আহলে বাইত ও সাহাবা পরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ক

আহলে বায়াতের সাথে আহলুস সুন্নাহ’র সম্পর্ক বনাম শী’আদের আহলে বায়াতের প্রতি ভিত্তিহীন পিড়ীতি!
Relationship by marriage between Ahlul-Bait and Sahaba
----
শী’আদের অন্যতম অভিযোগ হলো- তারাই আহলে বায়াতকে ভালোবাসে এবং তাদের অনুসরণ করে। কিন্তু আমাদের দাবি হলো- সুন্নিরাই অর্থাৎ আহলুস সুন্নাহ-ই প্রতৃত অর্থে আহলে বায়াতকে ভালোবাসে এবং আহলে বায়াতও সুন্নিদেরকেই ভালোবাসে। আসুন এই দাবির স্বপক্ষে আসল বাস্তবতাটা দেখি।
হযরত আলী (রা.) এর সন্তানদের সঙ্গে কাদের বিয়ে হয়েছে? একজন শী’আ মতাদর্শী কি দেখানো যাবে যে কিনা হযরত আলী (রা.)-এর অন্তত একজন সন্তানের সাথে বিয়ে হয়েছে অর্থাৎ আত্মীয়তার সম্পর্ক হয়েছে? কোনো শী’আ কি কোনো আহলে বায়াতকে কিংবা কোনো আহলে বায়াত কি শী’আদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন?
১. হযরত আলী (রা.)-এর এক কন্যা রামলা’র বিয়ে হয়েছে মুয়াবিয়া ইবনে আল-হাকাম, মারওয়ানের ভাইয়ের সাথে।
২. খাদিজা বিনতে আলী বিন আবি তালিব। তার বিয়ে হয়েছিল আবদুর রহমান বিন আ’মর বিন কারিয়ের সাথে। যিনি কিনা ‘বনু আব্দ আল- শামস’ গোত্রের এবং সম্পর্কে মুয়াবিয়ার কাজিন ছিলেন।
৩. উম্মে কুলসুম বিনতে আলী বিন আবি তালিব। তার বিয়ে হয়েছিল ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর বিন আল-খাত্তাব (রা.)-এর সাথে।
৪. হযরত হাসান বিন আলী (রা.)। বিয়ে করেছিলেন তালহা বিন উবাইদুল্লাহ (রা.)-এর মেয়েকে।
৫. হযরত হুসাইন বিন আলী (রা.)-এর দুই কন্যা সুকাইনা এবং ফাতিমা’র সাথে বিয়ে হয়েছিল তৃতীয় খলিফা হযরত আমর বিন উসমান বিন আফফান-এর ছেলেদের সাথে। তাদের নাম- আবদুল্লাহ বিন আমর বিন উসমান এবং যাইদ বিন আমর বিন উসমান।
৬. আবদুল্লাহ বিন জাফর বিন আবি তালিবের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়েছিল ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়ার।
৭. আবদুল্লাহ বিন জাফরের আরেক কন্যার বিয়ে হয়েছিল আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের সাথে।
৮. খলিফা আল ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক, যার দুজন স্ত্রী ছিলেন আহলে বাইত থেকে। তারা ছিলেন হযরত হাসান (রা.)-এর কন্যা।
৯. হযরত জাফর বিন সাদিক (রহ.)। তাঁর মা কে? তার মা হলেন প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর আল-সিদ্দিক (রা.)-এর নাতি।
দেখুন, শী’আরা যাদের সহ্য করতে পারে না, যাদের কাফের মুনাফিক মনে করে, তাদের সাথেই আহলে বাইতের বিয়ে হয়েছে! কি আশ্চর্য ব্যপার!!! আহলে বায়াতের সম্পর্ক আহলুস সুন্নাহের সাথে, শী’আদের সাথে নয়। সুতরাং শী’আরা কাদের সমালোচনা করছে আর কাদের ভালোবাসছে?
হযরত আলী বিন আবি তালিব (রা.) ৪বছরের জন্য কুফাতে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই তার তোষামদকারী এই শী’আদের পূর্বপুরুষদের তিনি এড়িয়ে চলতেন এবং অভিশাপ দিতেন। তিনি কুফাবাসীদের অভিশাপ দিতেন। তিনি বলতেনঃ “ও আল্লাহ! আমাকে এদের থেকে ভাল সঙ্গী দাও আর আমার থেকে নিকৃষ্ট শাসক তাদের দাও!” এই কূফাবাসীরাই হযরত হুসাইন বিন আলী (রা.)-কে হত্যা করেছে। হত্যা করার পর এখন তারা বুক চাপড়ে বিলাপ করে। তারাই এখন সেই কারবালাকে এতো শ্রদ্ধা দেখায়। এখানে তারা দ্বিতীয় কা’বা বানাতে চায়। ঠিক যেভাবে খ্রিস্টানরা শ্রদ্ধা করে ক্রুশকে, যেখানে ইহুদীরা রোম সম্রাটকে দিয়ে তাকে ক্রুশে ঝুলিয়েছিল (বলে তারা বিশ্বাস করে)।
হযরত ঈসা (আ.) যেমন খ্রিস্টানদের থেকে মুক্ত, ঠিক তেমনি আহলে বায়াতও শী’আদের থেকে মুক্ত। আহলে বায়াতের রক্তধারা শী’আদের রক্তধারার সাথে মিশে কলুষিত হয়নি। তাহলে শী’আদের সাখে আহলে বায়াতের কি সম্পর্ক, কিসের ভিত্তিতে সম্পর্ক?
.
- Samiur Rahman Piyal

এই সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

ডাউনলোড করুন মাকতাবায়ে শামেলা লেটেস্ট ভার্শন (মোবাইল এবং পিসির জন্য)

রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)

ইসতিখারার সুন্নত তরিকা + pdf