পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে?
প্রশ্নঃ
Assalamualaikum..
Amader ekhnkar somoye meyer family theke biyer khana khawanu ta normal hoye gche. Meyer family jodi normally nijer icchai khawai biyer onusthan kore tahole ki oi dawat a jawa jai?
উত্তরঃ
সাধারণত কাউকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো মুস্তাহাব আমল। কিন্তু পাত্রীপক্ষের প্রচলিত আয়োজনটা নাজায়েজ। কেন নাজায়েজ?
এর কারণ অনেক। তার মধ্যে কয়েকটা ব্যাপার না বললেই নয়। মেয়েপক্ষের এই জাতীয় অনুষ্ঠান এর প্রচলন ইসলামে নেই। এটা খুব সম্ভবত হিন্দুয়ানী প্রথা থেকে এই সমাজে রয়ে গেছে।
এই প্রথা পালনের জন্যে মেয়ের পরিবারকে অত্যন্ত করুন পরিস্থিতি ও আর্থিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যে মেয়ের বাবা অঢেল সম্পত্তির মালিক, তার কাছে এই ব্যাপারটা গভীর আবেদন না রাখলেও, যে মেয়ের বাবা নেই, অথবা থাকলেও তার আর্থিক সংগতি নেই, তার কাছে এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয়। তারপরেও করতে হয়। কেন করতে হয়? সামাজিক চাপ, বরপক্ষের কাছে যেন ছোট না হয়, মেয়ের মান রক্ষা ইত্যাদি।
এই মান রক্ষা বা প্রথা রক্ষা করতে গিয়ে অপরিসীম কষ্ট ও ত্যাগের শিকার হতে হয়, মেয়ের অভিভাবককে। অনেককে তো হাত পাততেও হয়। আল্লাহ পানাহ!
সমস্যার মূল, এই প্রথা রক্ষা। উম্মাহর প্রতি কল্যাণকামী আলেমগণ, এই প্রথাকেই দূর করতে চান। কনে পক্ষের কোন অনুষ্ঠান হতে পারে না। হ্যা, বরপক্ষের একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু সজন এলে (৫-১০ জন), তাদেরকে আপ্যায়ন করা যেতে পারে। সেটা ঘটা করে নয়, যেমনটা বর্তমান সমাজে প্রচলিত। ইসলাম বিয়েতে কেবল একটা আয়োজনের স্বীকৃতি দিয়েছে। এটাকে সুন্নত ও বলা হয়েছে। তা হচ্ছে, ওয়ালীমা। যা বরপক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়। মেয়ের অভিভাবক এর এই জাতীয় আয়োজনের কোন জিম্মাদারি নেই।
সুতরাং, মেয়ে পক্ষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজন করলেও তাতে যাওয়া যাবে না। উলামায়ে কেরামগণ এর মত এটাই। কারণ, এতে কুপ্রথা রক্ষা ও বিস্তারে সহায়তা করা হয়। একজন সামর্থ্যবান ব্যক্তি আয়োজন করল, তার এই আয়োজনের কারণে পরিবারের অন্যদেরও মান রক্ষার্থে আয়োজন করতে হয়। এর পর যার সামর্থ্য নেই, তাকে মানুষের থেকে ধার কর্জ করে হলেও আয়োজন করতে হয়। অন্যথায় মেয়ে মুখ দেখাবে কীভাবে শশুড়ালয়ে? এভাবেই বৈধ বিষয় কুপ্রথা হয়ে নাজায়েজ হয়ে যায়। এই কুপ্রথা বন্ধের জন্যে মেয়ের পক্ষের অনুষ্ঠান বর্জন করা জরুরী।
আশাকরি বিষয়টা বোঝাতে পেরেছি।
والله اعلم بالصواب
------------------
উত্তর প্রদানেঃ শাইখ Abdullah Al Mahmud
Assalamualaikum..
Amader ekhnkar somoye meyer family theke biyer khana khawanu ta normal hoye gche. Meyer family jodi normally nijer icchai khawai biyer onusthan kore tahole ki oi dawat a jawa jai?
উত্তরঃ
সাধারণত কাউকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো মুস্তাহাব আমল। কিন্তু পাত্রীপক্ষের প্রচলিত আয়োজনটা নাজায়েজ। কেন নাজায়েজ?
এর কারণ অনেক। তার মধ্যে কয়েকটা ব্যাপার না বললেই নয়। মেয়েপক্ষের এই জাতীয় অনুষ্ঠান এর প্রচলন ইসলামে নেই। এটা খুব সম্ভবত হিন্দুয়ানী প্রথা থেকে এই সমাজে রয়ে গেছে।
এই প্রথা পালনের জন্যে মেয়ের পরিবারকে অত্যন্ত করুন পরিস্থিতি ও আর্থিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যে মেয়ের বাবা অঢেল সম্পত্তির মালিক, তার কাছে এই ব্যাপারটা গভীর আবেদন না রাখলেও, যে মেয়ের বাবা নেই, অথবা থাকলেও তার আর্থিক সংগতি নেই, তার কাছে এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয়। তারপরেও করতে হয়। কেন করতে হয়? সামাজিক চাপ, বরপক্ষের কাছে যেন ছোট না হয়, মেয়ের মান রক্ষা ইত্যাদি।
এই মান রক্ষা বা প্রথা রক্ষা করতে গিয়ে অপরিসীম কষ্ট ও ত্যাগের শিকার হতে হয়, মেয়ের অভিভাবককে। অনেককে তো হাত পাততেও হয়। আল্লাহ পানাহ!
সমস্যার মূল, এই প্রথা রক্ষা। উম্মাহর প্রতি কল্যাণকামী আলেমগণ, এই প্রথাকেই দূর করতে চান। কনে পক্ষের কোন অনুষ্ঠান হতে পারে না। হ্যা, বরপক্ষের একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু সজন এলে (৫-১০ জন), তাদেরকে আপ্যায়ন করা যেতে পারে। সেটা ঘটা করে নয়, যেমনটা বর্তমান সমাজে প্রচলিত। ইসলাম বিয়েতে কেবল একটা আয়োজনের স্বীকৃতি দিয়েছে। এটাকে সুন্নত ও বলা হয়েছে। তা হচ্ছে, ওয়ালীমা। যা বরপক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়। মেয়ের অভিভাবক এর এই জাতীয় আয়োজনের কোন জিম্মাদারি নেই।
সুতরাং, মেয়ে পক্ষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজন করলেও তাতে যাওয়া যাবে না। উলামায়ে কেরামগণ এর মত এটাই। কারণ, এতে কুপ্রথা রক্ষা ও বিস্তারে সহায়তা করা হয়। একজন সামর্থ্যবান ব্যক্তি আয়োজন করল, তার এই আয়োজনের কারণে পরিবারের অন্যদেরও মান রক্ষার্থে আয়োজন করতে হয়। এর পর যার সামর্থ্য নেই, তাকে মানুষের থেকে ধার কর্জ করে হলেও আয়োজন করতে হয়। অন্যথায় মেয়ে মুখ দেখাবে কীভাবে শশুড়ালয়ে? এভাবেই বৈধ বিষয় কুপ্রথা হয়ে নাজায়েজ হয়ে যায়। এই কুপ্রথা বন্ধের জন্যে মেয়ের পক্ষের অনুষ্ঠান বর্জন করা জরুরী।
আশাকরি বিষয়টা বোঝাতে পেরেছি।
والله اعلم بالصواب
------------------
উত্তর প্রদানেঃ শাইখ Abdullah Al Mahmud
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন