদি ইত্যাদি এবং ইমাম-পূজা করা হয়! শিয়া-দাবিকারীদের এসব কাজকর্ম থেকে আহলে বাইত এর বংশধরগণ দায়মুক্ত ছিলেন।
সবার আগে প্রশ্ন আসে, যে রাসূল(সা) এর মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্ণ। এরপরে আবার ইমাম-ধারা কেন থাকবে যারা নবী-রাসূলদের ন্যায় জাতিকে চালাবেন??!! যদি জ্ঞানের প্রসঙ্গ আসে, আমরা মুসলমানরা যে আলী(রা) বা আহলে বাইতকে অবহেলা করেছি তা নয়। আলী(রা),হাসান-হুসাইন(রা) এর বর্ণিত যথেষ্ট পরিমাণ হাদিস ও আহলে বাইত এর বংশধরদের মধ্যে বহু আলেম এর থেকে জ্ঞান আহরণ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে শিয়া-মতবাদের অধিকাংশই বর্জনীয় সনদে মিথ্যাচার, হাস্যকর বর্ণনায় ভর্তি।
রাসূল(সা) এর হাদিসে ১২ জন খলিফা,নেতা- যারা ইসলামকে বিজয়ী করবেন, ইত্যাদির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ১২ ইমামি শিয়ারা যে ১২ জনকে বেছে নিয়ে ইমাম দাবি করে, তাদের মধ্যে আলী(রা),হাসান(রা) ব্যতীত আর কেউই খলিফা,আমির হন নাই! আর হাসান(রা) তো স্বয়ং মুয়াবিয়া(রা) এর হাতে খিলাফত তুলে দেন!!
এই বাস্তবতাকে মিথ্যা প্রবোধে চাপা দিতে শিয়াদের পক্ষ হতে “ইমামরা তাকিয়া অবল্মবন করেছেন(ভয়ের চোটে গোপন করা)” বলা হয়!! আবার কেউ কেউ কিচ্ছা ছাড়ে যে- “আহলে বাইত সর্বদা উমাইয়্যা-আব্বাসীয়দের নির্যাতনে থেকেছেন”!!
হায় বুদ্ধিভ্রষ্ট কাফের জাতি। তারা যে ১২ ইমাম/খলিফা/নেতার হাদিস নিয়ে চাপাবাজি করতে আসে, তাদের কি বিবেকে কি এটূকুও আসে না , যে যারা সাধারণ জীবন কাটিয়েছেন,কেউ কেউ আলিম হিসাবে; আর শিয়াদের হিসাবে “ভীত, নির্যাতিত” অবস্থায় কেটেছে তারা কিভাবে ইসলাম-কে গৌরবদানকারী নেতা হবেন! যাদের মধ্যে ২ জন ব্যতীত আর কেউ নেতৃত্বের অবস্থানেই যান নাই! আর ১২ তম ইমাম দাবিকারী অদৃশ্য ১২০০ বছর বয়স্ক মেহদির কথা তো আরেক উপাখ্যান !
এরকম অযৌক্তিক,নানামুখী,ভিত্তিহীন হবার কারণেই শিয়া-ধর্ম গুরুরা তাদের মতবাদ সম্পর্কে বলেছে-
{ إن ديننا صعب مستصعب☻أن أحاديثنا تشمئز منها القلوب ☻ } নিশ্চয়ই আমাদের দ্বীন(শিয়া ধর্ম) খুবই কঠিন [উসুল আল কাফি ৪০১,৪০২/১; বিহারুল আনওয়ার ১৮২/২] নিশ্চয়ই আমাদের হাদিসগুলোকে অন্তর ফিরিয়ে দিতে চায় [বিহারুল আনওয়ার ১৯২/২]
----------
~ The Rafidologist: এসো শিয়া চিনি