বুখারীর হাদিসকে যারা ৮রাকাত তারাবির দলিল বলে...
পোস্টটি তাদের জন্য হাদিয়া, যারা তারাবীহর নামাজকে ৮ রাকায়াত প্রমান
করার জন্য বুখারীতে বর্ণিত আম্মাজান আয়েশা রাযিঃ এর হাদীস পেশ করে
''''''''''''''' ''''''''''''''' ''''''''''''''' ''''''''''''''' ''''''''''
প্রথম কথা হল বুখারীর হাদীস তারাবীহ এর নয়। আর ইমাম বুখারী রাহঃও তারাবীহ কে তাহাজ্জুদের বরাবর মনে করতেন না। ইবনে হাজর আসকালানি তার ফাতহুল বারির মুকাদ্দামায় পৃষ্ঠা - ৬৪৫ এ উল্লেখ করেছেন ইমাম বুখারী রাহ নিজেও তারাবী পড়ে শেষরাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়তেন। আর তিনি যদি তারাবীহ আর তাহাজ্জুদকে একই মনে করবেন তাহলে তিনি কেন তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ এর ভিন্ন সালাত পড়তেন?????
দ্বিতীয় কথা হল ইমাম বুখারী রাহঃ এ হাদীস তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ উভয় অধ্যায়েই উল্লেখ করেছেন।এ জন্যই অনেকের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইমাম বুখারী রাহঃ এর নীতি সকলেরই জানা। তিনি সামান্য সম্পর্কের কারনেই হাদীস পুনরুল্লেখ করেন। তিনি এ কথাও বুঝিয়ে থাকতে পারেন রমজানে তারাবিহ পড়া হলেও শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে নেওয়া উচিত।
তৃতীয় কথা হল বলা হয়ে থাকে হাজার মানুষের ইজমা হলেও রাসূল থেকে হাদীস না পেলে মানবো না। তাহলে এখানে ইমাম বুখারী রাহঃ এর বাবের উপর কেন ভরসা করা হচ্ছে। হাদীস দিয়ে প্রমান করলেইতো হয়ে যায় যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ৮ রাকায়াত তারাবীহ পরেছেন।
চতুর্থ কথা হল এ হাদীসতো অন্যান্ন মুহাদ্দীসগণও বর্ণনা করেছেন। তাহলে তারা কেন এ হাদীসের ক্ষেত্রে তারাবীহ এর বাব না বেধে তাহাজ্জুদের বাবে বর্ণনা করলেন???? মুহাদ্দীসদের মধ্যে যারা এ হাদীস বর্ণনা করেছেন তারা হলেন ইমাম মুসলিম, ইমাম আবূ দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম মালেক, ইমাম দারেমি , খুজাইমা........ ....।
পঞ্চম কথা হল পূর্ববর্তী সালাফরা কেন বুঝলেন না যে এটা সালাতুল তারাবীহ এর হাদীস। ইমাম তিরমিজি রাহঃ তার জামেতে এ ব্যাপারে ফকীহদের মতপার্থ্যক্য উল্লেখ করেছেন সেখানে কেন তিনি ৮ রাকাতের কথা উল্লেখ করলেন না। অথচ এ হাদিস তার সামনেই ছিলো।
এ হাদীসকে তারাবীহ এর হাদীস হিসেবে মেনে নিলে আরো কিছু স্পেশাল প্রশ্ন-
(১) আপনারা তারাবীহ এর সালাত জামাতে পড়াকে কি মনে করেন??? সুন্নত হলে এর পক্ষে রাসূল সঃ থেকে সহীহ সনদ এবং মতনে হাদিস কই??? এ হাদীসেতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর ঘরে সালাতের কথা বলা হয়েছে তাহলে আপনারা জামায়াত বদ্ধভাবে মসজিদে আদায় করেন কেন????
(২) আমার জানা মতে আপনারা তারাবীহ এর সালাত ৪ সালামে ৮ রাকায়াত পড়েন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওসাল্লাম থেকে এমন কোন রেওয়াত আছে কি? আর আপনারা যে হাদীসের দলিল দেন তাতো স্পষ্ট ৪ রাকায়াত আবার ৪ রাকায়াত এর কথা বলা আছে। আর আপনাদের আলেম মোবারকপুরী সাহেবও তার তিরিমিযির ভাষ্যগ্রন্থে বলেছেন এক সালামে ৪ রাকআয় পড়া হত যেমন তিন রাকায়াতও এক সালামে পরা হত। তাহলে আপনারা ২ রাকাত করে কোথা থেকে পেলেন??? যদি বলেন রাতের সালাত দুই দুই করে তাহলে হাদীসের বর্ণনার কি হবে যে “তিনি ৪ রাকায়াত পড়লেন” ... “এরপর আবার ৪ রাকায়াত পড়লেন” ????? রাসূল সঃ থেকে সহীহ সনদ এবং মতনের সাপেক্ষে উত্তর চাই।
(৩) আপনারা বুখারীর যে হাদিস পেশ করলে তাতে আছে ৪ , ৪ করে ৮ রাকায়াত করে পরার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ঘুমিয়েছিলেন। তারপর উঠে বেতর পরলেন। কিন্তু আপনারাতো তারাবীহ এর সাথেই জামাতে বেতর পড়ে নেন বলে আমি জেনেছি। সেটা কোন সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে????
--
- Ahnaf Serniabat
'''''''''''''''
প্রথম কথা হল বুখারীর হাদীস তারাবীহ এর নয়। আর ইমাম বুখারী রাহঃও তারাবীহ কে তাহাজ্জুদের বরাবর মনে করতেন না। ইবনে হাজর আসকালানি তার ফাতহুল বারির মুকাদ্দামায় পৃষ্ঠা - ৬৪৫ এ উল্লেখ করেছেন ইমাম বুখারী রাহ নিজেও তারাবী পড়ে শেষরাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়তেন। আর তিনি যদি তারাবীহ আর তাহাজ্জুদকে একই মনে করবেন তাহলে তিনি কেন তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ এর ভিন্ন সালাত পড়তেন?????
দ্বিতীয় কথা হল ইমাম বুখারী রাহঃ এ হাদীস তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ উভয় অধ্যায়েই উল্লেখ করেছেন।এ জন্যই অনেকের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইমাম বুখারী রাহঃ এর নীতি সকলেরই জানা। তিনি সামান্য সম্পর্কের কারনেই হাদীস পুনরুল্লেখ করেন। তিনি এ কথাও বুঝিয়ে থাকতে পারেন রমজানে তারাবিহ পড়া হলেও শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে নেওয়া উচিত।
তৃতীয় কথা হল বলা হয়ে থাকে হাজার মানুষের ইজমা হলেও রাসূল থেকে হাদীস না পেলে মানবো না। তাহলে এখানে ইমাম বুখারী রাহঃ এর বাবের উপর কেন ভরসা করা হচ্ছে। হাদীস দিয়ে প্রমান করলেইতো হয়ে যায় যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ৮ রাকায়াত তারাবীহ পরেছেন।
চতুর্থ কথা হল এ হাদীসতো অন্যান্ন মুহাদ্দীসগণও বর্ণনা করেছেন। তাহলে তারা কেন এ হাদীসের ক্ষেত্রে তারাবীহ এর বাব না বেধে তাহাজ্জুদের বাবে বর্ণনা করলেন???? মুহাদ্দীসদের মধ্যে যারা এ হাদীস বর্ণনা করেছেন তারা হলেন ইমাম মুসলিম, ইমাম আবূ দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম মালেক, ইমাম দারেমি , খুজাইমা........
পঞ্চম কথা হল পূর্ববর্তী সালাফরা কেন বুঝলেন না যে এটা সালাতুল তারাবীহ এর হাদীস। ইমাম তিরমিজি রাহঃ তার জামেতে এ ব্যাপারে ফকীহদের মতপার্থ্যক্য উল্লেখ করেছেন সেখানে কেন তিনি ৮ রাকাতের কথা উল্লেখ করলেন না। অথচ এ হাদিস তার সামনেই ছিলো।
এ হাদীসকে তারাবীহ এর হাদীস হিসেবে মেনে নিলে আরো কিছু স্পেশাল প্রশ্ন-
(১) আপনারা তারাবীহ এর সালাত জামাতে পড়াকে কি মনে করেন??? সুন্নত হলে এর পক্ষে রাসূল সঃ থেকে সহীহ সনদ এবং মতনে হাদিস কই??? এ হাদীসেতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর ঘরে সালাতের কথা বলা হয়েছে তাহলে আপনারা জামায়াত বদ্ধভাবে মসজিদে আদায় করেন কেন????
(২) আমার জানা মতে আপনারা তারাবীহ এর সালাত ৪ সালামে ৮ রাকায়াত পড়েন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওসাল্লাম থেকে এমন কোন রেওয়াত আছে কি? আর আপনারা যে হাদীসের দলিল দেন তাতো স্পষ্ট ৪ রাকায়াত আবার ৪ রাকায়াত এর কথা বলা আছে। আর আপনাদের আলেম মোবারকপুরী সাহেবও তার তিরিমিযির ভাষ্যগ্রন্থে বলেছেন এক সালামে ৪ রাকআয় পড়া হত যেমন তিন রাকায়াতও এক সালামে পরা হত। তাহলে আপনারা ২ রাকাত করে কোথা থেকে পেলেন??? যদি বলেন রাতের সালাত দুই দুই করে তাহলে হাদীসের বর্ণনার কি হবে যে “তিনি ৪ রাকায়াত পড়লেন” ... “এরপর আবার ৪ রাকায়াত পড়লেন” ????? রাসূল সঃ থেকে সহীহ সনদ এবং মতনের সাপেক্ষে উত্তর চাই।
(৩) আপনারা বুখারীর যে হাদিস পেশ করলে তাতে আছে ৪ , ৪ করে ৮ রাকায়াত করে পরার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ঘুমিয়েছিলেন। তারপর উঠে বেতর পরলেন। কিন্তু আপনারাতো তারাবীহ এর সাথেই জামাতে বেতর পড়ে নেন বলে আমি জেনেছি। সেটা কোন সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে????
--
- Ahnaf Serniabat
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন