পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)

ছবি
ঘোষণাঃ এই পেজের আপডেট বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন আপডেট এর জন্য রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডির ওয়েবসাইট ভিজিট করুন-  www.ruqyahbd.org/download .. [-] যাদু, জ্বিন, বদনজর এবং রুকইয়াহ বিষয়ে সহায়তা পেতে অথবা বিস্তারিত জানতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন- https://facebook.com/groups/ruqyahbd Tags: Ruqyah, Ruqya, রুকয়া, রুকইয়া, রুকইয়াহ, রুকাইয়া, রুকাইয়াহ, ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, দোয়া, জিন, ভুত, পরী, বান, ভুডু, ব্ল্যাক ম্যাজিক, কালো যাদু, যাদু, জাদু, কবিরাজ, চিকিৎসা, বদনজর, কুনজর, মানসিক রোগ, স্নায়বিক দুর্বলতা, সহীহ, হাদীস, কোরআন, ইসলাম, যাদুর চিকিৎসা, জিন ধরা, দুষ্ট জিন, খবিস, শয়তান, জ্বিনের স্পর্শ, জ্বিনের চিকিৎসা, এক্সোর্সিজম, এক্সোরসিস্ট, exorcism, exorcist, demonology, Demonologist.

শিয়া ধর্মের ভুয়া মাহদি বা ১২তম ইমাম প্রসঙ্গে...

ছবি
শিয়া ধর্মের মূল ভিত্তি হল ইমামত,১২-ইমামি শাখার শিয়ারা তাদের ইচ্ছামত আহলে বাইত এর বংশধরদের মধ্যে থেকে ১২ জনকে ইমামত(চিপা দিয়ে নবুয়্যাত পদ্ধতি) দিয়েছে, যার সর্বশেষ হল ইমাম মাহদী- যার অস্তিত্ব ভিত্তিহীন। এই ১২তম ইমাম শৈশবে গায়েব হয়ে সমগ্র সৃষ্টিজগতে কর্তৃত্ব করছে বলে শিয়া-ধর্মে বিশ্বাস,তার জন্য সামারা গুহার গর্তে খোঁজ চলে,ইরানের যামকারান কূপে চিঠি ফেলা হয়। ১২০০ বছর আগে গায়েব এই কল্পিত ইমাম এর বের হবার উপরেই শিয়া ধর্ম বহুলাংশে নির্ভরশীল!ইরানের সরকারকে “মেহদির অফিস” বলা হয়!আসুন সংক্ষেপে জানি তার সম্পর্কে,শিয়া ধর্মগ্রন্থ থেকে- ◊● জন্মঃ আহলে বাইতের নামে মিথ্যাচার করে ইহুদি-সাবাঈ তত্বে সৃষ্ট ইমামত-আকিদার প্রচার করে আসছিল শিয়ারা সেই আলী(রা) এর সময় থেকেই। তার সাথে রাসূল(সা) এর বর্ণিত ১২ জন খলিফার হাদিসকে চাপিয়ে দিয়ে আলী(রা)এর পরে আহলে বাইত এর বংশধরদের থেকে ইচ্ছামত ইমাম বানাতে থাকে। বিপত্তি বাধে ২৬০ হিজরি সনে দাবিকৃত #১১ ইমাম হাসান আসকারী(র) ২৮ বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। স্বভাবজাত পন্থায় শিয়ারা হাসান আসকারী(র) এর নামেও কিচ্ছা ফাঁদে যে,তার এক দাসী ছিল নারজিস/মুলাইকা/সাওসান/খাম

কুরআন মাজীদে সাহাবা রাযিয়াল্লাহু আনহুম

ছবি
কুরআন আল-হাকীম নাযিল হয়েছে আল্লাহ্‌র রাসূল হযরত মুহাম্মদ(ﷺ)এর প্রতি। আর এতে আম(সাধারণ), খাস(বিশেষ) ও মুতাশাবিহাত আয়াত ইত্যাদি রয়েছে। তবে কুরআনের আয়াত নাযিলের আসবাব/কারণ হিসাবে রাসুল(ﷺ)এর জীবনের সমসাময়িক ঘটনা, কাফের-মুশরিক অথবা নেককারঃ সবই রাসূল(ﷺ)কে জানাতে তাঁর পরিপার্শ্বের উদ্দেশ্যে নাযিলকৃত। এবং যেসব আয়াতে সরাসরি-পরোক্ষভাবে আদেশ-নির্দেশ প্রয়োগ/উদ্দেশ্য করা হয়েছে তাও সাহাবাদের প্রতিই। যদিও কুরআনের আয়াত থেকে নিঃসৃত হুকুম-আহকাম কিয়ামত পর্যন্ত উম্মাহর জন্য ধার্য। কুরআনুল কারীমের আয়াতসমূহে সাহাবাদের ফযীলাত - ¤ “এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রাসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। আপনি যে কেবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রাসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়।“ [সূরা বাকারাহঃ ১৪৩]

শিয়া ধর্মের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যঃ সাহাবা (রা) প্রসঙ্গ

ছবি
আমরা কেউই সরাসরি রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর কাছ থেকে ইসলাম এর বাণী শুনিনি বা শিখিনি,সরাসরি তাঁর নির্দেশ পালন ও বাস্তবায়ন করার দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করতে পারিনি; বরং তা করে গিয়েছেন রাসূল(ﷺ)এর মহান সাহাব(রা)গণ।তাঁদের ধারায় পরবর্তীতে ইসলাম বিকশিত হয়ে ডালপালা মেলেছে,ঈমানদারদের খুশির কারণ ও কাফেরদের জন্য যন্ত্রণা বয়ে এনেছেন। সাহাবারা কুরআন মুখস্থ করেছেন এবং তার উপরে আমল করেছেন, পরস্পর সংশোধন,উপদেশ,মতবিনিময়ের মাধ্যমে রাসূল(ﷺ)এর আমলকে শরিয়াত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাফের মুশরিক,ইহুদি-নাসারাগণ সামনাসামনি ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস না পেয়ে কিংবা ইসলামকে যুক্তি-দলিলে পরাভূত করতে ব্যর্থ হয়ে অন্য রাস্তা বেছে নেয়- তা হল, ইসলাম কায়েম ও উম্মতের কাছে পৌঁছাবার মাধ্যম সাহাবাদের অপবাদ দেয়া ও তাঁদের জামাআতকে বিতর্কিত করে দেয়া। এই ব্যাপারে ইমাম আবু যুরআ আল-রাযী(র) বলেন- “যখন তুমি কোনো ব্যক্তিকে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে কারও মর্যাদাহানি করতে দেখবে তখন তুমি জেনে রাখবে যে, সে হলো যিন্দীক। আর এটা এ জন্য যে, আমাদের নিকট রাসূল(ﷺ) সত্য এবং আল-কুরআন সত্য; আর এ কুরআন ও সুন্নাহ আমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল(ﷺ)এর

শিয়া - রাফেযিরা কাফের কেন?

শিয়া জাতির কাফির সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে অনেক বিশালাকারের কিতাব, আলোচনা ইত্যাদি রয়েছে।সেখানকার কোনটা অতিরিক্ত সংক্ষেপে রেফারেন্স লিস্ট দেয়া, আবার কোনটা রেফারেন্স এর সুবিশাল বিশ্লেষণ যা সাধারণ মুসলিমদের বুঝের অনেক উপরে। আসলে,রেফারেন্স যদি শুধু লিস্ট হয় অথবা সংক্ষেপ হয় তাতে সমস্যা। প্রতিটা বিষয়ে/কারণ এর বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন। কিতাবের রেফারেন্স,যুক্তি-আলোচনা,মিথ্যার খণ্ডন ইত্যাদির আগে সহজ ভাবে শিয়াদের কাফের হবার কারণসমূহ তুলে ধরা হলঃ- ❖❖ মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে,চক্রান্ত করে ছুপা ইহুদিদের উষ্কানিতে রক্তপাত ঘটিয়ে ইসলামে নতুন দলের সৃষ্টি করা। ❖❖ আল্লাহ্‌,রাসূল(সা) ও আহলে বাইত এর নামে অগণিত মিথ্যাচার করা। ❖❖ ইসলাম এর ভিত্তিগুলা তাদের নিজস্ব বিকৃত সাবাঈ ধর্ম দ্বারা Modify/পরিবর্তন করে।ইসলামের নামে এদের বিদাতের স্কেল এত বেশি যে এদের বিদাতি না বলে কাফেরই বলতে হয়। ইসলামে নিজস্ব বানোয়াট জিনিস প্রবেশ করিয়ে সেগুলাকে আবশ্যক দাবি করার জঘন্য কুফর। ❖❖ শিয়াদের কালিমা "ওয়ালিয়াত" দ্বারা বর্ধিত। অর্থাৎ আলী(রা) কে ওয়ালি,অয়াসি মানাকে তারা কলেমার অংশ ও ঈমানের অংশ মনে করে। অথচ পুরা ওয়ালিয়্যাত/বেলায়ে

শিয়া প্রসঙ্গঃ হক্ক-তাকফির এর মাসআলা

অনেকেই ধুপ করে প্রশ্ন করে বসেন যে “শিয়াদের বা অমুক অমুক দের কাফের কেন বলেন?” তারা নিজেরা কোন পর্যায়ে ইসলাম পালন করেন সে প্রসঙ্গে না যাই, তাদের ঐ কথার মূল উদ্দেশ্য থাকে- নিজেকে মুসলিম দাবি করা গোষ্ঠিকে কেন কাফের বলা!  রাসূল(সা) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলা ব্যক্তিকে মুসলিম মানার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু একই সাথে তো কুরআন-হাদিস থেকে এমন সব কারণও উল্লেখ পাওয়া যায় যেগুলা ঈমান থেকে বের হবার লক্ষণ,কারণ নির্দেশ করে। অতিরিক্ত উদারতা দেখাতে গিয়ে সেগুলাকে কেন ভুলে থাকা? কবিরা গুনাহের কারণে একদল তাকফির করে থাকে, নামায না পড়লে কাফের ইত্যাদি বলে থাকে- তারা খারেজী, হত্যাযোগ্য ফেরকা(তাদের আরো অনেক লক্ষণ আছে)। কিন্তু আরেকটী ফেরকা আছে- মুরজিয়া; যারা ঈমানের পরিবর্তনকে স্বীকার করেনা। তাদের মতে কেউ একবার ঈমান আনার দাবি করলে সে মৃত্যুর আগ পর্যন্তই মুসলিম থাকে, আমল যাই হোক! সেটাও যে খারেজীদের মতই জাহান্নামী আকিদা তাও জেনে রাখা উচিত, উদারতা দেখানোর আগে সেই ভয় করা উচিত। যেমন- নামায পড়ার পদ্ধতি আছে,ফযীলাত আছে। আবার কি কি করলে তা বরবাদ হয় তাও নির্ধারিত করা আছে,অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রেও তাই।যদি শুধু নিজেকে মুসলি

এটা কি দরূদ পাঠের সঠিক পদ্ধতি?

নবীজীর শানে কিভাবে দরূদ পড়তে হবে? দরূদ পাঠের আদব কি হবে? এটা কমবেশি সবারই জানা থাকার কথা। কিন্তু আফসোসের কথা হল, আমরা এ সকল আদবের প্রতি কোন খেয়াল তো করিই না উপরন্তু নিজেদের পক্ষ থেকে দরূদ পাঠের এমন সব পদ্ধতি নির্ণয় করে নিয়েছি, যেগুলো না সাহাবাদের যুগে ছিল আর না তাবেয়ী-তবে তাবেয়ীদের যুগে ছিল আর না পরবর্তী আলেমদের পদ্ধতি ছিল। এতে আমরা দরূদ পাঠের মতো অতি সওয়াবের কাজকেও বিদআতে রূপান্তরিত করে ফেলছি; অথচ আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। আমাদের অবস্থা তাদের মতো হয়ে যাচ্ছে যাদের ব্যাপারে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে- الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا  ‘তারা সেই সব লোক, পার্থিব জীবনে যাদের সমস্ত দৌড়-ঝাপ সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, অথচ তারা মনে করে তারা খুবই ভাল কাজ করছে।’ -কাহফ : ১০৪ এমনই একটি ভুল পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লামা হাসকাফী রহ. (১০২৫-১০৮৮ হি:) তাঁর ‘আদ-দুররুল মুখতার’ গ্রন্থে (২/২৩২) আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন- إزعاج الاعضاء برفع الصوت جهل، وإنما هى دعاء له ، والدعاء يكون بين الجهر والمخافته . ‘অঙ্গ-প্রতঙ্গ নাড়িয়ে উঁচু আওয়াজে দরূদ পড়া মুর্খ

শবে মেরাজের বিশেষ কোন ইবাদাত আছে কি?

ছবি
মেরাজের রাতে ইবাদতের বিশেষ ফযীলতের ব্যাপারে কোন হাদীস বিদ্যমান নেই। তাই শবে মেরাজের আলাদাভাবে কোন আমল ইসলামী শরীয়তে নেই। আশ্চর্য এর বিষয় হলো, শবে মেরাজ বেদয়াত বলার পরেও এটাকে তারাই পালন করতে উৎসাহ বোধ করেন। যারা একইদিনে বৈশাখ উদযাপন করেছেন। দিনে ইসলাম ও ঈমান বিরোধী কার্যকলাপ করে রাতে গিয়ে 'অতি মুমিন' প্রমাণ করতে বিদয়াতে লিপ্ত হচ্ছে। বাংগালীদের মাঝে উৎসব উৎসব ঝোকটা একটু বেশি। সবকিছুতেই উৎসব, আয়োজন আর ঘটা করে পালন করার একটা প্রবণতা। যে মেরাজে নবীজী সা. ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ এর বিধান আনলেন। সারা বছর সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের খবর নেই, কিন্তু শবে মেরাজের এক রাতে একশ রাকাত নফল নামাজ পালন করছে। যেটা বিদয়াত! তাছাড়া মেরাজের ঘটনা রজবের ২৭ তারিখ ঘটেছে, এটা কোন হাদিস বা নির্ভরযোগ্য সনদেও প্রমাণিত না। তবে মেরাজ নিঃসন্দেহে রাসূল সা. এর মোজেজা ছিল। এটার উপর আমাদের আকীদা রাখতে হবে। কিন্তু এই রাতকে কেন্দ্র করে কোন আমল ইবাদাতের ভিত্তি নেই। নেই বিশেষ নামাজ, বিশেষ রোজা, আগরবাতি জ্বালানো, ভালো খাবারের আয়োজন, জিলাপি শিন্নি। এগুলো সবই ভিত্তিহীন প্রথা। কিছু বর্ণনা হাদিসের নামে প্রচার করা হয়, রজব

পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে?

প্রশ্নঃ Assalamualaikum.. Amader ekhnkar somoye meyer family theke biyer khana khawanu ta normal hoye gche. Meyer family jodi normally nijer icchai khawai biyer onusthan kore tahole ki oi dawat a jawa jai? উত্তরঃ সাধারণত কাউকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো মুস্তাহাব আমল। কিন্তু পাত্রীপক্ষের প্রচলিত আয়োজনটা নাজায়েজ। কেন নাজায়েজ? এর কারণ অনেক। তার মধ্যে কয়েকটা ব্যাপার না বললেই নয়। মেয়েপক্ষের এই জাতীয় অনুষ্ঠান এর প্রচলন ইসলামে নেই। এটা খুব সম্ভবত হিন্দুয়ানী প্রথা থেকে এই সমাজে রয়ে গেছে। এই প্রথা পালনের জন্যে মেয়ের পরিবারকে অত্যন্ত করুন পরিস্থিতি ও আর্থিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যে মেয়ের বাবা অঢেল সম্পত্তির মালিক, তার কাছে এই ব্যাপারটা গভীর আবেদন না রাখলেও, যে মেয়ের বাবা নেই, অথবা থাকলেও তার আর্থিক সংগতি নেই, তার কাছে এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয়। তারপরেও করতে হয়। কেন করতে হয়? সামাজিক চাপ, বরপক্ষের কাছে যেন ছোট না হয়, মেয়ের মান রক্ষা ইত্যাদি। এই মান রক্ষা বা প্রথা রক্ষা করতে গিয়ে অপরিসীম কষ্ট ও ত্যাগের শিকার হতে হয়, মেয়ের অভিভাবককে। অনেককে তো হাত পাততেও হয়। আল্লাহ পানাহ! সমস্যার মূল, এই

বিয়ের পূর্বে কনে দেখা ও ইসলামী দৃষ্টিকোণ

কনে দেখা, প্রথা বনাম সুন্নাহ আমাদের সমাজের একটা বড় সমস্যা হলো, আমরা যে কোন জায়েজ মুস্তাহাব কাজকে নিজস্ব একটা রুপ দান করি। এটাকে সাহাবা বা রাসূলের সুন্নাহ মোতাবেক নয়, বরং নিজেদের মত ও পথ অনুযায়ী চলতেই যেন আমাদের প্রবল আগ্রহ। এই প্রবণতার খেসারত স্বরুপ অনেক হালাল ও মুস্তাহাব কাজকেও বেদাত বা অপসংস্কৃতি বানিয়ে ছেড়েছি। মৃত বাড়ির আয়োজন থেকে নিয়ে ঈদ, শবে বারাত সবকিছুতেই আমাদের বাড়তি সংযোজন। বাদ যায় নি, বিয়েও। বিয়ের কনে দেখার ক্ষেত্রে আমরা দু ধরনের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। ১- ওয়েস্টার্ন ২- হিন্দুয়ানী প্রথা। ওয়েস্টার্ন ধারাটা গড়ে উঠেছে খুব বেশিদিন হয় নি। পাত্র পাত্রীর হোটেল রেস্টুরেন্ট সাক্ষাৎ, আড্ডা, একান্তে মিলিত হওয়া। ঘুরতে যাওয়া.... নানা কায়দায় পাত্র পাত্রী একে অন্যকে নিরীক্ষা করে। ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগেও কোন কোন গোত্রে এই 'টেস্টিং প্রোসেস' বিদ্যমান ছিল।* ওয়েস্টার্ন কালচারে এটা পারিবারিক বিয়ের ভদ্রোচিত নমুনা। আর লাভ ম্যারেজ? জঘন্য সব পাপে লিপ্ত হওয়ার পর সেটাকে জায়েজ করার জন্যে একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন! দ্বিতীয় এই ধারাটির চল সবচেয়ে বেশি। ননপ্রাক্টি

আমরা কি সুখে আছি?

কিছু বিক্ষিপ্ত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এলোমেলো চিন্তাগুলো গুছিয়ে বলার তেমন ইচ্ছে নেই। তবে সংক্ষেপে দু'একটা বলি। অধিকাংশ মানুষ আজ ধর্ম থেকে বিমুখ কেন? ধর্ম কী তার আবেদন হারিয়ে ফেলেছে না কি মানুষগুলো ধর্ম ছাড়াই ভালো আছে? মানুষ কি আসলেই ভালো আছে? কয়জন মানুষ ভালো আছে? ভালোর সংজ্ঞাটা যদিও একেক জনের কাছে একেক রকম, কিন্ত এরপরেও কয়জন ভালো আছে, সেটা ভাবার বিষয়। প্রাচুর্য, সামাজিক স্ট্যাটাসের প্রতিযোগিতা, যান্ত্রিক জীবন, অন্ত:সারহীন বিনোদন, উদ্দেশ্যহীন জীবন যাপনে সুখি মানুষের সংখ্যা খুব বেশি বলে মনে হয় না। অাত্মিক শূন্যতা সবাইকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এই শূন্যতা ভুলে থাকার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছে সবাই। কেউ সারা দিন হেডফোন কানে লাগিয়ে অন্তরের শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করছে। কেউ আরেক ধাপ এগিয়ে লালন-রবীন্দ্রের মর্মী গানে ঝুকছে। কেউ সিনেমা, সিরিয়ালকে জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছে। নিজেকে খুব সুখি হিসেবে পেশ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তো আছেই। নিজের ভালো গাড়িটা সহজে হাজারও মানুষকে দেখানো যায়। নতুন ফ্ল্যাটের বারান্দায় বসে তোলা ছবিগুলো প্রমাণ করে যে, তার সারা জীবনের পরি

সালাতের সময় রিংটোন ও ফোনকল

ছবি
মসজিদের পিনপতন নিরবতা ভেদ করে একটা হিন্দি গান বেজে উঠলো বিকট শব্দে। নামাজরত মুসুল্লিদের সবার কান এখন শব্দটার উৎসমুখের দিকে। নামাজের মনোযোগ ভেঙ্গে তারা ভাবছে, এমন বেক্কলমার্কা কাজটা কে করলো! মসজিদে এসে মোবাইলটা অফ করে রাখা যায় না? আর রিংটোন কি এমন গানই দিতে হবে? গান ছাড়া কি অন্যকোন রিংটোনের অভাব পড়েছে? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন এসে ভিড় জমাচ্ছে প্রতিজন মুসুল্লির মাথায়। এর ভেতর দিয়েই আগের উৎসমূল থেকে আবার সেই গানটা বেজে উঠলো। যার মোবাইলে এমন কাণ্ড ঘটছে তিনি নিজেও বিব্রত। এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়েন নি। কেন যে রিংটোন বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন! আর রিংটোন বন্ধ করতে ভুলে গেছেন ভালো কথা কিন্তু এই গানটা রিংটোনে দিয়েছেন কোন দুঃখে কে জানে! নামাজ শেষ হবার পর নিশ্চয়ই আশপাশের মুসুল্লিরা তাকে এটাওটা বলবে। তা না হলেও অন্তত চোখ বড় বড় করে বিরক্তি-দৃষ্টি যে হানবে তা তো নিশ্চিত। এসব নিয়ে টেনশন করতে করতেই তার পুরো নামাজটা লেজেগোবরে হয়ে গেলো। এমন দৃশ্যের অবতারণা অহরহ হচ্ছে আমাদের চারপাশে। আমরা ভাবি, রিংটোনটা কী হবে কেমন হবে এটা কি আলাদা করে ভাবার মতো কিছু হলো? অথচ যখন উপরের ব্যক্তির মতো সমস্যায় পড়ে যাই তখন ঠিক

আমাদের ব্যস্ততা, অতৃপ্তি এবং কিছু কথা...

এই হাদিসটি আমরা অনেকেই পড়েছি, শুনেছি কিন্তু এর বাস্তবতা সত্যিকারভাবে উপলদ্ধি করা কঠিন, অন্তত জীবনের একটি সময় দুনিয়ার পেছনে ঘুরে হয়রান না হলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেন, "হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরি কর ও ইবাদতে মন দাও, তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর করে দেব। আর যদি তা না কর, তবে তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর করব না।" . --[ইবনে মাজাহ ৪১০৭, আহমাদ ৮৬৮১, সহীহ তারগীব ৩১৬৬] একসময় নানারকম ব্যাবসার সাথে জড়িত ছিলাম, ইনকাম মানে ব্যাবসায় টাকার ইনফ্লো প্রচুর ছিল, কিন্তু অভাব যেতনা। মানসিক শান্তি বলে কিছু ছিলনা বরং সবসময়ই কিছু না কিছু সমস্যা লেগে থাকতো, বা ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে নানা রকম ফন্দিফিকিরে থাকতে হত। মেশিন পুরানো হয়ে যাচ্ছে, নতুন টেকনোলজি চলে আসছে, প্রতিযোগীরা অমুক সারটিফিকেশান নিয়েছে, প্রডাকশান না বাড়ালে কস্টিং মেলেনা, প্রডাকশান বাড়ানোর পর যথেষ্ট অর্ডার নেই, শ্রমিক সমস্যা, নেতাদের সীমাহীন ডিমান্ড মানে সেই এক হুলুস্থুল কারবার। ইসলাম পালন

ইস্তেখারা এবং আমাদের সমাজ

ছবি
ইসলামপূর্ব জাহিলী যুগে মক্কার কাফেররা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখা দিলে যেমন ক্রয়-বিক্রয়, বিবাহ-শাদী, সফর ইত্যাদিতে শর দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ করতো। কল্যাণ অকল্যাণ তারা এর দ্বারাই নির্ধারণ করতো। তিনটি শর নিয়ে একটিতে লিখতো ‘আমার রব আদেশ করেছেন’ আরেকটিতে লিখতো, ‘আমার রব নিষেধ করেছেন’ আরেকটি খালি রাখতো। অত:পর যেটি হাতে উঠতো সে অনুযায়ী আমল করতো। আদেশ সূচকটি উঠলে কাজ করতো, নিষেধ সূচকটি উঠলে বিরত থাকতো আর তৃতীয়টি উঠলে আবার লটারির ব্যবস্থা করতো। এই ছিল জাহিলী যুগের কল্যাণ অকল্যাণ নির্ণয়ের পদ্ধতী। যা ছিল সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং আল্লাহর উপর অপবাদ দেয়ার শামিল। কেননা তারা ধরে নিত এটা তাআলার আদেশ ওটা আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন অথচ আল্লাহ তাআলা এমন আদেশ নিষেধ জারি করেন নি। এর পরিবর্তে মুসলমানদেরকে কল্যাণ কামনার বাস্তব সম্মত একটি পদ্ধতী শিক্ষা দেয়া হয়েছে। দেখুন, সেই পদ্ধতিটি কি। সহীহ বুখারী শরীফ (হাদীস নং-১১৬৬) সহ হাদীসের অসংখ্য কিতাবে হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এমনভাবে ইস্তেখারা শিক্ষা দিতেন যেমনভাবে কোরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। নবীজী বলতেন, তোমাদের ক

সুন্নত নামাজ : ফাযায়েল এবং মাসায়েল

সুন্নত নামাজ আদায়ের কিছু ফাযায়েল ও কিছু মাসায়েল জানতে চেয়েছিলেন নাসীহা গ্রুপের কতক ভাই। তাদের জন্যে লেখাটা তৈরি করা............ "সুন্নত আদায়ের গুরুত্ব" *** ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা ফজরের ফরজের পূর্বে দু রাকাত সুন্নত, জোহরের আগে ৪ রাকাত সুন্নত, জোহরের পর দু রাকাত সুন্নত, মাগরিবের পর দু রাকাত সুন্নত ও এশার ফরজের পর দু রাকাত সুন্নত, মোট ১২ রাকাত সুন্নতের ফাযায়েল-- /-- আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সবসময় বার রাকাআত সুন্নাত নামায আদায় করে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন। এ সুন্নাতগুলো হল, যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাকাআত ও পরে দুই রাকাআত, মাগরিবের (ফরযের) পর দুই রাকাআত, ইশার (ফরযের) পর দুই রাকাআত এবং ফযরের (ফরযের) পূর্বে দুই রাকাআত। উম্মু হাবীবাহ বলেছেনঃ আমি যে সময়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সলাত সম্পর্কে শুনেছি তখন থেকে আর কখনো তা আদায় করা পরিত্যাগ করিনি। আম্বাসাহ ইবনু আবূ সুফইয়ান বলেছেনঃ এ সলাত সম্পর্কে যখন আমি উম্মু হাবীবার কাছে শুনেছি, তখ