সংক্ষেপে শিয়াদের উৎপত্তির ইতিহাস
শিয়া জাতি নিয়ে আলোচনার জন্য সুবিশাল রেফারেন্স এর ভাণ্ডার রয়েছে।তবে সার-সংক্ষেপে জেনে নিন-
রাসূল(সা) এর জীবদ্দশায় ইসলাম গৌরব এর মুখ দেখে। আবু বকর(রা) তাঁর ২ বছরের সংক্ষিপ্ত খিলাফতে মুরতাদ দমন সহ অন্যান্য প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেন।উমর ফারুক(রা) এর খিলাফতে ইসলামী হুকুমত সুবিশাল ডানা মেলে বিস্তৃত হয়।বিজিত হয় বাইতুল মুকাদ্দাস ও পারস্য সাম্রাজ্য।
একদিকে যেমন ইহুদি-নাসারাদের ক্ষোভ ছিল ইসলাম এর প্রতি, আরেকদিকে অগ্নিপূজক পারসিক মাজুসরাও জিঘাংসার চোখে দেখে আসছিল ইসলামকে।কিন্তু শক্তিশালী অবস্থার কারণে কিছু করতে সাহস হচ্ছিল না। কাফের-মুশরিকদের মনে ভয় ধরানো খলিফা উমর(রা)কে ফজরের সালাতের মধ্যে হামলা করে শহীদ করে ইরানি মাজুস আবু লুলু ওরফে ফিরোয।
তারপরে উসমান(রা) এর খিলাফতকে ফিতনা ছড়ানোর জন্য বেছে নেয় ইসলাম এর দুশমনরা। আগেই জানা ছিল যে,কাফের-পরিচয় নিয়ে ইসলাম এর কিছু করা সম্ভব না। তাই মুসলিম নাম নিয়ে ইসলাম এর ভিতরে ঢুকে আস্তিনের সাপ হয়ে ছোবল মারার পরিকল্পনা করে তারা। এই কাজের প্রধান নেতৃত্বদাতার ভূমিকা পালন করে ছুপা ইয়েমেনী ইহুদি আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা।
সে উসমান(রা) এর খিলাফতের দুর্বল দিকগুলা নিয়ে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে অপপ্রচার করে ও উষ্কানি দেয়- উসমান (রা) খিলাফত কালে মজলিশ সূরায় নেয়া সুক্ষ বিষয়গুলো নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে এবং সেগুলো খলিফার একক সিদ্ধান্ত হিসাবে প্রচার করে তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে অপপ্রচার করে ও উষ্কানি দেয়। সাথে সাথে মুনাফিকদের একটি দলকে সংঘবদ্ধ করে অনাচার সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।
৩৪ হিজরি সনে, হজ্জের মৌসুমে যখন বেশিরভাগ সাহাবীরা বেশিরভাগ মক্কায় চলে গিয়েছিলেন , তখন ছুপা ইহুদি আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার অনুসারী বিদ্রোহীরা ২ দলে ভাগ হয়ে মিশর ও ইরাক থেকে মদিনায় আসে। এসে তারা গোলযোগ শুরু করে। এমন অবস্থায় ১ মাস অবরুদ্ধ রাখার পর একফাকে বিদ্রোহীদের মধ্যে থাকা সাবাঈ গুপ্তঘাতকরা মহান সাহাবী খলিফা উসমান(রা) কে হত্যা করে। আলী(রা) ও আরো কয়েকজন সাহাবী তাঁর বাড়ি পাহাড়া দিতেন। কিন্তু শাহাদাতের আগে উসমান(রা) সকলকে অস্ত্র ধারণ করতে নিষেধ করেন। কারণ রাসূল পাক(সা) তাঁকে স্বপ্নে বলেছিলেন- "উসমান। তুমি কাল আমাদের সাথে এসে ইফতার কর।" সেকারণে উসমান(রা) তাঁর বাড়ির পাহারা তুলে দিতে বলেন। শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর নির্দেশ ছিল সাহাবীদের প্রতি ,যেন বিদ্রোহীদের উপরে হামলা না করে কথা বলার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। পবিত্র কুরআন এর কপির সংকলক কুরআন পড়া অবস্থায় ঘাতক মালাঊনদের হাতে শহীদ হন।
উসমান(রা) কে হত্যার পর অভিশপ্ত বিদ্রোহী বাহিনী আলী(রা) এর কাছে গিয়ে জবরদস্তি বাইয়াত নেয় , আলী(রা) পরিস্থিতি সামাল দিতে খিলাফত গ্রহণ করেন কিন্তু বিদ্রোহী বাহিনী কয়েক হাজারের উপরে হওয়ায় উনার পক্ষে উসমান(রা) এর হত্যার বিচার তৎক্ষণাৎ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এরপরে থেকে সেই জঘন্য ফাসিক বাহিনী আলী(রা) এর অতিভক্তি দেখিয়ে তার পিছে থেকে ও তাঁকে ঘিরে থাকে। প্রয়োজনে আলী(রা) কে হুমকি দিয়ে নিজের পছন্দমত কাজ করাতে চেষ্টা করে। এদেরি একটা অংশ সিফফীনের যুদ্ধের সময় আলী(রা) এর মুয়াবিয়া(রা) এর সাথে সন্ধি গ্রহণ,সালিশ এর সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত বিরোধিতা করে "খারেজি" হিসেবে বেরিয়ে যায়। বাকিরা নিজেদের "আলীর দল" হিসেবে বহাল রেখে শিয়া জাতির উদ্ভব ঘটায়।
এরাই কুফা শহরে অবস্থান নিয়ে ফিতনা ফাসাদ করে।হাসান(রা) এর এদের উপরে ত্যক্ত হয়ে মুয়াবিয়া(রা) এর কাছে খিলাফত হস্তান্তর করেন। অত্যাচারী ইয়াযিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য হুসাইন(রা) কে শিয়ারা মদিনা থেকে ডেকে এনে শত্রুর মুখে ছেড়ে দেয়। এমনকি কুফাবাসী এই শিয়াদের অনেকে টাকার বিনিময়ে হুসাইন(রা) এর হত্যাকারী বাহিনীতে অংশ নেয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক হলেও, পরবর্তীতে তা বানয়াট মতবাদ হিসেবে বেরে উঠতে থাকে,আহলে বাইতের নামে মিথ্যাচার যার মূল বিষয়বস্তু। তাতারিদের হাতে বাগদাদ এর পতনের পরে তা জোরদার হয় ও ইরানে ১৬শ শতাব্দিতে সাফাভি আগ্রাসন এর পরে তা নতুন রূপ লাভ করে। সর্বশেষ ইরানি বিপ্লব শিয়া মতবাদের প্রচারের ভয়াবহ ফিতনা হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বর্তমানে শিয়ারা নিজেদের উৎপত্তির সূত্র টানতে রাসূল(সা) এর গাদিরে খুমের ঘোষণা টানার চেষ্টা করে,যা হাস্যকর অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। >> মোটকথা কোন সরাসরি সূত্র পেশ করতে ব্যর্থ তারা।
প্রথম তিন খিলাফতের সময়ে আহলে বাইত এর উপরে নির্যাতন ও ভয়ের চোটে আহলে বাইত গুটিয়ে রয়েছেন এইসব গাঁজাখুরি কিচ্ছাও রটায়, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ত্রুটিপূর্ণ রেফারেন্স এর উপরে টেনেহিচড়ে নির্ভরশীল।
---------
~ The Rafidologist
রাসূল(সা) এর জীবদ্দশায় ইসলাম গৌরব এর মুখ দেখে। আবু বকর(রা) তাঁর ২ বছরের সংক্ষিপ্ত খিলাফতে মুরতাদ দমন সহ অন্যান্য প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেন।উমর ফারুক(রা) এর খিলাফতে ইসলামী হুকুমত সুবিশাল ডানা মেলে বিস্তৃত হয়।বিজিত হয় বাইতুল মুকাদ্দাস ও পারস্য সাম্রাজ্য।
একদিকে যেমন ইহুদি-নাসারাদের ক্ষোভ ছিল ইসলাম এর প্রতি, আরেকদিকে অগ্নিপূজক পারসিক মাজুসরাও জিঘাংসার চোখে দেখে আসছিল ইসলামকে।কিন্তু শক্তিশালী অবস্থার কারণে কিছু করতে সাহস হচ্ছিল না। কাফের-মুশরিকদের মনে ভয় ধরানো খলিফা উমর(রা)কে ফজরের সালাতের মধ্যে হামলা করে শহীদ করে ইরানি মাজুস আবু লুলু ওরফে ফিরোয।
তারপরে উসমান(রা) এর খিলাফতকে ফিতনা ছড়ানোর জন্য বেছে নেয় ইসলাম এর দুশমনরা। আগেই জানা ছিল যে,কাফের-পরিচয় নিয়ে ইসলাম এর কিছু করা সম্ভব না। তাই মুসলিম নাম নিয়ে ইসলাম এর ভিতরে ঢুকে আস্তিনের সাপ হয়ে ছোবল মারার পরিকল্পনা করে তারা। এই কাজের প্রধান নেতৃত্বদাতার ভূমিকা পালন করে ছুপা ইয়েমেনী ইহুদি আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা।
সে উসমান(রা) এর খিলাফতের দুর্বল দিকগুলা নিয়ে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে অপপ্রচার করে ও উষ্কানি দেয়- উসমান (রা) খিলাফত কালে মজলিশ সূরায় নেয়া সুক্ষ বিষয়গুলো নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে এবং সেগুলো খলিফার একক সিদ্ধান্ত হিসাবে প্রচার করে তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে অপপ্রচার করে ও উষ্কানি দেয়। সাথে সাথে মুনাফিকদের একটি দলকে সংঘবদ্ধ করে অনাচার সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।
৩৪ হিজরি সনে, হজ্জের মৌসুমে যখন বেশিরভাগ সাহাবীরা বেশিরভাগ মক্কায় চলে গিয়েছিলেন , তখন ছুপা ইহুদি আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার অনুসারী বিদ্রোহীরা ২ দলে ভাগ হয়ে মিশর ও ইরাক থেকে মদিনায় আসে। এসে তারা গোলযোগ শুরু করে। এমন অবস্থায় ১ মাস অবরুদ্ধ রাখার পর একফাকে বিদ্রোহীদের মধ্যে থাকা সাবাঈ গুপ্তঘাতকরা মহান সাহাবী খলিফা উসমান(রা) কে হত্যা করে। আলী(রা) ও আরো কয়েকজন সাহাবী তাঁর বাড়ি পাহাড়া দিতেন। কিন্তু শাহাদাতের আগে উসমান(রা) সকলকে অস্ত্র ধারণ করতে নিষেধ করেন। কারণ রাসূল পাক(সা) তাঁকে স্বপ্নে বলেছিলেন- "উসমান। তুমি কাল আমাদের সাথে এসে ইফতার কর।" সেকারণে উসমান(রা) তাঁর বাড়ির পাহারা তুলে দিতে বলেন। শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর নির্দেশ ছিল সাহাবীদের প্রতি ,যেন বিদ্রোহীদের উপরে হামলা না করে কথা বলার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। পবিত্র কুরআন এর কপির সংকলক কুরআন পড়া অবস্থায় ঘাতক মালাঊনদের হাতে শহীদ হন।
উসমান(রা) কে হত্যার পর অভিশপ্ত বিদ্রোহী বাহিনী আলী(রা) এর কাছে গিয়ে জবরদস্তি বাইয়াত নেয় , আলী(রা) পরিস্থিতি সামাল দিতে খিলাফত গ্রহণ করেন কিন্তু বিদ্রোহী বাহিনী কয়েক হাজারের উপরে হওয়ায় উনার পক্ষে উসমান(রা) এর হত্যার বিচার তৎক্ষণাৎ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এরপরে থেকে সেই জঘন্য ফাসিক বাহিনী আলী(রা) এর অতিভক্তি দেখিয়ে তার পিছে থেকে ও তাঁকে ঘিরে থাকে। প্রয়োজনে আলী(রা) কে হুমকি দিয়ে নিজের পছন্দমত কাজ করাতে চেষ্টা করে। এদেরি একটা অংশ সিফফীনের যুদ্ধের সময় আলী(রা) এর মুয়াবিয়া(রা) এর সাথে সন্ধি গ্রহণ,সালিশ এর সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত বিরোধিতা করে "খারেজি" হিসেবে বেরিয়ে যায়। বাকিরা নিজেদের "আলীর দল" হিসেবে বহাল রেখে শিয়া জাতির উদ্ভব ঘটায়।
এরাই কুফা শহরে অবস্থান নিয়ে ফিতনা ফাসাদ করে।হাসান(রা) এর এদের উপরে ত্যক্ত হয়ে মুয়াবিয়া(রা) এর কাছে খিলাফত হস্তান্তর করেন। অত্যাচারী ইয়াযিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য হুসাইন(রা) কে শিয়ারা মদিনা থেকে ডেকে এনে শত্রুর মুখে ছেড়ে দেয়। এমনকি কুফাবাসী এই শিয়াদের অনেকে টাকার বিনিময়ে হুসাইন(রা) এর হত্যাকারী বাহিনীতে অংশ নেয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক হলেও, পরবর্তীতে তা বানয়াট মতবাদ হিসেবে বেরে উঠতে থাকে,আহলে বাইতের নামে মিথ্যাচার যার মূল বিষয়বস্তু। তাতারিদের হাতে বাগদাদ এর পতনের পরে তা জোরদার হয় ও ইরানে ১৬শ শতাব্দিতে সাফাভি আগ্রাসন এর পরে তা নতুন রূপ লাভ করে। সর্বশেষ ইরানি বিপ্লব শিয়া মতবাদের প্রচারের ভয়াবহ ফিতনা হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বর্তমানে শিয়ারা নিজেদের উৎপত্তির সূত্র টানতে রাসূল(সা) এর গাদিরে খুমের ঘোষণা টানার চেষ্টা করে,যা হাস্যকর অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। >> মোটকথা কোন সরাসরি সূত্র পেশ করতে ব্যর্থ তারা।
প্রথম তিন খিলাফতের সময়ে আহলে বাইত এর উপরে নির্যাতন ও ভয়ের চোটে আহলে বাইত গুটিয়ে রয়েছেন এইসব গাঁজাখুরি কিচ্ছাও রটায়, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ত্রুটিপূর্ণ রেফারেন্স এর উপরে টেনেহিচড়ে নির্ভরশীল।
---------
~ The Rafidologist