অর্থ বা টাকা দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করার শরয়ী বিধান
ছাহাবা,তাবেয়ী,ফুক্বাহা, ও মুহাদ্দিস দের মতে ছদক্বাতুল ফিতর ২ ভাবে আদায় করা যায়ঃ
-
১।আধা ছা' কিংবা এক ছা' খাদ্য-শস্য দ্বারা।- এভাবেই রাছূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) ফিতরা আদায় করেছেন।এবং শাফেয়ী,মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবী দের একদল এভাবেই ফিতরা আদায়কে জরুরী মনে করেন।
*
২।খাদ্য-শস্যের মূল্যমান অর্থ প্রদান করা।- এভাবে একদল সাহাবী, তাবেয়ী,ফুক্বাহা ও মুহাদ্দিসীনগন ফিতরা আদায় করেছেন। এবং হানাফী,মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবের এক দল এভাবে ফিতরা প্রদানকে জায়েয বলে থাকেন।
-
রছূলুল্লাহ(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) তার পরবর্তী কয়েকটি যুগের সামাজিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বর্তমানের একদম বিপরীত,স্থান কাল পাত্র ভেদে শরীয়তের কিছু ইবাদাতের মূল ঠিক রেখে পালন করার ধরন ভিন্ন হয়।
যেমন মনে করুন-রাছূলুল্লাহ উটে চড়ে হজ্জে গিয়েছেন এখন এ যামানায় আপনার জন্যে প্লেনের সু- ব্যবস্থা রয়েছে, আপনি এটি বলবেন না যে,এখন প্লেনে যাওয়াটা হবে গর্হিত একটি বিদ'আত!! আমাদের উটে চড়েই যেতে হবে!!
*
অনুরুপ ভাবে শরীয়াহ এর বিধান মতে দানের মূলনীতি হল (انفع للقفراء) অর্থাৎ দান খয়রাতের ক্ষেত্রে গরীব অসহায়দের উপকারিতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
তখনকার প্রেক্ষাপটে অর্থের চেয়ে খাদ্যটাই তাদের জন্যে অধিক ফায়দা জনক ছিল, এখনকার প্রেক্ষাপটে সেই খাদ্যের টাকা টা তার জন্যে ফায়দা জনক হলে সেভাবেই দেওয়া উচিত, তবে যদি টাকার চেয়ে গরীব ব্যাক্তিটির খাদ্যের চাহিদা বেশী থাকে তাহলে খাদ্য দেওয়াই উত্তম।
আর এছাড়াও হাদিসে অর্থ মূল্যমানে তথা খাবারের বিনিময়ে অর্থ দেওয়াকেও সরাসরি নিষেধ ও করা হয়নি।
-
১।আধা ছা' কিংবা এক ছা' খাদ্য-শস্য দ্বারা।- এভাবেই রাছূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) ফিতরা আদায় করেছেন।এবং শাফেয়ী,মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবী দের একদল এভাবেই ফিতরা আদায়কে জরুরী মনে করেন।
*
২।খাদ্য-শস্যের মূল্যমান অর্থ প্রদান করা।- এভাবে একদল সাহাবী, তাবেয়ী,ফুক্বাহা ও মুহাদ্দিসীনগন ফিতরা আদায় করেছেন। এবং হানাফী,মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবের এক দল এভাবে ফিতরা প্রদানকে জায়েয বলে থাকেন।
-
রছূলুল্লাহ(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) তার পরবর্তী কয়েকটি যুগের সামাজিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বর্তমানের একদম বিপরীত,স্থান কাল পাত্র ভেদে শরীয়তের কিছু ইবাদাতের মূল ঠিক রেখে পালন করার ধরন ভিন্ন হয়।
যেমন মনে করুন-রাছূলুল্লাহ উটে চড়ে হজ্জে গিয়েছেন এখন এ যামানায় আপনার জন্যে প্লেনের সু- ব্যবস্থা রয়েছে, আপনি এটি বলবেন না যে,এখন প্লেনে যাওয়াটা হবে গর্হিত একটি বিদ'আত!! আমাদের উটে চড়েই যেতে হবে!!
*
অনুরুপ ভাবে শরীয়াহ এর বিধান মতে দানের মূলনীতি হল (انفع للقفراء) অর্থাৎ দান খয়রাতের ক্ষেত্রে গরীব অসহায়দের উপকারিতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
তখনকার প্রেক্ষাপটে অর্থের চেয়ে খাদ্যটাই তাদের জন্যে অধিক ফায়দা জনক ছিল, এখনকার প্রেক্ষাপটে সেই খাদ্যের টাকা টা তার জন্যে ফায়দা জনক হলে সেভাবেই দেওয়া উচিত, তবে যদি টাকার চেয়ে গরীব ব্যাক্তিটির খাদ্যের চাহিদা বেশী থাকে তাহলে খাদ্য দেওয়াই উত্তম।
আর এছাড়াও হাদিসে অর্থ মূল্যমানে তথা খাবারের বিনিময়ে অর্থ দেওয়াকেও সরাসরি নিষেধ ও করা হয়নি।
আসুন এখন দলিল নিয়ে আলোচনা করা যাক !
১।
حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يَقُولُ: «أَدْرَكْتُهُمْ وَهُمْ يُعْطُونَ فِي صَدَقَةِ رَمَضَانَ الدَّرَاهِمَ بِقِيمَةِ الطَّعَامِ»
অর্থ : ''হযরত যুহাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আম(তাবেয়ী) আবূ ইসহাক (রহ.) থেকে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি সাহাবায়ে কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আ'নহুম) ও তাবেয়ীনদের(রহিমাহুমুল্লাহ আজমাঈন)- কে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা রমাদ্বানে সাদাকায়ে ফিতর খাবারের মূল্যমানে অর্থ (দিরহাম) দ্বারা আদায় করতেন।''
*
[মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, হাদীস নংঃ ১০৪৭২ , ৬/৫০৮ দারুল কিবলাহ,অন্য প্রকাশনীর মুছান্নাফ ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-ঃ১০৩৭১-হাদিসটির মান সহীহ। এ ব্যাপারে নিচে শেষের সামান্য বিশ্লেষণ করা হবে]
-
حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يَقُولُ: «أَدْرَكْتُهُمْ وَهُمْ يُعْطُونَ فِي صَدَقَةِ رَمَضَانَ الدَّرَاهِمَ بِقِيمَةِ الطَّعَامِ»
অর্থ : ''হযরত যুহাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আম(তাবেয়ী) আবূ ইসহাক (রহ.) থেকে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি সাহাবায়ে কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আ'নহুম) ও তাবেয়ীনদের(রহিমাহুমুল্লাহ আজমাঈন)- কে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা রমাদ্বানে সাদাকায়ে ফিতর খাবারের মূল্যমানে অর্থ (দিরহাম) দ্বারা আদায় করতেন।''
*
[মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, হাদীস নংঃ ১০৪৭২ , ৬/৫০৮ দারুল কিবলাহ,অন্য প্রকাশনীর মুছান্নাফ ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-ঃ১০৩৭১-হাদিসটির মান সহীহ। এ ব্যাপারে নিচে শেষের সামান্য বিশ্লেষণ করা হবে]
-
২।অনুরুপ ভাবে রয়েছে এ বিষয়ে হযরত ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহ.) এর চিঠি-
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ قُرَّةَ، قَالَ: جَاءَنَا كِتَابُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ «نِصْفُ صَاعٍ عَنْ كُلِّ إِنْسَانٍ أَوْ قِيمَتُهُ نِصْفُ دِرْهَمٍ»
অর্থঃহরজরত কুররাহ(রহঃ) বলেন- ''আমাদের নিকট হজতর উমার বিন আব্দুল আযীযের সদক্বাতুল ফিতরের পত্র আসল যে,প্রত্যেক মানুষের যেন,অর্ধ ছা' কিংবা অর্ধ ছা'-এর মূল্যমান অর্থ(দিরহাম) সদক্বাতুল ফিতর হিসেবে প্রদান করা হয়।''
*
[মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-১০৩৬৯]
অর্থঃহরজরত কুররাহ(রহঃ) বলেন- ''আমাদের নিকট হজতর উমার বিন আব্দুল আযীযের সদক্বাতুল ফিতরের পত্র আসল যে,প্রত্যেক মানুষের যেন,অর্ধ ছা' কিংবা অর্ধ ছা'-এর মূল্যমান অর্থ(দিরহাম) সদক্বাতুল ফিতর হিসেবে প্রদান করা হয়।''
*
[মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-১০৩৬৯]
৩। তেমনি ভাবে ইবনে আবী শায়বার মাঝে টাকা দ্বারা সাদাকায়ে ফিতর আদায় করার ব্যাপারে রয়েছে হযরত হাসান বসরী (রহ.) এর আসার-
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «لَا بَأْسَ أَنْ تُعْطِيَ الدَّرَاهِمَ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ»
অর্থ : হযরত হাসান বসরী (রহ.) বলেন, টাকা দ্বারা সাদাকায়ে ফিতর আদায় করার দ্বারা কোন সমস্যা নেই।
*
[মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-১০৩৭০]
অর্থ : হযরত হাসান বসরী (রহ.) বলেন, টাকা দ্বারা সাদাকায়ে ফিতর আদায় করার দ্বারা কোন সমস্যা নেই।
*
[মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-১০৩৭০]
৪। ইমাম ইবনু আবী শায়বা(রহঃ) তার রচিত কিতাব ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮ এর মাঝে এই ভাবে অনুচ্ছেদ স্থাপন করেন যে:(إِعْطَاءِ الدَّرَاهِمِ فِي زَكَاةِ الْفِطْ) অর্থাৎ সাদাকায়ে ফিতর (দিরহাম) টাকা দ্বারা আদায় করার (বৈধতা) সম্পর্কে।
৫।ইমাম বুখারীর মতে সদক্বাতুল ফিতর অর্থ দ্বারা আদায় করা যাবে ।
(قَوْلُهُ بَابُ الْعَرْضِ فِي الزَّكَاةِ)
أَيْ جَوَازُ أَخْذِ الْعَرْضِ وَهُوَ بِفَتْحِ الْمُهْمَلَةِ وَسُكُونِ الرَّاءِ بَعْدَهَا مُعْجَمَةٌ وَالْمُرَادُ بِهِ مَا عَدَا النَّقْدَيْنِ قَالَ بن رَشِيدٍ وَافَقَ الْبُخَارِيُّ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ الْحَنَفِيَّةَ مَعَ كَثْرَةِ مُخَالَفَتِهِ لَهُمْ لَكِنْ قَادَهُ إِلَى ذَلِكَ الدَّلِيلُ ......الخ
.....আল্লামা ইবনু রাশীদ (রহ.) বলেন, উক্ত মাসয়ালাটির মাঝে ইমাম বুখারী (রহ.) হানাফীদের সহমত পোষন করেছেন....।
*
[ফাতহুল বারী লি ইবনে হাজার-৩/৩১২]
(قَوْلُهُ بَابُ الْعَرْضِ فِي الزَّكَاةِ)
أَيْ جَوَازُ أَخْذِ الْعَرْضِ وَهُوَ بِفَتْحِ الْمُهْمَلَةِ وَسُكُونِ الرَّاءِ بَعْدَهَا مُعْجَمَةٌ وَالْمُرَادُ بِهِ مَا عَدَا النَّقْدَيْنِ قَالَ بن رَشِيدٍ وَافَقَ الْبُخَارِيُّ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ الْحَنَفِيَّةَ مَعَ كَثْرَةِ مُخَالَفَتِهِ لَهُمْ لَكِنْ قَادَهُ إِلَى ذَلِكَ الدَّلِيلُ ......الخ
.....আল্লামা ইবনু রাশীদ (রহ.) বলেন, উক্ত মাসয়ালাটির মাঝে ইমাম বুখারী (রহ.) হানাফীদের সহমত পোষন করেছেন....।
*
[ফাতহুল বারী লি ইবনে হাজার-৩/৩১২]
৬। ইমাম বায়হাকী (রহ.) তার রচিত কিতাব সুনানুল কুবরা-৪/১৮৯ এর মাঝে এই ভাবে অনুচ্ছেদ স্থাপন করেন যে--بَابُ مَنْ أَجَازَ أَخْذَ الْقِيَمِ فِي الزَّكَوَاتِ. অর্থাৎ- এই অনুচ্ছেদ হলো টাকা দ্বারা যাকাত আদায় করা অনুমোদিত।
৭। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ(রহঃ) অর্থ দিয়ে যাকাত ইত্যাদি আদায় করার ব্যপারে ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন - প্রয়োজনে এবং গরীবদের কল্যাণ বিবেচনা করে অর্থের মাধ্যমে আদায় করলে কোন সমস্যা নেই।-
وأما إخراج القيمة في الزكاة والكفارة ونحو ذلك . فالمعروف من مذهب مالك والشافعي أنه لا يجوز وعندأبي حنيفة يجوز وأحمد - رحمه الله - قد منع القيمة في مواضع وجوزها في مواضع فمن أصحابه من أقر النص ومنهم من جعلها على روايتين
والأظهر في هذا : أن إخراج القيمة لغير حاجة ولا مصلحة راجحة ممنوع منه...................... وأما إخراج القيمة للحاجة أو المصلحة أو العدل فلا بأس به.
-
[মাজমুউল ফাতাওয়া ২৫/৮২-৮২-ওয়াজারাতুল আওকাফ]
وأما إخراج القيمة في الزكاة والكفارة ونحو ذلك . فالمعروف من مذهب مالك والشافعي أنه لا يجوز وعندأبي حنيفة يجوز وأحمد - رحمه الله - قد منع القيمة في مواضع وجوزها في مواضع فمن أصحابه من أقر النص ومنهم من جعلها على روايتين
والأظهر في هذا : أن إخراج القيمة لغير حاجة ولا مصلحة راجحة ممنوع منه...................... وأما إخراج القيمة للحاجة أو المصلحة أو العدل فلا بأس به.
-
[মাজমুউল ফাতাওয়া ২৫/৮২-৮২-ওয়াজারাতুল আওকাফ]
৮। এ বিষয়ে আহমদ আল গুমারী (রহ.) এর আরবী ভাষায় ১৩০- ১৫০ পৃষ্ঠা ব্যাপী ‘‘تحقيق الامال فى فى اخراج زكوة الفطر بالمال’’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকা রচনা করেছেন।
এবং শায়খ মুছত্বফা আর রিযক্বা(রহ;) কিতাব'' আল আ'কলু ওয়াল ফিক্বহ ফি ফাহমিল হাদীছিন নাবাবী'' যা সকলকে পড়ে রাখা আবশ্যক।
-
১ম বইটির আরবী পিডিএফ লিংক-
http://www.archive.org/download/zakat_834/taham.pdf
এবং শায়খ মুছত্বফা আর রিযক্বা(রহ;) কিতাব'' আল আ'কলু ওয়াল ফিক্বহ ফি ফাহমিল হাদীছিন নাবাবী'' যা সকলকে পড়ে রাখা আবশ্যক।
-
১ম বইটির আরবী পিডিএফ লিংক-
http://www.archive.org/download/zakat_834/taham.pdf
তিনি এখানে মালেকী মাযহাবের বিষয়টিও আলোচনা করেছেন। কেননা একদল মালেকী
অর্থ দ্বারা ফিতরা আদায়ের পক্ষে নন।
-
এ বিষয়ে আরো দেখুন- বাদায়েউস সানায়ে-২/৯৬৯, আল মাবসুত লিসসারাখসী-৩/১১৩ ইত্যাদি।
অর্থ দ্বারা ফিতরা আদায়ের পক্ষে নন।
-
এ বিষয়ে আরো দেখুন- বাদায়েউস সানায়ে-২/৯৬৯, আল মাবসুত লিসসারাখসী-৩/১১৩ ইত্যাদি।
১ নং হাদীসের সনদের সামান্য পর্যালোচনাঃ
-
হাদিসটির সনদ নিয়ে খামাখাই কিছু দ্বীনি ভাইয়েরা অনর্থক আপত্তি তুলেন, তাদের আপত্তি সাধারন এমনঃ
- ইমাম আবু ইসহাক তাদলিস(বর্ননা সংক্রান্ত একটি দোষ) করেন।
- তার শেষ জীবনে স্মৃতি শক্তি লোপ পায় তাই তার বর্ননায় হেরফের হয়ে যায়।
- আর তার ছাত্র ইমাম যুহাইর (রাহঃ) আবু ইসহাক এর শেষ জীবনের ছাত্র তাই তার বর্ননা গ্রহণ যোগ্য নয়।
-
আবূ উসামা মুদাল্লিস রাবী!
-
* এ হাদিস টিকে যঈফ বানানোর জন্যে সেই ভাইয়েরা এই হাদিসের উল্লিখিত সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য কোন রাবীকেই এরা ছাড়েননি!!
-
খন্ডনঃ
-
১।ইমাম আবু ইসহাক(রহ) সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম এর অন্যতম একজন সিক্বাহ রাবী। সুতরাং তাকে যঈফ বলা যাবেনা ,আর তাদলিসের বিষয় যদি প্রমানিত ও হয় তবুও তাদলীসের দোষ এখানে প্রভাব ফেলতেই পারেনা কেননা সে এখানে স্পষ্ট করেই তার যামানার হালত বর্ণনা করেছেন,উলূমুল হাদীসের উপর সামান্য জ্ঞানীও সিক্বাহ রাবীর তাদলীস প্রমানিত হলে এ ধরনে ভঙ্গিতে বর্ণনা তাদলিসের হুকুম লাগাতে পারেনা।
-
২।প্রত্যেক ব্যক্তিরই স্মৃতি শক্তি শেষ বয়সে কিছুটা লোপ পায় এখানেও ঠিক তেমনই হয়েছে।
তবে একারণে তার হাদীসের বর্ননায় হের ফের হওয়াটা মুহাদ্দিসগনের নিকট শতসিদ্ধ কথা নয়।
*
এই জন্যেই ইমাম যাহাবী(রহঃ) তার ব্যাপারে বলেন -
وهو ثقة حجة بلا نزاع و قد تغير حفظه تغير السن و لم يختلط
তিনি সকলের ঐক্যমতের সিকাহ ও হুজ্জাহ (উচ্চমানের নির্ভরযোগ্য রাবী)
আর বার্ধক্যের কারণে তার স্মৃতি শক্তিতে পরিবর্তন আসে কিন্তু হাদীস বর্ননায় তার হেরফের হয়নি.
(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৬/১২২ দারুল হাদীস)
-
৩। ইমাম বুখারী তার সহীহুল বুখারীতে উল্লেখিত সানাদের আলোচিত অংশ অর্থাৎ ইমাম যুহাইর এর বর্ননায় তার উস্তায ইমাম আবু ইসহাক থেকে হাদিস উল্লেখ করেছেন।
(সহীহুল বুখারী ৩৫৫২- কিতাবুল মানাকিব)
-
এখন সেসব ভাইয়েরা কি বলবেন- সহীহুল বুখারীর হাদীস অগ্রহণযোগ্য?
-
৪। বর্তমান আহলুল হাদিস, সালাফী সহ সকলের শ্রদ্ধাভাজন ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহ:) তার বিখ্যাত সুনানু আবি দাউদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাহযিবুস সুনানের ভিতর ইমাম যুহাইর এর সানাদে আবু ইসহাকের হাদীসের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে গিয়ে ইমাম ইবনে হাযম(রহঃ)- এর উক্তি উল্লেখ করে এভাবে বলেন-
نقول ان رواية زهير عن ابي إسحاق صحيحة
''আমরা বলবো নিশ্চয়ই আবু ইসহাক থেকে যুহাইরের বর্নিত হাদিস সহীহ্।''
(তাহযিবুস সুনান ১/২৭৯ মাকতবাতুল মাআ'রিফ)
-
৫। আরব বিশ্বের নামকরা মুহাদ্দিস সালাফি শাইখ ড. সালিহ আল উযাইব (হাফিঃ) বলেন-
وهذا أبو أسحاق السبيعي –وهو من الطبقة الوسطى من التابعين أدرك عليا وبعض الصحابة رضي الله عنهم - يثبت أن ذلك كان معمولا به في عصرهم فقوله أدركتهم يعني به الصحابة.
এই আবু ইসহাক আছ ছাবিঈ হলেন উছতা তাবেয়ী অর্থাৎ শেষের দিকের একজন তাবেঈ।
তিনি সাইয়্যিদুনা আলি (রাদ্বিঃ) সহ কিছু সাহাবীদের কে পেয়েছেন.
অর্থ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায়ের বিষয়টি সাহাবাদের যুগে প্রমাণিত।
আর তার কথাঃ
أدركتهم
আদরকতুহুম দ্বারা সাহাবীগণ উদ্দেশ্য ..!''
হাওয়ালাঃ
http://alodaib.com/news.phpaction=show&id=2106
-
৬।আবু উসামা হাম্মাদ বিন উসামা হলে যুগশ্রেষ্ঠ একজন উচুমানের রাবী যার থেকে বুখারী মুসলিম সহ প্রায় সকল কিতাবে হাদিস আনা হয়েছে।
-
ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল(রহঃ) তার ব্যাপারে বলেন-
-
হাদিসটির সনদ নিয়ে খামাখাই কিছু দ্বীনি ভাইয়েরা অনর্থক আপত্তি তুলেন, তাদের আপত্তি সাধারন এমনঃ
- ইমাম আবু ইসহাক তাদলিস(বর্ননা সংক্রান্ত একটি দোষ) করেন।
- তার শেষ জীবনে স্মৃতি শক্তি লোপ পায় তাই তার বর্ননায় হেরফের হয়ে যায়।
- আর তার ছাত্র ইমাম যুহাইর (রাহঃ) আবু ইসহাক এর শেষ জীবনের ছাত্র তাই তার বর্ননা গ্রহণ যোগ্য নয়।
-
আবূ উসামা মুদাল্লিস রাবী!
-
* এ হাদিস টিকে যঈফ বানানোর জন্যে সেই ভাইয়েরা এই হাদিসের উল্লিখিত সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য কোন রাবীকেই এরা ছাড়েননি!!
-
খন্ডনঃ
-
১।ইমাম আবু ইসহাক(রহ) সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম এর অন্যতম একজন সিক্বাহ রাবী। সুতরাং তাকে যঈফ বলা যাবেনা ,আর তাদলিসের বিষয় যদি প্রমানিত ও হয় তবুও তাদলীসের দোষ এখানে প্রভাব ফেলতেই পারেনা কেননা সে এখানে স্পষ্ট করেই তার যামানার হালত বর্ণনা করেছেন,উলূমুল হাদীসের উপর সামান্য জ্ঞানীও সিক্বাহ রাবীর তাদলীস প্রমানিত হলে এ ধরনে ভঙ্গিতে বর্ণনা তাদলিসের হুকুম লাগাতে পারেনা।
-
২।প্রত্যেক ব্যক্তিরই স্মৃতি শক্তি শেষ বয়সে কিছুটা লোপ পায় এখানেও ঠিক তেমনই হয়েছে।
তবে একারণে তার হাদীসের বর্ননায় হের ফের হওয়াটা মুহাদ্দিসগনের নিকট শতসিদ্ধ কথা নয়।
*
এই জন্যেই ইমাম যাহাবী(রহঃ) তার ব্যাপারে বলেন -
وهو ثقة حجة بلا نزاع و قد تغير حفظه تغير السن و لم يختلط
তিনি সকলের ঐক্যমতের সিকাহ ও হুজ্জাহ (উচ্চমানের নির্ভরযোগ্য রাবী)
আর বার্ধক্যের কারণে তার স্মৃতি শক্তিতে পরিবর্তন আসে কিন্তু হাদীস বর্ননায় তার হেরফের হয়নি.
(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৬/১২২ দারুল হাদীস)
-
৩। ইমাম বুখারী তার সহীহুল বুখারীতে উল্লেখিত সানাদের আলোচিত অংশ অর্থাৎ ইমাম যুহাইর এর বর্ননায় তার উস্তায ইমাম আবু ইসহাক থেকে হাদিস উল্লেখ করেছেন।
(সহীহুল বুখারী ৩৫৫২- কিতাবুল মানাকিব)
-
এখন সেসব ভাইয়েরা কি বলবেন- সহীহুল বুখারীর হাদীস অগ্রহণযোগ্য?
-
৪। বর্তমান আহলুল হাদিস, সালাফী সহ সকলের শ্রদ্ধাভাজন ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহ:) তার বিখ্যাত সুনানু আবি দাউদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাহযিবুস সুনানের ভিতর ইমাম যুহাইর এর সানাদে আবু ইসহাকের হাদীসের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে গিয়ে ইমাম ইবনে হাযম(রহঃ)- এর উক্তি উল্লেখ করে এভাবে বলেন-
نقول ان رواية زهير عن ابي إسحاق صحيحة
''আমরা বলবো নিশ্চয়ই আবু ইসহাক থেকে যুহাইরের বর্নিত হাদিস সহীহ্।''
(তাহযিবুস সুনান ১/২৭৯ মাকতবাতুল মাআ'রিফ)
-
৫। আরব বিশ্বের নামকরা মুহাদ্দিস সালাফি শাইখ ড. সালিহ আল উযাইব (হাফিঃ) বলেন-
وهذا أبو أسحاق السبيعي –وهو من الطبقة الوسطى من التابعين أدرك عليا وبعض الصحابة رضي الله عنهم - يثبت أن ذلك كان معمولا به في عصرهم فقوله أدركتهم يعني به الصحابة.
এই আবু ইসহাক আছ ছাবিঈ হলেন উছতা তাবেয়ী অর্থাৎ শেষের দিকের একজন তাবেঈ।
তিনি সাইয়্যিদুনা আলি (রাদ্বিঃ) সহ কিছু সাহাবীদের কে পেয়েছেন.
অর্থ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায়ের বিষয়টি সাহাবাদের যুগে প্রমাণিত।
আর তার কথাঃ
أدركتهم
আদরকতুহুম দ্বারা সাহাবীগণ উদ্দেশ্য ..!''
হাওয়ালাঃ
http://alodaib.com/news.phpaction=show&id=2106
-
৬।আবু উসামা হাম্মাদ বিন উসামা হলে যুগশ্রেষ্ঠ একজন উচুমানের রাবী যার থেকে বুখারী মুসলিম সহ প্রায় সকল কিতাবে হাদিস আনা হয়েছে।
-
ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল(রহঃ) তার ব্যাপারে বলেন-
كان ثبتًا، ما كان أثبته، لا يكاد يخطئ. «العلل ومعرفة الرجال»
--''তিনি সাবত (প্রখর হাফিয যা সিকাহ এর চেয়েও উচ্চমানের তাদিল) ছিলেন, তিনি ভুল রিওয়াইয়াত করতেন না।''
-
(আল ই'লাল ওয়া মা'রিফাতুর রিজালঃ৭৪৫)
*
এছাড়া তাকে ইমাম ইবনে মাইন(রহঃ) ও ইমাম ইয়াহিয়া বিন সাইদ(রহঃ) সহ প্রমুখ জারহ তাদীলের ইমাম সিকাহ হাফেয উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
-
◼বিস্তারিত জানতে নিম্নোক্ত কিতাব গুলোর হাওয়ালা দেখুন-
معرفة الرجال عن ابن معين برواية ابن محرز (1/155 ، 156) .
سؤالات ابن الجنيد لابن معين (صـ 77) .
تاريخ الدارمي (صـ 90) .
العلل ومعرفة الرجال عن أحمد برواية المروذي (صـ 150) .
العلل ومعرفة الرجال عن أحمد ، رواية عبد الله (1/383 ، 390) (2/109) (3/207 ، 209 ، 313 ، 313 ، 464) .
تهذيب الكمال (7/217) .
تهذيب التهذيب (1/477) .
تقريب التهذيب (صـ 267) .
الجرح والتعديل (3/132) رقم (600) .
سير أعلام النبلاء (9/277) .
تاريخ ابن معين رواية الدوري (3/354،385،401) .
التاريخ الكبير (3/28)رقم(113) .
الثقات لابن حبان (6/222) .
الكاشف للذهبي (1/348) .
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল যে,তিনি উচ্চমানের রাবী ছিলেন.
এবার আসা যাক তার তাদলিসের কথায়ঃ
*
(১) তাকে যারা মুদাল্লিস বলেছেন তারা জারহ ওয়া তাদীলের মুতাদিল কোন ব্যক্তিত্ব নন।
-
এর মধ্যে সর্বাগ্রে হলেন ইতিহাসবিদ আল্লামা ইবনে সা'য়াদ।
ইমাম ইবনে হাজার রহ.তাকে জারহ তাদীলের ব্যাপারে তাকে অনির্ভরযোগ্য বলেছেন।
[হাদিউছ ছা-রি,আছক্বালানী পৃষ্টাঃ৪১৬]
-
(২)যদিও মেনেও নেই তিনি মুদাল্লিস ..!
- প্রথম কথা হল
তার তাদলিসের ব্যাপারে ইমাম ইবনে হাজার বলেন
"এসমস্ত ইমামদের তাদলিস তিন ধরনের হয়ে থাকে-
-
ক। তাদের امامة যোগ্যতা ও নির্ভরশীলতার কারনে হাদীসের গ্রন্থকারেরা তাদের হাদিস গ্রহণ করেছেন।
খ। তাদের অগনিত বর্ননা অপেক্ষা তাদলিস কম হওয়ায়।
গ। তারা সিকাহ ছাড়া তাদলিস করতেন না।"
-
[আন নুকাত আ'লা কিতাবি ইবনুছ ছলাহ পৃঃ২৩৮]
*
- আর দ্বিতীয় কথা হল
তার তাদলিস ছিল তাদলিসুশ শুয়ুখ যাকে তাদলীসে ইসনাদ ও বলে থাকেন কেউ কেউ। এবং সিক্বাহ রাবীদের এধরনের তাদলীস উছূলে হাদীস মুতাবেক কোন সমস্যা নেই।
-
[শরহু ই'লালিত তিরমিযী,ইবনু রাজাব আল হাম্বলী-তাহক্বীকঃ নুরুদ্দীন আ'তার ১/৬৭৯]
-
যদি আপনি এটিকে দোষ মনে করেন তাহলে ইমাম বুখারী কিন্তু বাদ যাবে না,কেননা এ ধরনের তাদলীস খোদ ইমাম বুখারীর সহীহ বুখারীতেই তিনি করেছেন অন্য গ্রন্থ তো বাদই দিলাম।!!
-
মারহুম শায়খ আলবানী সাহেব তার 'জামে তিরমিজি'- এর তাহকিকে আবু উসামার معنعن মুয়ানয়ান(আ'ন যুক্ত) হাদীসকে হাসানুন সহীহুন বলেছেন ...!
-
ইমাম ইবনু হাজার আল আছক্বালানী তাঁর"ত্ববাক্বাতুল মুদাল্লিসীন''- কিতাবে বলেনঃ
--''তিনি সাবত (প্রখর হাফিয যা সিকাহ এর চেয়েও উচ্চমানের তাদিল) ছিলেন, তিনি ভুল রিওয়াইয়াত করতেন না।''
-
(আল ই'লাল ওয়া মা'রিফাতুর রিজালঃ৭৪৫)
*
এছাড়া তাকে ইমাম ইবনে মাইন(রহঃ) ও ইমাম ইয়াহিয়া বিন সাইদ(রহঃ) সহ প্রমুখ জারহ তাদীলের ইমাম সিকাহ হাফেয উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
-
◼বিস্তারিত জানতে নিম্নোক্ত কিতাব গুলোর হাওয়ালা দেখুন-
معرفة الرجال عن ابن معين برواية ابن محرز (1/155 ، 156) .
سؤالات ابن الجنيد لابن معين (صـ 77) .
تاريخ الدارمي (صـ 90) .
العلل ومعرفة الرجال عن أحمد برواية المروذي (صـ 150) .
العلل ومعرفة الرجال عن أحمد ، رواية عبد الله (1/383 ، 390) (2/109) (3/207 ، 209 ، 313 ، 313 ، 464) .
تهذيب الكمال (7/217) .
تهذيب التهذيب (1/477) .
تقريب التهذيب (صـ 267) .
الجرح والتعديل (3/132) رقم (600) .
سير أعلام النبلاء (9/277) .
تاريخ ابن معين رواية الدوري (3/354،385،401) .
التاريخ الكبير (3/28)رقم(113) .
الثقات لابن حبان (6/222) .
الكاشف للذهبي (1/348) .
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল যে,তিনি উচ্চমানের রাবী ছিলেন.
এবার আসা যাক তার তাদলিসের কথায়ঃ
*
(১) তাকে যারা মুদাল্লিস বলেছেন তারা জারহ ওয়া তাদীলের মুতাদিল কোন ব্যক্তিত্ব নন।
-
এর মধ্যে সর্বাগ্রে হলেন ইতিহাসবিদ আল্লামা ইবনে সা'য়াদ।
ইমাম ইবনে হাজার রহ.তাকে জারহ তাদীলের ব্যাপারে তাকে অনির্ভরযোগ্য বলেছেন।
[হাদিউছ ছা-রি,আছক্বালানী পৃষ্টাঃ৪১৬]
-
(২)যদিও মেনেও নেই তিনি মুদাল্লিস ..!
- প্রথম কথা হল
তার তাদলিসের ব্যাপারে ইমাম ইবনে হাজার বলেন
"এসমস্ত ইমামদের তাদলিস তিন ধরনের হয়ে থাকে-
-
ক। তাদের امامة যোগ্যতা ও নির্ভরশীলতার কারনে হাদীসের গ্রন্থকারেরা তাদের হাদিস গ্রহণ করেছেন।
খ। তাদের অগনিত বর্ননা অপেক্ষা তাদলিস কম হওয়ায়।
গ। তারা সিকাহ ছাড়া তাদলিস করতেন না।"
-
[আন নুকাত আ'লা কিতাবি ইবনুছ ছলাহ পৃঃ২৩৮]
*
- আর দ্বিতীয় কথা হল
তার তাদলিস ছিল তাদলিসুশ শুয়ুখ যাকে তাদলীসে ইসনাদ ও বলে থাকেন কেউ কেউ। এবং সিক্বাহ রাবীদের এধরনের তাদলীস উছূলে হাদীস মুতাবেক কোন সমস্যা নেই।
-
[শরহু ই'লালিত তিরমিযী,ইবনু রাজাব আল হাম্বলী-তাহক্বীকঃ নুরুদ্দীন আ'তার ১/৬৭৯]
-
যদি আপনি এটিকে দোষ মনে করেন তাহলে ইমাম বুখারী কিন্তু বাদ যাবে না,কেননা এ ধরনের তাদলীস খোদ ইমাম বুখারীর সহীহ বুখারীতেই তিনি করেছেন অন্য গ্রন্থ তো বাদই দিলাম।!!
-
মারহুম শায়খ আলবানী সাহেব তার 'জামে তিরমিজি'- এর তাহকিকে আবু উসামার معنعن মুয়ানয়ান(আ'ন যুক্ত) হাদীসকে হাসানুন সহীহুন বলেছেন ...!
-
ইমাম ইবনু হাজার আল আছক্বালানী তাঁর"ত্ববাক্বাতুল মুদাল্লিসীন''- কিতাবে বলেনঃ
متفق على الاحتجاج به
''সর্বসম্মতিক্রমে তার হাদিস দ্বারা দলিল দেয়া যায়....।''
-
সবশেষে সমাধানে আশা গেল যে, হাদিসটি উচূমানের সহীহ,এবং এর উপর আপত্তি ভিত্তিহীন!
*
আল্লাহ্ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুক এবং সেই মুতাবেক আমল করার তাওফীক দান করুক (আমীন)
.
------
লিখেছেনঃ মুহতারাম শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন হাফিযাহুল্লাহু
সোর্সঃ https://m.facebook.com/groups/332592813803173?view=permalink&id=395340457528408
''সর্বসম্মতিক্রমে তার হাদিস দ্বারা দলিল দেয়া যায়....।''
-
সবশেষে সমাধানে আশা গেল যে, হাদিসটি উচূমানের সহীহ,এবং এর উপর আপত্তি ভিত্তিহীন!
*
আল্লাহ্ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুক এবং সেই মুতাবেক আমল করার তাওফীক দান করুক (আমীন)
.
------
লিখেছেনঃ মুহতারাম শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন হাফিযাহুল্লাহু
সোর্সঃ https://m.facebook.com/groups/332592813803173?view=permalink&id=395340457528408