দুআ: কিছু ভ্রান্তি...
দুআ
গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। সব ইবাদতের সার এবং নির্যাস হচ্ছে দুআ। দুঅার
মধ্যে আল্লাহর প্রতি বান্দার মুখাপেক্ষিতা ও ‘আবদিয়্যাত’ প্রকাশ পায়। কেননা
বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তাঁর কাছে কোনো কিছু চায়, এই বিশ্বাস নিয়েই চায়
যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তার কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে না, তেমনি তার
কোনো ক্ষতিও করতে পারবে না। আর এটাই তো হচ্ছে তাওহিদ, এটাই তো এখলাছ।
সুতরাং দুআর চেয়ে বড় কোনো ইবাদত হতে পারে না।
হযরত ইবনে আব্বার রা. থেকে বর্ণিত তিরমিযি শরিফের একটি 'হাদিসে কুদসি'তে (২৫১৬) উপর্যোক্ত বিশ্বাস নিয়েই আল্লাহর কাছে চাইতে আদেশ করা হয়েছে।
নবীজী সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইবনে আব্বাস রা. কে বলেন- "তোমার কোনোকিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহ তাআলার নিকট চাও, আর সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে আল্লাহ তাআলার নিকটেই কর।
আর জেনে রেখো, যদি সকল উম্মতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। অপরদিকে যদি সকল উম্মত তোমার কোন ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একতাবদ্ধ হয়, তাহলে ততটুকু ক্ষতিই করতে সক্ষম হবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার তাকদিরে লিখে রেখেছেন।"
কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে দুআ করার আদেশ করেছেন এবং দুআ কবুলের অঙ্গিকারও করেছেন। পাশাপাশি যারা অহঙ্কারবশত তাঁর কাছে চাওয়া থেকে বিমুখ থাকে তাদের জন্য জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন।
সূরা গাফের-এর ৬০ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। নিশ্চয় যারা অহঙ্কারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।"
অত্যন্ত দু:খজনক একটি বাস্তবতা হল, এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের ক্ষেত্রে অামরা, আমাদের সমাজ অনেক ভ্রান্তি পড়ে অাছে। এখানে সবগুলো ভ্রান্তির দিকে দৃষ্টি দেওয়া অামার উদ্দেশ্য নয়। নানান ভ্রান্তির মধ্য থেকে কিছু ভ্রান্তির প্রতি সতর্ক করাই আজকের আলোচনার উদ্দেশ্য।
এক.
নিজের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত, চিন্তা-পেরেশানি ইত্যাদির জন্য মূলত নিজেই আল্লাহর কাছে চাইতে হয়। ইতোপূর্বে উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে দুআর অাদেশ করেছেন। সুতরাং বান্দা তার নিজের হাজত-প্রয়োজন নিজেই আল্লাহর সামনে তুলে ধরবে এটাই স্বাভাবিক।
অন্যের কাছে দুআ চাওয়া, বিশেষত আল্লাহর নিকটতম বান্দাদের কাছে আবদার করা যেন তারা আল্লাহর কাছে আপনার জন্য চান, আপনার প্রয়োজনের জন্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দুআ করেন, এটা নিষেধ নয়।
তেননিভাবে কেউ হজে যাচ্ছেন কিংবা সফরে যাচ্ছেন তার কাছে অাপনি দুআর অাবদার করলেন, এটা নিষেধ নয়।
সাহাবায়ে কেরাম রা.ও নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরা যেমন দুআ করেছেন নবীজীর কাছেও দুআ চেয়েছেন। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে হযরত আনাস রা. এর মা নবীজীর কাছে আনাস রা. এর জন্য দুআ চেয়েছেন। জবাবে নবীজী সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আনাস রা. এর জন্য দুআ করেছেন এভাবে-
اللهم أكثر ماله وولده
সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে নবীজীর কাছে দুআর আবেদনের আরো হাদিস পাওয়া যায়। সহিহ মুসলিমের বর্ণিত হয়েছে খোদ আল্লার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘ওয়ায়েস কারনি’র নিকট দুআ চাইতে বলে গেছেন।
তবে যে বিষয়টির প্রতি লক্ষ রাখতে হবে সেটা হল, অন্যের দুআকে মুখ্য বানানো যাবে না। অর্থাৎ আপনার প্রয়োজন আপনিই আল্লাহর নিকট তুলে ধরবেন পাশাপাশি অন্যের কাছে আবদার করতে পারেন, তারা যেন আপনার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ চায়। কেননা হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে মুমিন ভাইয়ের অদৃশ্যে তার জন্য যে দুআ করা হয় তা কবুল হয়।
কিন্তু অামাদের অবস্থা হল, যে-কোনো প্রয়োজনে নিজেরা দুআ না করে পীর সাহেবের কাছে যাই, হুজুরদের কাছে যাই, হজুরদেরকে বাড়িতে এনে দুআ করাই।
বলুন তো, আপনার মাতার প্রতি, বোনের প্রতি, স্ত্রীর প্রতি, সন্তানের প্রতি আপনার যতটুকু মহব্বত এবং টান রয়েছে অন্য কারো কি থাকবে?
আপনার অসুস্থ মায়ের জন্য, স্ত্রী-সন্তানের জন্য আপনি যতটুকু দরদ এবং ব্যথা নিয়ে আল্লাহর কাছে চাইতে পারবেন অন্য কেউ কি সেভাবে চাইবে, চাইতে পারবে?
তাছাড়া আপনি যখন আল্লাহর কাছে দুআ করলেন আল্লাহর প্রতি আপনার মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পেল, আপনার ‘আবদিয়্যাত’ প্রকাশ পেল, সেটা তো অন্যেকে দুআ করানোর দ্বারা হবে না।
তাহলে নিজের জন্য, নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য নিজে দুআ না করে কেন অন্যের কাছে দৌঁড়ান?!!
সুতরাং অন্যের কাছে দুআ চান, অসুবিধা নেই; তবে নিজের দুআকেই প্রাধান্য দিন।
দুই.
শুধমাত্র প্রয়োজনের খাতিরে আল্লাহর কাছে চাওয়ার নামই দুআ নয়; বরং দুআ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইবাদতের খোলাসা এবং নির্যাস হচ্ছে দুআ। দুআর মাধ্যমে বান্দার ‘আবদিয়্যাত’ এবং আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পায়। সুতরাং প্রয়োজন তো আছেই, ইবাদত হিসেবেও আল্লাহর কাছে আমাদের অহর্নিশ দুআ করা জরুরি।
হযরত ইবনে আব্বার রা. থেকে বর্ণিত তিরমিযি শরিফের একটি 'হাদিসে কুদসি'তে (২৫১৬) উপর্যোক্ত বিশ্বাস নিয়েই আল্লাহর কাছে চাইতে আদেশ করা হয়েছে।
নবীজী সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইবনে আব্বাস রা. কে বলেন- "তোমার কোনোকিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহ তাআলার নিকট চাও, আর সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে আল্লাহ তাআলার নিকটেই কর।
আর জেনে রেখো, যদি সকল উম্মতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। অপরদিকে যদি সকল উম্মত তোমার কোন ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একতাবদ্ধ হয়, তাহলে ততটুকু ক্ষতিই করতে সক্ষম হবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার তাকদিরে লিখে রেখেছেন।"
কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে দুআ করার আদেশ করেছেন এবং দুআ কবুলের অঙ্গিকারও করেছেন। পাশাপাশি যারা অহঙ্কারবশত তাঁর কাছে চাওয়া থেকে বিমুখ থাকে তাদের জন্য জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন।
সূরা গাফের-এর ৬০ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। নিশ্চয় যারা অহঙ্কারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।"
অত্যন্ত দু:খজনক একটি বাস্তবতা হল, এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের ক্ষেত্রে অামরা, আমাদের সমাজ অনেক ভ্রান্তি পড়ে অাছে। এখানে সবগুলো ভ্রান্তির দিকে দৃষ্টি দেওয়া অামার উদ্দেশ্য নয়। নানান ভ্রান্তির মধ্য থেকে কিছু ভ্রান্তির প্রতি সতর্ক করাই আজকের আলোচনার উদ্দেশ্য।
এক.
নিজের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত, চিন্তা-পেরেশানি ইত্যাদির জন্য মূলত নিজেই আল্লাহর কাছে চাইতে হয়। ইতোপূর্বে উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে দুআর অাদেশ করেছেন। সুতরাং বান্দা তার নিজের হাজত-প্রয়োজন নিজেই আল্লাহর সামনে তুলে ধরবে এটাই স্বাভাবিক।
অন্যের কাছে দুআ চাওয়া, বিশেষত আল্লাহর নিকটতম বান্দাদের কাছে আবদার করা যেন তারা আল্লাহর কাছে আপনার জন্য চান, আপনার প্রয়োজনের জন্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দুআ করেন, এটা নিষেধ নয়।
তেননিভাবে কেউ হজে যাচ্ছেন কিংবা সফরে যাচ্ছেন তার কাছে অাপনি দুআর অাবদার করলেন, এটা নিষেধ নয়।
সাহাবায়ে কেরাম রা.ও নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরা যেমন দুআ করেছেন নবীজীর কাছেও দুআ চেয়েছেন। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে হযরত আনাস রা. এর মা নবীজীর কাছে আনাস রা. এর জন্য দুআ চেয়েছেন। জবাবে নবীজী সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আনাস রা. এর জন্য দুআ করেছেন এভাবে-
اللهم أكثر ماله وولده
সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে নবীজীর কাছে দুআর আবেদনের আরো হাদিস পাওয়া যায়। সহিহ মুসলিমের বর্ণিত হয়েছে খোদ আল্লার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘ওয়ায়েস কারনি’র নিকট দুআ চাইতে বলে গেছেন।
তবে যে বিষয়টির প্রতি লক্ষ রাখতে হবে সেটা হল, অন্যের দুআকে মুখ্য বানানো যাবে না। অর্থাৎ আপনার প্রয়োজন আপনিই আল্লাহর নিকট তুলে ধরবেন পাশাপাশি অন্যের কাছে আবদার করতে পারেন, তারা যেন আপনার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ চায়। কেননা হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে মুমিন ভাইয়ের অদৃশ্যে তার জন্য যে দুআ করা হয় তা কবুল হয়।
কিন্তু অামাদের অবস্থা হল, যে-কোনো প্রয়োজনে নিজেরা দুআ না করে পীর সাহেবের কাছে যাই, হুজুরদের কাছে যাই, হজুরদেরকে বাড়িতে এনে দুআ করাই।
বলুন তো, আপনার মাতার প্রতি, বোনের প্রতি, স্ত্রীর প্রতি, সন্তানের প্রতি আপনার যতটুকু মহব্বত এবং টান রয়েছে অন্য কারো কি থাকবে?
আপনার অসুস্থ মায়ের জন্য, স্ত্রী-সন্তানের জন্য আপনি যতটুকু দরদ এবং ব্যথা নিয়ে আল্লাহর কাছে চাইতে পারবেন অন্য কেউ কি সেভাবে চাইবে, চাইতে পারবে?
তাছাড়া আপনি যখন আল্লাহর কাছে দুআ করলেন আল্লাহর প্রতি আপনার মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পেল, আপনার ‘আবদিয়্যাত’ প্রকাশ পেল, সেটা তো অন্যেকে দুআ করানোর দ্বারা হবে না।
তাহলে নিজের জন্য, নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য নিজে দুআ না করে কেন অন্যের কাছে দৌঁড়ান?!!
সুতরাং অন্যের কাছে দুআ চান, অসুবিধা নেই; তবে নিজের দুআকেই প্রাধান্য দিন।
দুই.
শুধমাত্র প্রয়োজনের খাতিরে আল্লাহর কাছে চাওয়ার নামই দুআ নয়; বরং দুআ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইবাদতের খোলাসা এবং নির্যাস হচ্ছে দুআ। দুআর মাধ্যমে বান্দার ‘আবদিয়্যাত’ এবং আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পায়। সুতরাং প্রয়োজন তো আছেই, ইবাদত হিসেবেও আল্লাহর কাছে আমাদের অহর্নিশ দুআ করা জরুরি।
তিন.
ইবাদত টাকা-পঁয়সা বা যে-কোনো ধরণের বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। আপনি কারো কাছ থেকে টাকারা বিনিময়ে দু’রাকাত নামায কিংবা এক দিনের রোযার সওয়াব নিতে পারবেন না।
একারণেই মৃত ব্যক্তির জন্য টাকার বিনিময়ে ‘ইসালে সওয়াবে’র কোনো বৈধতা নেই। কারণ ‘ইসালে সওয়াবে’র অর্থ হল, নির্ধারিত কোনো ইবাদতের মাধ্যমে অর্জিত সওয়াব মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো। আর সওয়াব টাকা-পঁয়সা বা যে-কোনো ধরণের বিনিময় দিয়ে অর্জন করা যায় না। টাকা দিয়ে যখন সওয়াব অর্জিতই হয় না মরহুমের কাছে পৌঁছাবেন কি?
তাই নিজে নিজেই কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদির মাধ্যমে মৃত বাবা-মা এবং নিকট-আত্মীয়ের জন্য ‘ইসালে সওয়াব’ করুন। অথবা বিনিয়ম ছাড়া কেউ যদি আপনার বাবা-মা বা নিকট-আত্মীয়ের জন্য ইসালে সওয়াব করে এর সওয়াবও তারা পাবেন।
চার.
দুআ যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সুতরাং কাউকে বিনিময় দিয়ে দুআ করানো যাবে না। দুআর মাধ্যমে বিনিময় নেওয়াও কোনোভাবে বৈধ হবে না। সুতরাং নিজের জন্য নিজেই দুআ করুন অন্যের কাছেও দুআ চান, তবে বিনিময় দিয়ে নয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বিষয়টি বুঝার তওফিক দান করুন, আমিন।
------
লিখেছেনঃ শাইখ Mahbubul hasan arife
সূত্রঃ [১], [২]
ইবাদত টাকা-পঁয়সা বা যে-কোনো ধরণের বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। আপনি কারো কাছ থেকে টাকারা বিনিময়ে দু’রাকাত নামায কিংবা এক দিনের রোযার সওয়াব নিতে পারবেন না।
একারণেই মৃত ব্যক্তির জন্য টাকার বিনিময়ে ‘ইসালে সওয়াবে’র কোনো বৈধতা নেই। কারণ ‘ইসালে সওয়াবে’র অর্থ হল, নির্ধারিত কোনো ইবাদতের মাধ্যমে অর্জিত সওয়াব মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো। আর সওয়াব টাকা-পঁয়সা বা যে-কোনো ধরণের বিনিময় দিয়ে অর্জন করা যায় না। টাকা দিয়ে যখন সওয়াব অর্জিতই হয় না মরহুমের কাছে পৌঁছাবেন কি?
তাই নিজে নিজেই কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদির মাধ্যমে মৃত বাবা-মা এবং নিকট-আত্মীয়ের জন্য ‘ইসালে সওয়াব’ করুন। অথবা বিনিয়ম ছাড়া কেউ যদি আপনার বাবা-মা বা নিকট-আত্মীয়ের জন্য ইসালে সওয়াব করে এর সওয়াবও তারা পাবেন।
চার.
দুআ যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সুতরাং কাউকে বিনিময় দিয়ে দুআ করানো যাবে না। দুআর মাধ্যমে বিনিময় নেওয়াও কোনোভাবে বৈধ হবে না। সুতরাং নিজের জন্য নিজেই দুআ করুন অন্যের কাছেও দুআ চান, তবে বিনিময় দিয়ে নয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বিষয়টি বুঝার তওফিক দান করুন, আমিন।
------
লিখেছেনঃ শাইখ Mahbubul hasan arife
সূত্রঃ [১], [২]