সুন্নত নামাজ : ফাযায়েল এবং মাসায়েল
সুন্নত নামাজ আদায়ের কিছু ফাযায়েল ও কিছু মাসায়েল জানতে চেয়েছিলেন নাসীহা গ্রুপের কতক ভাই। তাদের জন্যে লেখাটা তৈরি করা............
"সুন্নত আদায়ের গুরুত্ব"
*** ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা
ফজরের ফরজের পূর্বে দু রাকাত সুন্নত, জোহরের আগে ৪ রাকাত সুন্নত, জোহরের পর দু রাকাত সুন্নত, মাগরিবের পর দু রাকাত সুন্নত ও এশার ফরজের পর দু রাকাত সুন্নত, মোট ১২ রাকাত সুন্নতের ফাযায়েল--
/-- আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সবসময় বার রাকাআত সুন্নাত নামায আদায় করে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন। এ সুন্নাতগুলো হল, যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাকাআত ও পরে দুই রাকাআত, মাগরিবের (ফরযের) পর দুই রাকাআত, ইশার (ফরযের) পর দুই রাকাআত এবং ফযরের (ফরযের) পূর্বে দুই রাকাআত।
উম্মু হাবীবাহ বলেছেনঃ আমি যে সময়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সলাত সম্পর্কে শুনেছি তখন থেকে আর কখনো তা আদায় করা পরিত্যাগ করিনি। আম্বাসাহ ইবনু আবূ সুফইয়ান বলেছেনঃ এ সলাত সম্পর্কে যখন আমি উম্মু হাবীবার কাছে শুনেছি, তখন থেকে আর ঐ সলাতগুলো কখনো পরিত্যাগ করিনি। আমর ইবনু আওস বলেছেনঃ যে সময়ে এ সলাত সম্পর্কে আমি আম্বাসাহ ইবনু আবূ সুফইয়ান এর নিকট থেকে শুনেছি সে সময় থেকে আর কখনো তা পরিত্যাগ করিনি। নুমান ইবনু সালিম বলেছেনঃ যে সময় আমি এ হাদীসটি আমর ইবনু আওস-এর নিকট থেকে শুনেছি তখন থেকে কখনো আর তা পরিত্যাগ করিনি।
--- মুসলিম- ১৫৭৯ তিরমিজি ৪১৪ নাসায়ী- ১৮১২ ইবনু মাজাহ– ১১৪০ সহীহ
উম্মু হাবীবাহ বলেছেনঃ আমি যে সময়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সলাত সম্পর্কে শুনেছি তখন থেকে আর কখনো তা আদায় করা পরিত্যাগ করিনি। আম্বাসাহ ইবনু আবূ সুফইয়ান বলেছেনঃ এ সলাত সম্পর্কে যখন আমি উম্মু হাবীবার কাছে শুনেছি, তখন থেকে আর ঐ সলাতগুলো কখনো পরিত্যাগ করিনি। আমর ইবনু আওস বলেছেনঃ যে সময়ে এ সলাত সম্পর্কে আমি আম্বাসাহ ইবনু আবূ সুফইয়ান এর নিকট থেকে শুনেছি সে সময় থেকে আর কখনো তা পরিত্যাগ করিনি। নুমান ইবনু সালিম বলেছেনঃ যে সময় আমি এ হাদীসটি আমর ইবনু আওস-এর নিকট থেকে শুনেছি তখন থেকে কখনো আর তা পরিত্যাগ করিনি।
--- মুসলিম- ১৫৭৯ তিরমিজি ৪১৪ নাসায়ী- ১৮১২ ইবনু মাজাহ– ১১৪০ সহীহ
** ফজরের দুই রাকাআত সুন্নাতের ফাযীলাত
/-- আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের দুই রাক’আত (সুন্নাত) নামায দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম।
--- তিরমিজি ৪১৬—সহীহ মুসলিম ১৫৭৩
--- তিরমিজি ৪১৬—সহীহ মুসলিম ১৫৭৩
/--আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাজরের (ফারয (ফরয) সলাতের) পূর্বের দু রাকাআত সুন্নাত আদায় করার প্রতি যত কঠোরভাবে খেয়াল রাখতেন অন্য কোন নাফল সলাতের প্রতি ততখানি রাখতেন না।
মুসলিম- ১৫৭১
মুসলিম- ১৫৭১
/-- আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। ফাজরের দু' রাকাআত নফল সলাতের জন্য আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যত ব্যস্ততা প্রকাশ করতে দেখেছি অন্য কোন নাফল সলাতের জন্য ততটা ব্যস্ততা প্রকাশ করতে দেখিনি।
মুসলিম ১৫৭২
মুসলিম ১৫৭২
/-- আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ফজরের দু’ রাক‘আত কখনো ত্যাগ করো না, যদিও তোমাদেরকে ঘোড়া পদদলিত করে।
আবু দাউদ- ১২৫৮ আহমদ- ৯২৪২ (সামান্য দুর্বল)
আবু দাউদ- ১২৫৮ আহমদ- ৯২৪২ (সামান্য দুর্বল)
*** যুহরের ফরয নামাযের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত
/- আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের (ফরয) নামাযের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত (সুন্নাত নামায) আদায় করতেন।
ততিরমিজি ৪২৪—সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৬১)।
ততিরমিজি ৪২৪—সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৬১)।
/-- আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি যুহরের পূর্বে চার রাকাআত না আদায় করতেন তবে যুহরের (ফরযের) পর তা আদায় করতেন।
তিরমিজি ৪২৬—সহীহ ।
তিরমিজি ৪২৬—সহীহ ।
/-- উন্মু হাবীব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জোহরের ফরয সালাতের পূর্বে চরে রাকআত (সুন্নাত মুওয়াক্কাদা) এবং ফরযের পরে চার রাকআত (দু'রাকআত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা এবং দু'রাকআত মুস্তাহাব) সালাত আদায়ে অভ্যস্থ হবে, আল্লাহ তা'আলা তাকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দিবেন।
তিরমিজি ৪২৭—সহীহ। নাসায়ী ১৮১৯- ইবনু মাজাহ– (১১৬০)। আবু দাউদ- ১২৬৯
তিরমিজি ৪২৭—সহীহ। নাসায়ী ১৮১৯- ইবনু মাজাহ– (১১৬০)। আবু দাউদ- ১২৬৯
/- আবূ আইয়ূব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যুহরের পূর্বে এক সালামে চার রাক‘আত সলাত রয়েছে, এগুলোর জন্য আকাশের সকল দরজা খুলে দেয়া হয়।
ইবনু মাজাহ হাঃ ১১৫৭), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১২১৪), মুসনাদে হুমাইদী (হাঃ ৩৮৫), তিরমিযী ‘শামায়িলি মাহমুদিয়্যাহ’ (হাঃ ২৭৯)। হাসান
ইবনু মাজাহ হাঃ ১১৫৭), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১২১৪), মুসনাদে হুমাইদী (হাঃ ৩৮৫), তিরমিযী ‘শামায়িলি মাহমুদিয়্যাহ’ (হাঃ ২৭৯)। হাসান
*** আসরের (ফরয নামাযের) পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত
/-- ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আসরের পূর্বে চার রাকাআত নামায আদায় করবে আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি অনুগ্রহ করুন।
তিরমিজি ৪৩০ -হাসান। আবু দাউদ- ১২৭১,
তিরমিজি ৪৩০ -হাসান। আবু দাউদ- ১২৭১,
*** মাগরিবের দুই রাকাআত সুন্নত
/-- ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে দশ রাকাআত নামায মুখস্থ রেখেছি। তিনি দিনরাত (চব্বিশ ঘন্টায়) এ নামাযগুলো আদায় করতেন। যুহরের পূর্বে দুই রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত, মাগরিবের পরে দুই রাকাআত এবং ইশার পর দুই রাকাআত । রাবী বলেন হাফসাহ আমাকে বলেছেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ) ফজরের পূর্বেও দুই রাক’আত আদায় করতেন।
তিরমিজী ৪৩৩ -সহীহ । বুখারী।
তিরমিজী ৪৩৩ -সহীহ । বুখারী।
** এশার পর দুরাকাত সুন্নত
‘/-- আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর ও ‘আসর ব্যতীত প্রত্যেক ফারয সলাতের পরে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করতেন।
আবু দাউদ ১২৭৫ আহমাদ (হাঃ ১০১২) ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১১৯৬) সহীহ
আবু দাউদ ১২৭৫ আহমাদ (হাঃ ১০১২) ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১১৯৬) সহীহ
*** জুমার সুন্নত
/-- আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন জুমুআর সলাত আদায় করে, তখন সে যেন তার পরে চার রাকাআত (সুন্নাত) সলাত আদায় করে।
ইমাম তিরমিজী এর শিরোনাম দিয়েছেন "জুমার পূর্বে ও পরের সুন্নত"
-সহীহ। তিরমিজি ৫২৩ ইবনু মাজাহ– (১১৩২)।
-সহীহ। তিরমিজি ৫২৩ ইবনু মাজাহ– (১১৩২)।
/-- ইমাম তিরমিজী লিখেন, একদল আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) জুমুআর (ফরযের) পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে চার রাকাআত (সুন্নাত) নামায আদায় করতেন। আলী (রাঃ) প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি জুমু'আর পর দুই রাকাআত তারপর চার রাকাআত আদায় করার হুকুম দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী ও ইবনুল মুবারাক (রহঃ) ইবনু মাসউদের মত গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো বলেছেনঃ
وَحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ مُصَلِّيًا بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَلْيُصَلِّ أَرْبَعًا
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমুআর (ফরযের) পরে নামায আদায় করতে চায় সে যেন চার রাক’আত আদায় করে।"
আবু ঈসা বলেনঃ ইবনু উমার (রাঃ) যিনি নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন, “জুমুআর পর তিনি বাড়িতে গিয়ে দুই রাকাআত আদায় করতেন।” তিনিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু”আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে জুমু'আর নামাযের পর মাসজিদেই দুই রাকাআত নামায আদায় করেছেন, তারপর চার রাকাআত আদায় করেছেন। আতা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে জুমু'আর (ফরয নামাযের) পর দুই রাকাআত তারপর চার রাকাআত নামায আদায় করতে দেখেছি। -সহীহ। আবু দাউদ (১০৩৫, ১০৩৮)
তিনি আরো বলেছেনঃ
وَحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ مُصَلِّيًا بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَلْيُصَلِّ أَرْبَعًا
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমুআর (ফরযের) পরে নামায আদায় করতে চায় সে যেন চার রাক’আত আদায় করে।"
আবু ঈসা বলেনঃ ইবনু উমার (রাঃ) যিনি নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন, “জুমুআর পর তিনি বাড়িতে গিয়ে দুই রাকাআত আদায় করতেন।” তিনিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু”আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে জুমু'আর নামাযের পর মাসজিদেই দুই রাকাআত নামায আদায় করেছেন, তারপর চার রাকাআত আদায় করেছেন। আতা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে জুমু'আর (ফরয নামাযের) পর দুই রাকাআত তারপর চার রাকাআত নামায আদায় করতে দেখেছি। -সহীহ। আবু দাউদ (১০৩৫, ১০৩৮)
*** আরো যে কারণে সুন্নাত আদায় করা উচিত
/-- আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন মানুষের ‘আমালসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম তাদের সলাত সম্পর্কে হিসাব নেয়া হবে। তিনি বলেনঃ আমাদের মহান রব্ব ফিরিশতাদের বান্দার সলাত সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও জিজ্ঞেস করবেন, দেখো তো সে তা পরিপূর্ণভাবে আদায় করেছে নাকি তাতে কোন ত্রুটি রয়েছে? অতঃপর বান্দার সলাত পূণার্ঙ্গ হলে পূণার্ঙ্গই লিখা হবে। আর যদি তাতে ত্রুটি থাকে তাহলে মহান আল্লাহ ফিরিশতাদের বলবেন, দেখো তো আমার বান্দার কোন নফল সলাত আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে তিনি বলবেনঃ আমার বান্দার ফারয সলাতের ঘাটতি তার নফল সলাত দ্বারা পরিপূর্ণ করো। অতঃপর সকল আমলই এভাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ নফল দ্বারা ফারযের ত্রুটি দূর করা হবে)।
আবু দাউদ- ৮৬৪ ইবনু মাজাহ হাঃ ১৪২৫ তিরমিযী ৪১৩, নাসায়ী ৪৬৫-৬৭, আহমাদ ৭৮৪২, ৯২১০, ১৬৫০১ -সহীহ
আবু দাউদ- ৮৬৪ ইবনু মাজাহ হাঃ ১৪২৫ তিরমিযী ৪১৩, নাসায়ী ৪৬৫-৬৭, আহমাদ ৭৮৪২, ৯২১০, ১৬৫০১ -সহীহ
/-- আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলীর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কোন কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোন কাজ করতে চাইলে তা করতে কোন দ্বিধা করি-না, যতটা দ্বিধা করি মু’মিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি।
সহীহ বুখারী- ৬৫০২
সহীহ বুখারী- ৬৫০২
মাসায়েল---
১- সুন্নাতে জায়েদা, যেমন আসরের পূর্বের ৪ রাকাত সুন্নত তরক করলে গোনাহ হবে না। কিন্তু ফাযায়েলের জন্যে আদায় করা দরকার।
২- সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, অর্থাৎ যে সুন্নাত আদায়ের জন্যে অনেক তাকীদ ও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আদায় না করলে ধমকিও এসেছে। এটা আদায় না করলে গোণাহ হবে।
- শামী- ১/১০৪, হিন্দিয়া- ১/১১২, বাহরুর রায়েক- ২/৪৯
- শামী- ১/১০৪, হিন্দিয়া- ১/১১২, বাহরুর রায়েক- ২/৪৯
৩- ফজরের সুন্নত কাযা হয়ে গেলে, সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে নিবে। এটাই প্রণিধানযোগ্য অভিমত।
৪- ফজরের সুন্নত ঘরে আদায় করে তারপর মসজিদে যাবে। যদি বাড়িতে আদায় না করে মসজিদে যায়, আর জামাত আরম্ভ হতে যথেষ্ট সময় থাকে তাহলে মসজিদে পড়ে নিবে। যদি জামাত দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে দূরে কোথাও খুটির আড়ালে পরে নিবে। জামাত চলাকালে আড়াল ছাড়া কাতারের মাঝে সুন্নত পড়া মাকরুহে তাহরীমী।
এটা তখন, যতক্ষণ আপনি দ্বিতীয় রাকাতে রুকুর আগে ইমামকে নামাজে পাবেন বলে প্রবল ধারণা করেন। আর যদি আশংকা হয়, সুন্নত পড়তে গেলে দু রাকাতই মিস হবে, তাহলে সরাসরি জামাতে শরীক হবেন। এটাই গ্রহণযোগ্য মত। তবে কেও কেও বলেছেন, দ্বিতীয় রাকাতের তাশাহহুদ পাওয়ার আশা থাকলেও সুন্নত পড়ে নিবে।
এটা তখন, যতক্ষণ আপনি দ্বিতীয় রাকাতে রুকুর আগে ইমামকে নামাজে পাবেন বলে প্রবল ধারণা করেন। আর যদি আশংকা হয়, সুন্নত পড়তে গেলে দু রাকাতই মিস হবে, তাহলে সরাসরি জামাতে শরীক হবেন। এটাই গ্রহণযোগ্য মত। তবে কেও কেও বলেছেন, দ্বিতীয় রাকাতের তাশাহহুদ পাওয়ার আশা থাকলেও সুন্নত পড়ে নিবে।
মুসলিম- ১২৬৫
আহসানুল ফাতওয়া- ৩/২৫৭
আপকে মাসায়েল- ২/৩৪০
হেদায়া- ১/১৫২
দুররে মুখতার- ১/৭৪৯
------------------আহসানুল ফাতওয়া- ৩/২৫৭
আপকে মাসায়েল- ২/৩৪০
হেদায়া- ১/১৫২
দুররে মুখতার- ১/৭৪৯
লিখেছেনঃ শাইখ Abdullah Al Mahmud
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন