শিয়া - রাফেযিদের দৃষ্টিতে হজ্ব, মক্কা এবং পবিত্র কা'বা

ইহুদি ঔরসে জন্ম নেয়া শিয়া ধর্ম গত ১৩০০ বছর ধরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে ঘাপটি মেরে আছে এবং যখনি শক্তি অর্জন করেছে, তাকিয়া ভেঙ্গে মুসলিমদের পিঠে ছুরি বসিয়েছে। বিশেষ করে আধুনিক যুগে এসে ইরানের মত শিয়া রাষ্ট্র পরিষ্কার প্রতিভাত হওয়ায় পবিত্র মক্কা-মদিনায় এহেন কাফের-মুশরিকদের বিচরণ রোধ করা জরুরি এবং একি সাথে সম্ভবপর হয়ে উঠে। আসুন জেনে নেয়া যাক রাফেজী শিয়া ধর্মের দৃষ্টিতে হজ্জ ও কাবার অবস্থানঃ-


শিয়া ধর্মে হজ্জের অবস্থানঃ- 


সাবাঈ শিয়া ধর্মে ইহুদি উদ্ভাবিত বেলায়েত/ইমামতই সবকিছু,দাবিকৃত ইমামদেরকে রব/ইলাহ ইত্যাদি বানালেই কাম সারা। ইসলামের ভিতরে মিশে থাকার জন্য সালাত,যাকাত ইত্যাদির কথা বললেও ইবনে সাবার উদ্ভাবিত বেলায়েত তত্বই সব এরকম বলা হয়; ৫ স্তম্ভের মধ্যে কখনো এক্টাকে রেখে আরেকটা বাদ দেয়া হয়, কখনো কলেমা! কখনো হজ্জ। যেমনটা বলা আছে শিয়া ধর্মগ্রন্থের রচিত বর্ণনায়-
☫ আবু জাফর(আঃ) থেকে বর্ণিত-‘ইসলাম ৫টি জিনিসের উপরে নির্মিত- সালাত,যাকাত,সাওম,হজ্জ ও বেলায়াত; অন্য কোনটাকেই বেলায়াতের মত করে আহবান/জোর দেয়া হ নাই। অতপর মানুষ বাকি চারটাকে আঁকড়ে ধরল আর এটা(বেলায়েত)কে ত্যাগ করল’ [আল কাফি, খণ্ড ২, ইমাম ও কুফর অধ্যায়,বাব ১৩; রি-৪]
একি অধ্যায়ের পরের বর্ণনায় বলা হয়েছে- রাবী(বিখ্যাত যিন্দীক যুরারাহ) জিজ্ঞেস করল এই পাঁচটির মধ্যে কোনটী সর্বশ্রেষ্ঠ? জবাবে ইমাম বললেন- বেলায়াত [রিওয়ায়াত ৫]

☢ সাধারণভাবে শিয়া ধর্মের অনুসারীরা হজ্জকে দ্বীনের সম্ভব মনে করে না, যেমন শিয়া ধর্মের এক দাঈর বক্তব্য, হজ্জ সবাই করতে পারে না, তাই সেটা স্তম্ভ হতে পারেনা। স্ক্রীনশট- http://ow.ly/JgiY30443Ts
হজ্জকে স্বীকৃতি দেয়া হলেও সেটাকে কুফরি বেলায়েত, ইমামদের মাজারপূজা ইত্যাদির উপরে নির্ভরশীল করা হয়ঃ-
☫ শিয়াদের মৌলিক ধর্মগ্রন্থ আল কাফি,৪র্থ খণ্ড,যিয়ারত অধ্যায়ে , বাব-৩৪১ এ বলা হয়েছে- ‘আবি জাফর(আ) বলেন- ইমামের সাক্ষাতে হজ্জ পরিপূর্ণ হয়’ [রিওয়ায়াত ২; পৃ ৩১৬]
☫ শিয়া ধর্মের আকিদা-গুরু শায়খ সাদুক তার ফিকহের কিতাব,যা শিয়াদের প্রধান ৪ কিতাবের একটি, তাতে লিখেছে- ‘যে ইমামের সাথে দেখা(মাজারে) করল তার হজ্জ সম্পূর্ণ হল’ [মান লা ইয়াহযুরুহুল ফকীহ, খণ্ড ২- বর্ণনা ৩১৬২]
অর্থাৎ, হজ্জ তখনি পুরা হবে যখন কেউ ইরাকে গিয়ে ইমামদের মাজারে গিয়ে পারস্যের অগ্নিপূজকদের কায়দা-কানুন অনুযায়ী জঘন্য শিরকে মেতে উঠবে! ইহুদিজাত শিয়া ধর্মে তো হজ্জকে এক্কেবারেই তুচ্ছ করে ফেলা হয় এভাবে এবং মাজারপূজার উপরে নির্ভরশীল করে রাখা হয়!

☢ সূরা হাজ্জঃআয়াত ২৯ এ হজ্জের প্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে “এরপর তারা যেন দৈহিক ময়লা দূর করে দেয়, তাদের মানত পূর্ণ করে এবং এই সুসংরক্ষিত গৃহের তাওয়াফ করে।” শিয়া ধর্মের এই আয়াতকে বানানো হয়েছে ইমামদের সাক্ষাতে করলে ময়লা দূর করতে হবে –( ليقضوا تفثهم لقاء الامام) [আল কাফি,কিতাবুল হজ্জ, খণ্ড ৪,বাব ৩৪১, রি-৪] এভাবে হজ্জের আয়াতের পাকপবিত্র হবার হুকুমকে ইমামদের যিয়ারতের সঙ্গে মিলানো হয়েছে!
শিয়া ধর্মের আকিদাগুরু ইবনে বাবুইয়্যা আল-কুম্মীও তার কিতাবে বলেছে- “ইমামদের সাক্ষাতে/যিয়ারতে দেহের অপরিচ্ছন্নতা দূর” [মান লা ইয়াহযুরুহুল ফকীহ, খণ্ড ২- বর্ণনা ৩০৩১]
কুরআনের তাওহিদের আয়াত যেরকম আল্লাহ্‌র সাথে শরীক করার স্থানে শিয়ারা “আলীর বেলায়াতে শিরক” করার অর্থ বানিয়েছে, তেমনি হজ্জের আমলকেও কারবালা-নাজাফের মাজারপূজার সাথে একীভূত ও সমমর্যাদার বানিয়ে নিয়েছে!

☢ শিয়া ধর্মাবলম্বীরা প্রায়ই মুখ ফসকে বলে দিয়ে থাকে যে, তাদের কাছে কাবা ঘরের বিশেষত্ব হল সেটী আলী(রা)এর জন্মস্থান। প্রখ্যাত শিয়া যাজক মুহাম্মদ হুসায়ন আ’লে কাশফুল গাতা লিখেছে-
‘কা’বার দিকে মুখ করাটার প্রকৃত অর্থ হলো ঐ নূরের দিকে মুখ করা যেই নূরটা ওনার(আলী) জন্মর সময় ওখানে ছিল; নতুবা কাবার দিকে ইবাদত করা ইট-পাথর উপাসনা করার মত’ [জান্নাতুল মা’ওয়া পৃষ্ঠা ১০৭]
অর্থাৎ পরিষ্কার ভাষায় আলী-পূজা করতে হবে! নাঊযুবিল্লাহ!

কাবার অভ্যন্তরে আলী(রা)এর জন্মের রূপকথাঃ-

কাবাঘরে জন্মগ্রহণ করার একমাত্র সঠিক রেকর্ড খাদিজা(রা) এর ভাইয়ের ছেলে হাকিম ইবন হিযাম(রা)এর [সহি মুসলিম ৩৭১৬] ; এই বর্ণনা যদি ইচ্ছাকৃত বা মিথ্যা হত, তাহলে আবু বকর(রা),উমর(রা) বা উসমান(রা)এর নামে দেয়া হত। কিন্তু মুসলমানদের কাছে কাবায় জন্ম নেয়া কোন বড় বিষয় না এবং মুসলিমরা মিথ্যাচার করে না।
মুসলমানদের মধ্যে শুধুমাত্র আব্দুল হাকিম নিশাপুরী(র) সূত্র ছাড়া নিজ থেকে এই কথা বলেছেন যে আলী(রা)এর জন্ম কাবা ঘরের অভ্যন্তরে, যদিও ইবন হাজর আস্কালানী(র) সহ অন্যান্য হাদিস বিশারদগণ বলেছেন যে, মুসতাদরাক কিতাবে সকল সহি আনার নিয়ত করলেও অবহেলাবশত প্রচুর খারাপ বর্ণনা এসে গেছে। এছাড়া আব্দুল হাকিম নিশাপুরী(র) তাঁর বাছাইয়ের কাজ সম্পন্নের পূর্বেই মারা যান।

☠ পবিত্র মক্কা-মদিনার প্রতি জঘন্য ঘৃণা প্রকাশ শিয়া-ধর্মে


শিয়া-ধর্মের বাইবেল খ্যাত “উসুল আল কাফি”তে উল্লেখঃ-
[হাঃ৩] আবু আবদুল্লাহ(আ)বলেন-শাম(সিরিয়া)এর লোকেরা রোমবাসীদের চেয়ে নিকৃষ্ট।মদিনাবাসীরা মক্কার লোকেদের চেয়েও নিকৃষ্ট।আর মক্কাবাসীরা খোলাখুলি আল্লাহ্‌কে অবিশ্বাস করে।
[হাঃ৪] মক্কার লোকেরা খোলাখুলি আল্লাহ্‌কে অবিশ্বাস করে।আর মদিনাবাসীরা মক্কাবাসীদের চেয়েও নিকৃষ্ট-৭০ গুণ নিকৃষ্ট
[উসুল আল কাফি,খণ্ড ২(পৃষ্ঠা ৬৮৪)]
ইহুদি থেকে জন্ম নেয়া শিয়া জাতি মক্কা-মদিনার প্রতি কুৎসিত আকিদা রাখবে তা অস্বাভাবিক না! প্রকৃতপক্ষে, আহলে বাইতের নামে সব রচনা করা হয়েছিল, যাতে হারামাইন শরীফের প্রতি সাধারণ মানুষের ঘৃণা জন্মিয়ে, ইরাকের কারবালায় শিরকি-কার্যক্রম জমজমাট করানো যায়।

☠ আরাফা ময়দানের হাজী ও কারবালা যিয়ারতকারীদের তুলনাঃ

আরাফার দিনে হজ্জে না গিয়ে বরং সেই মৌসুমে কারবালায় থাকলে বেশি সাওয়াব- এমনি বলা হয়েছে শিয়া ধর্মগ্রন্থে!
শিয়াদের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসের কিতাব বিহারুল আনওয়ারে লেখাঃ
~আরাফার দিনে কারবালা যিয়ারত করলে ১০০০ হজের,১০০০ উমরাহ্‌,১০০০ গাযওয়া এর সওয়াব !!! [৮৫/১০১]
~আরাফার হাজীদের মধ্যে ব্যভিচারের সন্তান থাকে কিন্তু কারবালা যিয়ারতকারীদের মধ্যে কোন ব্যভিচারের সন্তান থাকেনা!! [৮৬/১০১]
নাউযুবিল্লাহ! আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস রাখি যে হাজীদের সকল গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন। আর ইহুদিদের জারয সন্তান শিয়াদের আকিদায়- তাদের জারয বলা হচ্ছে! কোথায় কারবালায় মাতমকারী জংলি মুশরিক আর কোথায় আরাফার ময়দানের নিষ্পাপ হাজী !!

☠ শিয়া ধর্মে পবিত্র কাবা ঘরের প্রতি চরম বিদ্বেষ

শিয়াদের ধর্ম চলেই শিরক-কুফর আর আহলে বাইতের নামে মিথ্যা বর্ণনার উপরে।
শিয়াদের বিখ্যাত ধর্মীয় কিতাব কামিলায যিয়ারাত কারবালা-পূজার নিয়ম নীতি দিয়ে ভর্তি। ৪৪৯ পৃষ্ঠায় শুরু হয়া একটি রিওয়ায়েত, ৪৫০ গিয়ে বলা হয়েছে
#৬৭৫ বর্ণনায়- “কারবালা সৃষ্টি না করলে কাবা ঘর সৃষ্টি করা হত না”!!! (নাউযুবিল্লাহ)
তার নিচে আরেকটি রিওয়ায়েতে বলা হচ্ছে-
#৬৭৭ “ আল্লাহ কাবা সৃষ্টির ২৪ হাজার বছর আগে কারবালা সৃষ্টি করে তাকে পবিত্র ও বরকতপূর্ণ করেছেন!! "
ইহুদিদের নাজায়েয সন্তান শিয়াদের মূল উদ্দেশ্য পবিত্র হজ্জ, আরাফা ময়দান ইত্যাদিকে খাটো করা ও তাদের ধর্মীয় তীর্থস্থান কারবালাকে হজ্জের চেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়া, যেখানে গিয়ে তারা শূকরের মত মাটি মাখে গায়ে, শরীরে শিকল মারে ও হুসাইন(রা) এর কবরে শিরকে লিপ্ত হয়!
শিয়া ধর্ম ইহুদিদের চক্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে, আর মূল উদ্দেশ্য ইসলামের মূল ভিত্তিকে অপদস্থ করা!

☠ হাজীদেরকে শূকর ও বানরের সাথে তুলনা করা হয়েছে শিয়া ধর্মে

শিয়া ধর্মগুরু মুহাম্মদ বিন হাসান বিন ফাররুখের অন্যতম প্রধান শিয়া ধর্মগ্রন্থে আহলে বাইতের বরাতে উল্লেখ-
আবু বাসীর বলেনঃ আমি আবু আব্দুল্লাহ(আ)এর সাথে হজ্জে ছিলাম। তাওয়াফের সময় বললাম- আপনার জন্য আমি উৎসর্গ হে রাসূলুল্লাহর বংশধর, আল্লাহ্‌ এদেরকে(তাওয়াফকারী) ক্ষমা করেছেন? তিনি(আ) বললেন- “হে আবু বাসীর, এদের দেখছ নিশ্চয়ই তাদের অধিকাংশই বানর ও শূকর!” আমি বললাম,আমাকে দেখান। তিনি কিছু কথা বলে আমার চোখে হাত রাখলেন এরপরে আমি হাজ্জীদের বানর ও শূকর দেখলাম,আমি এতে বিস্মিত হলাম।এরপরে আবার তিনি আমার চোখে হাত বুলালে আমি তাদেরকে আগের অবস্থায় দেখলাম।
[বাসাইর আদ-দারাজাত,পৃ ৩১০,খণ্ড ৬ ]
পবিত্র কাবা ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ এবং একি সাথে কারবালার শিরক-উৎসব চাঙ্গা করার জন্যই শিয়া ধর্মে এসব বর্ণনা রাখা হয়েছে!

☢ সাবাঈ শিয়া ধর্মে কারবালা যিয়ারতই হজ্জ-

কারবালা যিয়ারতের তুলনায় হজ্জকে তুচ্ছ করে শিয়া ধর্মগ্রন্থে রিওয়ায়াত-
“ আবু আব্দুল্লাহ(আঃ) রাবীকে বলেন- তোমাকে অমুকে বলেছে নব্বইটা হজ্জ আর নববইটা উমরাহ্‌ করেছে। এরপরে তিনি বললেন- আমি তোমাকে অন্য হজ্জ ও অন্য উমরাহ লিখে দিচ্ছি তা হল হুসাইন(আ)এর কবর যিয়ারত কর। এরপরে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- তোমার কাছে কোনতা প্রিয়, বিশখানা হজ্জ ও উমরাহ করা, নাকি হুসাইন(আ)এর সাথে হাশর হওয়া? রাবী বলল- নিশ্চয়ই হুসাইন(আ)এর সাথে হাশর” [বিহারুল আনওয়ার ৩৮পৃ/খণ্ড ১০১; ওয়াসায়েল আশ-শিয়া রি-১৯৫৬৯; তাহযিবুল আহকাম ৪৭/৬]

নাঊযুবিল্লাহ! হুসাইন(রা)এর সাথে এই নিকৃষ্ট মাজুস,বেঈমান শিয়াদের হাশর কক্ষনোই হবেনা ইনশাআ আল্লাহ্‌।
পারসিক মাজুসদের সংস্কৃতিতে বিকাশ লাভ করা শিয়া ধর্মে এই শিক্ষা দেয় যে, হুসাইন(রা)এর কবরে গিয়ে মাজুসি কর্মকাণ্ড করলেই বরং হজ্জের চেয়ে ভাল।

☢ শিয়া ধর্মগ্রন্থে হজ্জের সমান মর্তবা কারবালার কবর পূজার কার্যক্রমকে দিয়ে বলা আছে-

“যে হুসাইন(আ)এর কবর যিয়ারত করল তার আগের-পরের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হল” [সাওয়াবুল আমাল পৃ ১১৩] এছাড়া পরের পৃষ্ঠায় আরো বলা হয়েছে – ‘হুসাইন(আ)এর কবর যিয়ারত করা হজ্জ ও উমরার সমান’ ।
সাবাঈ শিয়া ধর্মে হজ্জের চেয়ে কারবালা গেলে বেশি সওয়াব-
“যে ব্যক্তি কারবালা যিয়ারতে গেল তার জন্য আল্লাহ্‌ আশিটি মাবরুর হজ্জ লিখে রাখবেন” [ওয়াসায়েল আশ-শিয়া, রিওয়ায়াত ১৯৫৭৭]
“নিশ্চয়ই হুসাইন(আ)এর কবর যিয়ারত করা ২০ হজ্জ ও ২০ উমরার চেয়ে উত্তম” [ফুরু আল কাফি ৩২৪/১; সাওয়াবুল আমাল ৫২]
অর্থাৎ হজ্জে গেলেও যা কারবালায় গিয়ে শূকরের মত মাটি মেখে, গরিলার মত বুক দাবড়িয়ে মাতম করলেই সেই ফযিলাত আদায় হয়ে যাবে!

☠ পবিত্র মক্কায় প্রাণহানি ও দখল নেয়া শিয়া ধর্মের লক্ষ্যঃ

পারস্যের মাজুস ও ইহুদিরা আদিকাল থেকেই কাবার প্রতি বিদ্বেষপোষণকারী। তাদের ঔরসজাত শিয়ারা যখনি সুযোগ পেয়েছে মকাক দখলের চেষ্টা চালিয়েছে ও এখনো চালাচ্ছে।

কাবা ধবংসের নিয়ত শিয়া ধর্মগ্রন্থেও দেখা যায়-
☢ শিয়াদের কল্পিত গুহাবাসী ১২তম ইমাম ওরফে ভুয়া মাহদির ব্যাপারে বলা হয়েছে যে- তাদের ইমাম গায়েব/পলাতক অবস্থা থেকে বের হয়ে মাসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ভাংতে ভাংতে তার ভিত্তি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে {বিহারুল আনওয়ার ৩৮/৫২}

আসুন দেখে ইতিহাসের আদি থেকে , যখনি শক্তি পেয়েছে, কিভাবে শিয়ারা মক্কা,কাবা দখলের চেষ্টা চালিয়েছে-
☀ শিয়া ধর্মের একটি বড় শাখা ইসমাইলিদের আদি গোত্র কারামাতি। এই দুর্ধর্ষ কারামাতি শিয়ারা ৩১২ হিজরিতে দফায় দফায় হাজীদের উপরে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার হাজীকে শহীদ করে। এক পর্যায়ে তারা কাবায় হামলা চালিয়ে হাজরে আসওয়াদ পাথরটি লুট করে নিয়ে যায় শিয়া ধর্মের তীর্থস্থান কুফা নগরীতে/ প্রায় ৪০ বছর পরে আব্বাসী খলিফারা মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়ে সেটিকে ফিরিয়ে আনেন। বিস্তারিত ইবন কাছির(র) এর আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাবের ১১ত্ম খণ্ডে।

☀ সাহাবাদের আমলের পর থেকে পারস্যে আগে ইসলাম অধ্যুষিত ছিল। ১৬শ শতাব্দীতে ১২ ইমামি কাফের ইসমাইল সাফাভি পারস্য দখল করে ব্যাপক মুসলিম নিধনের মাধ্যমে। এরপরে সে তার কুফরি বক্তব্যে সমর্থনের বিনিময়ে পারস্য হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজাদের হজ্জে যেতে দিত,নতুবা বাঁধা দিত। মুঘল বাদশাহ জহিরুদ্দিন বাবুরের জীবনীতে এই ঘটনা পাওয়া যায়।

☀ আধুনিক যুগে রাষ্ট্র ব্যবস্থা আলাদা,পাসপোর্ট ইত্যাদি আলাদা হওয়ায় শিয়াদের হজ্জে যেতে না দেয়ার সুযোগ আসে। যদিও ক্ষমতাচিন্তক সৌদি সরকার সেভাবে ভাবেনি। ঐদিকে আশির দশকে গজিয়ে উঠা শিয়া কাফের রাষ্ট্র ইরান কিন্তু ঠিকই পাঁয়তারা করে যাচ্ছিল। ফ্রান্সে-ইংল্যান্ডে বসে ইরানী বিপ্লব ঘটনাও আলী শরিয়াতী ও আয়াতুল্লাত খোমেনী তাদের জনতাকে উষ্কাতে থাকে মক্কায় দাঙ্গা বাঁধিয়ে দখলে নেবার জন্য। এরি ফলশ্রুতিতে একের পরে এক দুর্ঘটনা ও আক্রমণ ঘটতে থাকে। ১৯৭১ সাল থেকেই খোমেনী তার অনুসারীদের বলে আসছিল হজ্জে গিয়ে রাজনৈতিক কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য।

☀ ১৯৭৯ সালে,খোমেনীর বিপ্লবের পরেই ফেত্না চরম আকার ধারণ করে। ৭৯’ সালে সৌদি আলেমদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে একদল সশস্ত্র লোক মাসজিদুল হারাম মক্কা দখলে নেয়,পরে সৌদি সরকার পাকিস্তানের SSG সেনা(সৌদির প্রতিরক্ষার জন্য নিয়োযিত)দের দিয়ে তা দমন করে। উল্লেখ্য, সেই বিদ্রোহের নেতা মেহদি দাবি করেছিল নিজেকে। আর শিয়াদের মধ্যে ভুয়া মাহদির রোগ ১৩০০ বছরে ধরে চলে আসছে, সবাই তো গায়েব হওয়া পলাতক মাহদির গল্প হজম করতে পারেনি।

☀ ১৯৮৬ সাল, একদল ইরানি শিয়া প্রচুর পরিমাণে TnT বিস্ফোরক নিয়ে হাজীর বেশে এসে ধরা পরে যায়। প্রায় শতাধিক ইরানি শিয়াকে সৌদি প্রতিরক্ষা বাহিনী এয়ারপোর্টেই আটকে দেয়। শত-হাজার মুসলমান বেচে যায় শিয়াদের ঘৃণ্য চক্রান্ত থেকে।
☀ ১৯৮৭ সাল, ৩১ জুলাই, হজ্জের নাম করে আসা ইরানি বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা লাগিয়ে মক্কার হাজীদের ঘিরে রাখে। সৌদি নিরাপত্তাবাহিনী দমন করতে গেলে প্রায় আড়াইশ’র বেশি ইরানি শিয়া নিহত হয়।

☀ ১৯৮৯ সাল, হজ্জের সময়ে পবিত্র মক্কায় ২টি বিস্ফোরণ ঘটায় শিয়ারা। ১ জন নিহত এবং বহু আহত হন। পরে এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ১৬ জন কুয়েতী শিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
শিয়াদের নতুন চক্রান্ত চলতে থাকে হুড়াহুড়ির ঘটনা ঘটিয়ে হতাহত করা। ৯০ সাল থেকেই অদ্ভুত ধারায় কয়েক দফা এরকম ঘটে।

সর্বশেষ গত ২০১৫ সালে হজ্জের প্রক্রিয়া চলাকালে ইরানি শিয়াদের এক বিশাল দল বিপরীত দিক থেকে এসে হাজ্জীদের মাঝে “ইয়া আলি” শ্লোগান দিয়ে ঢুকে পরে এবং স্মরণকালের ভয়াবহ পদদলিত মৃত্যুর ঘটান ঘটায়। ঘটনার আগে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ভিন্ন নামে সৌদি আরব ঘুরে গিয়ে প্ল্যান সেট করে যায়।
ইরানি টিভি চ্যানেলে এভাবেই মক্কা-হামলার কল্পিত দৃশ্য দেখিয়ে শিয়াদের উত্তেজিত করা হয়- http://ow.ly/8gvW3045tob

আল্লাহ্‌ রাব্বুল আ’লামীন শিয়া মালাঊনদের থেকে মক্কা-মদিনাকে পবিত্র রাখুন এবং মুসলিমদেরকে তাদের চক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন।

এই সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

ডাউনলোড করুন মাকতাবায়ে শামেলা লেটেস্ট ভার্শন (মোবাইল এবং পিসির জন্য)

রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)

ইসতিখারার সুন্নত তরিকা + pdf