শবে মেরাজের বিশেষ কোন ইবাদাত আছে কি?
মেরাজের রাতে ইবাদতের বিশেষ ফযীলতের ব্যাপারে কোন হাদীস বিদ্যমান নেই। তাই শবে মেরাজের আলাদাভাবে কোন আমল ইসলামী শরীয়তে নেই।
আশ্চর্য এর বিষয় হলো, শবে মেরাজ বেদয়াত বলার পরেও এটাকে তারাই পালন করতে উৎসাহ বোধ করেন। যারা একইদিনে বৈশাখ উদযাপন করেছেন। দিনে ইসলাম ও ঈমান বিরোধী কার্যকলাপ করে রাতে গিয়ে 'অতি মুমিন' প্রমাণ করতে বিদয়াতে লিপ্ত হচ্ছে। বাংগালীদের মাঝে উৎসব উৎসব ঝোকটা একটু বেশি। সবকিছুতেই উৎসব, আয়োজন আর ঘটা করে পালন করার একটা প্রবণতা। যে মেরাজে নবীজী সা. ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ এর বিধান আনলেন। সারা বছর সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের খবর নেই, কিন্তু শবে মেরাজের এক রাতে একশ রাকাত নফল নামাজ পালন করছে। যেটা বিদয়াত!
তাছাড়া মেরাজের ঘটনা রজবের ২৭ তারিখ ঘটেছে, এটা কোন হাদিস বা নির্ভরযোগ্য সনদেও প্রমাণিত না।
তবে মেরাজ নিঃসন্দেহে রাসূল সা. এর মোজেজা ছিল। এটার উপর আমাদের আকীদা রাখতে হবে।
কিন্তু এই রাতকে কেন্দ্র করে কোন আমল ইবাদাতের ভিত্তি নেই। নেই বিশেষ নামাজ, বিশেষ রোজা, আগরবাতি জ্বালানো, ভালো খাবারের আয়োজন, জিলাপি শিন্নি। এগুলো সবই ভিত্তিহীন প্রথা। কিছু বর্ণনা হাদিসের নামে প্রচার করা হয়, রজব মাসে রোজা রাখা ও বিশেষ সালাত নিয়ে। এগুলো জাল বর্ণনা। এরাতে বিশেষ ইবাদাত আছে বলে মনে করে ইবাদাত করলে সেটা বিদয়াত হবে। হ্যা, কেও যদি প্রতিরাতেই আমল করে। তাহাজ্জুদ আদায় করে। সে ধারাবাহিকতায় এ রাতেও তিনি আমল করবে। এছাড়া এরাতের জন্যে আলাদা কোন আমল নেই।
সারকথা, ইসরা- মেরাজ এর উপর প্রতিটা মুসলিমকে ঈমান রাখতে হবে। একইসাথে মেরাজে অর্জিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ সারা জীবন হক্ব আদায় করে পড়তে হবে। মেরাজের রাত কোনটা তা জানা যায় না। এ রাতের জন্যে বিশেষ কোন ইবাদাত নেই।
.
সূত্র-
১- আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ- শারহু মাওয়াহেব ৮/১৮
২- আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া ২/৪৭১
৩- লাতায়িফুল মা'আরিফ ১৩৪
৪- ইসলাহী খুতুবাত- আল্লামা তাকী উসমানী ১/৪৬-৪৮
৫- আল মাজমু' ৩/৫৪৯
> আর জাল হাদিসের উদ্ধৃতি
১- আল লাআলিল মাসনূআ-২/৫৫-৫৯
২- তানযীহুশ শরীয়া-২/৮৯-৯০
৩- ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন-৩/৪২২-৪২৫
৪- আল ফাওয়ায়েদুল মাজমূআ-১/৭৩-৭৫
৫- আল আসারুল মারফূআ-৫৮-৭০
------------------
ছবি নির্মাণ, সাজ্জাদুর রহমান শাওন ভাই।
লিখেছেনঃ শাইখ ABDULLAH AL MAHMUD
আশ্চর্য এর বিষয় হলো, শবে মেরাজ বেদয়াত বলার পরেও এটাকে তারাই পালন করতে উৎসাহ বোধ করেন। যারা একইদিনে বৈশাখ উদযাপন করেছেন। দিনে ইসলাম ও ঈমান বিরোধী কার্যকলাপ করে রাতে গিয়ে 'অতি মুমিন' প্রমাণ করতে বিদয়াতে লিপ্ত হচ্ছে। বাংগালীদের মাঝে উৎসব উৎসব ঝোকটা একটু বেশি। সবকিছুতেই উৎসব, আয়োজন আর ঘটা করে পালন করার একটা প্রবণতা। যে মেরাজে নবীজী সা. ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ এর বিধান আনলেন। সারা বছর সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের খবর নেই, কিন্তু শবে মেরাজের এক রাতে একশ রাকাত নফল নামাজ পালন করছে। যেটা বিদয়াত!
তাছাড়া মেরাজের ঘটনা রজবের ২৭ তারিখ ঘটেছে, এটা কোন হাদিস বা নির্ভরযোগ্য সনদেও প্রমাণিত না।
তবে মেরাজ নিঃসন্দেহে রাসূল সা. এর মোজেজা ছিল। এটার উপর আমাদের আকীদা রাখতে হবে।
কিন্তু এই রাতকে কেন্দ্র করে কোন আমল ইবাদাতের ভিত্তি নেই। নেই বিশেষ নামাজ, বিশেষ রোজা, আগরবাতি জ্বালানো, ভালো খাবারের আয়োজন, জিলাপি শিন্নি। এগুলো সবই ভিত্তিহীন প্রথা। কিছু বর্ণনা হাদিসের নামে প্রচার করা হয়, রজব মাসে রোজা রাখা ও বিশেষ সালাত নিয়ে। এগুলো জাল বর্ণনা। এরাতে বিশেষ ইবাদাত আছে বলে মনে করে ইবাদাত করলে সেটা বিদয়াত হবে। হ্যা, কেও যদি প্রতিরাতেই আমল করে। তাহাজ্জুদ আদায় করে। সে ধারাবাহিকতায় এ রাতেও তিনি আমল করবে। এছাড়া এরাতের জন্যে আলাদা কোন আমল নেই।
সারকথা, ইসরা- মেরাজ এর উপর প্রতিটা মুসলিমকে ঈমান রাখতে হবে। একইসাথে মেরাজে অর্জিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ সারা জীবন হক্ব আদায় করে পড়তে হবে। মেরাজের রাত কোনটা তা জানা যায় না। এ রাতের জন্যে বিশেষ কোন ইবাদাত নেই।
.
সূত্র-
১- আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ- শারহু মাওয়াহেব ৮/১৮
২- আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া ২/৪৭১
৩- লাতায়িফুল মা'আরিফ ১৩৪
৪- ইসলাহী খুতুবাত- আল্লামা তাকী উসমানী ১/৪৬-৪৮
৫- আল মাজমু' ৩/৫৪৯
> আর জাল হাদিসের উদ্ধৃতি
১- আল লাআলিল মাসনূআ-২/৫৫-৫৯
২- তানযীহুশ শরীয়া-২/৮৯-৯০
৩- ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন-৩/৪২২-৪২৫
৪- আল ফাওয়ায়েদুল মাজমূআ-১/৭৩-৭৫
৫- আল আসারুল মারফূআ-৫৮-৭০
------------------
ছবি নির্মাণ, সাজ্জাদুর রহমান শাওন ভাই।
লিখেছেনঃ শাইখ ABDULLAH AL MAHMUD
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন