সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ কত?
সদকাতুল ফিতিরের পরিমান কত এক ছা' নাকি আধা ছা'?
সদকাতুল ফিতিরের ক্ষেত্রে ১ ছা' ও আধা ছা' ২টিই সহীহ হাদিস সিদ্ধ।এক ছা'= ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম
সদকাতুল ফিতিরের ক্ষেত্রে ১ ছা' ও আধা ছা' ২টিই সহীহ হাদিস সিদ্ধ।এক ছা'= ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম
হানাফী মাযহাব মুতাবেক সদকা ফিতিরের পরিমাণ হলো, আটা, গম বা গমের ছাতু হলে অর্ধ ছা'।
-
(মারাক্বিল ফালাহ আ'লা নূরুল ইযাহ- ৩৯৫)।
আটা, গম বা গমের ছাতু (পুরনো সের আশি তোলার মাপ অনুযায়ী) এক সের সাড়ে বার ছটাক দিতে হবে। আর আধুনিক ওজন মাপে ১ কেজি ৬৫৭ গ্রাম বা তার সমপরিমাণ মূল্য দিতে হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে দুই সের অথবা নির্ধারিত পরিমানের চেয়ে কিছু বেশী দেওয়া ভালো। খেজুর, যব অথবা কিসমিস দিলেও গম ইত্যাদির দিগুন তথা সাড়ে তিন সের দিতে হবে। বর্তমানের আধুনিক ওজনের যা তিন কেজি ৩১২ গ্রাম বা তার সমপরিমাণ মূল্য।
(বেহেশতী জেওর- ২/২৩০)
✏ ✏
কিন্তু সামর্থ্য মুতাবেক ফিতরা আদায় করাই উচিত যার সামর্থ্য আছে সে ১ ছা' -এর হিসেবে কিসমিস,পনীর,খেজুর বা যব প্রদান করবে কিংবা এর সমপরিমাণ মূল্য প্রদান করবে।
-
(মারাক্বিল ফালাহ আ'লা নূরুল ইযাহ- ৩৯৫)।
আটা, গম বা গমের ছাতু (পুরনো সের আশি তোলার মাপ অনুযায়ী) এক সের সাড়ে বার ছটাক দিতে হবে। আর আধুনিক ওজন মাপে ১ কেজি ৬৫৭ গ্রাম বা তার সমপরিমাণ মূল্য দিতে হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে দুই সের অথবা নির্ধারিত পরিমানের চেয়ে কিছু বেশী দেওয়া ভালো। খেজুর, যব অথবা কিসমিস দিলেও গম ইত্যাদির দিগুন তথা সাড়ে তিন সের দিতে হবে। বর্তমানের আধুনিক ওজনের যা তিন কেজি ৩১২ গ্রাম বা তার সমপরিমাণ মূল্য।
(বেহেশতী জেওর- ২/২৩০)
✏ ✏
কিন্তু সামর্থ্য মুতাবেক ফিতরা আদায় করাই উচিত যার সামর্থ্য আছে সে ১ ছা' -এর হিসেবে কিসমিস,পনীর,খেজুর বা যব প্রদান করবে কিংবা এর সমপরিমাণ মূল্য প্রদান করবে।
নিচে ১ ছা' ও আধা ছা' দিয়ে ফিতরা আদায়ের সহীহ হাদিস গুলো দেওয়া হলঃ
-
১। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন: "আমরা-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে যাকাতুল ফিতর বের করতাম এক সা খাদ্য দ্রব্য কিংবা এক সা যব কিংবা এক সা খেজুর কিংবা এক সা পনীর কিংবা এক সা কিশমিশ।"
[ বুখারী- ১৫০৬ মুসলিম-২২৮১]
২।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ الْفَرَّاءِ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ «كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَاعًا مِنْ طَعَامٍ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ فَلَمْ نَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاوِيَةُ الْمَدِينَةَ فَكَانَ فِيمَا كَلَّمَ بِهِ النَّاسَ أَنْ قَالَ لَا أُرَى مُدَّيْنِ مِنْ سَمْرَاءِ الشَّامِ إِلَّا تَعْدِلُ صَاعًا مِنْ هَذَا فَأَخَذَ النَّاسُ بِذَلِكَ». قَالَ أَبُو سَعِيدٍ لَا أَزَالُ أُخْرِجُهُ كَمَا كُنْتُ أُخْرِجُهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَبَدًا مَا عِشْتُ.
-
হজরত আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের মাঝে বর্তমান থাকা অবস্থায় আমরা সাদকাতুল ফিতর বাবদ এক সা‘ খাদ্য (গম) বা এক সা‘ খেজুর বা এক সা‘ যব বা এক সা‘ পনির অথবা এক সা‘ কিসমিস দান করতাম। আমরা অব্যাহতভাবে এ নিয়মই পালন করে আসছিলাম। অবশেষে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু মাদ্বীনায় আমাদের নিকট আসেন এবং লোকেদের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, আমি শাম দেশের উত্তম গমের দু’ মুদ্দ পরিমাণকে এখানকার এক সা‘র সমান মনে করি। তখন থেকে লোকেরা এ কথাটিকেই গ্রহণ করে নিলো। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি কিন্তু সারা জীবন ঐ হিসাবেই সদকাতুল ফিতর পরিশোধ করে যাবো,যে হিসাবে আমি রসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুগে তা পরিশোধ করতাম।
-
৩।
-
১। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন: "আমরা-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে যাকাতুল ফিতর বের করতাম এক সা খাদ্য দ্রব্য কিংবা এক সা যব কিংবা এক সা খেজুর কিংবা এক সা পনীর কিংবা এক সা কিশমিশ।"
[ বুখারী- ১৫০৬ মুসলিম-২২৮১]
২।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ الْفَرَّاءِ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ «كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَاعًا مِنْ طَعَامٍ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ فَلَمْ نَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاوِيَةُ الْمَدِينَةَ فَكَانَ فِيمَا كَلَّمَ بِهِ النَّاسَ أَنْ قَالَ لَا أُرَى مُدَّيْنِ مِنْ سَمْرَاءِ الشَّامِ إِلَّا تَعْدِلُ صَاعًا مِنْ هَذَا فَأَخَذَ النَّاسُ بِذَلِكَ». قَالَ أَبُو سَعِيدٍ لَا أَزَالُ أُخْرِجُهُ كَمَا كُنْتُ أُخْرِجُهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَبَدًا مَا عِشْتُ.
-
হজরত আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের মাঝে বর্তমান থাকা অবস্থায় আমরা সাদকাতুল ফিতর বাবদ এক সা‘ খাদ্য (গম) বা এক সা‘ খেজুর বা এক সা‘ যব বা এক সা‘ পনির অথবা এক সা‘ কিসমিস দান করতাম। আমরা অব্যাহতভাবে এ নিয়মই পালন করে আসছিলাম। অবশেষে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু মাদ্বীনায় আমাদের নিকট আসেন এবং লোকেদের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, আমি শাম দেশের উত্তম গমের দু’ মুদ্দ পরিমাণকে এখানকার এক সা‘র সমান মনে করি। তখন থেকে লোকেরা এ কথাটিকেই গ্রহণ করে নিলো। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি কিন্তু সারা জীবন ঐ হিসাবেই সদকাতুল ফিতর পরিশোধ করে যাবো,যে হিসাবে আমি রসূলুল্লাহ ﷺ -এর যুগে তা পরিশোধ করতাম।
-
৩।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم «أَمَرَ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ فَجَعَلَ النَّاسُ عِدْلَهُ مُدَّيْنِ مِنْ حِنْطَةٍ».
হজরত ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ ﷺ সদকাতুল ফিতর (ফিতরা) বাবদ এক সা খেজুর অথবা এক সা‘ যব দান করার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,পরবর্তীতে লোকেরা (সাহাবা ও তাবেয়ীরা) দু’ মুদ্দ গমকে এক ছা‘র সমান ধরে নিয়েছে।
-
(সহীহ বুখারী ১৫০৩, ১৫০৪, মুসলিম ৯৮৪, তিরমিযী ৬৭৫, নাসায়ী ২৫০০)
-
(সহীহ বুখারী ১৫০৫ মুসলিম ৯৮৫, তিরমিযী ৬৭৩, নাসায়ী ২৫১১আবূ দাউদ ১৬১৬আহমাদ ১০৭৯৮)
হজরত ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ ﷺ সদকাতুল ফিতর (ফিতরা) বাবদ এক সা খেজুর অথবা এক সা‘ যব দান করার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,পরবর্তীতে লোকেরা (সাহাবা ও তাবেয়ীরা) দু’ মুদ্দ গমকে এক ছা‘র সমান ধরে নিয়েছে।
-
(সহীহ বুখারী ১৫০৩, ১৫০৪, মুসলিম ৯৮৪, তিরমিযী ৬৭৫, নাসায়ী ২৫০০)
-
(সহীহ বুখারী ১৫০৫ মুসলিম ৯৮৫, তিরমিযী ৬৭৩, নাসায়ী ২৫১১আবূ দাউদ ১৬১৬আহমাদ ১০৭৯৮)
ইমাম ইবনে মুফলিহ আল হাম্বলী(রহ) তাঁর ‘কিতাবুল ফুরূ’তে ইবনে তাইমিয়ার বক্তব্য এভাবে উল্লেখ করেছে,
واختار شيخنا بأنه يجزئ نصف صاع من بر، وقال : وهو قياس المذهب في الكفارة، وإنه يقتضيه ما نقله الأثرم.
অর্থ: আমাদের শায়েখ (ইবনে তাইমিয়া) এ মত গ্রহণ করেছে যে, আধা সা’ গম দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায় হবে। তিনি বলেন, কাফফারার ক্ষেত্রে সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব একথাই বলে এবং ইমাম আছরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি এর বর্ণনাও তা নির্দেশ করে।
-
(আলফুরূ',ইবনুল মুফলিহ ১/৭০৯; যাদুল মাআদ,ইবনুল কাইয়্যুম আল জাওযিয়্যাহ ২/২০; তামামুল মিন্নাহ,শায়খ নাছীরুদ্দীন আলবানী - ৩৮৬)
واختار شيخنا بأنه يجزئ نصف صاع من بر، وقال : وهو قياس المذهب في الكفارة، وإنه يقتضيه ما نقله الأثرم.
অর্থ: আমাদের শায়েখ (ইবনে তাইমিয়া) এ মত গ্রহণ করেছে যে, আধা সা’ গম দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায় হবে। তিনি বলেন, কাফফারার ক্ষেত্রে সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব একথাই বলে এবং ইমাম আছরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি এর বর্ণনাও তা নির্দেশ করে।
-
(আলফুরূ',ইবনুল মুফলিহ ১/৭০৯; যাদুল মাআদ,ইবনুল কাইয়্যুম আল জাওযিয়্যাহ ২/২০; তামামুল মিন্নাহ,শায়খ নাছীরুদ্দীন আলবানী - ৩৮৬)
ইবনে তাইমিয়ার প্রধান ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম(রহিমাহুমাল্লাহ) বলেছেন-
وفيه عن النبي صلى الله عليه وسلم آثار مرسلة ومسندة يقوي بعضها بعضا.
অর্থ: আধা সা’ গমের বিষয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,( ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার থেকে একাধিক মুরসাল ও মুসনাদ হাদীছ বর্ণিত আছে, যেগুলো সমষ্টিগতভাবে শক্তিশালী।
-
(যাদুল মাআদ ২/১৮-২০)
وفيه عن النبي صلى الله عليه وسلم آثار مرسلة ومسندة يقوي بعضها بعضا.
অর্থ: আধা সা’ গমের বিষয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,( ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার থেকে একাধিক মুরসাল ও মুসনাদ হাদীছ বর্ণিত আছে, যেগুলো সমষ্টিগতভাবে শক্তিশালী।
-
(যাদুল মাআদ ২/১৮-২০)
শায়খ নাছীরউদ্দীন আলবানী সাহেব বলেছেন-
زاد فيه أحاديث مرفوعة إلى النبي صلى الله عليه وسلم وفي الباب آثار مرسلة ومسنده يقوي بعضها بعضا، كما قال ابن القيم في الزاد وقد ساقها فيه، فليراجعها من شاء، وخرجتها أنا في التعليقات الجياد. فثبت من ذلك أن الواجب في صدقة الفطر من القمح نصف صاع، وهو اختيار شيخ الإسلام ابن تيمية كما في الاختيبارات. ص : ٦٠ وإليه مال ابن القيم كما سبق، وهو الحق إن شاء الله تعالى.
অর্থ: আধা সা’ সম্পর্কে কয়েকটি মারফূ হাদীছ শরীফ রয়েছে এবং এ বিষয়ে অনেক মুরসাল ও মুসনাদ আছর রয়েছে, যেগুলো সমষ্টিগতভাবে শক্তিশালী। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম ‘‘যাদুল মাআদ’’ কিতাবে এমনটি বলেছেন এবং তিনি ঐসব আছার উল্লেখ করেছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, গমের ওয়াজিব ফিতরা হলো আধা সা’। আর এটি ইবনে তাইমিয়ার অভিমত এবং ইবনুল কাইয়্যিম এ দিকেই ঝুঁকেছেন। ইনশাআল্লাহ এটিই সঠিক মত।
-
(তামামুল মিন্নাহ ফি তা’লিকী আলা ফিক্বহীস সুন্নাহ ১খন্ড ৩৮৬ পৃষ্ঠা)
-
সুতরাং বুঝা গেল অর্ধ ছা'এর হিসেবে ফিতরা আদায় করা সহীহ।
আধা ছা' এর সহীহ হাদীসের বিশাল ফিহরিস্তি মাসিক আল কাউসারে উল্লেখ করা হয়েছে ,বিস্তারিত জানতে দেখুন-
http://alkawsar.com/article/432
زاد فيه أحاديث مرفوعة إلى النبي صلى الله عليه وسلم وفي الباب آثار مرسلة ومسنده يقوي بعضها بعضا، كما قال ابن القيم في الزاد وقد ساقها فيه، فليراجعها من شاء، وخرجتها أنا في التعليقات الجياد. فثبت من ذلك أن الواجب في صدقة الفطر من القمح نصف صاع، وهو اختيار شيخ الإسلام ابن تيمية كما في الاختيبارات. ص : ٦٠ وإليه مال ابن القيم كما سبق، وهو الحق إن شاء الله تعالى.
অর্থ: আধা সা’ সম্পর্কে কয়েকটি মারফূ হাদীছ শরীফ রয়েছে এবং এ বিষয়ে অনেক মুরসাল ও মুসনাদ আছর রয়েছে, যেগুলো সমষ্টিগতভাবে শক্তিশালী। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম ‘‘যাদুল মাআদ’’ কিতাবে এমনটি বলেছেন এবং তিনি ঐসব আছার উল্লেখ করেছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, গমের ওয়াজিব ফিতরা হলো আধা সা’। আর এটি ইবনে তাইমিয়ার অভিমত এবং ইবনুল কাইয়্যিম এ দিকেই ঝুঁকেছেন। ইনশাআল্লাহ এটিই সঠিক মত।
-
(তামামুল মিন্নাহ ফি তা’লিকী আলা ফিক্বহীস সুন্নাহ ১খন্ড ৩৮৬ পৃষ্ঠা)
-
সুতরাং বুঝা গেল অর্ধ ছা'এর হিসেবে ফিতরা আদায় করা সহীহ।
আধা ছা' এর সহীহ হাদীসের বিশাল ফিহরিস্তি মাসিক আল কাউসারে উল্লেখ করা হয়েছে ,বিস্তারিত জানতে দেখুন-
http://alkawsar.com/article/432
-----
লিখেছেনঃ মুহতারাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন