পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কারবালার নিরব গাদ্দারঃ শিয়া...

ছবি
কারবালার নির্মম ঘটনায় আমরা ক্ষমতাপাগল ইয়াযিদের গভর্নর ও তার সেনাদের নিষ্ঠুর আক্রমণের কথাই জানি, কিন্তু শিয়াদের নিরব প্রতারণা ধামাচাপা পরে থাকে তাজিয়াপূজা ও চাপাবাজির উৎসবে। আসুন, ইসলামের ইতিহাসের রেফারেন্সে সেই ঘটনা ও ফাঁকে ফাঁকে শিয়া ধর্মগ্রন্থ থেকে গাদ্দারির স্বীকারোক্তি, শিয়াদের প্রতি আহলে বাইতের অভিশাপ দেখে নেই। সংক্ষিপ্ত পটভূমিঃ   ৬০ হিজরির শেষভাগে মুয়াবিয়া(রা) এর মৃত্যু হয়, মৃত্যুর পূর্বে খিলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভেদ-বিবাদের আশংকায় মজলিসে শূরার উপরে খলিফা নিয়োগের ভার না ছেড়ে ইজতিহাদ করে পুত্র ইয়াযিদকে খলিফা নিয়োগ করে যান। এছাড়া অন্যান্য অঞ্ছলের তুলনায় দামেশকের অবস্থা সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ ছিল,ইয়াযিদ সমস্যায় পড়লে সাহাবা,তাবেয়ীরা সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন,এমন চিন্তায় মুয়াবিয়া(রা) ইয়াযিদকে খলিফা করে যান। খিলাফত পাবার পূর্বে অর্থাৎ মুয়াবিয়া(রা)এর জীবদ্দশায় ইয়াযিদ নেক আমল,বুদ্ধি-বিচক্ষণতা ইত্যাদি দেখিয়েছিল, তার খারাবি প্রকাশ পায় ক্ষমতা হাতে পাবার পরে। সে মাতলামি,সালাত বাদ দেয়া ইত্যাদি শুরু করে ও নিজের ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন অঞ্চল এর গভর্নরগণ ইয়াযিদকে বাইয়্যাত দে

তাকিয়াঃ শিয়া ধর্মের মুখোশ...

ছবি
 তাকিয়া হল ইহুদিজাত শিয়া ধর্মের অন্যতম ভিত্তি। তাকিয়া(التقية) অর্থ ভয় পাওয়া,সতর্ক হয়ে নিজের পরিচয় গোপন করা। শিয়া ধর্মে তাকিয়া বলতে বুঝায় মুসলিমদের সামনে নিজের মনোভাব/মতাদর্শ গোপন করে বাইরে তার বিপরীত প্রদর্শন করা,অর্থাৎ মিথ্যা অভিনয় করা। যেমনটা শিয়া ধর্মগ্রন্থে লেখা- “আবু জাফর(আ) বলেন- বাইরে তাদের সাথে মিশে থাক,কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাদের বিরোধিতা কর” [আল কাফি,তাকিয়া অধ্যায়,রি-২০;১৩৫/২] শিয়া ধর্মাবলম্বীরা নানা ছুতায় দাবি করে যে, ভয় পেয়ে নিরাপত্তার জন্যই তাকিয়া, এবং তারা কুরআনের কিছু আয়াতের হাস্যকর অপব্যাখ্যা করেও তাকিয়ার ধর্মীয় আবশ্যকতা দাবি করে;যদিও বাস্তবে শিয়া ধর্মে তাকিয়ার অবস্থান,প্রয়োগে তা খাটে না। সেগুলার হাকীকত দেখার আগে, আসুন আমরা দেখে নেই, এই ‘তাকিয়া’কে কিভাবে মৌলিক উপাদান বানিয়ে ফেলা হয়েছে- ➤ শিয়া-ধর্মে তাকিয়া ফরজঃ ☠ আলী(আ) বলেন- ‘তাকিয়া আমার এবং আমার আহলে বাইতের ধর্ম’ ‘তাকিয়া আল্লাহ্‌র দ্বীন এবং যার তাকিয়া নেই তার দ্বীন নেই।তাকিয়া না থাকলে আল্লাহ্‌র ইবাদত হত না।‘ [মুসতাদরাক আল-ওয়াসায়েল ২৫২,২৫৩/১২] ☠ আবু জাফর(আ) বলেন- ‘তাকিয়া আমার এবং আবার পূর্বপুরুষের ধর্ম,যার তাকিয়া

শিয়া ধর্মের বেলায়েত বিভ্রাট!

ছবি
শিয়া মতবাদের বাহানা হিসেবে যেসব ঘটনা,রিওয়ায়াত আনা হয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হল রাসূল(সা) এর গাদিরে খুম এর ঘোষণা- যাতে রাসূল(সা) বলেন, “আমি যার মাওলা,আলি তার মাওলা”, ভারী বস্তুদ্বয়/সাকলাইন (কুরআনকে আঁকড়ে ধরা ও আহলে বাইতের ব্যাপারে আল্লাহ্‌কে স্মরণ করা), আলী(রা) এর সাথে বন্ধুত্বের আহ্বান ইত্যাদি রয়েছে। শিয়া-কাফেররা এর মধ্য থেকে জোড়াতালি দিয়ে আলী(রা) এর বেলায়েত,ওয়াসিয়্যাত,ইমামত প্রাপ্তি আবিষ্কার করে ও সেগুলাকে তাদের সাবাঈ দ্বীনের ভিত্তি বানিয়ে নিয়েছে। তাদের দাবি- আলী(রা) কে সেদিন সবার ইমাম ঘোষণা করা হয়েছে,আহলে বাইত এর ইমামত,খিলাফত/নেতৃত্ব ফরজ করা হয়েছে ইত্যাদি! এই দাবির জন্য তারা প্রকৃত মুসলিম তথা আহলে সুন্নাহ এর কিতাব এর হাদিসে-সাকলাইন উদ্ধৃত করে কল্পিত ব্যাখ্যা করে, পাশাপাশি নিজেদের কিতাব থেকে ইমামতের মিথ্যা গল্পগুজব তো তুলে আনেই! বাস্তবে আমরা সহি,হাসান হাদিসে ও ইতিহাস এর গ্রহণযোগ্য বর্ণনায় যা পাই, তা হল- ইয়েমেন এর অভিযান থেকে আলী(রা) এর গণিমত নিজের জন্য গ্রহণ ও বাহিনীর সাধারণদের গণিমতের পোশাক বণ্টনের আগে পরতে বাঁধা দেয়ায় অনেকে মনে অসন্তোষ হয়। বিদায় হজ্জ করে মদীনার উদ্দেশ্যে যাত্রা

সাহাবায়ে কিরাম ও আহলে বাইতের সম্পর্ক (বিবাহ সম্পর্ক প্রসঙ্গ)

ছবি
ইহুদিজাত শিয়া-কাফেরদের অন্যতম প্রধান কাজ হল রাসূল(সা) এর পরিবার তথা আহলে বাইত এর উপরে অন্যান্য সাহাবাদের যুলুম-বিদ্বেষ এর কিচ্ছা বাজিয়ে বেড়ানো। তাদের এসব বানোয়াট তত্ত্বে উত্তেজিত হবার আগে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন হে মুহতারাম মুসলিম ভাই বোনেরা: ~~ আপনার কলিজার টুকরা, হৃদয়ের স্পন্দন কন্যাটিকে কার হাতে তুলে দেবেন? তাকে কোন লম্পট অপরাধীর অথবা ইসলাম এর ধ্বংসকারী,যালিম এর হাতে তুলে দিতে রাজি হবেন কি? صهري বা نسيبي (আমার আত্মীয়) বলতে আপনি কি বুঝেন? ** مصاهرة শব্দের আভিধানিক অর্থ: مصاهرة শব্দটি صاهرশব্দের ক্রিয়মূল, বলা হয়: صاهرت القوم إذا تزوجت منهم; আযহারী বলেন: الصهر শব্দটি নারীপক্ষের নিকটাত্মীয় মুহার্রাম নারী-পুরুষকে অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন: পিতা-মাতা, ভাই-বোন ইত্যাদি। বিয়ের পূর্বের নিকটাত্মীয় মুহার্রামগণও নারীর আত্মীয় বলে গণ্য হবে। সুতরাং কোন ব্যক্তির আত্মীয় মানে তার স্ত্রীরও আত্মীয়, কোন স্ত্রীর আত্মীয় মানে তার স্বামীরও আত্মীয়। এক কথায় مصاهرة শব্দের আভিধানিক অর্থ: নারীর নিকটাত্মীয়, কখনও কখনও পুরুষের আত্মীয় অর্থেও ব্যবহৃত হয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এ সম্পর্কটি সৃষ্টি করেছেন। আ

সাহাবায়ে কিরাম ও আহলে বাইতের সম্পর্ক (সন্তানের নামকরণ প্রসঙ্গ)

ছবি
* সাহাবায়ে কিরামদের মধ্যে বিদ্বেষ-শত্রুতার কিচ্ছা শুনিয়ে ইহুদিজাত শিয়া-কাফেররা মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে। এই মিথ্যাচার সরল মনে বিশ্বাস করে নেয়ার আগে কিছু বিষয় উপলব্ধি করবেন কি?_ ** নাম হচ্ছে নামকরণকৃত বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত। এটা এমন এক শিরোনাম, যা একজনকে অন্যজন থেকে পৃথক করে। মানুষের স্বভাব নামকরণের কার্যক্রম চালু করেছে। নামের গুরুত্ব প্রত্যেক বিবেকবান মাত্রই সন্দেহাতীতভাবে স্বীকার করেন। কারণ, নামের মাধ্যমে শিশু পরিচিত হয়; তার ভাই ও অন্যান্যদের থেকে পৃথক হয় এবং তার জন্য ও পরবর্তী বংশধরের জন্য হয় নিশানা। মানুষ শেষ হয়ে যায় কিন্তু নাম অবশিষ্ট থাকে। >> সম্মানিত মুসলিম ভাই-বোনেরা: ব্যস্ত হবেন না, অবাক হবেন না, বরং আমার সাথে পাঠে ও প্রশ্ন-উত্তরে অংশগ্রহণ করুন: - কেন আপনি আপনার সন্তানের নাম রাখবেন? - আপনি কি আপনার সন্তানের জন্য এমন একটি নাম বাছাই করবেন, যা আপনার নিকট অথবা তার মা ও পরিবার-পরিজনের নিকট প্রিয় অর্থবোধক হবে? - আপনি কি আপনার শত্রুদের নামে সন্তানের নাম রাখবেন? সুবহানাল্লাহ! আমরা আমাদের নিজেদের জন্য এমন নাম নির্বাচন করব, যা আমাদের নিকট তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ। আর যারা ভাল

আশুরার দিন ভাল খাবার সংক্রান্ত হাদীস: বিস্তারিত পর্যালোচনা

সাধারণ মানুষের কাছে আশুরার দিনে প্রসিদ্ধ একটি আমল হলো পরিবারের লোকদের জন্য ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা। এসম্পর্কে একটি হাদীসও লোকমুখে প্রসিদ্ধ রয়েছে। হযরত জাবির রা. নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন- " مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَسَّعَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي سَائِرِ سَنَتِهِ যে ব্যক্তি আশুরার দিন তার পরিবার পরিজনের জন্য সচ্ছলতার (ভাল খাবারের) ব্যবস্থা করবে আল্লাহপাক পূর্ণ বৎসর তাকে সচ্ছলতার সাথে রাখবেন। (তাবারানী কবীর, ১০/৯৪, হাদীস নং-১০০০৭; বাইহাকী, শুআবুল ঈমান :৫/৩৩১, হাদীস নং-৩৫১২) হাদীসটি হযরত ইবনে মাসউদ রা. থেকে এভাবে বর্ণিত হয়েছে- مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ لَمْ يَزَلْ فِي سَعَةٍ سَائِرَ سَنَتِهِ (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান:৫/৩৩১, হাদীস নং-৩৫১৩) এছাড়াও হাদীসটি হযরত আবু হুরায়রা রা. এবং আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকেও বর্ণিত হয়েছে। দেখুন, (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান: ৫/৩৩৩, হাদীস নং-৩৫১৪-৩৫১৫) উক্ত হাদীসকে কেন্দ্র করে অনেকেই আশুরার দিনে পরিবারের পরিজনের জন্য ভাল খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন। বিভিন্ন বক্তা

দুআ: কিছু ভ্রান্তি...

দুআ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। সব ইবাদতের সার এবং নির্যাস হচ্ছে দুআ। দুঅার মধ্যে আল্লাহর প্রতি বান্দার মুখাপেক্ষিতা ও ‘আবদিয়্যাত’ প্রকাশ পায়। কেননা বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তাঁর কাছে কোনো কিছু চায়, এই বিশ্বাস নিয়েই চায় যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তার কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে না, তেমনি তার কোনো ক্ষতিও করতে পারবে না। আর এটাই তো হচ্ছে তাওহিদ, এটাই তো এখলাছ। সুতরাং দুআর চেয়ে বড় কোনো ইবাদত হতে পারে না। হযরত ইবনে আব্বার রা. থেকে বর্ণিত তিরমিযি শরিফের একটি 'হাদিসে কুদসি'তে (২৫১৬) উপর্যোক্ত বিশ্বাস নিয়েই আল্লাহর কাছে চাইতে আদেশ করা হয়েছে। নবীজী সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইবনে আব্বাস রা. কে বলেন- "তোমার কোনোকিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহ তাআলার নিকট চাও, আর সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে আল্লাহ তাআলার নিকটেই কর। আর জেনে রেখো, যদি সকল উম্মতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। অপরদিকে যদি সকল উম্মত তোমার কোন ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একতাবদ্ধ হয়, তাহলে ততটুকু ক্ষতিই করতে সক্ষম হবে, যত

মান্নত: একটি ভ্রান্তি...

যে-কোনো বিপদে-আপদে আমাদের সমাজে মান্নতের প্রচলন আছে। বিপদ-আপদে পড়লে কিংবা অসুস্থ হলে সাধারণত এভাবেই মান্নত করা হয়- যদি আল্লাহ আমাকে আমাকে সুস্থ করেন অথবা এই বিপদ থেকে মুক্তি দেন তাহলে দু’রাকাত নামায পড়ব কিংবা দু’টি রোযা রাখাব অথবা একটি গরু বণ্টন করে দিব। অর্থাৎ মান্নতকে রোগ কিংবা অন্য বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির সাথে শর্ত করা হয়ে থাকে। মান্নতের এই পদ্ধতি সঠিক নয়। হাদিস শরিফে এধরণের মান্নতের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে। সহিহ বুখারি (৬৬০৮) ও মুসলিমে (১৬৪০) হযরত ইবনে উমর রা. এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে মান্নত থেকে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, এটি কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। এটি তো কৃপণের কাছ থেকে মাল বের করার একটি পথ। আল্লাহর রাহে মান্নত করা তো ইবাদত। এটা তো ভালো কাজ। তাহলে এই নিষেধাজ্ঞার অর্থটা কি? ঐ যে মান্নতকে শর্তের সাথে সম্পৃক্ত করে ফেলা হয়েছে! শর্তযুক্ত মান্নত থেকে নিষেধাজ্ঞার অনেক কারণ রয়েছে। একটি তো হল, আকিদাগত সমস্যা। লোকে মনে করবে মান্নতের দ্বারা তাকদির পরিবর্তন হয়; মনে করবে অমুকের তাকদিরে একভাবে লেখা ছিল কিন্তু মা

সহীহ হাদীসের আলোকে ওসিলার মাধ্যমে দু’য়া

ছবি
ওসিলা আরবি শব্দ। শাব্দিক অর্থ মাধ্যম। কোন কিছু অর্জনের মাধ্যম বা উপায়-উপকরণকে শাব্দিক অর্থে ওসিলা বলে। পরিভাষায়, যেসব জিনিসের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা হয়, তাকে ওসিলা বলে। যেমন, নামায, রোজা, নেক আমল। এগুলো আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সবচেয়ে পরিচিত ওসিলা। শাব্দিক অর্থের বিবেচনায় আমাদের প্রয়োজন পূরণে যেসব উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা হয়, সেগুলোও ওসিলার অন্তর্ভুক্ত। যেমন, রোগ হলে ওষুধ খাওয়া। ক্ষুধা লাগলে খাবার গ্রহণ করা। ওষুধ, খাবার এগুলো জাগতিক ওসিলা। ওসিলার আরেকটি শাব্দিক অর্থ মানজিলা। কারও অবস্থানকে মানজিলা বলা হয়। আল্লাহর কাছে রাসূল স. এর একটি বিশেষ অবস্থান রয়েছে। সুতরাং রাসূল স. এর এই অবস্থানের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দুয়া করাও ওসিলার অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহর কাছে নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম বা উপায় অর্থের চেয়ে মানজিলা অর্থটি ব্যাপক অর্থ বহন করে। কেননা, যেসব মাধ্যম বা উপায়ের দ্বারা আল্লাহর কাছে দুয়া করা হয়, সেগুলোর একটি বিশেষ মানজিলা বা অবস্থান রয়েছে আল্লাহর কাছে। একারণেই মূলত: এগুলো দ্বারা ওসিলা দেয়া হচ্ছে। নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ আল্লাহর

শিরক সমাচার - ৮

ছবি
 আগের পর্বগুলো পড়ুন- শিরক সমাচার (১-২) , শিরক সমাচার (৩-৪) , শিরক সমাচার (৫-৬) , শিরক সমাচার (৭) শিরক সমাচার - ৮  গত পর্বে সিজদার হুকুম ও এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ আমরা তাওয়াফ সম্পর্কে আলোচনা করব। কোন পীর, আলেম, পীরের কবর, পীরের বাড়িকে তাওয়াফ করার শরয়ী বিধান কী? শরিয়তে তাওয়াফ শুধু কাবা ঘরের জন্য নির্দিষ্ট। কাবা ঘর ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি, ঘর বা কবরকে তাওয়াফ করার কোন অনুমতি শরিয়তে নেই। এরপরেও কেউ যদি অন্য কারও কবর, ঘর বা ব্যক্তিকে তাওয়াফ করে তাহলে তার হুকুম হল-   ১। যাকে তাওয়াফ করছে তার মধ্যে যদি আল্লাহর কোন গুণ (খাসাইসুর রুবুবিইয়া) আছে বলে বিশ্বাস করে অথবা ওই ব্যক্তির ইবাদতের নিয়ত থাকে, তাহলে এটি স্পষ্ট শিরক হবে। সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। যেমন যাকে তাওয়াফ করছে তার ব্যাপারে যদি বিশ্বাস থাকে, তিনি নিজের ইচ্ছা ও ক্ষমতায় যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, তার নিজের ক্ষমতায় তার যে কোন প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন। ২। উপরের বিশ্বাসগুলো ছাড়া শুধু সম্মানের জন্য যদি কোন পীর বা পীরের কবরকে তাওাফ করে তাহলে সেটি হারাম ও বড় গোনাহের কাজ। তবে এটি শিরক হবে না। এটি চার মাজহাব ও

শিরক সমাচার - ৭

ছবি
 আগের পর্বগুলো পড়ুন- শিরক সমাচার (১-২) , শিরক সমাচার (৩-৪) , শিরক সমাচার (৫-৬) শিরক সমাচার - ৭  আমরা আগের পর্বগুলোতে শিরকের বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করেছি। সমাজে কিছু ভাই শিকরের বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন না করে ঢালাওভাবে কিছু বিষয়কে শিরক বলে থাকে। যা একটি বড় ধরণের অন্যায়। যে কোন বিষয়ে শরিয়তের সীমা অতিক্রম করা অন্যায়। শিরকের প্রতি ঘৃণা থাকা অবশ্য কাম্য, কিন্তু অতি উৎসাহী হয়ে শিরক নয়, এমন বিষয়কে শিরক বলে প্রচার করা অন্যায়। আজ সিজদার বিষয়ে আলোচনা করব। সিজদা দু'প্রকার ১. সিজদায়ে ইবাদত। ইবাদতের উদ্দেশ্যে সিজদা করা। ২. সিজদায়ে তা'জিমী। সম্মানের উদ্দেশ্যে সিজদা করা। ইবাদতের নিয়তে কাউকে সিজদা করলে সেটা স্পষ্ট শিরক। এখানে আর কোন কিছু চিন্তার সুযোগ নেই। তা'জিম বা সম্মানের জন্য সিজদা করলে সেটা শিরক নয়। তবে ইসলামে হারাম। এই মতটি শুধু আমাদের ঘরানার আলেমদের নয়, বরং এটি সালাফিদেরও মত। ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়িম, কাজি শাওকানি, শাইখ মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহিম, শাইখ সালেহ আল-মুনাজ্জিদসহ প্রায় সকলে এই মতের অনুসারী। শাইখ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। ইংলিশঃ https:/